যক্দিয়াম:- যিহূদা পর্বতে হিব্রোণ শহরের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত একটি শহর, যিহো ১৫:৫৬।
যক্মিয়াম:- অর্থ, জনগণের সমাবেশ। ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকা থেকে এই আশ্রয় শহর ও তার চারপাশের পশু চরাবার
মাঠ লেবীয়দের দেওয়া হয়, ১ বংশা। এটি যর্দন উপত্যকার কোন এক স্থানে অবস্থিত, ১ রাজা ৪:১২। যক্ষণ:- অর্থ, শিকারী। অব্রাহাম এবং কটুরার দ্বিতীয় পুত্র, আদি ২৫:২,৩; ১ বংশা ১:৩২। যকৃত/চিত্ত/কলিজা:- মানুষের প্রাণ ও অনুভ‚তির কেন্দ্রস্থল, হিতো ৭:২৩; এই কলিজা বিশেষভাবে মোশির নিয়ম-কানুনের নিয়ম অনুসারে হোমবলি উৎসর্গ করা হত, যাত্রা ২৯:১৩; যিহি ২১:২১। কলিজার উপরকার অংশকে বেদীর উপর পুড়িয়ে ফেলা হত এবং একে উৎসর্গের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হত না, যাত্রা ২৯:১৩,২২; লেবীয় ৩:৪,১,১০,১৫। যিহি ২১:২১ পদে এরূপ বর্ণনামূলক বিবৃতি রয়েছে যে, “কারণ বাবিলের রাজা গোণাপড়া করবার জন্য সেখানে থামবে, যেখানে রাস্তা ভাগ হয়ে গেছে, অর্থাৎ দুই রাস্তা যেখানে মিলেছে। সে তীর ছুঁড়বে, তার দেবতাদের সঙ্গে পরামর্শ করবে এবং কোন পশুর কলিজা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখবে।” যাদুমন্ত্রের মাধ্যমে গণনা করা, অনুমান করা ও ভবিষ্যত সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার সর্বপ্রথম উল্লেখকৃত উদাহরণ হচ্ছে লাবনের টেরাফিম বা দেবমূর্তি। সেপ্টুয়াজিন্ট এবং যোসেফাসের মতে, টেরাফিম হচ্ছে “ছাগলের কলিজা”। “কলিজার উপরের অংশ” আগুনের পুড়িয়ে উৎসর্গ করার কথা বলা হয়েছে, লেবীয় ৪:৯; ৭:৪ ইত্যাদি।
যকৃতের/কলিজার উপরের অংশ:- হিব্র শব্দ “ইয়োথ’রেথ্” অর্থাৎ “বাড়তি কিছু”। কলিজার উপরের অন্ত্রাপ্লাবক ঝিল্লি বা অতি পাতলা পর্দা, যা দিয়ে যকৃতের উপরের অংশ জড়ানো থাকে, যাত্রা ২৯:১৩,২২; লেবীয় ৩:৪,১০,১৫; ৪:৯; ৭:৪।
যক্তেল:- অর্থ, ঈশ্বরের বশীভ‚ত। (১) লাখীশের নিকটবর্তী যিহূদার একটি শহর, যিহো ১৫:৩৮। সম্ভবত এটি গেষরের
দক্ষিণে ধ্বংসপ্রাপ্ত কুটলান অঞ্চল। (২) যিহূদার রাজা অমৎসিয় ইদোমের বিরুদ্ধে একটি বড় এবং সফল অভিযান চালান, ২ বংশা ২৫:৫-১০। তিনি ইদোমীয়দের বিতাড়িত করেন এবং তাদের অনেককে হত্যা করেন। এই বিষয় তার কাছে এতই বিষ্ময়কর ছিল যে, তিনি বুঝতে পারেন এটি কেবলমাত্র ঈশ্বরের বিশেষ সহায়তার মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে এবং সে কারণেই তিনি ইদোমীয়দের সেলা নামের যে দুর্গ শহর ছিল তার নাম পরিবর্তন করে যক্তেল রাখেন, ২ রাজা ১৪:৭।
