Bengali Bible Carey Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
সকাখা:- যিহূদার ছয়টি শহরের একটি, এ শহরটির অবস্থান ছিল মরুসাগরের তীরবর্তী মরুভ‚মিতে, যিহো ১৫:৬১। সকিনা:- সখিনা, শব্দটি বাইবেলে পাওয়া যায় না, কিন্তু টারগুমে পাওয়া যায়। এটি হিব্রæ “শকান” শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে “বাস করা”। এখান থেকে এসেছে হিব্রæ শব্দ “মিশ্কান,” যার অর্থ হচ্ছে “আবাস-তাম্বু”। ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজেকে মেঘের থামের ভিতর ও আগুনের মধ্যে প্রকাশ করেন; এটি ছিল মেঘের ভেতর ঢাকা আশ্চর্য মহিমার আলো, যা
ইস্রায়েলীয়দের আগে আগে চলতো, যাত্রা ১৬:৭-১০; বিশেষ করে সাক্ষ্য-সিন্দুকের উপর, (হিব্রæ, “কপ্পোরেথ”)। দেখুন:
মেঘস্তম্ভ; যাত্রা ১৩:২১,২২; ১৪:১৯,২০। টারগুমে সখিনা শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে মূল “ঈশ্বর” শব্দের অর্থ প্রকাশ করার জন্য, তিনি সরাফের মাঝখানে “সিয়োনে” বাস করার কথা বলেছেন বস্তুবাদের সাদৃশ্যএড়ানোর জন্য। তারা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে,সখিনা খ্রীষ্টের অধীনে ফিরে আসবে। হগয়
১:৮ পদের মূল অর্থ হল যে, সদাপ্রভু গৌরবের মধ্যে বাস করবেন; সখ ২:১০ পদে বলে যে, সদাপ্রভু গৌরবের মধ্যে বাস
করবেন, ইত্যাদি। নতুন নিয়মে আমরা “সখিনা” শব্দের অর্থ একইভাবে পাই “সদাপ্রভুর মহিমা” হিসেবে, লূক ২:৯; দ্বি.বি. ৩৩:২; প্রেরিত ৭:২, ৫৩,৫৫; ইব্রীয় ২:২; ৯:৫; রোমীয় ৯:৪। “মহিমা,” যোহন ১:১৪; “সেই বাক্য মানব দেহে
মূর্তিমান হলেন, এবং আমাদের মধ্যে প্রবাস করলেন, আর আমরা তাঁর মহিমা দেখলাম,” ২ করি ৪:৬; ১২:৯; মানুষের
সঙ্গে ঈশ্বরের আবাস (এপিসকিনোসি),” প্রকা ২১:৩। তিনি মেঘ এবং আগুনের সাথে আবার আসছেন, যা সখিনার প্রতিরূপ, মথি ২৬:৬৪; লূক ২১:২৭; প্রেরিত ১:৯,১১; ২ থিষ ১:৭,৮; প্রকা ১:৭। ¯¦র্গদূত বা সরাফ সাধারণত ঈশ্বরের
গৌরবের (সখিনা) সাথে থাকেন, প্রকা ৪:৭,৮; গীত ৬৮:১৭; সখ ১৪:৫। আদিপুস্তক ৩:২৪ পদে সখিনা সম্পর্কে আগেই জানানো হয়েছে যে, সখিনা হচ্ছে করুবদের মাঝখানে তলোয়ারের মত জ্বলন্ত আগুনের শিখা; এটি ছিল “যিহোবার
উপস্থিতি,” যার সামনে থেকে কয়িন পালিয়ে যায় এবং যার সামনে আদম এবং তাঁর পরবর্তী বংশ-পিতারা ঈশ্বরের
উপাসনা করেছেন।
সক্কয়:- অর্থ, খাঁটি। সক্কয়ের সকল সন্তান সরুব্বাবিলের সঙ্গে যিরূশালেমে ফিরেছিল, ইষ্রা ২:৯; নহি ৭:১৪।
সক্কুর:- অর্থ, মনোযোগী। (১) শম্মূয়র পিতা, মোশির পাঠানো গুপ্তচরদের মধ্যেএকজন, গণনা ১৩:৪। (২) একজন লেবীয়, ১ বংশা ২৪:২৭। (৩) আসফের একজন পুত্র এবং রাজা দায়ূদের মাধ্যমে সংগঠিত একটি সঙ্গীত দলের প্রধান, ১
