পবিত্র বাইবেল ডিকশনারী । Bengali Bible Carey Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন) বাইবেল অভিধান
রক্কৎ:- নপ্তালি বংশের একটি সুরক্ষিত শহর, এর অবস্থান ছিল গালীল সাগরের তিবিরিয়া এলাকায়, যিহো ১৯:৩৫।
রক্কোন:- দান বংশের একটি শহর, যাফোর নিকটে অবস্থিত, যিহো ১৯:৪৬।
রক্ত:- (১) মাংসকে যখন প্রথম খাদ্য হিসেবে খেতে বলা হয়, তখন রক্তকে গ্রহণযোগ্য করা হয়নি, আদি ৯:৪; দ্বি.বি. ১২:২৩; লেবীয় ৩:১৭, ৭:২৬; ১৭:১০- ১৪। রক্তকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার পুনরায় নিষেধ করা হয় যিরূশালেমের কাউন্সিলে, প্রেরিত ১৫:২৯। এই নিষেধাজ্ঞা কতিপয় লোকের মাধ্যমে করা হয়েছিল বলে এটিকে শুধু আনুষ্ঠানিক এবং সাময়িক মনে করা হয়েছিল, কিন্তু অন্যান্য অনেকে এটিকে স্থায়ী এবং সবার জন্য প্রযোজ্য বলে বিশ্বাস করে। গিবিয়ার যুদ্ধের পর ইস্রায়েলীয়রা রক্তশুদ্ধ মাংস খেয়েছিল, ১ শমূ ১৪:৩২,৩৪। রক্তের মধ্যেই মানুষ ও পশুর প্রাণশক্তির মূল উপাদানটি রয়েছে। তাই পুস্তকে “প্রাণ সুদ্ধ, অর্থাৎ রক্ত সুদ্ধ মাংস তোমরা খাবে না” - এই আদেশ রয়েছে। পবিত্রতা রক্ষার জন্য ইস্রায়েলীয়রা রক্ত কিংবা রক্ত মাখানো কোন মাংস বা খাবার খেত না। (২) উৎসর্গের সময় পুরোহিত উৎসর্গের পশুর রক্ত পাত্রে রাখতেন এবং সেটি বেদীতে সাত বার ছিটিয়ে দিতেন, যেমন করে নিস্তার-পর্বের দিনে তারা ঘরের দরজার কপালিতে এবং উপরে রক্ত ছড়িয়ে দিয়েছিল, এটি ছিল তারই চিহ্ন¯^রূপ, যাত্রা ১২:১; লেবীয় ৪:৫-৭; ১৬:১৪-১৯। নিয়ম-কানুন দেওয়ার সময় (যাত্রা ২৪:৮) উৎসর্গের রক্ত বেদীতে এবং উপাসনাকারীদের উপরে পবিত্রতার এবং ঈশ্বর সদাপ্রভুর সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার চিহ্ন হিসেবে ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মথি ২৬:২৮; ইব্রীয় ৯:১৯,২০, ১০:২৯, ১৩:২০। (৩) যারা মানুষের রক্ত ঝরায় তারা খুনী ও শাস্তির যোগ্য, আদি ৯:৫। যারা খুন হয় তাদের রক্ত প্রতিশোধের জন্য কাঁদে, আদি ৪:১০। খুনের প্রতিশোধ নেবার জন্য খুন হওয়া ব্যক্তির অতি নিকট আত্মীয়ের খুনের প্রতিফল দেওয়া উচিত, গণনা ৩৫:২৪, ২৭। খুনের জন্য কোন সান্ত্বনা বা কোন ক্ষতি পূরণ নেই, গণনা ৩৫:৩১। (৪) রক্তকে কাল্পনিকভাবে প্রতিযোগিতার, প্রেরিত ১৭:২৬ এবং জবাইয়ের সাথে তুলনা করা হয়েছে, যিশা ৩৪:৩। রক্তে পা ধোয়ানো মানে হল বিরাট বিজয় লাভ করা, গীত ৫৮:১০। রক্তিম সুরাকে আঙ্গুরের রক্ত মনে করা