য´িয়াম:- অর্থ, জনগণের দ্বারা পরিপূর্ণ। যিহো ১৯:১১; ২১:৩৪; কর্মিলের একটি শহর, যিহো ১২:২২; কর্মিলে অবস্থিত চারণ-ভ‚মিসহ এই স্থানটি মারারীয় লেবীয়দেরকে দেওয়া হয়। এটি বর্তমানে টেল কিয়ামন, যা কীশোন নদীর দক্ষিণে নাসরত থেকে প্রায় ১২ মাইল দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত।
যট্বা:- অর্থ, সন্তুষ্টিজনক। যিহূদার একটি গ্রাম, রাজা আমোনের মা মশুল্লেমতের জন্মস্থান, ২ রাজা ২১:১৯। যট্বাথা:- পারণ মরুভ‚মিতে অবস্থিত একটি গ্রাম, সীন মরুভ‚মি থেকে এসে ইস্রায়েলীয়রা এখানে ছাউনি ফেলে, গণনা ৩৩:৩৩,৩৪; দ্বি:বি: ১০:৭।
যত্তীর:- অর্থ, সর্বপ্রধান। যিহূদা পর্বতমালায় অবস্থিত একটি শহর, যিহো ১৫:৪৮; ২১:১৪।
যদ্দূয়:- অর্থ, পরিচিত বা অবগত। (১) প্রধান ব্যক্তিদের মধ্যে একজন, যিনি চুক্তিপত্রে সই করতে রাজি হন, নহি ১০:২১। (২) পুরাতন নিয়মে উল্লিখিত পিতৃকুলপতি পুরোহিতদের মধ্যে সর্বশেষ পুরোহিত, নহি ১২:১১,২২; যোনাথনের
সন্তান।
যর্দন:- হিব্রæ শব্দ ইয়ার্দন, অর্থাৎ
অবরোহণকারী; আরবী শব্দ নাহ্-এশ্-
শেরিয়া, অর্থাৎ জল দেওয়ার স্থান। এটি
প্যালেষ্টাইনের প্রধান নদী। এটি উত্তর
থেকে দক্ষিণ দিকে একটি গভীর
উপত্যকার মাধ্যমে দেশের মাঝখান দিয়ে
প্রবাহিত হয়েছে। অবরোহণকারী নামটি
অর্থপূর্ণ, কারণ নদীটি তার সম্পূর্ণ গতিপথ
অতিক্রম করে নিচে মরু-সাগরে গিয়ে
পড়েছে। নদীটি হর্মোণের বরফ গলা জল
থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এর দু’টি উৎপত্তি
স্থল সম্পর্কে জানা যায়: (১) পশ্চিম পার্বত্য
অঞ্চলে কোন এক সময় প্যালেষ্টাইনের
উত্তর সীমার দান শহরটি অবস্থিত ছিল,
সেখানে লীদান নামে একটি বড় ঝর্ণার সৃষ্টি
হয়, যা সিরিয়ার সবচেয়ে বড় ঝর্ণা এবং
যর্দনের প্রধান উৎপত্তিস্থল। (২)
বানিয়াসের ধ্বংসাবশেষের পেছনে প্রাচীন
কৈসরিয়া ফিলিপী এবং পানিয়ামে একটি
চমৎকার চুনাপাথরের শৃঙ্গ বিদ্যমান, যেটি
মূলত একটি ঝর্ণার উৎসমুখ। এটি হচ্ছে
যর্দনের আরেকটি উৎপত্তিস্থল এবং
যিহূদীদের মতে এটিই যর্দনের প্রকৃত
উৎপত্তিস্থল। এটি দ্রুতবেগে সমভ‚মি দিয়ে
ফেনিল স্রোত সহকারে ধেয়ে আসে এবং
দানের ৫ মাইল দক্ষিণে লীদানে বা টেলএল-কেডিতে সংযুক্ত হয়। (৩) এই দুই
ঐতিহাসিক ঝর্ণা ছাড়াও তৃতীয় একটি ঝর্ণা
