পবিত্র বাইবেল ডিকশনারী । Bengali Bible Carey Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন) বাইবেল অভিধান
নকশা:- শিল্পকর্ম, হাতের কাজ। যিহূদীরা
এই নকশা করার কাজ ও শিল্পকর্ম জানত,
যাত্রা ২৬:৩৬; ৩৫:৩৫; ৩৮:২৩; বিচার
৫:৩০; গীত ৪৫:১৪। মহিলাদের তৈরি
করা মহাপুরোহিতের কোমরের পবিত্র
বন্ধনির নকশার কাজে নিপুনতা লক্ষ্য করা
যায়, যাত্রা ২৮:১। কাজগুলো দেখে বোঝা
যায় এই শিল্প কিছু নির্দিষ্ট পরিবার
উত্তরাধিকারসূত্রে দক্ষতার সাথে করে
চলেছে, ১ বংশা ৪:২১। আশেরীয়রা
বিভিন্ন রঙের দড়ি তৈরিতে পারদর্শী ছিল,
যিহি ২৭:২৪।
নকোদ:- নেথিনিম বা নফূষীম বংশের
প্রধান। এই নকোদের বংশের ৬৪২ জন
বাবিলের বন্দীদশা থেকে ফিরে এসে
নকশা:- শিল্পকর্ম, হাতের কাজ। যিহূদীরা
এই নকশা করার কাজ ও শিল্পকর্ম জানত,
যাত্রা ২৬:৩৬; ৩৫:৩৫; ৩৮:২৩; বিচার
৫:৩০; গীত ৪৫:১৪। মহিলাদের তৈরি
করা মহাপুরোহিতের কোমরের পবিত্র
বন্ধনির নকশার কাজে নিপুনতা লক্ষ্য করা
যায়, যাত্রা ২৮:১। কাজগুলো দেখে বোঝা
যায় এই শিল্প কিছু নির্দিষ্ট পরিবার
উত্তরাধিকারসূত্রে দক্ষতার সাথে করে
চলেছে, ১ বংশা ৪:২১। আশেরীয়রা
বিভিন্ন রঙের দড়ি তৈরিতে পারদর্শী ছিল,
যিহি ২৭:২৪।
নকোদ:- নেথিনিম বা নফূষীম বংশের
প্রধান। এই নকোদের বংশের ৬৪২ জন
বাবিলের বন্দীদশা থেকে ফিরে এসে
ইস্রায়েলীয় বলে নিজেদের প্রমাণ করতে
পারে নি, নহি ৭:৬০-৬২; ইষ্রা ২:৬০।
নখী:- নখ, পশুর নখ, ঘোড়ার খুর; হিব্রæ
“শিহেলেথ,” যাত্রা ৩০:৩৪; এক প্রকার
সামুদ্রিক প্রাণী বা কচ্ছপের খোলস, যা
সচরাচর লোহিত সাগরে দেখা যায়। এই
ধরনের ঝিনুক বা শামুকের খোলস
পোড়ালে তেলের মত একপ্রকার তরল
পদার্থ পাওয়া যায়, যা তীব্র গন্ধযুক্ত। এটি
পবিত্র ধূপের মত একটি উপাদান হিসেবে
ব্যবহৃত হত।
নগি:- অর্থ, দীপমালা। যীশু খ্রীষ্টের মাতুল
বংশের একজন পূর্বপুরুষ, লূক ৩:২৫।
নটোফা:- অর্থ, জলে ফোটা বা
বিশুদ্ধকরণ। এটি খুব সম্ভব বৈৎলেহমের
কাছে যিহূদার একটি শহর, নহি ৭:২৬; ১
বংশা ২:৫৪। দায়ূদের দুইজন রক্ষী ছিল
নটোফার, ১ বংশা ২৭:১৩,১৫। সম্ভবত
বর্তমানে শহরটি বৈৎলেহমের উত্তর-পূর্বে
অবস্থিত ক্ষতিগ্রস্থ মেতোবা বা উম-তোবা।
নতুন চাঁদের ভোজ:- প্রতি মাসের একটি
বিশেষ দিন হিসেবে উৎযাপিত হত, গণনা
২৮:১১-১৫; ১০:১০।
নতুন জন্ম:- একজন খ্রীষ্ট-বিশ্বাসীর প্রভু
যীশুর সঙ্গে নতুনভাবে জীবন-যাপনের