হত, আদি ৪৯:১১। যখন রোমীয় সৈন্য আমাদের পরিত্রাণকর্তার কুক্ষিদেশ বর্শা দিয়ে আঘাত করেছিল তখন রক্ত মিশ্রিত জল বের হয়েছিল, যোহন ১৯:৩৪। এতে প্যাথলজিষ্টদের দ্বারা এটি প্রমাণিত হয় যে, যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যু হৃদপিণ্ডে ক্ষত হওয়ার কারণে হয়েছে, গীত ৬৯:২০। রক্ত শব্দটি বাইবেলে চারশত বারের বেশি উল্লেখ রয়েছে এবং এর বেশিরভাগ রয়েছে লেবীয় পুস্তকে, যেখানে যিহূদীদের উপাসনা ও পবিত্র হওয়ার বিষয়ে রক্তের ব্যবহার রয়েছে; যিহিষ্কেল পুস্তকে রক্তকে ঈশ্বরের বিচার হিসেবে দেখানো হয়েছে; এবং ইব্রীয় পুস্তকে লেবীয় পুস্তকের বিষয়গুলোকে নতুন নিয়মের আলোকে প্রকাশ করা হয়েছে। ঈশ্বর তাঁর পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য ও তাঁর সৃষ্ট সমস্ত জীবের পবিত্রতা বজায় রাখার জন্যই তিনি এই নিয়ম স্থির করেন যে, “কেননা পাপ যে বেতন দেয় তা মৃত্যু” রোমীয় ৬:২৩; কিন্তু “ঈশ্বর প্রেমময়,” আর এই কারণেই ঈশ্বর তাঁর
সৃষ্ট মানব জাতিকে রক্ষা করবার জন্য এক অনন্য ব্যবস্থা করলেন। নিখুঁত বা সম্পূর্ণ পবিত্র পশুর রক্ত ছাড়া যেহেতু পাপের ক্ষমা পাওয়া সম্ভব নয়, ইব্রীয় ৯:২২, সেজন্য তিনি তাঁর একমাত্র পুত্র প্রভু যীশু খ্রীষ্টের
সম্পূর্ণ নিষ্পাপ রক্তের উৎসর্গ খুশি হয়ে গ্রহণ করেছিলেন। ফলে পাপ থেকে ক্ষমা পেয়ে সব মানুষ পরিত্রাণ লাভ করে প্রভু যীশুর রক্তের কারণেই। আমাদের সবার পাপের বিকল্প প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নিজের প্রাণ দিলেন। আমাদের পরিবর্তে তিনি রক্ত দিলেন যেন একবারে সকল মানুষের সব পাপ ধুয়ে পরিষ্কার করা যায়, ইব্রীয় ৯:২৮ এবং যেন পৃথিবীর সব পাপী মানুষ প্রভু যীশুর মাধ্যমে পরিত্রাণ পায়।
রক্ত-ঘাম:- আমাদের ত্রাণকর্তা প্রভু যীশু
খ্রীষ্টের নিদারুণ দুঃখের বহিঃপ্রকাশ, লূক
২২:৪৪।
রক্ত-মাংসের দেহ:- পুরাতন নিয়মে বিভিন্ন
অর্থে প্রকাশ করা হয়েছে Ñ (১) মানুষ
অথবা পশুর দেহের নির্দিষ্ট একটি অংশ,
আদি ২:২১, ৪১:২; গীত ১০২:৫। (২)
সম্পূর্ণ দেহ, গীত ১৬:৯। (৩) জীবন্ত
সমস্ত প্রাণ যার রক্তমাংসের দেহ আছে
এবং বিশেষ করে সমগ্র মানবজাতির
মানবীয়তা, আদি ৬:১২,১৩ (৪) মানুষের
পরিবর্তশীলতা ও দুর্বলতা, ২ বংশা ৩২:৮;
যিশা ৩১:৩; গীত ৭৮:৩৯। ‘নরম অন্তর’
বলতে এই পদের অন্তরের কমোনীয়তা বা
কোমলতা বোঝানো হয়েছে, নহি ১১:১৯।
‘আপনাদেরই রক্ত ও মাংসে’ বলতে
আত্মীয়তার সম্পর্ক বোঝানো হয়েছে,
