পবিত্র বাইবেল ডিকশনারী । Bengali Bible Carey Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন) বাইবেল অভিধান
পকহিয়:- অর্থ, ঈশ্বর তার চোখ খুলে
দিয়েছেন। মনহেমের পুত্র, ইস্রায়েলের
সিংহাসনের উত্তরসূরী। ঈশ্বরের দৃষ্টিতে যা
মন্দ তাই তিনি করতেন। ২ বছর (খ্রীষ্টপূর্ব
৭৬১-৭৫৯) রাজত্ব করার পর তিনি তাঁর
সেনাপতি পেকহের হাতে শমরিয়ার
রাজপ্রাসাদে খুন হন, ২ রাজা ১৫:২৩-
২৬।
পকহিয়:- অর্থ, ঈশ্বর তার চোখ খুলে
দিয়েছেন। মনহেমের পুত্র, ইস্রায়েলের
সিংহাসনের উত্তরসূরী। ঈশ্বরের দৃষ্টিতে যা
মন্দ তাই তিনি করতেন। ২ বছর (খ্রীষ্টপূর্ব
৭৬১-৭৫৯) রাজত্ব করার পর তিনি তাঁর
সেনাপতি পেকহের হাতে শমরিয়ার
রাজপ্রাসাদে খুন হন, ২ রাজা ১৫:২৩-
২৬।
পকোদ:- অর্থ, ভ্রমণ বা প্রতিফল। সম্ভবত
বাবিলের একটি স্থান, যির ৫০:২১; যিহি
২৩:২৩; বাবিলের ধ্বংস হয়ে যাওয়া
নগরের সাথে রূপকভাবে এটিকে
বিশেষায়িত করা হয়েছে।
পগীয়েল:- অর্থ, ঈশ্বর কর্তৃক নির্বাচিত।
মরুপ্রান্তরে ইস্রায়েলের যাত্রা কালে আশের
বংশের নেতা, গণনা ১:১৩।
পঙ্গপাল:- অর্থ, ক্ষয়কারী। (১) ডানাবিশিষ্ট
অর্থোপটেরা শ্রেণীর পর্যায়ভুক্ত পতঙ্গ,
ফড়িং, ১ রাজা ৮:৩৭; ২ বংশা ৬:২৮;
গীত ৭৮:৪৬; যিশা ৩৩:৪। মূল হিব্রæ
শব্দের অর্থ হচ্ছে “ধ্বংস করা” বা
“গোগ্রাসে গেলা,” দ্বি.বি. ২৮:৩৮; গীত
১০৫:৩৪; যির ৫১:১৪,২৭; যোয়েল ১:৪;
২:২৫। দেখুন: শুককীট। এই নামটি গ্রীক
শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে। “অর্থো” হচ্ছে
সোজা আর “পেরা” হচ্ছে “ডানা”।
অনেক ধরনের পঙ্গপাল দেখতে পাওয়া
যায়। সিরিয়াতে সাধারণত সচরাচর যে
ধরনের পঙ্গপাল দেখা যায় সেগুলো
দেখতে প্রায় ঘাস ফড়িং-এর মত, কিন্তু
এগুলো সাধারণত আকারে একটু বড় এবং
আরও ধ্বংসসাধক। এগুলোর পা এবং
ঊরু এত শক্তিশালী যে, তারা দুই শত
বারের মত উপরের দিকে লাফিয়ে তাদের
শরীরকে মেলে ধরতে পারে। এরূপে যখন
তারা তাদের ডানাগুলোকে মেলে দিয়ে
পাশাপাশি এক সঙ্গে মিলিত হয়ে উড়ে
চলে তখন মনে হবে কোথাও একত্র হতে
তারা যেন এক সুতোয় আবদ্ধ হয়ে ছুটে
চলেছে। পঙ্গপালকে খাদ্য হিসেবে
বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। অনেক সময়
তাদেরকে চূর্ণবিচূর্ণ করে এর সঙ্গে ময়দা
এবং জল মিশিয়ে এক ধরনের কেক বা
পিঠা তৈরি করা হয়ে থাকে; আবার অনেক
সময় এগুলো সিদ্ধ করে, আগুনে ভাল করে
