পবিত্র বাইবেল ডিকশনারী । Bengali Bible Carey Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন) বাইবেল অভিধান
ফরাৎ নদী:- ফোরাত নদী; হিব্রæ শব্দ
পেরাথ, পারস্য পোড়ামাটির ফলকে পাওয়া
শব্দটি হল উফ্রাতুশ এবং গ্রীক শব্দ
ইউফ্রেটিস, এই নামের অর্থ “মিষ্টি জল”।
আশেরীয় ভাষায় এই নামের অর্থ “স্রোত”
বা “মহা স্রোত”। সাধারণভাবে বাইবেলে
শব্দটির অর্থ “নদী,” যাত্রা ২৩:৩১; বা
“মহানদী,” দ্বি.বি. ১:৭। আদিপুস্তক ২:১৪
পদে সর্বপ্রথম বলা হয়েছে ইউফ্রেটিস
এদোন দেশের একটি নদী। পরবর্তীতে
ঈশ্বর অব্রাহামের সাথে ও তাঁর বংশধরদের
সঙ্গে চুক্তি করে বলেন, যে প্রতিশ্রæত দেশ
তিনি দেবেন তা মিশরের নদী থেকে
ইউফ্রেটিস নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হবে,
ফরাৎ নদী:- ফোরাত নদী; হিব্রæ শব্দ
পেরাথ, পারস্য পোড়ামাটির ফলকে পাওয়া
শব্দটি হল উফ্রাতুশ এবং গ্রীক শব্দ
ইউফ্রেটিস, এই নামের অর্থ “মিষ্টি জল”।
আশেরীয় ভাষায় এই নামের অর্থ “স্রোত”
বা “মহা স্রোত”। সাধারণভাবে বাইবেলে
শব্দটির অর্থ “নদী,” যাত্রা ২৩:৩১; বা
“মহানদী,” দ্বি.বি. ১:৭। আদিপুস্তক ২:১৪
পদে সর্বপ্রথম বলা হয়েছে ইউফ্রেটিস
এদোন দেশের একটি নদী। পরবর্তীতে
ঈশ্বর অব্রাহামের সাথে ও তাঁর বংশধরদের
সঙ্গে চুক্তি করে বলেন, যে প্রতিশ্রæত দেশ
তিনি দেবেন তা মিশরের নদী থেকে
ইউফ্রেটিস নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হবে,
আদি
১৫:১৮; দ্বি.বি. ১১:২৪; যিহো ১:৪।
দায়ূদের সময়ে এই চুক্তি পূর্ণতা লাভ করে,
২ শমূ ৮:২-১৪; ১ বংশা ১৮:৩; ১ রাজা
৪:২৪। আশেরিয়া, বাবিল ও মিশরের
প্রাচীন ইতিহাসের বিভিন্ন বর্ণনায় একে
বলা হয়েছে “মহানদী।” নীল নদ যেমন
মিশরের শক্তি, ঠিক তেমনি ইউফ্রেটিস নদী
ছিল আশেরীয়দের শক্তি, যিশা ৮:৭; যির
২:১৮। নদীটি পশ্চিম এশিয়ার অন্যান্য বড়
এবং প্রধান নদী থেকে দূরে অবস্থিত।
নদীটি আর্মেনীয় পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে
১,৭০০ মাইল পার হয়ে পারস্য উপসাগরে
মিশে শেষ হয়েছে। নদীটি দু’টি ধারায়
প্রবাহিত হয়েছে: (১) ফ্রত বা কারা-সু,
অর্থাৎ “কালো নদী”; নদীটি আর্জারউমের
উত্তর-পূর্বে ২৫ মাইল পর্যন্ত বি¯ৃÍত; (২)
মুরাদখাই, অর্থাৎ “ইচ্ছার নদী,” এটি
আলা-তাঘের উত্তর ঢালের অরারট পর্বত
থেকে উৎপন্ন হয়েছে। নদীটি প্রথম শাখার