বিদ্যমান, যা হাসবানী নামে পরিচিত। এটি
টেল-এল-কারী থেকে ১২ মাইল উত্তরে ও
পশ্চিম হর্মোণের একটি উপত্যকার
মাঝখান থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এটি মূল
স্রোতের সাথে লীদান ও বানিয়াসের
সংযোগস্থলের ১ মাইল নিচে এসে
মিশেছে। নদীটি এখানে এসে ৪৫ ফুট
চওড়া হয়েছে এবং একটি খালের মধ্য
দিয়ে সমভ‚মির ১২ থেকে ২০ ফুট নিচ
দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর আঁকা-বাঁকা
গতিপথ ধরে একটি জলাভ‚মির মধ্য দিয়ে
৬ মাইল পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে ঝর্ণাটি হূল্লা
হ্রদে পতিত হয়েছে। এই স্থানে যর্দন নদীর
গতিপথ ১,১০০ ফুট নিচে নেমে গেছে।
বানিয়াসে এটি সমুদ্র সমতল হতে ১,০৮০
ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। হূল্লা হ্রদের
দক্ষিণ প্রান্ত থেকে এটি প্রায় সমুদ্র
সমতলের সমান স্তরে প্রবাহিত হয়; এটি
প্যাপাইরাস বনের ভেতর দিয়ে ২ মাইলের
মত প্রবাহিত হয়ে ৯ মাইল পর্যন্ত একটি
সরু গিরিসঙ্কটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে
য
গালীল সাগরে মিশেছে। যর্দন নদীর
তীরবর্তী বিস্তীর্ণ উপত্যকায় কোন
জনবসতি নেই। সম্পূর্ণ নদীটির শুধুমাত্র
পূর্ব উপক‚লে হর্মোণ পর্বতের পাদদেশ
থেকে হিরোমা·ের সঙ্কীর্ণ উপত্যকার
অন্তর্গত ৩০ মাইল দীর্ঘ এবং ৮ মাইল
প্রশস্ত বিশাল উর্বর এলাকায় তিনটি
জনবসতিপূর্ণ গ্রাম রয়েছে। নদীর পশ্চিম
ক‚ল প্রায় জনমানবশূন্য, সেখানে অসংখ্য
ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। প্রতি ২ মাইল পর
পর যেখানে শহর বা গ্রাম দেখা যেত,
বর্তমানে কাঁটাগাছ ও ঝোপের ঘন জঙ্গলের
নিচে তা ঢাকা পড়ে আছে। বাইবেলের
ভবিষ্যদ্বাণী এখানে অদ্ভুতভাবে পূর্ণতা লাভ
করেছে: “আর আমি তোমাদের সমস্ত নগর
উৎসন্ন করবো, তোমাদের সকল মন্দির
ধ্বংস করবো, ও তোমাদের সৌরভের
আঘ্রাণ নেব না। আর আমি দেশ ধ্বংস
করবো ও সেখানে বাসকারী তোমাদের
দুশমনেরা তা দেখে বিস্মিত হবে। আর
আমি তোমাদেরকে নানা জাতির মধ্যে
ছিন্নভিন্ন করবো, ও তোমাদের পশ্চাতে
তলোয়ার উম্মুক্ত করবো, তাতে তোমাদের
সমস্ত দেশ ধ্বংসস্থান ও তোমাদের সমস্ত
নগর উৎসন্ন হবে। তখন যত দিন দেশ
ধ্বংসস্থান থাকবে, ও তোমরা শত্রæদের
দেশে বাস করবে, ততদিন ভ‚মি স¦ীয়
বিশ্রামকাল ভোগ করবে; তৎকালে ভ‚মি
বিশ্রাম পাবে ও স¦ীয় বিশ্রামকাল ভোগ
করবে,” লেবীয় ২৬:৩১-৩৪।
নদীটি গালীল সাগর এবং মরুসাগর থেকে