সূচনা, যার মাধ্যমে তার আত্মিক জীবনের
শুরু হয়, যোহন ৩:৩, ৫, ৬; ২ করি
৫:১৭; ১ পিতর ১:২৩। নতুন নিয়মে
শব্দটি মাত্র দু’বার ব্যবহার করা হলেও
বিভিন্নভাবে এটি প্রকাশিত হয়েছে; যেমন,
নতুন (আত্মায়) করে জন্ম, যোহন
৩:৩,৫,৭; ঈশ্বর থেকে জন্ম, যোহন
১:১৩; ১ যোহন ৩:৯; প্রভু যীশু খ্রীষ্টের
সঙ্গে জন্ম, ইফি ২:১,৫; নতুন হয়ে ওঠা,
রোমীয় ১২:২; তীত ৩:৫। নতুন জন্মের
চিহ্নসমূহ ১ যোহন ৩:৯,১৪; ৫:১,৪ পদে
উল্লেখ করা হয়েছে। ঈশ্বরের আত্মা যদি
আমাদের অন্তরে বাস করেন, তবে তিনি
তাঁর আত্মার দ্বারা আমাদের মৃত্যুর অধীন
শরীরকে নতুন জীবন দান করবেন, রোমীয়
৮:১১; ফিলি ৩:২১।
নতুন নিয়ম:- অর্থ, নতুন চুক্তি, লূক
২২:২০ অর্থাৎ পুরাতন চুক্তির স্থলে নতুন
চুক্তি। অনুগ্রহের চুক্তিকে নতুন চুক্তি বলা
হয়েছে, যা পুরাতন কাজের চুক্তি ভেঙ্গে
নতুনভাবে করা হয়েছে। এই চুক্তি সবসময়
সতেজ, সমৃদ্ধ এবং চমৎকার। সুসমাচারে
এই বিষয়গুলো পুরাতন নিয়মের বিষয়ের
চেয়ে অনেক বেশি ¯^চ্ছ, আত্মিক, বিশাল
এবং জোরালভাবে উল্লিখিত। সেই থেকে
পুস্তকের শেষ অংশের নাম নতুন নিয়ম বা
নতুন নিয়ম।
নথন-মেলক:- যিহূদার রাজার একজন
কর্মচারী। যিহূদার রাজারা যে সব রথ ও
ঘোড়াগুলো সূর্যের পূজার উদ্দেশে
দিয়েছিলেন যোশিয় সেই ঘোড়াগুলো দূর
করে দিয়ে রথগুলো পুড়িয়ে ফেলেন।
সদাপ্রভুর ঘরে ঢুকবার পথের পাশে,
উঠানের মধ্যে, নথন-মেলক নামক একজন
কর্মচারীর কামরার কাছে ঘোড়াগুলো রাখা
হত, ২ রাজা ২৩:১১।
নথনিয়:- অর্থ, যিহোবার দান। (১) তিনি
আসেফের পুত্র যাকে দায়ূদ ঈশ্বরের গৃহের
কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, ১ বংশা
২৫:২,১২। (২) যে লেবীয়কে রাজা
যিহোশাফট লোকদের নিয়ম-কানুন শিক্ষা
দেওয়ার জন্য মনোনীত করেছিলেন, ২
বংশা ১৭:৮। (৩) যেহুদীর পিতা, যাকে
যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের রাজত্বের
পঞ্চম বছরের নবম মাসে যিরূশালেমের
রাজকর্মচারীরা বারূককে মোশির পুস্তক
নিয়ে আসার জন্য বলে পাঠান, যির
৩৬:১৪। (৪) ২ রাজা ২৫:২৩,২৫।
নথনেল:- অর্থ, ঈশ্বর যাকে দিয়েছেন। (১)
যাত্রার সময়কালে ইষাখর বংশের নেতা
সূয়ারের পুত্র, গণনা ১:৮; ২:৫। (২) রাজা
দায়ূদের একজন ভাই, ১ বংশা ২:১৪।
(৩) একজন পুরোহিত, যখন সাক্ষ্য-সিন্দুক
যিরূশালেম থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল
তখন তার সামনে উবুর হয়ে তিনি সম্মান
