পবিত্র বাইবেল ডিকশনারী । Bengali Bible Carey Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন) বাইবেল অভিধান
থদ্দেয়:- অর্থ, বক্ষ, হৃদয়, অনুভ‚তি। প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের শিষ্যদের একজনের নাম, মার্ক
৩:১৮; যাঁকে মথি ১০:৩ পদে আলফেয়ের
পুত্র থদ্দেয় এবং লূক ৬:১৬ পদে
“যাকোবের ভাই যিহূদা” বলা হয়েছে।
এছাড়া যোহন তাঁর সুসমাচারের ১৪:২২
পদে যে যিহূদার কথা উল্লেখ করেছেন
তিনি সম্ভবত সেই একই ব্যক্তি, কিন্তু এটি
অবশ্যই সেই যিহূদা ইষ্কারিয়োৎ নয়।
যিহূদা ছিলেন মূলত একজন পত্র লেখক।
পুস্তকের বিভিন্ন জায়গায় এই একই
ব্যক্তিকে মূলত ভিন্ন ভিন্ন নামে অভিহিত
করা হয়েছে। নতুন নিয়মে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের
শিষ্যদের চারটি তালিকা রয়েছে, যার দু’টি
তালিকায় থদ্দেয়ের নাম আছে, মথি ১০:৩;
মার্ক ৩:১৮ এবং অন্য দু’টি তালিকায় তার
নাম নেই, লূক ৬:১৪-১৬ ও প্রেরিত
১:১৩।
থদ্দেয়:- অর্থ, বক্ষ, হৃদয়, অনুভ‚তি। প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের শিষ্যদের একজনের নাম, মার্ক
৩:১৮; যাঁকে মথি ১০:৩ পদে আলফেয়ের
পুত্র থদ্দেয় এবং লূক ৬:১৬ পদে
“যাকোবের ভাই যিহূদা” বলা হয়েছে।
এছাড়া যোহন তাঁর সুসমাচারের ১৪:২২
পদে যে যিহূদার কথা উল্লেখ করেছেন
তিনি সম্ভবত সেই একই ব্যক্তি, কিন্তু এটি
অবশ্যই সেই যিহূদা ইষ্কারিয়োৎ নয়।
যিহূদা ছিলেন মূলত একজন পত্র লেখক।
পুস্তকের বিভিন্ন জায়গায় এই একই
ব্যক্তিকে মূলত ভিন্ন ভিন্ন নামে অভিহিত
করা হয়েছে। নতুন নিয়মে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের
শিষ্যদের চারটি তালিকা রয়েছে, যার দু’টি
তালিকায় থদ্দেয়ের নাম আছে, মথি ১০:৩;
মার্ক ৩:১৮ এবং অন্য দু’টি তালিকায় তার
নাম নেই, লূক ৬:১৪-১৬ ও প্রেরিত
১:১৩।
থলি:- ব্যাগ; বাইবেলে অনেক ধরনের
থলির কথা বলা হয়েছেÑ (১) হিব্রæ ‘কেলি’
ও গ্রীক ‘পেরা,’ যার দ্বারা বোঝানো হয়েছে
বিশেষ এক ধরনের চামড়ার থলে যার
মধ্যে লোকেরা দৈনন্দিন সাধারণ
জিনিসপত্র বহন করতো, মথি ১০:১০।
(২) মোচাকৃতির একটি থলি যেখানে
নামান দুই তালন্ত (আটাত্তর কেজি) রৌপ্য
বেঁধে গেহসিকে দিয়েছিলেন, ২ রাজা
৫:২৩। যিশাইয় ৩:২২ পদে এটিকে
টাকার থলি হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে,
ইব্রীয় স্ত্রীলোকেরা এ ধরনের ছোট জালের
থলি বহন করতো বলে উল্লেখ পাওয়া
যায়। (৩) হিব্রæ শব্দ ‘কিস্’-এর অর্থ হচ্ছে,
ভারী কিছু বহনের থলি বিশেষ বা ওজন
মাপার জন্য ব্যবহৃত থলি, দ্বি.বি. ২৫:১৩;
হিতো ১৬:১১; মীখা ৬:১১। হিতোপদেশ
১:১৪ পদে এটিকে পার্স বা টাকা রাখার
ছোট ব্যাগ বিশেষ এবং হিতোপদেশ