সেঁকে রোস্ট তৈরি করে, অথবা একে মৃদু
তাপে সিদ্ধ করে ঘি দিয়ে খেয়ে থাকে।
প্রাচীনকালে আশেরীয়রা কোন জায়গায়
সংরক্ষণ করে এগুলোকে খেত। পঙ্গপাল
প্রাচ্য দেশের শস্য ক্ষেত্রগুলোতে ধ্বংসযজ্ঞ
চালিয়ে প্রায়ই সেদেশের মানুষগুলোর
আতঙ্কের একটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত
হত। পঙ্গপালদের উপদ্রুব এমন হতে
পারে যে, তারা কোন দেশে তাদের
আক্রমণ চালিয়ে চরম দুর্যোগের বন্যা
বইয়ে দিতে পারে এবং দেশটিকে প্রায়
অচল করে দিতে পারে।
পঙ্গপালের তাৎপর্য তুলে ধরতে পবিত্র
শাস্ত্রে মোট দশটি হিব্রæ শব্দ ব্যবহৃত
হয়েছে। নতুন নিয়মে পঙ্গপালকে
বাপ্তিস্মদাতা যোহনের নিত্যদিনকার খাদ্য
হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, মথি ৩:৪;
মার্ক ১:৬। মোশির নিয়ম-কানুনে
এগুলোকে একটি “পরিচ্ছন্ন” জীব হিসেবে
গণ্য করা হত, আর তাই তিনি এগুলোকে
নিয়ম-কানুন মতেই খেতে পারতেন। প্রকা
৯:৩,৭ পদের এর উল্লেখ পাওয়া যায়,
যেখানে পরোক্ষভাবে একে প্রাচ্য দেশের
ধ্বংসকারক পতঙ্গ হিসেবে বর্ণনা করা
হয়েছে। তাদের সংখ্যা গণনার উর্ধ্বে:
ইব্রীয়রা তাদেরকে “অসংখ্য অগণনীয়”
বলেছেন, আরববাসীদের কাছে তারা
“ডার্কনারস্ অব দ্যা সান অর্থাৎ “সূর্যের
গাঢ় অন্ধকার” নামে পরিচিত। তারা যদি
বাতাসের অনুগ্রহ লাভ করে, তাহলে
বিশাল কোন জায়গা অতিক্রম করলেও,
তাদের উড়ে চলার নিজ¯^ গতিকে নিয়ন্ত্রণ
করতে পারে না, যেটি তাদেরকে অদৃশ্য
শক্তির মত সেই এলাকার দিকে বহন করে
নিয়ে যায়, যে এলাকার ভাগ্য (কোন এক
সময় পর্যন্ত) ধ্বংসের জন্য নির্ধারিত। তারা
সংখ্যায় জলের অসংখ্য ফোটা বা সাগর
পারের বালুকার মত অগণিত, তারা যখন
উড়ে চলে তখন তাদের সেই যাত্রা সূর্যের
আলোকে ম্লান করে অন্ধকারময় করে
তোলে এবং পৃথিবীর উপর কালো ঘন ছায়া
ফেলে, যাত্রা ১০:১৫; বিচার ৬:৫; ৭:১২;
যির ৪৬:২৩; যোয়েল ২:১০। তাদের
দেখে এরূপ ধারণা হবে যে, তারা যেন
মাইলের পর মাইল জুড়ে প্রশস্ত একটি
সুবিশাল বিস্তীর্ণ পাহাড়, যেটি নিরবিচ্ছিন্ন
ভাবে ধীরে ধীরে অপ্রতিরোধ্য গতিতে
এগিয়ে যাচ্ছে। বাতাসের কারণে তারা যদি
নিচে নেমে আসতে বাধ্য হয়, তাহলে যে
দেশে তারা নেমে আসবে সেই দেশের
বিপর্যয় অনিবার্য। তুষারের ক্ষুদ্র ক্ষদ্র
কণিকার স্তরের মত নেমে এসে তারা
ভ‚মিকে আচ্ছাদিত করে। “তাদের সামনে
দেশটা যেন এদোন বাগান, আর তাদের
পিছনে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মরুভ‚মি। তাদের