ফ
উৎপত্তির পর ৪০০ মাইল এবং দ্বিতীয়
শাখাটির উৎপত্তির পর ২৭০ মাইল পার
হয়ে কেব্বান মাদেনে এসে একটি চমৎকার
ঝর্ণা সৃষ্টি করেছে। ঝর্ণাটি কিছু দূর গিয়ে
কুরনাহে টাইগ্রিস নদীতে মিশেছে, এরপর
এটি শাত-ইল-আরব নাম ধারণ করেছে,
যা আরও গভীর ও চওড়া হয়ে ১৪০
মাইলেরও বেশি দূরে গিয়ে সমুদ্রে
মিশেছে।
ফরীশী:- অর্থ, পৃথকীকৃত। (১) হিব্রæ
পার্সেইন বা পারাশ। সম্ভবত
আসিদিয়ানদের (অর্থাৎ “ধার্মিক”)
উত্তরসূরী; আন্তিওখস এপিফানিসের সময়
উদ্ভূত একটি দল, যারা পৌত্তলিক নীতির
বিপক্ষে বিদ্রোহ করে। ইস্রায়েলীয়দের
তিনটি দলের একটি; অন্য দু’টি দল হল
এসেনীয় এবং সদ্দূকী। প্রভু যীশু খ্রীষ্টের
সময়ে তারা একটি জনপ্রিয় দল ছিল,
যোহন ৭:৪৮। খ্রীষ্টের পরিচর্যা কাজের
সময়ে তারা সমস্ত বিষয়ের আইন-কানুন
পুক্সখানুপুক্সখভাবে মেনে চলতে চেষ্টা করতো
এবং এ বিষয়ে তারা উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
ছিল, মথি ৯:১৪; ২৩:১৫; লূক ১১:৩৯;
১৮:১২। পৌলকে যখন যিরূশালেমের
পরিষদের সামনে আনা হয় তখন তিনি
নিজেই বলেন যে, তিনি একজন ফরীশী,
প্রেরিত ২৩:৬-৮; ২৬:৪,৫। তারা বলতো
যে, তারা ধর্মীয় মতবাদে অধিক বিশ্বাসী,
অথচ তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি ছিল
কেবলমাত্র বাহ্যিক; তাদের নৈতিকতা ছিল
খুব হালকা, মথি ৩:৭। তারা পুনরুত্থানে
বিশ্বাস করতো। কাজের শুরুতেই ফরীশীরা
অনর্থক খ্রীষ্টের তিক্ত শত্রæ হিসেবে
বিরোধিতা শুরু করে। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট
তাদের ও সদ্দূকীদের সাপের বংশধর বলে
আখ্যায়িত করেন। তারা তাদের
ধার্মিকতার জন্য গর্ববোধ করতো, মথি
৯:১১; লূক ৭:৩৯; ১৮:১১,১২; এজন্য
তাদেরকে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট সব সময় তিরস্কার
করতেন, মথি ১২:৩৯; ১৬:১-৪। তারা
সব সময় নিজেদের মতাদর্শ মেনে চলতো,
প্রচলিত সব কিছুর ভিন্ন অর্থ দাঁড় করাত
এবং লোকদের মাঝে নিজেদের প্রভাব
খাটাত। (২) যিহূদী ধর্মে ফরীশীদের
কিছুটা ভিন্ন মাত্রার একটি দল ছিল। তারা
নিজেদের অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে
করতো। তাদের উত্থান ঘটে খ্রীষ্টপূর্ব ১০০
অব্দ থেকে এবং পতন হয় যিরূশালেম
ধ্বংসের পর। পুস্তকে তাদের কথা সরাসরি
বলা না হলেও প্রসঙ্গক্রমে তাদের দেখা
যায়, মথি ১৯:১১,১২; কল ২:৮,১৮,২৩।
