পবিত্র বাইবেল ডিকশনারী । Bengali Bible Carey Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন) বাইবেল অভিধান
মই:- শুধুমাত্র যাকোবের দর্শন লাভ সম্পর্কিত ঘটনার বিবরণে এর উল্লেখ পাওয়া যায়, আদি ২৮:১২।
মক্পেলা:- অর্থ, সম্পত্তি। একটি দ্বৈত গুহা, যে গুহাটি অব্রাহাম জমিসহ পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে হিট্টীয় ইফ্রোণের কাছ থেকে ক্রয় করেন, আদি ২৩:১। এটি হিব্রোণের পূর্বে মম্রি শহরের সম্মুখভাগে একটি পাহাড়ী ঢালু স্থানের উপর অবস্থিত ছিল। এই স্থানে অব্রাহাম ও সারা, ইসহাক ও রিবিকা এবং যাকোব ও লেয়াকে কবর দেওয়া হয়, আদি ২৩:১৯;২৫:৯; ৪৯:৩১; জাষ্টিনিয়ানের সময় গুহাটির উপর একটি প্রাচীন খ্রীষ্টান চার্চ নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে এই চার্চটি মুসলমানদের একটি মসজিদে রূপান্তরিত হয়। সমস্ত জায়গাটি এল-হারাম অর্থাৎ “মহাপবিত্র স্থান” দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল, যার দৈর্ঘ্য ছিল ২০০ ফুট, প্রস্থ ১১৫ ফুট এবং ¯^াভাবিক গড় উচ্চতা ৫০ ফুট। এই ঘরের বড় কিছু পাথরের আকৃতি এবং তাদের গাঁথুনি দেখে অনেকে মনে করেন যে, এটি রাজা দায়ূদ অথবা রাজা শলোমনের রাজত্বের সময় নির্মিত হয়েছে, আবার অনেকে মনে করেন যে, এটি হেরোদের রাজত্বের সময় নির্মিত। এটিকে যিহূদীদের গৃহ নির্মাণ এবং স্থাপত্য শিল্পের সবচেয়ে প্রাচীন এবং ধ্বংসাবশেষগুলোর মধ্যে চির স্মরণীয় একটি ধ্বংসাবশেষ বলে মনে করা হয়। গুহার অভ্যন্তরে যাদের কবর দেওয়া হয়েছে তাদের স্মৃতিফলক হিসেবে মসজিদের মেঝের উপর ৬টি বিশাল স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। ইসহাক এবং রিবিকার স্মৃতিস্তম্ভের মাঝে, মেঝের সম্মুখভাগ থেকে নিম্ন তলদেশের গভীর অন্ধকার গুহা পর্যন্ত একটি গোলাকার ফাঁপা জায়গা রয়েছে, যাকে মক্পেলার গুহা বলা হয়। সম্ভবত এখানেই যাকোবের মৃতদেহ রাখা হয়েছিল, যেটিকে মিশরে সুগন্ধি দ্রব্য দিয়ে সযতেœ সংরক্ষণ করে রাখা হয় এবং যেটিকে আজও সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। মুসলমান স¤প্রদায়ের বিশেষ অনুমোদনক্রমে ইংল্যাণ্ডের যুবরাজ ১৮৬২ খ্রীষ্টাব্দে মসজিদের ভিতরের অংশ পরিদর্শন করেন। এছাড়াও ১৮৬৬ খ্রীষ্টাব্দে বিউট-এর শাসনকর্তা এবং ১৮৬৯ খ্রীষ্টাব্দে জার্মানীর প্রয়াত সম্রাট ফ্রেডারিক এবং পরবর্তীতে