বংশা ২৫:২,১০। (৪) ইম্রির পুত্র, নহি ৩:২। (৫) একজন লেবীয়, নহি ১০:১২। (৬) মত্তনিয়ের পুত্র, নহি ১৩:১৩।
সক্কেয়:- অর্থ, খাঁটি। রাজ আদায়কারীদের তদারককারী কর্মকর্তা। যিরীহোর প্রধান খাজনা-আদায়কারী, লূক ১৯ অধ্যায়। আমদানি রপ্তানির শুল্ক আদায়কারী, বিশেষত সুগন্ধি দ্রব্য আমদানি রপ্তানির শুল্ক আদায় করতেন, আর এই
কাজটি ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ, আর এতে সক্কেয় বেশ ধনী হয়েছিলেন। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট যখন যিরূশালেমের পথে যিরীহোর
দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি বেটে লোক হওয়াতে যীশুর কাছে গিয়ে তাঁকে দেখতে পারছিলেন না, কারণ প্রভু যীশু খ্রীষ্টের
সামনে অনেক লোকের ভিড় ছিল, সেই কারণে তিনি একটি ডুমুর গাছে উঠলেন যাতে তিনি যীশুকে দেখতে পান। প্রভু যীশু যখন সেই স্থানে উপস্থিত হলেন তখন তিনি গাছের উপরে সেই কর আদায়কারীর দিকে তাকালেন, যীশু তাকে নাম ধরে ডেকে গাছ থেকে নেমে আসতে বললেন, আর তাকে তার বাড়িতে আতিথ্য করার বিষয় বললেন। প্রচারকদের লেখায় পাওয়া যায় দশ দীনারের উপমা, লূক ১৯:১২- ২৭। এর-রিহাতে (জেরিকো), সক্কেয়র নামানুসারে সুপ্রাচীন বর্গাকৃতি একটি দুর্গের নামকরণ করা হয়েছিল ‘সক্কেয়র গৃহ’।
সখর:- অর্থ, স্মৃতি। যিয়ীয়েলের পুত্র, ১ বংশা ৮:৩১; ৯:৩৫; তাঁকে সখরিয়ের বলা হত, ১ বংশা ৯:৩৭ ।
সখরিয়:- অর্থ, সদাপ্রভু ঈশ্বর মহান বা চিরস্মরণীয়। (১) যিহূদার একজন ভাববাদী, ১২ জন ক্ষুদ্র ভাববাদীদের মধ্যে ১১তম। যিহিষ্কেলের মত তিনিও পুরোহিতের বংশ থেকে এসেছেন। সখরিয় ১:১ পদে তিনি “বেরিখিয়ের পুত্র” হিসেবে নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন। ইষ্রা ৫:১ এবং ইষ্রা ৬:১৪ পদে তাকে “ইদ্দোরের বংশধর” বলা হয়েছে, যিনি ছিলেন প্রকৃতপক্ষে তাঁর পিতামহ। প্রথমে যারা বন্দী বা নির্বাসন থেকে ফিরে এসেছিল,তাদের ফিরে আসার প্রায় ১৬ বছর রাজা
দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে (খ্রীষ্টপূর্ব ৫২০) তার পৌরহিত্যের কার্য শুরু হয়। তিনি ছিলেন হগয় ভাববাদীর সমসাময়িক, ইষ্রা ৫:১। তাঁর পুস্তক দু’টি ভিন্ন অংশে বিভক্ত ছিল, প্রথম, ১ অধ্যায় থেকে ৮ অধ্যায়ের বিষয়বস্তু ছিল সাধারণ বিস্তৃত বিষয়, এবং দ্বিতীয়টি, ৯ থেকে শেষ অংশটিতে পুস্তকের উপক্রমণিকা সহ, সখ ১:১-৬। বর্তমান প্রজন্মকে ধর্মীয় বিষয়ে বিশেষ সচেতনতার জন্য জাতির অতীত ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমিক আঁটি দর্শনের বিষয় তুলে ধরেছেন, সখ ১:৭-৬:৮, যেগুলো তিনি এক রাতে এক এক করে ঈশ্বর সদাপ্রভুর দর্শন লাভের মাধ্যমে পেয়েছিলেন। এই