২৩:৩১ পদে বর্ণিত কাপ বা পেয়ালাকে
থলি হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। (৪) ১
শমূয়েল ১৭:৪০ পদে ব্যাগ বা থলিকে
চামড়ার থলে হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে,
যেটি সাধারণত রাখালেরা ব্যবহার করে
থাকে। আদিপুস্তক ৪২:২৫ এবং ১
শমূয়েল ৯:৭ পদে খাবার বহনের বস্তা বা
থলি বা জল রাখার বিশেষ পাত্র হিসেবে
অনুবাদ করা হয়েছে। (৫) টাকার থলি,
মন্দির পুনর্নির্মাণের জন্য যে সমস্ত টাকা
দেওয়া হত, সেগুলো পুরোহিতেরা সেখানে
রাখতো, ২ রাজা ১২:১০। এছাড়াও একে
বাণ্ডিল বা পুঁটলি হিসেবে অনুবাদ করা
হয়েছে, আদি ৪২:৩৫; ১ শমূ ২৫:২৯।
ভ্রমণকারীরা তাদের যাত্রার সময় টাকাপয়সা রাখার জন্য থলি ব্যবহার করতো,
হিতো ৭:২০; হগয় ১:৬। (৬) যিহূদার
“টাকার ব্যাগ বা থলি” ছিল ছোট একটি
বা·, যোহন ১২:৬; ১৩:২৯। (৭) গ্রীক
‘বল্লানটিওন’ শব্দ দ্বারা অপেক্ষাকৃত মসৃণ
চামড়ার ব্যাগ বোঝানো হয়েছে, যাকে
টাকার থলি বা মানিব্যাগ বলা যায়, লূক
১০:৪।
থাম:- হিব্রæ শব্দ মাৎস্তাসম, স্মরণার্থক স্তম্ভ,
যিহি ২৬:১১।
থালা:- যে পাত্রে খাওয়া হয়, ২ রাজা
২১:১৩। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট যে থালায় রুটি
খেয়েছিলেন বা যে পানপাত্রে আঙ্গুর-রস
খেয়েছিলেন, যিহূদাও একই পাত্র থেকে
শেষ নিস্তার-পর্বের ভোজ গ্রহণ করেন,
এতে বোঝা যায় প্রভু যীশু তাকে বন্ধু
হিসেবে সনাক্ত করেছিলেন, মথি ২৬:২৩।
বিচারকর্তৃকগণ ৫:২৫ পদে “রাজকীয়
থালা” উল্লেখ করা হয়েছে, সম্ভবত এটি
ছিল পিতলের তৈরি পানপাত্র। বিচারকর্তৃকগণ ৬:৩৮ পদে একই হিব্রæ শব্দের
অনুবাদ করা হয়েছে “বাটি”। সাক্ষ্য-তাম্বুর
টেবিলের উপরস্থ সমস্ত থালা খাঁটি সোনা
দিয়ে তৈরি ছিল, যাত্রা ২৫:২৯; ৩৭:১৬।
দেখুন: বাটি।
থিব্স্:- থিব্স্ শহরটি ছিল ১৮তম
রাজতন্ত্রের সময় মিশর দেশের রাজধানী।
এই শহরটি নীল নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত
ছিল। ইস্রায়েলের সদাপ্রভু ঈশ্বর থিব্স্
শহরের দেবতা আমোনকে, ফরৌণ ও
মিশরকে, তার দেব-দেবী ও রাজাদের আর
যারা ফরৌণের উপর ভরসা করে তাদের
সবাইকে শাস্তি দেবার কথা বলেছেন, যির
৪৬:২৫। ভাববাদী যিহিষ্কেলও এই শহরের
উপর ঈশ্বরের ভয়ংকর শাস্তি নেমে আসার
কথা বলেছেন, যিহি ৩০:১৪-১৬।
থিষলনীকি:- থারমিক বে-এর উপর
অবস্থিত অত্যন্ত বড় এবং অতি জনবহুল
একটি শহর। এটি ছিল প্রাচীন রোমান
শাসক কর্তৃক শাসিত, ম্যাসিডোনিয়া চারটি
রোমান বিভাগীয় শহরের মধ্যে একটির
রাজধানী। মহান আলেকজান্ডারের একজন
কর্মকর্তা ক্যাসেন্ডার ৩৩২ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে এই
শহর প্রতিষ্ঠা করেন। এই শহরের
প্রতিষ্ঠাতা তার স্ত্রীর নামানুসারে এই