পারসিয়ার মুকুটধারী যুবরাজ এই স্থানটিকে পরিদর্শন করেন। ১৮৮১ খ্রীষ্টাব্দে স্যার সি. উইলসন এবং অন্যান্য কিছু ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ইংল্যাণ্ডের যুবরাজের দুই পুত্র এই স্থান পরিদর্শন করেন। মক্বেনা:- অর্থ, বন্ধন। একটি গ্রাম, কালেবের উপস্ত্রী মাখার গর্ভে জন্মগ্রহণকারী শিবা এই গ্রামটি গড়ে তোলেন, ১ বংশা ২:৪৯। মকোনা:- অর্থ, ভিত্তি। সিক্লগের নিকটে অবস্থিত যিহূদার দক্ষিণ সীমান্তবর্তী একটি শহর, নহি ১১:২৮।
মক্কেদা:- অর্থ, পশুপালকদের স্থান।
কনানীয়দের একটি রাজকীয় শহর, যিহো
১২:১৬; এই শহরের কাছে একটি গিরিগুহা
ছিল। যিরূশালেম, হিব্রোণ, যর্মূত, লাখীশ
এবং ইগ্লোনের যে পাঁচ জন রাজা
ইস্রায়েলীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য
মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিলেন, তাদেরকে
ইস্রায়েলীয়রা তাড়া করে এই মক্কেদা শহর
পর্যন্ত নিয়ে যায়, যিহো ১০:১০-২৯।
পরবর্তীতে এই শহরের কাছের একটি
গুহাতে লুকিয়ে থাকা সেই পাঁচ রাজাকে
যিহোশূয় ধরে এনে হত্যা করেন এবং
তাদের পাঁচজনকে পাঁচটি গাছে ঝুলিয়ে
রাখেন। সম্ভবত এটি বর্তমান সুমিয়েল
নামক একটি গ্রাম, যেটি ইলুথেরোপলিস
বৈৎ-জাইব্রিনের প্রায় ৭ মাইল উত্তরপশ্চিমে একটি পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত;
এখানে প্রাচীনকালের বিশাল একটি গুহা
লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু পলেষ্টীয়দের প্রাচীন
বিষয়ের পর্যবেক্ষকগণ একে এল-মুঘর বা
জাবনে থেকে আড়াই মাইল দূরবর্তী
একরনের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত
কিছু গুহার সঙ্গে চিহ্নিত করেছে।
মক্তেশ:- অর্থ, হামানদিস্তা, যিরূশালেমের
অভ্যন্তরে কিংবা এর নিকটবর্তী স্থানে
অবস্থিত রৌপ্য ব্যবসায়ীদের একটি
এলাকা, সফ ১:১১। সম্ভবত এটি ছিল
মূলত শহরের মধ্যে অবস্থিত ফৈণীকীয়দের
এলাকা, যেখানে প্রাচ্য দেশের ব্যবসায়ীদের
পর ঐ জাতিরা ব্যবসায়ীরা বসবাস করেন।
মখেলোৎ:- অর্থ, সমাগম। মরুভ‚মির মাঝে
ইস্রায়েলীয়দের একটি বিশ্রাম স্থান, গণনা
৩৩:২৫,২৬।
মগদন:- অর্থ, কেল্লা। গালীলের একটি
শহর, মথি ১৫:৩৯। তবে মার্ক ৮:১০ পদে
একই ঘটনার বর্ণনায় এই স্থানকে দল্মনুথা
বলা হয়েছে। এটি হচ্ছে মরিয়মের
জন্মস্থান, যাকে মগদলীন বা মºলীনী
মরিয়ম বলা হয়। টিবেরিয়াস লেকের পূর্ব
তীরে এই স্থানটি অবস্থিত, যেটি এখন