দর্শনগুলোকে ইস্রায়েল জাতির ইতিহাসের একটি প্রতীকী বিষয় মনে করা হয়ে থাকে, যার মধ্য দিয়ে ফিরে আসা ইস্রায়েল জাতিকে সুসজ্জিত এবং তাদের মনে প্রত্যাশার আলোকে জাগ্রত করার বিষয়ে সহায়তার করার বিষয় ব্যক্ত করা হয়েছে। প্রতীকরূপে ব্যবহৃত যিহোশূয়ের অভিষেক কার্যক্রমটি, যিহো ৬:৯-১৫ পৃথিবীর রাজ্য কিভাবে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের রাজ্যে পরিণত হবে তার বিষয় বর্ণনা করে। দু’বছর পর, প্রকা ৭ এবং ৮ অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে শহরের ধ্বংসের জন্য যে, শোক প্রকাশ, তার স্থায়ীত্ব আরও থাকবে কিনা তার জবাব সহ লোকদের
উদ্দেশ্যে নানা রকম উৎসাহমূলক বক্তব্য এবং সদাপ্রভু ঈশ্বরের উপস্থিতি এবং আশীর্বাদের বিষয়ে যে, নিশ্চয়তা তা তুলে ধরা হয়েছে। পুস্তকের দ্বিতীয় অংশের, ৯ থেকে ১৪ অধ্যায় কখন লেখা হয়েছিল তার কোন উল্লেখ পাওয়া যায় নি। খুব সম্ভব প্রথম অংশ লেখার দীর্ঘ বিরতির পর এই অংশটি লেখা হয়েছিল। এর মধ্যে দু’টি প্রধান প্রসঙ্গ লক্ষ্য করা যায়। প্রথম প্রসঙ্গটিতে, ৯-১১ অধ্যায়ে খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমন পর্যন্ত প্রভু তাঁর লোকদের যে ঈশ্বরীয় পরিচালনা দান করবেন তার একটি খসড়া চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রসঙ্গটিতে, ১২-১৪ অধ্যায়ে চূড়ান্ত দ্ব এবং সদাপ্রভু ঈশ্বরের রাজ্যের বিজয়ের পর “পরবর্তী দিনে” ইস্রায়েল জাতির জন্য যে গৌরবজ্জ্বল দিন অপেক্ষা করছে তার প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে। (২) রাজা উষিয়ের সময়কার একজন ভাববাদী। বিজ্ঞতাপূর্ণ নানান পরামর্শ ও শিক্ষার জন্য রাজা উষিয় এই ভাববাদীর কাছে অনেকভাবেই ঋণী ছিলেন, ২ বংশা ২৬:৫। এছাড়া পুস্তকে সখরিয় নামের অনেক ব্যক্তির উল্লেখ পাওয়া যায়, যাদের সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় নি। (৩) যিহোয়াদার পুত্র বা নাতি, যিনি ছিলেন রাজা অহসিয় এবং রাজা যোয়াশের সময়কার একজন মহাপুরোহিত। যিহোয়াদার মৃত্যুর পর পুরোহিত সখরিয় ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধাচারণ করার জন্য রাজা এবং লোকদেরকে প্রচণ্ডভাবে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন, ২ বংশা ২৪:২০ আর এর দরুন লোকেরা তাঁর উপর প্রচণ্ড রকম ক্ষিপ্ত হয়েছিল এবং ষড়যন্ত্র করে তাঁকে রাজার আদেশে সদাপ্রভুর ঘরের উঠোনে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলেছিল, ২ বংশা ২৪:২০। মথি ২৩:৩৫ পদে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট এই ঘটনা বা কাজটির প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন। (৪) অবীয়ের