দেখে জাতিদের মনে দারুণ যন্ত্রণা হচ্ছে;
সকলের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে,”
যোয়েল ২:৬। যে কোন বাধাই আসুক না
কেন তারা সারি না ভেঙ্গে এগিয়ে যেতে
প
থাকে, কোন বাধার দেওয়ালই তাদের
প্রতিরোধ করতে পারে না, কোন খাতই
তাদের বন্দী করতে পারে না, প্রজ্বলিত
আগুনে অগণিত সংখ্যক পুড়ে মারা গেলেও
তাদের চলার গতিকে দমন করা যায় নি,
যোয়েল ২:৮,৯।
প্যালেষ্টাইন দেশে অনেক ধরনের পঙ্গপাল
ছিল, যেমন, ঝাঁক-বাঁধা পঙ্গপাল,
ধ্বংসকারী পঙ্গপাল, লাফিয়ে-চলা পঙ্গপাল
ও কামড়ানো পঙ্গপাল, যোয়েল ১:৪;
২:২৫; আমোষ ৪:৯; কোন কোন স্থানে
এটিকে শূককীট বলা হয়েছে। (২)
ঘাসফড়িং; এই পতঙ্গটি নিউরোপেট্রাস
শ্রেণীর অর্ন্তভুক্ত; প্যালেষ্টাইন দেশে এই
প্রজাতির পঙ্গপাল ছিল সুপরিচিত। বিচার
৬:৫; ৭:১২; ইয়োব ৩৯:৩০; যির ৪৬:২৩
পদগুলোতে বর্ণিত পঙ্গপালের হিব্রæ
প্রতিশব্দ “আরবাহ্”। আমোষ ৭:১ ও
যিহিষ্কেল ৩:১৭ পদে যে হিব্রæ শব্দ ব্যবহার
করা হয়েছে তা হচ্ছে “গব” এবং লেবীয়
১১:২২; গণনা ১৩:৩৩; উপ ১২:৫ ও
যিশাইয় ৪০:২২ পদে “হাগাব” শব্দটি
ব্যবহার করা হয়েছে।
পচা ঘা:- গলিত ক্ষত; পচা ঘা দেহের
কোন একটি অংশকে আক্রান্ত করে, যা
আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ দেহে ছড়িয়ে পড়ে
শরীরকে পক্ষাঘাতগ্রস্থ করে দেয়; ভয়হীন
ও বাজে কথা বলা লোকদের শিক্ষা রূপক
অর্থে পচা ঘা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে,
২ তীম ২:১৭; এই পদে এই পচা-ঘা
বলতে আজকের ক্যান্সারের মত কোন
জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধিকে বোঝানো
হয়েছে। যাকোব ৫:৩ পদে পচা ঘা বলতে
বোঝানো হয়েছে ক্ষয়প্রাপ্ত বা মরচে ধরা,
বিবর্ণ বা অনুজ্জ্বল।
পঞ্চাশত্তমী:- অর্থ, পঞ্চাশতম। যিহূদীদের
একটি উৎসব, প্রেরিত ২:১; ২০:১৬; ১
করি ১৬:৮; শস্য কাটার পর্ব বা ফসল
কাটবার পর্ব, যাত্রা ২৩:১৬; সাত সপ্তাহের
উৎসব বা কাটা গমের প্রথমে পাকা ফলের
উৎসব, যাত্রা ৩৪:২২; গণনা ২৮:২৬।
নিশান মাসের ১৬ তারিখ (নিস্তার-পর্বের
দ্বিতীয় দিন) হতে পূর্ণ ৭ সপ্তাহ অর্থাৎ ৪৯
দিন গোণা শুরু করা হয় এবং ৫০তম দিনে
এই উৎসবের ভোজ আয়োজন করা হয়,
লেবীয় ২৩:১৫-১৯; গণনা ২৮:২৭-২৯।
এই উৎসব উপলক্ষে যা উৎসর্গ করা হত
তা প্রত্যেকে নিজেদের “¯ে^চ্ছাদান”
হিসেবে ঈশ্বরের কাছে নিয়ে আসত, দ্বি.বি.