৬৮২ ফুট নিচ দিয়ে সমান্তরালভাবে
প্রবাহিত হয়েছে, যাকে “যর্দনের এলাকা”
বলা হয়, মথি ৩:৫; আধুনিক কালে
আরবীয়রা একে “ঘোর” বা “ডুবন্ত
সমভ‚মি” বলে থাকে। এ অঞ্চলটিই
বাইবেলে উল্লিখিত যর্দন। যর্দন নদী এখান
থেকে গভীর সঙ্কীর্ণ উপত্যকার মধ্য দিয়ে
দিক পরিবর্তন করে ২০০ ফুট থেকে আধ
মাইল পর্যন্ত প্রশস্ত হয়েছে এবং এর
গভীরতা ৪০ থেকে ১৫০ ফুট বৃদ্ধি
পেয়েছে। এখান দিয়ে যর্দন তীব্র বেগে
আঁকা-বাঁকা পথ ধরে মরু সাগরে পড়েছে।
গালীল সাগরের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে মরু
সাগর পর্যন্ত সরাসরি দূরত্ব ৬৫ মাইল,
কিন্তু নদীর দিক পরিবর্তনের জন্য এই
দূরত্ব ২০০ মাইলে গিয়ে দাঁড়িয়েছে এবং
এর গভীরতাও ৬১৮ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
বানিয়াস থেকে যর্দনের সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য ১০৪
মাইল এবং গভীরতা ২৩৮০ ফুট। এর ২টি
উপনদী রয়েছে যা পূর্বদিক থেকে গালীল
সাগর ও মরু সাগরের মধ্য দিয়ে এই
নদীতে প্রবেশ করেছে: (১) ওয়াদি মান্ধুর,
যিহূদীদের মধ্যে ইয়ারমাক নামে এবং
গ্রীকদের মধ্যে হিরোমা· নামে পরিচিত।
এটি বাশন এবং গিলিয়দের মধ্যবর্তী
সীমানা নির্দেশ করে। হারোনের মালভ‚মি
দিয়ে এটি প্রবাহিত হয়েছে। (২) যব্বোক
অথবা ওয়াদি যারকা, এটি অম্মোনের উত্তর
সীমারেখা নির্দেশ করে। নদীটি যিরীহো
নগরের ২০ মাইল উত্তর দিক হতে যর্দনে
প্রবেশ করেছে।
যর্দনের সাথে সম্পর্কিত প্রথম ঐতিহাসিক
ঘটনা হল অব্রাহাম ও লোটের মধ্যে
বিভেদ, আদি ১৩:১০। লোটের দৃষ্টিতে
সোয়র পর্যন্ত যর্দনের সমস্ত অঞ্চল ছিল
এদোন উদ্যানের মত উর্বর। যাকোব ২
বার এই যর্দন নদী অতিক্রম করেন, আদি
৩২:১০। ইস্রায়েলীয়রা এই নদীটি শুকনো
অবস্থায় পার হয়, যিহো ৩:১৭; গীত
১১৪:৩। এরপর ভাববাদী ইলিশায় ও
ভাববাদী এলিয়ের দ্বারা আরো ২ বার এর
জল আশ্চর্যভাবে একই জায়গায় ২ ভাগ
য
হয়ে যায়, ২ রাজা ২:৮-১৪। যর্দনের কথা
বাইবেলের পুরাতন নিয়মে ১৮০ বার এবং
নতুন নিয়মে ১৫ বার উল্লিখিত হয়েছে।
বাইবেলের সুসমাচারগুলো এ নদীর সাথে
জড়িত প্রধান ঘটনা হল, বাপ্তিস্মদাতা
যোহনের প্রচারকার্যে সমস্ত অঞ্চলের লোক
তাঁর কাছে গিয়ে নিজেদের পাপ ¯^ীকার
করে যর্দন নদীতে তাঁর দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ
করে, মথি ৩:৬। এমন কি প্রভু যীশু খ্রীষ্টও
বাপ্তিস্মদাতা যোহনের দ্বারা যর্দনে বাপ্তিস্ম
নেন, মার্ক ১:৯।