পুরোহিতদের একজন, চব্বিশ জন পুরোহিতদের মধ্যে তিনি ছিলেন অষ্টম পুরোহিত, যাদেরকে রাজা দায়ূদ এই শ্রেণীতে বিভক্ত করেছিলেন, ১ বংশা ২৩:১-১৯। এই শ্রেণী বিভক্তির মধ্যে মাত্র ৪টি পুরোহিত পরিবার নির্বাসন থেকে ফিরে এসেছিলেন, ইষ্রা ২:৩৬-৩৯, কিন্তু তারপর তাদের আবার আগের মত আবার শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল। পুরোহিতেরা বছরে দু’বার মন্দিরে সেবা কাজ করতেন, এবং প্রতিবার তারা শুধুমাত্র এক সপ্তাহের জন্য তা করতেন। এই সেবা কাজ পরিচালনার ভার যখন সখরিয়ের উপর পড়তো, তখন তিনি মন্দিরের প্রাঙ্গণের পাশে তাঁর গৃহের মধ্যে পুরোহিতদের থাকবার জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করতেন। প্রতিদিনের উপাসনা বা আরাধনায় সুগন্ধি ধূপ উপহার উৎসর্গ বা মন্দিরের পবিত্র স্থানে গিয়ে ধূপ জ্বালানো ছিল একটি বিশেষ সম্মানের সেবা কাজ, আর তাই কে মন্দিরের পবিত্র স্থানে গিয়ে ধূপ জ্বালাবে তার জন্য গুলিবাঁট করা হত, এটি এমন সম্মানের বিষয় ছিল যে, একজন পুরোহিত এই কাজটি করার সুযোগ জীবনে মাত্র একবারই পেতেন। যখন পুরোহিত সখরিয় সোনার পবিত্র ধূপবেদীতে গিয়ে পবিত্র সুগন্ধি ধূপ জ্বালিয়ে সেবা কাজ করছিলেন, তখন সদাপ্রভুর দূত গাব্রিয়েল ঘোষণা করেছিলেন যে, তাঁর স্ত্রী ইলিশাবেৎ, যিনি আর এক পুরোহিত পরিবারের সন্তান, তার গর্ভে একটি পুত্র সন্তান হবে, যার নাম হবে যোহন, আর তিনিই হবেন দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পথ প্রস্তুতকারী, লূক ১:১২-১৭। এই শুভ সংবাদ যখন তিনি বিশ্বাস করলেন না, তখন তিনি ততদিন পর্যন্ত বোবা হয়ে রইলেন, যতদিন না এই প্রতিজ্ঞাত ঘোষণা সত্য প্রমাণিত হল। নয় মাস পরে ইলিশাবেতের সন্তানের জন্ম হল, আর সখরিয় একটি লেখার পাতে নাম লিখে দিলেন যে, শিশুটির নাম হবে যোহন, আর তখনই তার মুখ ও জিহŸা খুলে গেল, আর তিনি ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করলেন। এভাবে এই শিশুটি (বাপ্তিস্মদাতা যোহন) অন্তরে বলবান হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জন্মেছিলেন, লূক ১:৮০। (৫) এইরূপ উল্লেখ রয়েছে, “বরখিয়ের পুত্র সখরিয়কে বেদী এবং পবিত্র স্থানের মধ্যে হত্যা করা হয়েছিল,” মথি ২৩:৩৫; লূক ১১:৫১। সম্ভবত এখানে যে, বরখিয়ের কথা বলা হয়েছে তার অপর নাম যিহোয়াদা বলে অনেকে মনে করে থাকে। (৬) ইস্রায়েলের রাজা দ্বিতীয় যারোবিয়ামের পুত্র। তাঁর পিতার মৃত্যুর পর ১০ বছরের একটি শূন্যতা ছিল, যার শেষভাগে তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন, কিন্তু তিনি শুধুমাত্র ৬ মাস ক্ষমতায় ছিলেন, কারণ শল্লুম তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন এবং অন্যায়ভাবে সিংহাসন দখল করেন। তিনি যে কাজটি করেছিলেন সেটি ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে ছিল বড় অন্যায়, যে কর্ম তাঁর পিতাও করেছিলেন, ২ রাজা ১৪:২৯, ১৫:৮-১২। তাঁর মধ্য দিয়েই যেহূর রাজবংশ শেষ হয়। (৭) অবীর পিতার নাম সখরিয়, আর অবী ছিলেন হিষ্কিয়ের মাতা, ২ রাজা ১৮:২। (৮) রূবেণ বংশের প্রধান ব্যক্তিদের মধ্যে একজন, ১ বংশা ৫:৭। (৯) মিলন-তা¤¦ুর দরজার পাহারাদারদের মধ্যে একজন, ১
বংশা ৯:২১। (১০) রাজা শৌলের বংশধর, ১ বংশা ৯:৩৭। একজন লেবীয় যিনি ওবেদ ইদোমের বাড়ি থেকে সাক্ষ্য-
সিন্দুক আনার কাজে সহায়তা করেছিলেন, ১ বংশা ১৫:২০-২৪। (১১) মনঃশি বংশের লেবীয়, ১ বংশা ২৭:২১। (১২)
যিদ্দোর পিতা, ১ বংশা ২৭:২১। (১৩) একজন ব্যক্তি যিনি যিহোশাফটের রাজত্বের সময় লোকদের আইন-কানুন শিক্ষা দেবার কাজে সহায়তা করেছেন, ২ বংশা ১৭:৭। (১৪) আসফ বংশের একজন লেবীয় সন্তান, ২ বংশা ২০:১৪। (১৫) যিহোশাফটের পুত্র সন্তানদের মধ্যে একজন, ২ বংশা ২১:২। (১৬) অবিয়ার পিতার নাম সখরিয়, আর অবিয়া ছিলেন
হিষ্কিয়ের মাতা, ২ বংশা ২৯:১। আসফের বংশধরদের মধ্যে একজনের নাম, ২ বংশা ২৯:১৩। (১৭) ঈশ্বরের গৃহের নেতাদের মধ্যে একজন, ২ বংশা ৩৫:৮। (১৮) ইষ্রার সময়কার একজন নেতা, যিনি নির্বাসন থেকে ফিরে আসার জন্য তাকেপরামর্শ দিয়েছিলেন। নহি ৮:৪ পদে যে, সখরিয়ের বিষয় বলা হয়েছে তা সম্ভবত এই একই ব্যক্তি। (১৯) একজন কহাতীয় লেবীয়, ১ বংশা ২৪:২৫। (২০) নহি ১১:১২। (২১) নহি ১২:১৬ (২২) নহি ১২:৩৫,৪১। (২৩) যিশা ৮:২।
সগূব:- হিষ্রোণের পুত্র, মাখীরের কন্যার গর্ভের সন্তান, ১ বংশা ২:২১,২২। একজন বৈথেলীয়। হীয়েলের কনিষ্ঠ পুত্র। যখন হীয়েল অভিশাপ পাওয়া যিরীহো শহরের সদর দরজা লাগাতে যান, তখন সে মারা যায়, যা যিহোশূয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যিহো ৬:২৬; ১ রাজা ১৬:৩৪।
সঙ্গীত:- সঙ্গীতের ক্ষেত্রে ইব্রীয়রা অনেক উন্নতি সাধন করেছিল। তাদের সামগ্রিক ইতিহাস এবং সমৃদ্ধ শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি তারই প্রমাণ দেয়। মহাবন্যার পর সঙ্গীতের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় যাকোবের সঙ্গে লাবনের সাক্ষাত ও কথাবার্তায়, আদি ৩১:২৭। লোহিত সাগর পার হওয়ার পর মোশি এবং ইস্রায়েলীয়রা উদ্ধারের গানের গায়, যাত্রা ১৫:১। শমূয়েল, রাজা দায়ূদ এবং রাজা শলোমনের যুগটি ছিল ইব্রীয় কাব্যকলার পাশাপাশি ইব্রীয় সঙ্গীতের একটি ¯^র্ণযুগ। বর্তমান যুগে সঙ্গীত পদ্ধতিগতভাবে চর্চা করতে দেখা যায়। ভাববাদীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সঙ্গীত ছিল