বিচার ৯:২; যিশা ৫৮:৭। এগুলো ছাড়াও
নতুন নিয়মে এই রক্তমাংসকে পবিত্র
আত্মার বিপক্ষ মানবীয় প্রকৃতির উপাদান
হিসেবে দেখানো হয়েছে, রোমীয় ৬:১৯;
মথি ১৬:১৭। দেহের মধ্যে বসবাস করার
অর্থ পবিত্র আত্মার দ্বারা দেহকে নতুনীকরণ
না করা, রোমীয় ৭:৫, ৮:৮,৯ এবং দেহের
বশে চলার অর্থ পাপের পথে চলা ও পাপ
কাজ করা, রোমীয় ৮:৪,৫,৭,১২। এই
শব্দটি দ্বারা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মানবীয়
প্রকৃতিকেও বোঝানো হয়েছে, যোহন
১:১৪; ‘সেই বাক্য মাংসে মূর্তিমান হলেন,’
১ তীম ৩:১৬; রোমীয় ১:৩।
রক্তবর্ণ:- দেখুন: লাল।
রক্তের জমি:- দেখুন: কুম্ভকারের জমি,
আকেল্দামা।
রক্তের প্রতিশোধ গ্রহণকারী:- হিব্রæ শব্দ
গোয়েল, ক্রিয়া পদে গাল; ভাবার্থ হল রক্ত
সম্পর্কীয় আত্মীয়ের নিকটবর্তী হওয়া,
উদ্ধার করা, কোন নিহত ব্যক্তির নিকট
আত্মীয়। যদি খুনীকে শরণার্থী শহরের
বাইরে পাওয়া যেত, ২ শমূ ১৪:৭,১১
তাহলে নিহত ব্যক্তির নিকট আত্মীয়ের
দায়িত্ব ছিল হত্যাকারীকে হত্যা করা। এই
আইনের যাতে অপব্যবহার না হয় সেজন্য
মোশি খুনীদের জন্য ছয়টি শরণার্থী শহর
নির্ধারণ করেছিলেন, যাত্রা ২১:১৩; গণনা
৩৫:১৩; দ্বি.বি. ১৯:১,৯। এই আশ্রয়স্থল
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছিল এবং সমস্ত
মানবিক সুযোগ-সুবিধা খুনীদের দেওয়া
হত। খুনিরা শহর থেকে পালিয়ে গিয়ে
তাদের কাছাকাছি অবস্থিত শরণার্থী শহরে
আশ্রয় নিত, যাতে তারা মারা না পড়ে।
শরণার্থী শহরের ভিতরে থাকাকালে
প্রতিশোধ গ্রহণকারীরা তাদের হত্যা করার
চেষ্টা করতো না। এসব সুযোগ পেত
শুধুমাত্র তারাই, যারা কোনরূপ পূর্ব
পরিকল্পনা ছাড়াই দুর্ঘটনাবশতঃ তাদের
হাতে মারা পড়তো। শহরের কর্তৃপক্ষ
এসব মামলার তদন্ত করতেন এবং যারা
ইচ্ছাকৃত ভাবে ও অন্যায়ভাবে হত্যা
করতো তাদের ক্ষেত্রে এরূপ সুযোগ
দেওয়া হত না। তাকে একজন অশুচি এবং
নোংরা ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হত এবং
বৃদ্ধ নেতারা তাকে লোক পাঠিয়ে ধরে
আনত, দ্বি.বি. ১৯:১১-১৩। মহাপুরোহিতের
মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের খুনীদের
আশ্রয়-নগরের শহরের ভিতরেই থাকতে
হত, গণনা ৩৫:২৫।
রজ্জু:- জাহাজের মাস্তুলকে আঁকানো বা
শক্ত করে বাঁধার দড়াদড়ি, যিশা ৩৩:২৩।
প্রেরিত ২৭:১৯ পদে এই শব্দটির মাধ্যমে
সাধারণত জাহাজের যে সমস্ত মালপত্র
কিংবা সাজ-সরঞ্জাম, যেগুলো জাহাজ
থেকে সরানো হয়েছিল সেগুলোকে
বোঝানো হয়েছে, প্রেরিত ২৭:১৭।