যর্দন নদীর ওপার:- দেখুন: পেরিয়া।
যন্ত্র:- (১) হিব্রæ শব্দ ‘হিশালন’ অর্থাৎ
“আবিষ্কার”। মানুষের বিভিন্ন কৌশল,
জটিল জীবন, উপ ৭:২৯। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি
দিয়ে তীর ও বড় বড় পাথর ছুড়ে মারা
হত, ২ বংশা ২৬:১৫; রোমীয়রা
এগুলোকে বালিস্তা, ক্যাটাপাল্ট বা গুলতি
বলে। (২) হিব্রæ শব্দ “মেখী কোবল্লো,”
অর্থাৎ আঘাত করার জন্য ব্যবহৃত দুরমুশ,
যা সচরাচর মিশরীয় ও আশেরীয়রা
ব্যবহার করতো, যিহি ২৬:৯। এই ধরনের
যন্ত্র রাজা দায়ূদের শাসনামলে ব্যবহৃত
হত, ২ শমূ ২০:১৫।
যফ্লেটীয়:- যোষেফ বংশের সীমারেখা
ছিল পশ্চিমে বৈৎ-হোরোণ থেকে
যফ্লেটীয়দের এলাকা পর্যন্ত, যিহো ১৬:১-
৩।
যব:- যাত্রা ৯:৩১ পদে সর্বপ্রথম উল্লেখ
করা হয়েছে, এটি গমের আগে উৎপন্ন হত
এবং মিশর দেশের থেকে একমাস আগে
পলেষ্টীয় দেশে পাকত। এটি মিশর এবং
পলেষ্টীয় দেশে প্রচুর চাষ করা হত, লেবীয়
২৭:১৬; দ্বি.বি. ৮:৮। কনান দেশটি ছিল
যেন এই যবের ভাণ্ডার, দ্বি.বি. ৮:৮। এটি
ছিল মূলত ঘোড়ার খাবার, ১ রাজা ৪:২৮;
মানুষও এটি খেত। এই শস্যের রুটি ছিল
সাধারণত গরিবদের খাবার, বিচার ৭:১৩;
২ রাজা ৪:৪২। এপ্রিলের মাঝামাঝিতে
নিস্তার-পর্ব পালনের সময় যবের প্রথম
শস্য সংগ্রহ করা হত, রূত ১:২২; ২ শমূ
২১:৯। এই সময়ে যবের ময়দা দিয়ে
খাবার তৈরি হত, গণনা ৫:১৫। প্রভু যীশু
খ্রীষ্ট “পাঁচটি যবের রুটি এবং দু’টি ছোট
মাছ দিয়ে” পাঁচ হাজার লোককে
খাইয়েছিলেন, যোহন ৬:৯।
যবন:- (১) যেফতের চতুর্থ পুত্র, আদি
১০:২। তার বংশধরেরা গ্রীসে স্থায়ীভাবে
বাস করছে; অন্য অর্থে লোনীয়া, যা
যবনের হিব্রæ নাম। আলেকজান্ডার দি গ্রেট-
কে “যবনের রাজা” বলা হত। গ্রীস, দানি
৮:২১; ১০:২০; ১১:১২; সখ ৯:১৩। পূর্ব
দেশীয় লোকেরা যবন শব্দটি সামগ্রিকভাবে
গ্রীক জাতির জন্য প্রয়োগ করে। খ্রীষ্টপূর্ব
৭০০ থেকে ৬৩০ পর্যন্ত যবন বা
আইওনিয়রা ইব্রীয় জাতির সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য চালায় এবং নিকট প্রাচ্যের
দেশগুলোতে এই ব্যবসার প্রসার ঘটায়;
সেই সময় থেকে যিহূদীরা তাদেরকে ‘যবন’
বলে ডাকত। (২) আরবীয় ফেলি·-এর
একটি শহর বা জেলা, যেখান থেকে
সিরীয়রা লোহা, গন্ধরস ও দারুচিনি
আহরণ করতো, যিহি ২৭:১৯।
যব্নি:- অর্থ, ইমারত। ২ বংশাবলী ২৬:৬;
যব্নিয়েল অনুরূপ, যিহো ১৫:১১।
যব্নিয়েল:- অর্থ, ঈশ্বরের দ্বারা নির্মিত।
(১) যিহূদার উত্তর সীমানায় অবস্থিত
য
একটি নগর, যিহো ১৫:১১। পরবর্তীতে