করেছিলেন, ১ বংশা ১৫:২৪। (৪)
একজন লেবীয়, ১ বংশা ২৪:৬। (৫)
কোরহীয়দের পরিবারের একজন, যিনি দ্বার
ন
রক্ষী ছিলেন, ১ বংশা ২৬:৪। (৬) একজন
রাজকর্মচারী, যাকে যিহোশাফট যিহূদা
নগরের লোকদের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে
শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিয়োগ করেছিলেন, ২
বংশা ১৭:৭। (৭) রাজা যোশিয়ের সময়ের
একজন প্রধান লেবীয়, ২ বংশা ৩৫:৯।
(৮) ইষ্রা ১০:২২। (৯) নহি ১২:২১।
(১০) একজন পুরোহিতের পুত্র, যিনি
যিরূশালেমের প্রাচীর উৎসর্গের অনুষ্ঠানের
দায়িত্বে ছিলেন, নহি ১২:৩৬। (১১) প্রভু
যীশুর একজন শিষ্য, গালীলের কান্না
নগরের অধিবাসী, যোহন ২১:২। শিষ্য
ফিলীপ তাঁকে যীশু খ্রীষ্টের সাথে পরিচয়
করিয়ে দেন, যোহন ১:৪৫; ২:২। তিনি
ছিলেন একজন সত্যিকারের ইস্রায়েলীয়,
যার মনে কোন ছলনা ছিল না, যোহন
১:৪৭,৪৮। তার নাম নতুন নিয়মে শুধুমাত্র
যোহনের পুস্তকেই পাওয়া যায়, তিনি শিষ্য
বর্থলময় হিসেবে পরিচিত হলেও পুস্তকে
নথনেল নাম দেখা যায়। তাকে প্রভু যীশু
খ্রীষ্ট পুনরুত্থানের পর টিবেরিয়াস সাগরের
তীরে দেখা দেন।
নদবিয়:- অর্থ, যিনি যিহোবার কাছে
গিয়েছিলেন। যিকনিয়ের পুত্র এবং রাজা
দায়ূদের একজন বংশধর, ১ বংশা ৩:১৮।
নদী:- প্যালেষ্টাইনের বিভিন্ন ধরনের নদী:
(১) নহর: অবিরত এবং পূর্ণ গতিতে
বহমান নদী, যেমনÑ যর্দন এবং ইউফ্রেটিস
নদী। এ ধরনের নদী গ্রীষ্মকালে সম্পূর্ণ
শুকিয়ে যায় অথবা লতাগুল্ম দিয়ে ঢাকা
পড়ে যায়। (২) নহল: শীতকালীন
খরস্রোতা নদী, বর্ষাকালের প্রবল
বৃষ্টিপাতের ফলে সঞ্চিত জল থেকে এর
উৎপত্তি, কিন্তু গ্রীষ্মকালে এটি সম্পূর্ণ
শুকিয়ে যায়। এটি এক প্রকার ছোট নদী
বা নদীখাত, গণনা ৩২:৯; যেমনÑ ঐনন,
যব্বোক, কীশন ইত্যাদি। (৩) অফেক:
খাল বা শিলা বেষ্টিত গভীর গিরি-খাদ যা
জল ধরে রাখে, ২ শমূ ২২:১৬; এই শব্দের
অর্থ “ধারণ করা বা ধরে রাখা”। যিহিষ্কেল
৩২:৬ পদে বলা হয়েছে “স্রোতের জল”।
(৪) ই’য়র: নীল নদ, আদি ৪১:১,২; যাত্রা
১:২২; ২:৩,৫। ইয়োব ৪৬:৭,৮; আমোষ
৮:৮; ৯:৫ পদে বলা হয়েছে “ফুলে ওঠা
অশান্ত নদী”। শব্দটির মিশরীয় অর্থ “বড়
নদী” বা “খাল”। (৫) পিলেগ: এর
জলধারা ভ‚মিতে প্রবাহিত হয়ে বিভক্ত হয়ে
যায়, গীত ১:৩। ক‚পের জল বা সংরক্ষিত
জলাধার থেকে যে নালা দিয়ে সরাসরি
গাছের গোড়ায় জল সরবরাহ করা হয়।
(৬) ইউয়োবল: পূর্ণ স্রোতধারা, যির