রজ্জু দিয়ে মাপা:- রজ্জু বা দড়ি কিংবা সুতা
দিয়ে তৈরি পরিমাপ রেখা, ২ শমূ ৮:২;
গীত ৭৮:৫৫; যিশা ৩৪:১৭; ৪৪:১৩; যির
৩১:৩৯; যিহি ৪০:৩; ৪৭:৩; সখ ১:১৬;
২:১; যিহো ২:১৮,২১। শব্দ ও সঙ্গীতের
সুরধ্বনি রেখা বা মানরজ্জু, গীত ১৬:৬;
রোমীয় ১০:১৮; এবং ২ করি ১০:১৬ পদে
পৌল এই শব্দটি দ্বারা একই দিকের যাত্রা
পথের শহর বা অঞ্চলগুলোকে বুঝিয়েছেন।
র
রথ:- এক প্রকার গাড়ি, সাধারণত যুদ্ধ
ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হত। যদিও শান্তিপূর্ণ
সময়ে মাঝে মধ্যে রথ ব্যবহার করা হত।
প্রথম এই শব্দটি আমরা পুস্তকে পাই, আদি
৪১:৪৩ পদে, রাজা ফরৌণ যোষেফকে
রাজকীয় মর্যাদার প্রতীক রাজ্যের দ্বিতীয়
রথে বসান এবং পরবর্তীতে যোষেফ তাঁর
পিতা যাকোবের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার
সময় তিনি রথ সাজিয়ে যান, আদি
৪৬:২৯। যাকোবকে কবর দেবার জন্য
রথে করে নিয়ে যাওয়া হয়, আদি ৫০:৯।
বনি ইস্রায়েলীয়দের পিছনে ফরৌণ ৬০০
যুদ্ধ রথ নিয়ে তাড়া করেন, যাত্রা ১৪:৭।
পলেষ্টীয় উপত্যকায় কনানীয়দের লোহার
রথ ছিল, যিহো ১৭:১৮; বিচার ১:১৯;
কনানীয় রাজা যাবীনের ৯০০ লোহার রথ
ছিল, বিচার ৪:৩; এবং রাজা শৌলের
সময়ে প্যালেষ্টাইনে ৩০ হাজার রথ ছিল।
রাজা দায়ূদ সোবার রাজা এবং
সিরীয়দেরকে যুদ্ধে পরাজিত করে তাদের
অনেক রথ লুট করে নেন, ২ শমূ ৮:৪;
১০:১৮। রাজা শলোমনের সৈন্যদলের
১৪০০ রথ ছিল, ১ রাজা ১০:২৬; এগুলো
প্রধানত মিশর দেশ থেকে আমদানি করা
হত, ১ রাজা ১০:২৯। এই সময় তারা
ইস্রায়েলের রথবাহিনী তৈরি করে, ১ রাজা
২২:৩৪; ২ রাজা ৯:১৬,২১; ১৩:৭,১৪;
১৮:২৪; ২৩:৩০। নতুন নিয়মে আমরা
শুধুমাত্র একটি রথের ঐতিহাসিক বিবরণ
পাই, তা হল ইথিওপিয়ার রাণীর কর্মচারীর
রথ, প্রেরিত ৮:২৮-২৯; ৩৮ পদ। এই
শব্দটি মাঝে মাঝে প্রতীক চিহ্ন হিসেবে
ব্যবহৃত হয়েছে, গীত ৬৮:১৭; ২ রাজা
৬:১৭; ইলিশায় তাঁর প্রার্থনা এবং
পরামর্শদানের জন্য “ইস্রায়েলের রথ এবং
অশ্বারোহী সেনাদল” নামে খ্যাত ছিলেন।
ঈশ্বরের দ্রুতগামী বাহিনী প্রকৃতির মধ্যে
দিয়ে মহা সমারোহে উদয় হয়Ñ এটি
বোঝাতে এই শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে,
গীত ১০৪:৩; যিশা ৬৬:১৫; হাবা ৩:৮।
সাক্ষ্য-সিন্দুকের রথে দু’টি করুব থাকতো
এবং এদের সামনে একটি দয়ার আসন
ছিল যেখানে ঈশ্বর আরোহণ করতেন, ১
বংশা ২৮:১৮। শান্তির সময়ে রাজা
শলোমন আলাদা শহরে যুদ্ধ রথগুলো মজুদ
রাখতেন, ২ বংশা ১:১৪। তাৎক্ষণিক যুদ্ধ
পরিচালনার জন্য বিশেষভাবে ঘোড়াসুদ্ধ