গ্রীকরা এই নগরটি যামনীয়া নামে নামকরণ করে; বর্তমানে এটি ইয়াবনাহ্ নামে
পরিচিত, এটি যাফা থেকে ১১ মাইল
দক্ষিণে অবস্থিত। যিরূশালেমের পতনের
পর (৭০ খ্রীষ্টাব্দ) এটিই যিহূদার সবচেয়ে
জনবসতিপূর্ণ শহরে পরিণত হয় এবং এটি
ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কেন্দ্রবিন্দু
ছিল। (২) নপ্তালির সীমানায় অবস্থিত
একটি শহর বা নগর, যিহো ১৯:৩৩। এর
আধুনিক নাম কেফার ইয়ামাহ্, যার অর্থ
“সাগর ক‚লের গ্রাম,” এটি মেরোম হ্রদের
দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। (৩) হাৎসোর-এর
আর একজন রাজা যাকে বারক পরাজিত
ও হত্যা করেন, বিচার ৪ অধ্যায়; ১ শমূ
১২:৯; গীত ৮৩:৯।
যব্বোক:- অর্থ, প্রবাহিত হওয়া বা
মল্লযুদ্ধ। যর্দনের পূর্বে প্রবাহিত একটি
জলধারা, যা গালীল সাগর ও মরু সাগরের
মাঝখান দিয়ে অথবা গালীল সাগর থেকে
৪৫ মাইল নিচ দিয়ে প্রবাহিত। এটি
গিলিয়দ পর্বতমালার পূর্বদিক থেকে উৎপন্ন
হয়ে ৬৫ মাইল দীর্ঘ গভীর ও সঙ্কীর্ণ এক
উপত্যকা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই
প্রবাহটি, অম্মোন সন্তানদের ও বাশনের
রাজা ওগের মধ্যবর্তী সীমানা স্থাপন
করেছে, যিহো ১২:১-৫; গণনা ২১:২৪।
তাদের দেশ দিয়ে যাবার জন্য
ইস্রায়েলীয়রা এই নদী অতিক্রম করতে
চাইলে রাজা সীহোন বাধা দেন, ফলে
ইস্রায়েলীয়রা এটি দখল করে নেয়, গণনা
২১:২১-২৫। এটি রূবেণের বংশ ও মনঃশি
বংশের মধ্যবর্তী সীমানাও নির্ধারণ করে,
গণনা ২১:২৪; দ্বি.বি. ৩:১৬। এটি
সমভ‚মির উপর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত
হওয়ার সময় একাধিকবার মাটির নিচ দিয়ে
প্রবাহিত হয়েছে। এ নদীর তীরবর্তী
দৃশ্যগুলো পলেষ্টীয়দের মধ্যে সবচেয়ে
সুন্দর এবং পাহাড়ের চারপাশে ছড়িয়ে
থাকা গ্রাম, শহর এবং দুর্গের ধ্বংসাবশেষ
এই দেশটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
এই নদীটি বর্তমানে জারকা অথবা নীলনদ
নামে পরিচিত। এই যব্বোক নদীর তীরেই
যাকোব ¯¦র্গদূতের সাথে লড়াই করেন,
ফলে তিনি নতুন নাম ‘ইস্রায়েল’ গ্রহণ
করেন, আদি ৩২:২২-৩০।
যমজ:- খ্রীষ্টের ১২ জন শিষ্যদের মধ্যে
একজনের নাম, মথি ১০:৩; মার্ক ৩:১৮।
তাকে ‘দিদুম’ বা ‘যমজ’ বলেও ডাকা হত,
যোহন ১১:১৬; ২০:২৪; ২১:২। চারটি
সুসমাচারেই আমরা তাঁর বিষয় দেখতে
পাই, যোহন ১১:১৫,১৬; ১৪:৪৫;
২০:২৪,২৫,২৬-২৯। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতার শুরু থেকেই শিষ্যদের নামের