১৬:৯-১১। এই ভোজের উদ্দেশ্য ছিল শস্য
কাটার স্মৃতি রোমন্থন করা। এই উৎসবে
ফসলের নতুন শস্য থেকে তৈরি দু’টি
খামিহীন রুটি এবং এর সঙ্গে দু’টি ভেড়া
ঈশ্বরের উদ্দেশে ধন্যবাদ উৎসর্গের জন্য
আনা হত। খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীতেও পঞ্চাশত্তমী
দিন পালিত হয়। প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যু
পরবর্তী প্রথম পঞ্চাশত্তমীর সন্ধ্যায়
শিষ্যদের উপর প্রথম বারের মত পবিত্র
আত্মা নেমে আসেন। পরবর্তীতে পবিত্র
আত্মার শক্তিতে পিতর যে সুসমাচার প্রচার
করেন তাতে যিরূশালেমের কয়েক হাজার
লোক প্রভু যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস স্থাপন
করেন, প্রেরিত ২:১।
পণ:- মোহরানা, বাগদান করার সময়
কনেকে যে অর্থ দেওয়া হত, ২ শমূ
৩:১৪। বাগদান অনুষ্ঠানের সময় বিয়ের
উদ্দেশে বরপক্ষ এবং কনেপক্ষের মধ্যে
একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয় এবং সেখানেই
বিয়ের পণ দেওয়া হয়। পূর্ব দেশে অনেক
সময় বিয়ের কয়েক বছর আগে বাগদান
করা হত। সদাপ্রভু ও তাঁর লোকদের সাথে
প
এমন সম্পর্কের অনেক নজির পাওয়া যায়,
যির ২:২; মথি ১:১৮; ২ করি ১১:২।
দেখুন: বাগদান।
পণ্ডিত ব্যক্তি:- দানি ২:১২ পদে তিন
শ্রেণীর জ্ঞানী ব্যক্তিদের কথা বলা আছে,
১) জ্যোতির্বিদ ২) কল্দীয় ৩) ভবিষ্যৎ
বক্তা/ভাগ্য গণনাকারী। মূল হিব্রæ শব্দ
কাকামিন, এর অর্থ ঔষধ বিক্রেতা।
কল্দীয়তে ঔষধ ছিল জাদু বা চতুরতা।
মথি ২:৭ পদে বর্ণিত যে তিন পণ্ডিত পূর্ব
দেশ থেকে যিরূশালেমে এসেছিলেন, তাঁরা
ছিলেন প্রাচীন পারস্য বা আরবীয়
পুরোহিত/জ্ঞানী ব্যক্তি।
পণ্ডিতদের তারা:- মথি ২ অধ্যায় (দেখুন:
পণ্ডিত)। শনি ও বৃহস্পতি গ্রহের যোগসূত্র
সম্পর্কে যে মতবাদ আছে তা স্মিথের লেখা
বাইবেলে অভিধান প্রমাণ সহকারে খণ্ডন
করা হয়েছে। ঘটনাটি ৭ খ্রীষ্টপূর্বে তিন বার
ঘটেছিল: মে, সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বর
মাসে। পণ্ডিত ব্যক্তিরা এই সাতটি মাসের
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাদের যাত্রা পথে
ছিলেন। উল্লেখ্য যে, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের
জন্মের চার বছর পর থেকে খ্রীষ্টাব্দ গণনা
করা হয়। প্রভু যীশু খ্রীষ্টের জন্মের পর
অনেক বছর আগে থেকেই পূর্ব দেশের
আকাশে তারা দেখা এবং কোন মহান
ব্যক্তির আগমনের কথা সাধারণভাবে অতি
প্রচলিত ছিল। পণ্ডিতদের তারা ছিল মানব
জাতির উদ্ধারকর্তা রাজাদের রাজার
আগমনের অর্থাৎ প্রভু যীশু খ্রীষ্টের জন্মের
অলৌকিক চিহ্ন, যা দেখে পণ্ডিতরা প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের জন্মের কথা বুঝতে পারেন
এবং তা তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়।