১৭:৮। (৭) জলে নালা বা খাত, ২ রাজা
১৮:১৭; টি’অলাহ।
মিশরের বিভিন্ন নদী: (১) নহর মিতস্রয়িম:
নীল নদ, আদি ১৫:১৮; উপরে “নহর”
দেখুন। (২) নহল মিতসয়িম: গণনা
৩৪:৫; যিহো ১৫:৩,৪,৪৭; ১ রাজা
৮:৬৫; ২ রাজা ২৪:৭; উপরে “নহল”
দেখুন। সমুদ্র উপক‚লের নদীখাত এবং
নীল নদীর শাখা প্রশাখা দিয়ে ২-৩ দিন
ধরে বৃষ্টির জল সমুদ্রে যায়। নীল নদের
আদি নাম সীহো, ১ বংশা ১৩:৫; বা
“কালো নদী”। পরবর্তীতে এই নদীই
“নীল নদ” নাম ধারণ করে, দ্বি.বি. ২৩:৩;
যির ২:১৮ পদ।
নদীর মোহনা:- দেখুন: উপসাগর।
নপুংসক/খোজা:- ঘর-রক্ষক বা রাজ-মহল
তদারককারী; সব ক্ষেত্রেই যে সত্যিকার
অর্থে পুরুষাঙ্গবিহীন কর্মচারী নিযুক্ত করা
হত তা নয়, তবে বেশিরভাগ সময় রাজ
ন
মহলে এ ধরনের খোজাদেরকেই নিয়োগ
দেওয়া হত, ২ রাজা ৯:৩২; উপ ২:৩।
মোশির নিয়ম-কানুন অনুসারে তাদের
সমাজে যোগ দিতে দেওয়া হত না, দ্বি.বি.
২৩:১। গ্রীস ও রোম দেশে তাদের প্রায়ই
দেখা যেত। বর্তমান সময়েও এ রকম
কয়েক জন খোজা রোমের সিসটিন
চ্যাপেলে গানের দলে বিশেষ গান গেয়ে
থাকে। পবিত্র শাস্ত্রে তিন ধরনের
খোজাদের কথা বলা আছে, মথি ১৯:১২।
নপ্তালি:- অর্থ, মল্লযুদ্ধ। (১) যাকোবের
পঞ্চম পুত্র। তার মায়ের নাম বিল্হা, যিনি
রাহেলের দাসী, আদি ৩০:৮। যখন
যাকোব মিশরে চলে গেলেন তখন নপ্তালি
চার পুত্রের পিতা হন, আদি ৪৬:২৪। তার
সম্পর্কে এর বেশি জানা যায় যায় না। (২)
নপ্তালি বংশ: এই বংশের লোকের সংখ্যা
অপেক্ষাকৃত কম হলেও সিনাই মরুভ‚মিতে
মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে
লোকদের গণনা করেন ইস্রায়েলীয়দের এই
লোকেরা গণনা পুস্তক অনুসারে যারা যুদ্ধে
যাওয়ার মত হয়েছিল তাদের সংখ্যা ছিল,
তিপ্পান্ন হাজার চারশো, গণনা ২৬:৫০।
কনান দেশে যাবার পর গুলিবাঁট অনুসারে
নপ্তালি বংশের জায়গার সীমারেখা ছিল,
হেলফ এবং সানন্নীমের এলোন গাছ থেকে
শুরু হয়ে অদামী-নেকব ও যব্নিয়েল
পেরিয়ে লক্কুম এবং যর্দন নদী পর্যন্ত, যিহো
১৯:৩২-৩৯।
নপ্তালি বংশ:- যাকোব এই বংশকে
আশীর্বাদ করেছিলেন, “নপ্তালি যেন বাঁধনছাড়া হরিণী; তার মুখে আছে সুন্দর সুন্দর
কথা,” আদি ৪৯:২১। বাস্তবে এই বংশ
প্রতিষ্ঠিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল।
যাত্রার সময় এই বংশের পূর্ণ বয়ষ্ক লোকের
সংখ্যা ছিল ৫৩,৪০০, গণনা ১:৪৩, কিন্তু
দীর্ঘ পথ পার হয়ে আসার পর এর সংখ্যা
কমে দাড়ায় মাত্র ৪৫,৪০০, গণনা ২৬:৪৮