তালিকার মধ্যে তাঁকে সব সময়
আলফেয়ের পুত্র মথির সঙ্গে বা তাঁর নামের
পাশে উল্লেখ করতে দেখা যায়, মার্ক
৩:১৮; আর তাদের নামের (মথি ও
থোমার) পর পরই যাকোবের নাম উল্লেখ
করতে দেখা যায়, এই যাকোবও ছিলেন
আলফেয়ের পুত্র। মনে করা হয়ে থাকে যে
মথি, থোমা এবং যাকোব এই তিন জন
ছিলেন সহোদর ভাই। উত্তেজিত যিহূদীদের
ভয়ে যখন অন্য শিষ্যগণ প্রভু যীশুর সঙ্গে
বৈথেনিয়া থেকে বৈৎলেহমে যেতে
চাইছিলেন না তখন থোমা বললেন, “চল,
আমরাও যাই, যেন তাঁর সঙ্গে মরতে
পারি,” যোহন ১১:১৬। ঈশ্বরের পথের
বিষয়ে থোমার মন্তব্যের কারণেই প্রভু যীশু
খ্রীষ্ট তাঁকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন,
“আমিই পথ, সত্য আর জীবন। আমার
মধ্য দিয়ে না গেলে কেউই পিতার কাছে
য
যেতে পারে না,” যোহন ১৪:১-৬। প্রভু
যীশু খ্রীষ্ট পুনরুত্থানের পর শিষ্যদের দেখা
দেন। থোমা এই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ
করেছিলেন, যোহন ২০:২৪,২৫। কিন্তু এর
৮ দিন পরে যখন প্রভু যীশু তাঁদের দেখা
দিয়ে তাঁর হাত ও কুক্ষিদেশ দেখান, তখন
তিনি আশ্চর্য ও আনন্দিত হয়ে বলেছিলেন,
“প্রভু আমার, ঈশ্বর আমার,” যোহন
২০:২৬,২৭। গালীল সাগরের তীরে যে,
ছয় জনের সামনে প্রভু যীশু দেখা দেন,
সেখানেও থোমা ছিলেন, যোহন ২১:১-৮।
প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে যখন ¯¦র্গে তুলে নেওয়া
হল তখন থোমা সেখানে উপস্থিত ছিলেন,
প্রেরিত ১:১৩।
যমজ দেবের মূর্তি:- যমজ দেবতার মূর্তি;
“ডিওস্কুরি,” গ্রীক ও রোমান পৌরাণিক
কাহিনীর দুই শক্তিধর দেবতা। লূক উল্লেখ
করেছেন যে, সম্ভবত তাদের মূর্তি
জাহাজের অগ্রভাগে অঙ্কন করে বা খোদাই
করে রাখা হত, প্রেরিত ২৮:১১।
তাদেরকে নাবিকদের রক্ষাকারী দেবতা
হিসেবে মনে করা হত। তাদের মায়ের নাম
লিডা, তিনি দেবতা জিউসের অন্যতম
একজন স্ত্রী। গ্রীক পুরাণ অনুসারে
“ক্যাস্টর” ছিলেন একজন অশ্বারোহী ও
“পোলা·” ছিলেন মুষ্টিযোদ্ধা। পরবর্তীতে
তাদেরকে নক্ষত্র হিসেবে আকাশে স্থাপন
করা হয় এবং এরপর থেকে তারা
“জেমিনি” বা “টুইনস্” নক্ষত্রপুঞ্জ নামে
পরিচিত।
যম্লেক:- অর্থ, যাকে ঈশ্বর তৈরি করেন।
শিমিয়োন বংশের একজন নেতা, ১ বংশা
৪:৩৪।
যর্মূৎ:- অর্থ, শীর্ষ। (১) যিহূদার সমভ‚মিতে
অবস্থিত একটি শহর, যিহো ১৫:৩৫।
কনানীয় একজন রাজার বাসস্থান, যিহো
১০:৩-৫,২৩। এটি বর্তমানে ইয়ারমূক, যা
বেইৎ-যিবরিনের ৭ মাইল দক্ষিণ পূর্বে
অবস্থিত। (২) ইষাখর বংশের অধীনস্থ