ফরুগিয়া:- অর্থ, শুষ্ক। এশিয়া মাইনরের
একটি প্রদেশ; এটি দুইভাগে বিভক্ত ছিল,
বড় অংশটি দক্ষিণে ও ছোট অংশটি
পশ্চিমে অবস্থিত ছিল; নতুন নিয়মে পর্গার
বড় অংশের কথা বলা হয়েছে। পিষিদিয়া
প্রদেশের আন্তিয়খিয়া, কলসীয়, হিয়রাপলি,
ইকনিয় ও লায়দিকেয়া এখানে অবস্থিত,
প্রেরিত ১৩:১৪।
ফর্তুনাত:- গ্রীক শব্দ ‘ফরটুনেটস্;’ অর্থ,
ভাগ্যবান। পৌলের একজন শিষ্য, যিনি
করিন্থ নগরীর লোক, যাকে পৌল নিজে
বাপ্তিস্ম দেন। তিনি ইফিষ নগরীতে
পৌলকে দেখতে আসেন এবং তাঁর সঙ্গে
ছিলেন স্তিফান ও আখায়িক, এরাই করিন্থে
পৌলের প্রথম চিঠিটা নিয়ে যান, ১ করি
১৬:১৭।
ফল:- হিব্রæ শব্দ ‘পেরী’ ও গ্রীক শব্দ
ফ
‘কারপস’। পবিত্র মাসে সাধারণভাবে
উৎপন্ন যে কোন ধরনের শস্য বা ফল বা
পশুর বাচ্চাকে বোঝানোর জন্য এই শব্দটি
ব্যবহার করা হয়েছে। জমি থেকে আসা
ফসলকে ইব্রীয়রা তিনভাবে বিভক্ত
করতো। ১) ক্ষেতের ফল, শস্য-ফল, হিব্রæ
শব্দ দাগন; সব ধরনের দানাদার শস্য ও
ডাল। ২) আঙ্গুর গাছের ফল, হিব্রæ শব্দ
‘টিরশ’। ৩) “বাগান ঘেরা ফল,” যেমন:
খেজুর, ডুমুর ইত্যাদি। বাইবেলে সাধারণত
যেসব ফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে
সেগুলো হচ্ছে, আঙ্গুর, ডালিম, ডুমুর,
জলপাই ও আপেল এবং এগুলোর সবই
আজও পাওয়া যায়। সন্তান বা বংশধরদের
বোঝানোর জন্য এই ‘ফসল’ বা ‘ফল’
শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, গীত ৩০:২;
দ্বি.বি. ৭:১৩; লূক ১:৪২; গীত ২১:১০,
১৩২:১১। পশুর বংশ বোঝাতে, দ্বি.বি.
২৮:৫১; যিশা ১৪:২৯ এবং রূপকভাবে
নানা উপায়ে ও নানা আকারে ফল শব্দটি
ব্যবহার করা হয়েছে, গীত ১০৪:১৩;
হিতো ১:৩১, ১১:৩০, ৩১:১৬; যিশা
৩:১০, ১০:১২; মথি ৩:৮, ২১:৪১,
২৬:২৯; ইব্রীয় ১৩:১৫; রোমীয় ৭:৪-৫,
১৫:২৮। আবার রূপক অর্থেও ফল
বোঝানো হয়েছে, যেমন, ‘তোমার গর্ভের
ফল’ বোঝাতে, দ্বি.বি. ৭:১৩; কাজের ফল
ও পরামর্শের ফল, হিতো ১:৩১; পবিত্র
আত্মার বেশ কয়েকটি ফল, গালা
৫:২২,২৩; ইফি ৫:৯; যাকোব ৩:১৭,১৮,
এসব আত্মিক ফল তাদের মধ্যেই
প্রকাশিত হতে দেখা যায় যাদের মধ্যে
পবিত্র আত্মা বাস করেন এবং তারা পবিত্র
আত্মার অনুগ্রহে ও তাঁরই মাধ্যমে সবকিছু
করেন ।
ফসল কাটা:- পুরাতন নিয়মের সময়ে
ফসল সংগ্রহ করার জন্য শিকড় সুদ্ধ গাছ
টেনে তোলা হত অথবা গোড়া থেকে কেটে
নেওয়া হত। এরপর ফসলসহ গাছটি