ম
ছোট একটি অখ্যাত গ্রাম হিসেবে
পরিচিত। গ্রামটিকে এল
টিবেরিয়াসের প্রায় ৩
মাইল উত্তর-পশ্চিমে। তামলুদে এই
শহরটি “রঙিন শহর” নামে পরিচিত ছিল
এবং “রঞ্জকদের দুর্গ” হিসেবে এই শহরটি
বিশেষ পরিচিত ছিল। এখানে ব্যাপকভাবে
নীলের চাষ করা হত। দেখুন: দল্মনুথা।
মগ্পীয়শ:- অর্থ, পোকা ধ্বংসকারী।
চুক্তিতে সীলমোহর দানকারী একজন
নেতা, নহি ১০:২০।
মগ্বন্নয়:- অর্থ, আলখাল্লায় সুসজ্জিত,
সদাপ্রভুর অঙ্গীকার। গাদীয় বীর যোদ্ধাদের
একজন; তিনি মরুভ‚মিতে দায়ূদের দুর্গে
তাঁর সঙ্গে মিলিত হন, ১ বংশা ১২:১৩।
মগ্বীশ:- অর্থ, সমাবেশ। সম্ভবত এটি
একজন লোকের নাম অথবা একটি বংশের
নাম যারা সরুব্বাবিলের সঙ্গে বন্দীদশা
থেকে ফিরে আসেন, অথবা এটি একটি
জায়গার নাম যেখানে এই মগ্বীশের
লোকেরা বসবাস করতো, ইষ্রা ২:৩০।
মগিদ্দো:- অর্থ, সৈন্যদের স্থান।
কনানীয়দের একটি রাজকীয় শহর, যিহো
১২:২১; এটি মনঃশি বংশের অন্তর্ভুক্ত
একটি স্থান, বিচার ১:২৭; কিন্তু রাজা
শলোমনের আমল না আসা পর্যন্ত
ইস্রায়েলীয়রা এটি অধিকার করতে পারে
নি, ১ রাজা ৪:১২; ৯:১৫। মগিদ্দোর
সমতল ভ‚মি ছিল পলেষ্টীয়দের বিরাট
যুদ্ধক্ষেত্র এসদ্রালোনের একটি অংশ।
এখানে বারক হাৎসোরের রাজা যাবীনের
বিরুদ্ধে বিশাল জয় লাভ করেন, যাবীনের
সেনাপতি সীষরা শত্রæপক্ষের পরিচালনায়
ছলেন, বিচার ৪:৫। এর অনেক বছর পর
(খ্রীষ্টপূর্ব ৬১০) ফরৌণ দ্বিতীয় নেকো
আশেরীয়দের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর
সময় পলেষ্টীয় এবং শারোনের তলভ‚মি
দিয়ে যান। রাজা যোশিয় মগিদ্দোর
সমভ‚মিতে তাঁকে বাধা দিতে চেষ্টা করেন,
কিন্তু তিনি মিশরীয়দের দ্বারা পরাজিত হন।
তিনি যুদ্ধে দারুনভাবে আহত হন এবং
রথে করে তাঁকে যিরূশালেমের দিকে নিয়ে
যাওয়ার সময় তিনি মারা যান, ২ রাজা
২৩:২৯; ২ বংশা ৩৫:২২-২৪; সমস্ত
ইস্রায়েল তাঁর জন্য শোক প্রকাশ করে।
এই শোক অন্যদিকে তিক্ততাপূর্ণ ছিল এবং
এটি একটি প্রবাদে রূপান্তরিত হয়, যেটি
ভাববাদী সখরিয় তাঁর পুস্তকের ১২:১১,১২
মগিদ্দোকে কীশোনের এল-লেজ্জানের সঙ্গে
চিহ্নিত করা হয়েছে; এটি কর্মিলের উত্তরপূর্ব দিকে এবং এস্দ্রালোনের দক্ষিণপশ্চিম দিকে এবং যিষ্রিয়েল থেকে ৯ মাইল
পশ্চিম দিকে অবস্থিত। আবার অনেকে
একে বৈ-শান থেকে ৪ মাইল দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত মুজিদ্দো বলে মনে করে
থাকেন, কিন্তু এর সুনিশ্চিত অবস্থান