একটি লেবীয় শহর, যিহো ২১:২৯; কারও
কারও মতে এটি শমূয়েলের রামা শহর, ১
শমূ ১৯:২২।
যহদো:- গাদ বংশের বূষ-এর পুত্র,
যিশীশয়ের পিতা, ১ বংশা ৫:১৪।
যহময়:- ইষাখরের নাতি, তোলয়ের পুত্র;
তিনি নিজ বংশের নেতা ছিলেন, ১ বংশা
৭:১,২।
যহলেল:- সবূলূনের বংশের লোক,
যহলেলীয় বংশের প্রতিষ্ঠাতা, গণনা
২৬:২৬; আদি ৪৬:১৪।
যহস:- অর্থ, পর্বদলিত। যাহসা নামেও
পরিচিত, যিহো ১৩:১৮; যহস, যিহো
২১:৩৬; যাহসা, ১ বংশা ৬:৭৮; এই
শহরে সীহোন পরাজিত হন। শহরটি যর্দন
পার হয়ে মোয়াবের সীমানার পাশে
ইমোরীয়দের এলাকায় এবং অর্ণোন নদীর
উত্তর-পূর্ব পাশে অবস্থিত, গণনা ২১:২৩;
দ্বি.বি. ২:৩২; এই শহর রূবেণ বংশের
অধিকারে ছিল এবং তা মরারি বংশকে
বরাদ্দ দেওয়া হয়, যিহো ১৩:১৮; ২১:৩৬;
এখানকার যুদ্ধে সীহোন সম্পূর্ণরূপে
পরাজিত হন, এবং তাঁর রাজ্য (বর্তমান
বেলবা) ইস্রায়েলের অধীনে আসে।
মোয়াবের বিরুদ্ধে ভাববাদীদের
অভিযোগের সূত্র ধরে এই শহরের নাম
উল্লেখ করা হয়, যিশা ১৫:৪; যির
৪৮:৩৪।
য
যহসিয়:- অর্থ, ঈশ্বর দেখেন। ভিন্ন জাতির
মেয়েদের বিবাহ করার পাপ নিয়ে
আলোচনার সময় এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত
নেবার বিরুদ্ধে অন্যদের সাথে দাঁড়ায়
অসাহেলের পুত্র যোনাথন ও তিক্বের পুত্র
“যহসিয়,” ইষ্রা ১০:১৫।
যহসিয়েল:- অর্থ, ঈশ্বর কর্তৃক বণ্টনকৃত।
নপ্তালির জ্যেষ্ঠ পুত্র, আদি ৪৬:২৪; ১
বংশা ৭:১৩।
যহসীয়েল:- অর্থ, ঈশ্বর দেখেন। (১)
হিব্রোণের তৃতীয় পুত্র, ১ বংশা ২৩:১৯।
(২) একজন বিন্যামীনীয় বংশ-প্রধান, তিনি
সিক্লগে দায়ূদের সাথে যোগ দেন, ১ বংশা
১২:৪। (৩) একজন পুরোহিত, তিনি
যিরূশালেমে সাক্ষ্য-সিন্দুক আনার সময়
সাথে ছিলেন, ১ বংশা ১:৪; ১৬:৬। (৪)
সখরিয়ের পুত্র, আসফের বংশজাত একজন
লেবীয়, ২ বংশা ২০:১৪-১৭। তিনি
যিহোশাফটকে মোয়াব এবং অম্মোন
সন্তানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহস
যোগান।
যহসেরা:- অর্থ, প্রবর্তনকারী। মশুল্লমের
পুত্র, অদীয়েলের পিতা, ১ বংশা ৯:১২।
যহৎ:- অর্থ, একতা বা ঐক্য। (১)
শিমিয়ির পুত্র, গের্শোনের নাতি, ১ বংশা
২৩:১০। (২) শলোমীতের পুত্র, কহাতের
বংশভুক্ত এবং লেবীয় বংশের লোক, ১
বংশা ২৪:২২। (৩) মরারি বংশের একজন
লেবীয়, যোশিয়ের অধীনে মন্দির
মেরামতের জন্য নিযুক্ত তত্ত¡াবধায়ক, ২
বংশা ৩৪:১২। (৪) যিহূদার একজন
নাতি, ১ বংশা ৪:১,২। (৫) লেবীর
একজন নাতি, ১ বংশা ৬:১৬-২০।
আরো আছে
826