মাড়াই করা হত। পাকা ফসল ক্ষেত থেকে
তোলার নিয়ম সবাই কঠোরভাবে পালন
করতো, লেবীয় ১৯:৯; ২৩:১০; ২৫:১১;
দ্বি.বি. ১৬:৯। হিতোপদেশ পুস্তকে বলা
হয়েছে, “যে লোক দুষ্টতার বীজ বোনে সে
বিপদের ফসল কাটবে,” হিতো ২২:৮;
হোশেয় ৮:৭; ১ করি ৯:৬; গালা ৬:৭,৮।
ফসল কাটার সময়:- পাকা শস্য বা ফল
কাটার সময়। আবীব বা এপ্রিল মাসের
১৬তম দিনে পাকা শস্যের আঁটি কিংবা
পাকা ফলের ঝুড়ি ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে
প্রথম ফসল হিসেবে উৎসর্গ করা হত এবং
ফসল তোলার সঙ্গে সঙ্গেই এই পর্ব পালন
করা হত, লেবীয় ২৩:৯-১৪; ২ শমূ ২১:৯
-১০; রূত ২:২৩। এই প্রথম ফসল
তোলার পর্ব শুরু হত নিস্তার-পর্বের সময়
এবং শেষ হত পঞ্চাশত্তমীর সময়; এভাবে
ঠিক ৭ সপ্তাহ ধরে এই পর্ব পালন করা
হত, যাত্রা ২৩:১৬। এই প্রথম ফসল
তোলার পর্বে সবাই প্রচুর আনন্দ করতো,
গীত ১২৬:১-৬; যিশা ৯:৩। শব্দটি রূপক
অর্থেও ব্যবহার করা হয়েছে, মথি ৯:৩৭;
১৩:৩০; লূক ১০:২; যোহন ৪:৩৫।
দেখুন: কৃষিকাজ।
ফাটল:- দেয়ালের ফাটল, চির বা ভাঙ্গন,
যিহি ১৩:৫; ২২:৩০; আমোষ ৪:৩।
ফিঙ্গা:- এক প্রকার অস্ত্র, গুল্তি, ১ শমূ
১৭:৪০; ফিঙ্গায় ব্যবহারের জন্য আগেই
মসৃণ পাথর বাছাই করে নেওয়া হত।
বিন্যামীন বংশের লোকেরা এই কাজে খুব
দক্ষ ছিল, বিচার ২০:১৬; ১ বংশা ১২:২।
ফ
খণ্ডযুদ্ধের জন্য এবং ঘেরাও করে রাখার
জন্য এটি খুবই উপযুক্ত, ২ রাজা ৩:২৫; ২
বংশা ২৬:১৪। দু’টো দড়ির মাঝখানে এক
টুকরো চামড়া বাঁধা থাকতো, সেই চামড়ার
গর্তে মসৃণ পাথর দিয়ে তা ঘুরিয়ে ছুঁড়ে
মারা হত। ১ শমূয়েল ২৫:২৯; ফিঙ্গা দিয়ে
পাথর ঘুরানো হত এবং তারপর একটি
দড়ি হাত থেকে ছেড়ে দেওয়া হলে
পাথরটি বের হয়ে আঘাত করতো। হঠাৎ
করে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া, যির ১০:১৮।
সখরিয় ৯:১৫ পদে অনুবাদ করা হয়েছে,
“তারা (যিহূদীরা) শত্রæদের ফিঙ্গার পাথর
পায়ে মাড়াবে,” শত্রæর ঘুরিয়ে মারা ফিঙ্গার
পাথর তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না,
ইয়োব ৪১:২৮। তাদের শত্রæদের সেই
ফিঙ্গার পাথরের মত পায়ের নিচে মাড়াই
করা হবে, তাদের অবস্থা হবে সদাপ্রভুর
লোকদের বিপরীত, সখ ৯:১৬; হিতো
২৬:৮ পদে বলা হয়েছে, “যে লোক
গুলতিতে পাথর বেঁধে রাখে,” গ্রীক শব্দ
“মার্গিমাহ্” অর্থ গুলতি। দেখুন: অস্ত্র।