শহরের নাম থিষলনীকি রেখেছিলেন। তার
পিতা ফিলিপ তাকে এই নামে ডাকতেন,
কারণ থিষলনীকীয়দের উপর একটি যুদ্ধে
জয়লাভের পর তিনি তার এই কন্যার
জন্মের সংবাদ পান। পৌল তাঁর দ্বিতীয়
থ
প্রচার যাত্রায় এই শহরের একটি সমাজ
গৃহে প্রচার করেন, এই সমাজ-ঘরটি ছিল
ম্যাসিডোনিমিয়া অঙ্গরাজ্যের অধীন
যিহূদীদের প্রধান সমাজ-ঘর। এখানে
পৌল একটি মণ্ডলীর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
করেন, প্রেরিত ১৭:১-৪; ১ থিষ ১:৯।
যিহূদীদের প্রচণ্ড ক্ষোভ তাঁকে সেখান থেকে
বিতাড়িত করে, এবং এরপর তিনি সেখান
থেকে বিরয়াতে পালিয়ে যান, প্রেরিত
১৭:৫-১০। পৌল ও সীল যার বাড়িতে
থাকতেন, সেই যাসোনকে লোকেরা যাদের
সামনে টেনে নিয়ে এসেছিল, সেই নগর
প্রশাসকদের মূলত প্রদেশপাল বলা হত।
পৌল তাঁর অনুসারীদেরকে উৎসাহ
দেওয়ার জন্য ফিলিপী শহরের পর এখানে
আসেন ও এখানকার মণ্ডলী পরিদর্শন
করেন, প্রেরিত ২০:১-৩। একটি গুরুত্বপূর্ণ
শহর হিসেবে এই শহরটিকে লোকেরা দীর্ঘ
দিন ধরে মনে রেখেছিল। সালোনিকির
শাসনামলে এটি ছিল ইউরোপীয় তুর্কীদের
একটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর, যার মধ্যে
বিভিন্ন জাতি বংশ মিলেমিশে প্রায়
৮৫,০০০ হাজার লোক বসবাস করতো।
তবে এখানকার বেশিরভাগ মানুষই ছিল
গ্রীক ও যিহূদী।
থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রথম পত্রটিই ছিল
মূলত পৌলের পত্রগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম
পত্র। সম্ভবত এই পত্রটি তিনি প্রায় ৫২
খ্রীষ্টপূর্বাব্দে করিন্থ শহরে বসে লিখেছিলেন,
সেখানে দীর্ঘ সময় বসবাসের প্রথম দিকে
তিনি এটি লিখেছিলেন, প্রেরিত
১৮:১১,১৮। এই পত্রটি তিনি
ম্যাসিডোনিয়া থেকে ফিরে এসে তীমথি
থিলষনীকীয় মণ্ডলী সম্পর্কে যে সংবাদ
নিয়ে এসেছিলেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে
লিখেছিলেন, প্রেরিত ১৮:১-৫; ১ থিষ
৩:৬। তীমথির প্রতিবেদন থেকে কিছু
উৎসাহব্যঞ্জক কথার পাশাপাশি কিছু লোক
কর্তৃক পৌলের শিক্ষাকে ভিন্নভাবে তুলে
ধরা এবং ভুল শিক্ষার দরুন তাদের মধ্যে
ভুল বোঝাবুঝির কথা শুনতে পেলেন। এই
পত্রটি তিনি তাদের সেই সমস্ত ভুল
সংশোধন এবং বিশেষ করে পরিশুদ্ধ জীবন
যাপনের জন্য তাদের উৎসাহ ও অনুপ্রাণিত
করেন এবং তাদের বিষয়ে সদাপ্রভুর
পরিকল্পনা বা ইচ্ছা অনুসারে পবিত্রীকৃতর
বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেবার উদ্দেশ্যে
লিখেছিলেন। পত্রটি সম্পর্কে বলে থাকে যে
এটি এথেন্স শহরে লেখা হয়েছে।
থিষলনীকীয়দের প্রতি দ্বিতীয় পত্রটি সম্ভবত
করিন্থ শহরেই তিনি লিখেছিলেন, এবং খুব
সম্ভব এই পত্রটি তিনি তাঁর প্রথম পত্রের