-৫০। তারা দান ও আশের বংশের সাথে
এক হয়ে সাধারণভাবে “দানের ছাউনি”
গড়ে তোলে, গণনা ২:২৫-৩১। তারা
সাক্ষ্য-তাম্বুর উত্তর দিকে অবস্থান করতো।
তাদের সীমানা ভাগ করা হয়, যিহো
১৯:৩২-৩৯। তাদের অংশ ছিল দেশের
উত্তর-পূর্ব দিকে যা যর্দন নদী ও মেরোম ও
গালীল হ্রদের পূর্ব সীমানায় ঘেরা ছিল।
উত্তর দিকে এর এলাকা প্রসারিত হয়ে
লেবাননের দুই উপত্যকার মাঝে সিরিয়ার
সিলী পর্যন্ত যায়। এলাকাটির চমৎকার
দৃশ্য, উর্বর ভ‚মি এবং আবহাওয়ার কারণে
অন্যান্য বংশের চেয়ে তাদের অবস্থা উন্নত
হয়। তারা বৃদ্ধি পেয়ে নপ্তালি বংশের ভ‚খণ্ড
প্রায় ৮০০ বর্গমাইল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে যা
ইষাখরের আয়তনের প্রায় দ্বিগুণ। এই
এলাকার একটি শহর কেদশ যাকে মূলত
গালীল বলা হত। পরে এই নামে গোটা
উত্তরাঞ্চলীয় কনান অঞ্চলকে বুঝাত। এর
পর্বত ঘিরে অনেক আশেপাশের জাতির
লোক বাস করতো বিধায় একে
“অযিহূদীদের গালীল” বলা হত, মথি
৪:১৫,১৬। নপ্তালির দক্ষিণ অংশকে বলা
হত “পলেষ্টীয়দের বাগান।” এলাকাটি
ভীষণ উর্বর ছিল। এলাকাটি আমাদের প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের প্রধান কাজের স্থান ছিল। এই
এলাকাতেই তার অধিকাংশ আশ্চর্য কাজ
সংগঠিত হয়। এই বংশের উপর সিরিয়ার
রাজা বিন্হদদ, ইস্রায়েলের রাজা বাশার
রাজত্বের সময় এবং যিহূদার রাজা আসার
উপর প্রথম আক্রমণ করে, ১ রাজা
১৫:২০; ২ বংশা ১৬:৪। ইস্রায়েলের রাজা
পেকহের সময়, তিগ্লত-পিলেষরের
নেতৃত্বে আশেরীয়েরা ইস্রায়েলের গোটা
ন
উত্তর অঞ্চল দখল করে নিয়ে সেখানকার
লোকদের বন্দী করে নিয়ে যায়, ২ রাজা
১৫:২৯। এভাবে ইস্রায়েলের রাজত্বের
শেষ হয় (খ্রীষ্টপূর্ব ৭২২ অব্দ)। এরপর
গোটা নপ্তালির প্রায় সব অংশ মরুভ‚মিতে
পরিণত হয়। এর মধ্যে গালীল হ্রদের
তীরে টিবেরিয়াস শহর অন্যতম। সফাদ
শহরটিও এর গুরুত্ব বহন করে।
নপ্তালির পাহাড়:- নপ্তালি শহরের পাহাড়-
গুলোকে নপ্তালির পাহাড় বলা হয়, যিহো
২০:৭।
নপ্তুহীয়:- তিনি মিশর বংশীয় হমাতীয়
বংশের একজন, আদি ১০:১৩। অনেকে
এই শব্দকে নাপাতা বলে যা মিশরের
সামনের দক্ষিণাংশের এলাকার একটি
নগরের নাম। এটি মিশরের দক্ষিণ অংশ,
নীল নদীর আধুনিক মেরোরী, এর বাঁক
গিয়ে সুদানে ঠেকেছে। নগরটি রাজাদের
আবাসিক স্থান হিসেবে পরিচিত, যেখানে
রাণী কান্দাকী বাস করতেন, প্রেরিত
৮:২৭। এখানে অনেক বড় বড় দালানের