ফিতা:- (১) চামড়ার ফিতা প্রেরিত
২২:২৫; বা পায়ের স্যাণ্ডেল বা জুতা বাধার
ফিতা, যিশা ৫:২৭; মার্ক ১:৭; লূক
৩:১৬। (২) রজ্জু; হিব্রæ শব্দ
“পিথিগিয়াল,” যিশা ৩:২৪; কাঁচুলির নিচে
পরিধেয় বক্ষাবরণ বিশেষ। চওড়া
কারুকাজ করা ফিতা; রোমীয় মহিলাদের
পোশাক, হাতে বোনা বেগুনি রঙের
ডোরাকাটা অন্তর্বাস। (৩) বাইবেলে চার
বার এই ফিতা বা সুতা বা দড়ির কথা
উল্লেখ করা হয়েছে, যাত্রা ২৮:২৮,৩৭;
৩৯:২১,৩১। হিব্রæ “প্যাথল” শব্দের
আক্ষরিক অর্থ ‘সুতা’ বা ‘দড়ি’।
মহাপুরোহিতের এফোদে ও পাগড়িতে নীল
সুতা ও দড়ি বাঁধা হত।
ফিললগ:- অর্থ, শেখার জন্য আগ্রহী।
রোমের একজন বিশিষ্ট বিশ্বাসী, প্রেরিত
পৌল রোমীয়দের নিকট লিখিত তাঁর পত্রে
তাকে শুভেচ্ছা জানান, রোমীয় ১৬:১৫।
ফিলাদেলফিয়া:- অর্থ, ভ্রাতৃপ্রেম। সার্দিসের
প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত
এশিয়া মাইনরের একটি নগর; এখানে
“সপ্ত মণ্ডলীর” একটি মণ্ডলী অবস্থিত, প্রকা
৩:৭-১২। ১৩৯২ খ্রীষ্টাব্দে এটি তুর্কীদের
হস্তগত হয়। শহরটি বেশ কয়েকবার
ভ‚মিকম্পে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, তবুও বর্তমানে
এটি মাঝারি আয়তনের একটি শহর
হিসেবে টিকে আছে, যার নাম
“ঈশ্বরশেহ্র” বা “ঈশ্বরের শহর”।
ফিলিপ:- অর্থ, ঘোড়া প্রেমিক। (১) প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের ১২ জন শিষ্যের একজন;
বৈৎসৈদার নাগরিক, যোহন ১:৪৪। যীশু
খ্রীষ্ট তাঁকে শিষ্য হওয়ার জন্য ডাকলে তিনি
তৎক্ষণাৎ তাঁর ডাকে সাড়া দেন এবং
নথনেলকে সঙ্গে নিয়ে খ্রীষ্টকে অনুসরণ
করেন, যোহন ১:৪৩-৪৬। শিষ্যদের মধ্যে
তিনি অন্যতম একটি অবস্থানে ছিলেন,
মথি ১০:৩; মার্ক ৩:১৮; যোহন ৬:৫-৭;
১২:২১,২২; ১৪:৮,৯; প্রেরিত ১:১৩।
তাঁর শেষ জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু জানা
যায় নি। তিনি ফরুগিয়ায় প্রচার করেন
এবং হিরোপলিতে মৃত্যুবরণ করেন। (২)
আদি মণ্ডলীর ৭জন সেবাকারীর একজন,
প্রেরিত ৬:৫; তিনি একজন সুসমাচার
প্রচারকও বটে, প্রেরিত ২১:৮,৯।
স্তিফানের মৃত্যুর পর সৃষ্ট নির্যাতনে যারা
বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি
তাদের একজন। তিনি প্রথমে শমরিয়াতে
যান এবং সেখানে সফলতার সাথে
সুসমাচার প্রচার করেন, প্রেরিত ৮:৫-১৩;
ফ
সেখানে থাকাকালে তিনি দক্ষিণাঞ্চলে
যিরূশালেম থেকে ঘসার দিকে যে রাস্তা