প্রশিক্ষণের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, ১ শমূ ১০:৫; ১৯:১৯- ২৪; ২ রাজা ৩:১৫; ১ বংশা ২৫:৬। এই সময় এক শ্রেণীর পেশাদার সঙ্গীত শিল্পীর আবির্ভাব ঘটে, ২ শমূ ১৯:৩৫; উপ ২:৮। মন্দির ছিল সঙ্গীত শিক্ষার বড় একটি বিদ্যালয়। উপাসনা বা প্রার্থনা পরিচালনার সময় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিরাট সঙ্গীত দল এবং বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের বাদকেরা প্রতিনিয়ত নিয়োজিত থাকতো, ২ শমূ ৬:৫; ১ বংশা ৫,১৫,১৬ ও ২৩ অধ্যায়, ১ বংশা ২৫:১- ৬। ইব্রীয়দের ব্যক্তিগত জীবনেও সঙ্গীত একটি বিশেষ ভ‚মিকা রাখত, উপ ২:৮; আমোষ ৬:৪-৬; যিশা ৫:১১,১২; ২৪:৮,৯; গীত ১৩৭:১; যির ৪৮:৩৩; লূক ১৫:২৫।
সতী:- (২) কুমারী নারী, যে নারী এখনও কোন পুরুষের সংস্পর্শে আসেন নি, অবিবাহিত নারী, যাত্রা ২২:১৬; বিচার
১৯:২৪; গীত ৭৮:৬৩; ১৪৮:১২। (৪) বিবাহযোগ্য নারী, আদি ২৪:৪৩; যাত্রা ২:৮; গীত ৬৮:২৫; শলো ১:৩; ৬:৮;
হিতো ৩০:১৯; যিশা ৭:১৪।
সতেজ বৃক্ষ:- গীত ৩৭:৩৫; হিব্রæ ভাষায় এটিকে অনেক জায়গায় “এরহ্” হিসাবে অনুবাদ করা হয়েছে, যার সাধারণ অর্থ “সহজাত জন্ম,” অর্থাৎ, এক স্থান থেকে তুলে অন্য স্থানে লাগানো কোন গাছ নয়, কিন্তু এটি মাটি থেকে আপনা আপনি জন্মেছে এমন একটি গাছ, আর এই কারণেই গাছটি অনেক বড় হয়ে থাকে এবং এই গাছটির অনেক ডালপালা ও
পাতা দেখা যায়। গানের রচয়িতা যদি এই শব্দটি কোন নির্দিষ্ট গাছকে বুঝানোর জন্য ব্যবহার করে থাকেন, তবে তিনি হয়তো চিরসবুজ এক ধরনের গুল্মকে বুঝিয়েছেন (যা দিয়ে প্রাচীন গ্রীক দেশের অধিবাসীরা মুকুট বানিয়ে কাউকে বিশেষ সম্মান দেখাতো), যেটি সাধারণত প্যালেষ্টাইন দেশে জন্মে থাকে।
সত্তূ:- অর্থ, অংকুর। (১) চুক্তিতে সীলমোহর দানকারী একজন ব্যক্তি, নহি ১০:১৪। যিনি নির্বাসন বা বন্দীদশা থেকে
সরুব্বাবিলের সাথে ফিরে এসেছিলেন, ইষ্রা ২:৮; নহি ৭:১৩। সত্য:- পবিত্র শাস্ত্রে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। হিতো ১২:১৭,১৯ পদে সত্য অর্থ মিথ্যাহীনতা বা মিথ্যার বিপরীত। যিশাইয় ৫৯:১৪,১৫ এবং যিরমিয় ৭:২৮ পদে এর অর্থ হল সত্যবাদিতা ও বিশ্বস্ততা। খ্রীষ্টীয় শিক্ষার বিষয় হল সুসমাচারের সত্য প্রকাশ। সত্য, গালা ২:৫; ২ তীম ৩:৭, ৪:৪। আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট ¯^য়ং বলেছেন, “আমিই পথ, সত্য ও জীবন,” যোহন ১৪:৬।
সথুর:- যে কনান দেশ ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের দিয়েছিলেন, তার স¤¦ন্ধে খোঁজ-খবর নিয়ে আসবার জন্য মোশি বারো বংশের প্রত্যেকটি থেকে একজন করে নেতা গুপ্তচর হিসেবে পাঠান, এদের মধ্যে ছিলেন আশের বংশের মীখায়েলের