পর পরই মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে
থ
লিখেছিলেন। প্রথম পত্রে উল্লিখিত বিষয়,
বিশেষ করে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দ্বিতীয়
আগমনের উদ্ধৃতি টেনে থিষলনীকির
লোকদের মধ্যে যে ভ্রান্ত ধারণা, যে ভুল
বোঝাবুঝির বিষয় তিনি শুনেছেন সেগুলো
শোধরানোর উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর এই
দ্বিতীয় পত্রটি লিখেছিলেন। থিষলনীকীয়রা
পৌলের শিক্ষায় মনে করেছিল যে, যীশু
খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের দিন উপস্থিত,
যীশু খ্রীষ্টের আগমন এখনই ঘটবে। তাদের
এই ধারণাকে তিনি সংশোধন করেছিলেন,
১ থিষ ২:১-১২; এবং প্রথমত কি বিষয়
ঘটবে সেই সম্পর্কে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী¯^রূপ
কিছু বলেছিলেন।
থিয়ফিল:- ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম করেন
এমন একজন খ্রীষ্টান ভক্ত, যিনি ছিলেন
সম্ভবত একজন রোমীয়, যাকে লূক তাঁর
সুসমাচারটি এবং প্রেরিত পুস্তকটি উৎসর্গ
করেছেন, লূক ১:৩; প্রেরিত ১:১। এছাড়া
তাঁর সম্পর্কে আর কিছুই জানা যায় না।
ঘটনার বিবরণীতে দেখা যায় যে, লূক
তাকে “মহান বা মাননীয়” হিসেবে
সম্বোধন করেছেন, যে সম্বোধনটি পৌল
ফীলি· এবং ফীষ্টের ক্ষেত্রে ব্যবহার
করেছেন, প্রেরিত ২৩:২৬; ২৪:৩;
২৬:২৫; মূলত তিনি ছিলেন অতি উঁচু
পদের একজন কর্মকর্তা।
থুদা:- অর্থ, ধন্যবাদ জ্ঞাপন। ফরীশী দলের
গমলীয়েল নামে একজন ধর্ম-শিক্ষক
মহাসভার সামনে তার বক্তব্যে থুদার
উদ্ধৃতি বা প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলেন, প্রেরিত
৫:৩৬। তিনি রোমান শাসনের বিরুদ্ধে
বিদ্রোহ করেছিলেন। এই বিষয় ছাড়া তার
সম্পর্কে আর বিশেষ কিছু জানা যায় না।
থুয়াতীরা:- লুদিয়া এবং মুশিয়া সীমান্তবর্তী
এলাকার উপর অবস্থিত এশিয়া মাইনরের
একটি শহর। এর বর্তমান নাম হচ্ছে আক্-
হিসার, অর্থাৎ “সাদা দুর্গ”। সাতটি মণ্ডলীর
মধ্যে একটি মণ্ডলী এই শহরে অবস্থিত
ছিল, প্রকা ১:১১; ২:১৮-২৮। লুদিয়া
নামে একজন স্ত্রীলোক এই শহরে বাস
করতেন। তিনি যিহূদী না হলেও ঈশ্বরের
উপাসনা করতেন। তাঁর অন্তর সদাপ্রভু
এমনভাবে খুলে দিয়েছিলেন, যেন পৌলের
কথা শুনে তিনি যীশুর উপর বিশ্বাস করেন।
তিনি কাপড়ে বেগুনী রং দিতেন বা বেগুনী
থ
রঙের কাপড় বিক্রি করতেন, প্রেরিত
১৬:১৪। বস্ত্র রং করার জন্য শহরটি
বিখ্যাত ছিল এবং আজও তা এর জন্য
বিখ্যাত। এর ধ্বংসাবশেষগুলোর মধ্যে
প্রাপ্ত পুরাতন পাণ্ডুলিপিতে প্রাচীনকালের ঐ
শহরের রঞ্জক (বস্ত্রে যারা রং করে)
পেশাজীবি স¤প্রদায়ের বিষয় উল্লেখ
পাওয়া যায়। যোহনের দর্শনে থুয়াতীরা
শহরের মণ্ডলীর কথা বলা হয়েছিল, প্রকা
২:২০-২১।
থোপনা:- দেখুন: ঝালর।