চলে গেছে সেদিকে অগ্রসর হওয়ার সময়
¯¦র্গীয় নির্দেশ অনুসারে হিব্রোণের পথে
যাত্রা করেন। পথিমধ্যে তিনি একটি রথে
ইথিওপিয়ার রাণী কান্দাকির ধন-সম্পদ
রক্ষককে দেখতে পান, যিনি ঠিক সেই
মহূর্তে ভাববাদী যিশাইয়ের ভবিষ্যৎদ্বাণীর
একটি অংশ পড়ছিলেন, যিশা ৫৩:৬,৭।
ফিলিপ তার সাথে কথা বলে অংশটি
ব্যাখ্যা করেন এবং তার কাছে ত্রাণকর্তার
সুসমাচার প্রচার করেন। ইথিওপীয়
লোকটি ফিলিপের বক্তব্য শুনে বিশ্বাস
করেন এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস
করে জলে নেমে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেন।
বাপ্তিস্ম দেবার পরেই ফিলিপ অদৃশ্য হয়ে
যান, ফলে সেই ইথিওপীয় লোকটি আর
তাঁকে দেখতে পান নি। পরে ফিলিপকে
অসদোদে দেখা যায় এবং কৈসরিয়াতে
আসার আগ পর্যন্ত তিনি সেখানে সুসমাচার
প্রচার করেন। পৌল ও তাঁর সঙ্গীরা যখন
যিরূশালেমের পথে ছিলেন তখন তাকে
কৈসরিয়ায় দেখা যায়, প্রেরিত ২১:৮।
এরপর আর কোথাও তাঁর কোন উল্লেখ
নেই। (৩) মহান হেরোদের পুত্র,
হেরোদিয়ার প্রথম ¯^ামী, শালোমীর পিতা,
মথি ১৪:৩; মার্ক ৬:১৭; লূক ৩:১৯।
দেখুন: হেরোদ ফিলিপ ১। (৪) মহান
হেরোদের পুত্র, হেরোদ আন্তিপাসের ভাই,
যিত‚রিয়ার শাসনকর্তা, লূক ৩:১; তাঁর নাম
অনুসারে কৈসরিয়া-ফিলিপী নগরীর নামকরণ করা হয়, মথি ১৬:১৩; মার্ক ৮:২৭।
দেখুন: হেরোদ ফিলিপ ২।
ফিলিপী:- (১) সাবেক ক্রিনীদিয়া অর্থাৎ
ঝর্ণা; মাকিদনিয়া প্রদেশের রাজধানী; এর
অবস্থান কাভালার প্রায় ৮ মাইল উত্তর-
পশ্চিমে; বর্তমানে এটি একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত
গ্রাম, যাকে ফিলিবেজিক বলা হয়।
মাকিদনিয়ার ফিলিপ ক্রিনীদিয়ার প্রাচীন
থ্রাসিয়ান শহরটি সুরক্ষিত করে গড়ে
তোলেন এবং পরে এর নামকরণ করা হয়
ফিলিপী (খ্রীষ্টপূর্ব ৩৫৯-৩৩৬)। সম্রাট
আগস্তের সময় নগরটি একটি রোমান
সৈন্যশিবির ছিল, যে সৈন্যদের দায়িত্ব ছিল
স¤প্রতি জয় করা প্রদেশগুলো নিয়ন্ত্রণে
রাখা। এটি ছিল একটি “ক্ষুদ্র রোম,” যা
রোমের আইন-কানুন দ্বারা পরিচালিত
হত। এটি একজন রোমীয় সেনাপতি দ্বারা
শাসিত হত যাকে দাম্ভিরী বলা হত, তিনি
সরাসরি রোম থেকে নিযুক্ত হতেন। এখান
থেকে পৌল ও তাঁর সঙ্গী সীল সব জায়গায়
সুসমাচার প্রচার করেন এবং ইউরোপে
প্রথম মণ্ডলী গঠন করেন। তাঁদের এই
সফলতা জনগণের বৈরী আচরণের কারণে