ধ্বংস¯ূÍপ রয়েছে।
নফ‚ষীম:- নফ‚ষীমের বংশধরেরা, যাদেরকে
বলা হত নেথিনিমের বংশের লোক, তারা
সরুব্বাবিলসহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে
বাবিলের বন্দীদশা থেকে ফিরে এসেছিল,
ইষ্রা ২:৫০।
নবূখদ্নিৎসর:- বাবিলীয় ভাষায় তাঁর নাম
লেখা হয়েছে নাবু-খুদর-উজুর, যার অর্থ
“নবো রাজমুকুট রক্ষা কর!”। এজন্য
কোন কোন অনুবাদে তাঁকে নবূখদ্নিৎসর
বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একটি উৎকীর্ণ
লিপিতে দেখা যায় যে, তিনি তাঁর নামের
অর্থ করেছিলেন “নবোর পছন্দের।” তিনি
নবোপুলেশ্বরের পুত্র ও সিংহাসনের
উত্তরাধিকারী। নবোপুলেশ্বরের আশেরীয়া
থেকে বাবিল ¯^াধীন করেন এবং নীনবী
ন
ধ্বংস করেছিলেন। নবোপুলেশ্বর বাবিলীয়দের
সমস্ত রাজাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও
শক্তিশালী রাজা ছিলেন। তিনি কোরসের
মেয়েকে বিয়ে করলে মাদীয় ও বাবিলীয়
দেশের মধ্যে ঐক্য আসে। মিশরের রাজা
২য় নীকো কার্খের্মিশে আশেরীয়দের
পরাজিত করে। এর ফলে আশেরীয়
প্রদেশের সিরিয়া ও প্যালেষ্টাইন মিশরের
অধীনে স্থির থাকে। কিন্তু আশেরীয়ার অন্য
প্রদেশ বিভক্ত হয়ে বাবিলীয় ও মাদীয়
সাম্রাজ্য গঠিত হয়। কিন্তু তখন
নবোপুলেশ্বর নীকোকে পরাজিত করে
সিরিয়ার পশ্চিম প্রদেশ দখল করার উদ্দেশে
তাঁর পুত্রকে আরও শক্তিশালী সৈন্যসহ
পশ্চিম দিকে পাঠান, দানি ১:১। তাদের
এবং মিশরীয়দের মধ্যে কার্খেমিশে ভীষণ
যুদ্ধ হয়, সে যুদ্ধে মিশরীয়েরা সম্পূর্ণভাবে
পরাজিত হয়ে পিছু হটে, যির ৪৬:২-১২;
তখন সিরিয়া ও ফৈণীকীয়া বাবিলের দখলে
আসে (খ্রীষ্টপূর্ব ৬০৬)। এরপর মিশর
“আর কখনো অন্য দেশ আক্রমণ করতে
পারেনি”, ২ রাজা ২৪:৭। নবূখদ্নিৎসর
গোটা প্যালেষ্টাইন দেশ জয় করে
যিরূশালেম অধিকার করেন এবং বহু
যিহূদীকে বন্দী করে তাঁর দেশে নিয়ে
আসেন, যাদের মধ্যে দানিয়েল ও তাঁর
সঙ্গী-সাথীরাও ছিলেন, দানি ১:১,২; যির
২৭:১৯; ৪০:১। এর তিন বছর পর
যিরূশালেমের শাসক যিহোয়াকীম মিশরের
সাহায্যে বাবিলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন,
২ রাজা ২৪:১। এই সময় নবূখদ্নিৎসর
তাঁর সৈন্যদের নিয়ে আবার যিরূশালেম
জয়ের জন্য এগিয়ে যান, যে দেশটি তিনি
আগে দখল করেছিলেন (খ্রীষ্টপূর্ব ৫৯৮)।
এবার তিনি তৃতীয়বার এই দেশ দখলের
জন্য আসেন এবং যিহোয়াকীমকে
ক্ষমতাচ্যুত করে তাঁকে এবং তাঁর দেশের
কাজ চলছে পৃস্টা
465