পুত্র সথুর, গণনা ১৩:২,১৩।
সদ্গুণ:- একজন মানুষের সক্রিয় গুণাবলী, যিনি মন্দ বা ভুল থেকে সঠিক বিষয়গুলোকে আলাদা করে গুরুত্ব দিয়ে কাজে পরিণত করতে পারেন। এই গুণের মাধ্যমে তিনি সকল অনৈতিক বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে দৃঢ় ও অবিচল থাকতে পারেন
এবং নৈতিকভাবে সকল ভালো বিষয়গুলো বেছে নিতে পারেন।
সদাদ্:- অর্থ, সীমানা, ঢালু জায়গা। হমাতের নিকটবর্তী পলেষ্টীয়দের উত্তরে অবস্থিত একটি শহর, গণনা ৩৪:৮; যিহি
৪৭:১৫। ইমেসা (হামস্) এবং বালবেকের মাঝে অবস্থিত সদুদের ধ্বংসাবশেষগুলোর সঙ্গে একে চিহ্নিত করা হয়েছে, কিন্তু
বিষয়টি নিশ্চিত নয়। সদসদ্ জ্ঞানের গাছ:- আদিপুস্তক ২:১ - ৩:১। এই বৃক্ষের ফল খেতে আদম ও হবাকে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্ত তাঁরা ঈশ্বরের আদেশ অমান্য করে, আর তাই পাপ এবং মৃত্যু পৃথিবীতে প্রবেশ করে, আর ভাবী বংশধরেরা আদমের পাপের ভাগী হয়।
সদ্দূকী:- মথি ৩:৭; ১৬:১,৬,১১,১২; ২২:২৩,৩৪; মার্ক ১২:১৮; লূক ২০:২৭; প্রেরিত ৪:১; ৫:১৭; ২৩:৬-৮। মথি মার্ক
লিখিত সুসমাচার থেকে আলাদাভাবে এর পার্থক্য দেখিয়েছেন। তিনি সাধারণভাবে যিহূদীদের রীতি ব্যাখ্যা করেনি, তিনি মনে করেছেন তার পাঠকরা এই সম্পর্কে আগে থেকে পরিচিত। তিনি তার ব্যাখ্যার রীতি পরিবর্তন করেননি। সদ্দূকীদের মতে মৃতদের জীবিত হয়ে ওঠা বলে কিছু নেই। ঐতিহাসিক যোসেফাসের মতে সদ্দূকীদের মতবাদ হচ্ছে, দেহ ও আত্মা এক সাথে ধ্বংস হয়ে যায়। যদিও এই মতবাদে উচ্চ পর্বস্থ ব্যক্তি ছাড়া তেমন কেউ একমত নয়। তারা জনগণের বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। তাই যিহূদীদের বিভিন্ন গোত্রের মতবাদ সহজে গ্রহণ করা হয়নি; এই সব গোত্রের সংখ্যা ছিল কম। মথি নিজে তাদের মতবাদ তাঁর লেখায় তুলে ধরেছেন, তাই তাঁর তথ্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত হিসেবে গণ্য হয়নি। নতুন
নিয়মের সুখবরে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে ফরীশীদেরকে দল হিসেবে দেখা গেছে, মথি ২৩:২৯,৩২; যোহন ১১:৫৭; ১৮:৩ এবং তিনি প্রকাশ্যে প্রধানত তাদেরই নিন্দা করতেন; কিন্তু প্রেরিত পুস্তকের কিছু অধ্যায়ে একদল সদ্দূকীর উল্লেখ পাওয়া যায়, প্রেরিত ৪:১; ৫:১৭; ২৩:৬,৮। সদ্দূকীদের বিষয় উল্লেখ করার কারণ ছিল মৃতদের পুনরুত্থান, কারণ সদ্দূকীরা এই ধর্মীয় মতবাদ অ¯^ীকার করতো, যা নতুন নিয়মের সুসমাচারের দেখা যায়, মার্ক ৯:১০। পুনরুত্থান খ্রীষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় মতবাদ হয়ে দেখা দেয়, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের শিষ্যগণ সাক্ষ্য দিতে লাগলেন যে, প্রভু
পৃষ্টা
1056