অকস্মাৎ থেমে যায় এবং তাঁরা লোকদের
কাছে দুঃখভোগ করে ও অপমানিত হয়ে
এই নগর ছেড়ে আম্ফিপলিতে চলে যান,
প্রেরিত ১৬:৯-৪০; ১ থিষ ২:২। (২)
কৈসরিয়া-ফিলিপী নগর; যখন
উত্তরাঞ্চলীয়
অংশের শাসনকর্তার পদে অধিষ্ঠিত হন,
তখন তিনি পেরিয়া প্রদেশ বর্ধিত করে
সম্রাটের সম্মানার্থে কৈসরিয়া নাম দেন
এবং সমুদ্র উপক‚লের কৈসরিয়া থেকে
পার্থক্যকরণের উদ্দেশ্যে তিনি এর সঙ্গে
নিজের নাম যোগ করেন।
ফিলিপীয়দের প্রতি প্রেরিত পৌলের পত্র:-
রোমে ২ বছর কারাবন্দী থাকাকালে পৌল
এই পত্রটি লেখেন, ফিলী ১:৭-১৩; সম্ভবত
৬১ খ্রীষ্টাব্দের শেষে বা ৬২ খ্রীষ্টাব্দের
প্রথমে পত্রটি লেখা হয়। ফিলিপীয় মণ্ডলী
পৌলের প্রয়োজন মেটাবার জন্য
ফ
ইপাফ্রদীতকে তাঁর কাছে প্রেরণ করে;
ইপাফ্রদীত ফিরে আসার সময় পৌল তাকে
দিয়ে এই পত্রটি দিয়ে ফিলিপীয়দের কাছে
পাঠিয়ে দেন। রোমের অন্ধকার কারাকক্ষ
থেকে পত্রটি পৌল ফিলিপীয় মণ্ডলীর সকল
বয়সের নারী-পুরুষের প্রতি লিখেছেন। এই
ফিলিপীয় মণ্ডলী ছিল ইউরোপে খ্রীষ্ট ধর্ম
প্রচারেরর প্রথম ফসল। সুসমাচার প্রচারে
তাদের সম্পৃক্ততা ছিল খুবই আশাব্যঞ্জক
এবং আন্তরিকতাপূর্ণ। সেজন্য পৌলও
তাদের প্রতি আন্তরিক ভালবাসা প্রদর্শন
করেন। এই মণ্ডলী অন্যান্য মণ্ডলীকে
প্রয়োজনের সময়ে যেভাবে সাহায্য করেছে
তা পবিত্র শাস্ত্রে বিশেষভাবে ¯^ীকৃত
হয়েছে, প্রেরিত ২০:৩৩-৩৫; ২ করি
১১:৭-১২; ২ থিষ ৩:৮। ফিলিপীয়দের
আর্থিক ¯^াধীনতা ছিল নিদর্শন¯^রূপ, ফিলি
৪:১৫। মাকিদনিয়া থেকে প্রস্থান করার
পর অন্য কোন মণ্ডলী দেনা-পাওনার
বিষয়ে পৌলের সহভাগী হয় নি, কেবল
ফিলিপীয়রাই হয়েছিল। এই পত্রের রোমীয়
মণ্ডলীর অভ্যন্তরীণ অবস্থার বর্ণনা দেওয়া
হয়েছে। এই পত্রের শিক্ষার সাথে রোমীয়
মণ্ডলীর বিশ্বাসীদের নিবিড় সম্পর্ক ছিল,
ফিলি ৩:২০; ইফি ২:১২,১৯। এখানে
প্রথমবারের মত পৌলের লেখায় মণ্ডলীকে
সার্বজনীন মঙ্গলের সূতিকাগার হিসেবে
দেখা যায়; এতে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের গৌরব
দিকে দিকে স¤প্রসারিত হয়েছে, ফিলি
২:৫-১১; ইফি ১:১৭-২৩; ২:৮; কল
১:১৫-২০। পৌলের ক্ষমতা, নম্রতা এবং
পরমানন্দের চমৎকার অভিব্যক্তি এই পত্রে
দেখা যায়।
ফিলীত:- অর্থ, খোশমেজাজী।
প্রেরিতগণের আমলের একজন ধর্মনিন্দুক
ও জ্ঞানবাদী। ইফিষে হুমিনায়ের সাথে সে
পৃষ্টা কাজ চলছে
602