রথ প্রস্তুত রাখা হত, ২ রাজা ৭:১৪। যুদ্ধ
রথের বিস্তারিত বর্ণনা, যাত্রা ১৪:৭; ১ শমূ
১৩:৫; ২ শমূ ৮:৪; ১ বংশা ১৮:৪; যিহো
১১:৪; বিচার ৪:৩,১৩ পদে আছে। রাজা
দায়ূদের রাজত্বের আগ পর্যন্ত ইস্রায়েলরা
রথ ব্যবহার করতো না। এলিয় “আগুনের
রথে” চড়ে ¯¦র্গে চলে যান, ২ রাজা ২:১১।
৬:১৭ পদে ইলিশায়ের দর্শনটি ছিল শক্তি
ও উৎসাহের একটি উৎস, যার
পরিপ্রেক্ষিতে ভাববাদী বলেন “যারা
আমাদের সঙ্গে আছে তারা ওদের চেয়ে
সংখ্যায় বেশি।”
রথ ও গাড়ি:- (হিব্রæ ‘ছাব,’ হালকা বাহন
বিশেষ), বিশেষ ক্ষমতাধর ব্যক্তিদেরকে
বয়ে নিয়ে যাবার পালকি বা বাহন বিশেষ
(রথ, ঘোড়া, গাড়ি ইত্যাদি), যিশা
৬৬:২০। গণনা পুস্তক ৭:৩ পদে যে
গাড়ির কথা বলা হয়েছে, সেটি মূলত ছই
দেওয়া গরুর গাড়ি বিশেষ। এই গাড়ি
দিয়ে মূলত বলদের মাধ্যমে চালনা করা
হয় এমন বড় এবং মালবাহী গাড়িকে
নির্দেশ করা হয়েছে, যেগুলো সাধারণত
মন্দিরের জিনিসপত্র আনা-নেওয়ার জন্য
উপযুক্ত।
রদ্দয়:- যিশয়ের পঞ্চম পুত্র, রাজা দায়ূদের
র
ভাই, ১ বংশা ২:১৪।
রফায়:- (১) হনানিয়ের বংশধর, ১ বংশা
৩:২১; ৪:৪২,৪৩; ৭:২; ৮:৩৭; ৯:৪৩।
(২) হূরের পুত্র, যিরূশালেম প্রদেশের
অর্ধেক অংশের শাসনকর্তা, নহি ৩:৯।
রফায়ীম:- একটি উপত্যকা, ২ শমূ ৫:১৭,
১৮,২২; ২৩:১৩; ১ বংশা ১১:১৫; ১৪:৯;
যিশা ১৭:৫; যিহো ১৫:৮; ১৮:১৬; এর
অপর নাম “দৈত্যের উপত্যকা”। রাজা
দায়ূদ পলেষ্টীয়দের দ্বিতীয় বার আক্রমণ
করলে তারা তাদের দেবমূর্তিগুলো এখানে
ফেলে পালিয়ে যায় এবং রাজা দায়ূদের
আদেশে লোকেরা সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে
ফেলে। দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে আসা
পলেষ্টীয় দেশের সীমারেখা থেকে প্রশস্ত
হয়ে উপত্যকাটি সমভ‚মিতে বিস্তৃত হয়েছে,
যা হিন্নোম উপত্যকার চূড়া থেকে শুরু করে
বৈৎলেহমের দক্ষিণ সড়ক বরাবর মিশেছে।
পশ্চিমে ক্রমে একে-বেঁকে এটি সরু ও
গভীর উপত্যকায় পরিণত হয়েছে।
রফায়ীয়:- অর্থ, শক্তিশালী। কনান দেশের
আদি অধিবাসী, আদি ১৪:৫; ১৫:২০।
তারা ছিল অনাকীয়দের মত অথবা
বাশনের রাজা ওগের বংশের লোকদের
মত বিশালাকার, দ্বি.বি. ২:১১,২০;
অনেকের মতে তারা এই রফায়ীয়দেরই
বংশধর, যিহো ১২:৪; ১৩:১২; ১৭:১৫।
রফায়েল:- শময়িয়ের পুত্র, ১ বংশা ২৬:৭।
রফীদীম:- অর্থ, বিশ্রামস্থল। মরুভ‚মিতে
যাত্রার সময় ইস্রায়েলীয়রা এখানে ছাউনি
ফেলে, যাত্রা ১৭:১,৮; ১৯:২। এখানে
বসে মোশিকে তাঁর শ্বশুর যিথ্রোর নেতা
পৃষ্টা
901