১৬০৪ খ্রীষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে মঙ্গল ও
শনিগ্রহের মাঝখানে হঠাৎ করে একটি
তারা দেখা যায়; কিন্তু সেটি ঘটে খ্রীষ্টপূর্ব ৭
অব্দে পন্ডিতেরা আকাশে তারা দেখতে
পাওয়ার পর বেশ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে।
পতিত জমি:- এই শব্দ দ্বারা প্রকাশিত
হয়েছে “তোমাদের চাষ না করা অন্তর,”
হোশেয় ১০:১২; এবং যিরমিয় ৪:৩ পদে
বলা হয়েছে, “তোমরা পতিত জমি চাষ
কর, কাঁটা বনের মধ্যে বীজ বুনো না”
যেমন, তোমার সমস্ত মন্দ অভ্যাস ত্যাগ
কর; তোমার হৃদয় থেকে সমস্ত আগাছা
দূর করে দাও, যেন তোমরা ধার্মিকতার
জন্য হৃদয়কে প্রস্তুত করতে পারো। ভ‚মি
যেন আরও উর্বরতা শক্তি লাভ করে এজন্য
তা ফেলে রাখা হয়, কিন্তু সেই সুযোগে
জমি সমস্ত আগাছা ও কাঁটালতায় ভরে
যায়। এজন্য চাষীকে ভ‚মিতে ফসলের বীজ
বুনবার আগে সতর্কতার সাথে সব আগাছা
পরিষ্কার করে তারপর চাষ দিতে হয়। আর
এই উদাহরণ দিয়েই ভাববাদীরা বলতে
চেয়েছেন, “তোমাদের মন্দ পথ ত্যাগ কর,
সব পাপের জন্য অনুতপ্ত হও, পাপ কাজ
বন্ধ কোরো এবং এরপর ফসলের বীজ
বুনো, যেন সেগুলো ঠিকমত বৃদ্ধি পেতে ও
ফসল দিতে পারে।”
পতিতা:- দেখুন: বেশ্যা।
পথ:- ঈশ্বরের বা জীবনের পথ। বাইবেলে
গ্রীক ও হিব্রু ভাষায় মিলিয়ে পঁচিশ বার এই
শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। ঈশ্বর
সদাপ্রভুর প্রতি কিংবা মানুষের প্রতি কোন
বিশ্বাসীদের ¯^ভাব-চরিত্র বা আচরণকে
বোঝাতে প্রতীকীভাবে এই শব্দটি ব্যবহার
করা হয়, যাত্রা ৩২:৮; দ্বি.বি. ৫:৩৩;
ইয়োব ১৬:২২। খ্রীষ্টান বিশ্বাস কিংবা
যিহূদী ধর্ম মতকে বোঝাতে ব্যবহৃত
প
হয়েছে, প্রেরিত ৯:২; ১৯:৯; ২২:৪।
পথাহিয়:- অর্থ, সদাপ্রভুর কাছ থেকে
পতিত। (১) রাজা দায়ূদের আমলে
পুরোহিতদের ঊনিশতম দলের প্রধান, ১
বংশা ২৪:১৬। (২) একজন লেবীয়, ইষ্রা
১০:২৩। (৩) নহিমিয় ৯:৫। (৪) যিহূদার
বংশধর, পার্সিয় রাজ-দরবারের কর্মচারী,
নহি ১১:২৪।
পথিক:- যে ব্যক্তি কোন গন্তব্যে হেঁটে
যাচ্ছে, বিচার ১৯:১৭; ২ শমূ ১২:৪; যিশা
৩৩:৮; ৩৫:৮।
পথূয়েল:- অর্থ, ঈশ্বরের দর্শন। ভাববাদী
যোয়েলের পিতা, যোয়েল ১:১।
পথ্রোষ:- উচ্চ মিশর, যা মাতসোর বা নিম্ন
মিশর থেকে পৃথক, যিশা ১১:১১; যির
৪৪:১,১৫; যিহি ৩০:১৪। নবূখদ্নিৎসর
কর্তৃক যিরূশালেম ধ্বংস হওয়ার পর
যিহূদীরা পথ্রোষে এবং মিশরের অন্যান্য
অংশে বসতি স্থাপন করে।
পথ্রোষীয়:- পথ্রোষ শহরের অধিবাসী, যিনি
জাতিগতভাবে একজন মিশরীয়, আদি
১০:১৩; ১ বংশা ১:১১।
পদহেল:- অর্থ, ঈশ্বর কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত।
অম্মিহুদের পুত্র, নপ্তালি বংশের একজন
নেতা, গণনা ৩৪:২৮।
পদাহসূর:- অর্থ, পরিত্রাণের পর্বত।
গমলীয়েলের পিতা, ইস্রায়েলীয়দের যাত্রা
কালে মনঃশি বংশের প্রধান, গণনা ১:১০;
২:২০।
পৃষ্টা 510