সম্পর্কে জানা যায় নি।
মºলীনী:- নামটি মগদন থেকে এসেছে,
মগদন নিবাসী হিসেবে মরিয়মের নামের
পাশে এই নামটি সংযুক্ত করা হত, যাতে
করে মরিয়ম নামের অন্যান্য যে সমস্ত
স্ত্রীলোক ছিলেন তাদের থেকে আলাদাভাবে
তার পরিচয় তুলে ধরা যায়, মথি
২৭:৫৬,৬১; ২৮:১ ইত্যাদি। একটি ভুল
ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে, এই মরিয়ম
ছিলেন একজন দুশ্চরিত্রা নারী, যাকে লূক
৭:৩৬-৫০ পদে একজন পাপী হিসেবে
আখ্যায়িত করা হয়েছে। বস্তুত এই দুই
ম
মরিয়ম ভিন্ন দু’জন নারী। দেখুন: মরিয়ম।
মºীয়েল:- অর্থ, ঈশ্বর মহান।
ইদোমীয়দের পূর্বপুরুষ এষৌর বংশধর,
একজন ইদোমীয় সর্দার, আদি ৩৬:৪৩; ১
বংশা ১:৫৪; দেশের যে সব এলাকায়
তিনি বাস করতেন তাঁর নাম অনুসারেই
সেই সব এলাকার নাম দেওয়া হয়।
মঙ্গল:- দেখুন: শান্তি।
মঙ্গলার্থক বলিদান / যোগাযোগ-উৎসর্গ:-
হিব্রæ “শিলামিম,” লেবীয় ৩:১; লেবীয়
৭:১১-২১,২৯-৩৪। যোগাযোগ-উৎসর্গ ৩
ধরনের: ১) ধন্যবাদ জ্ঞাপনের ভোজ বা
ধন্যবাদের মঙ্গল-উৎসর্গ, অনুগ্রহ লাভ
করার জন্য ধন্যবাদ প্রকাশ করার জন্য
উৎসর্গ; ২) মানত পূরণ বা আশা পূরণের
প্রেক্ষিতে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের উৎসর্গ; এবং
৩) ¯^-ইচ্ছায় দান, ¯^তস্ফুর্তভাবে ঈশ্বরের
উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত উৎসর্গ।
মঙ্গল হোক/শালোম:- সম্ভাষণ, কারও
সাথে দেখা হলে পর “আপনার উপর শান্তি
বর্ষিত হোক,” “ঈশ্বর তোমাকে অনুগ্রহ
দান করুন,” বা “ঈশ্বরের অনুগ্রহ তোমার
উপরে পড়–ক” ইত্যাদি বলা হয়, আদি
৪৩:২৯; রূত ২:৪; ৩:১০; ১ শমূ
১৫:১৩; গীত ১২৯:৮। তাই শুভেচ্ছা
জানবার সময় ঈশ্বরের অনুগ্রহ কামনা করা
হয়, ১ শমূ ১৩:১০। প্রাচীন শালোম শব্দ
থেকেই পবিত্র বাইবেলে মঙ্গল হোক শব্দটি
এসেছে যার অর্থ হচ্ছে শান্তি, দেহ বা
মনের কল্যাণ কামনা করা, হিব্রæ ভাষায়
এটি সাধারণভাবে প্রচলিত ছিল; যেমন,
গ্রীক ভাষায় আনন্দ (কাইরেন) অর্থ
শভেচ্ছা জানানো। শুধুমাত্র যাকোবের
লেখা চিঠির মধ্যে “প্রণাম জানাচ্ছি”
কথাটি পাওয়া যায়, যাকোব ১:১। শুভেচ্ছা
জানানোর আর একটি ধরনের উল্লেখ
পাওয়া যায়, মথি ২৭:২৯ পদে, সেখানে
তামাশা করে প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে সৈন্যরা
বলেছিল, “‘যিহ‚িদ-রাজ, নমস্কার!।’ হিব্রæ
ভাষায় নমস্কার বা শুভেচ্ছা জানানো ইঙ্গিত
করে সম্ভাষিত ব্যক্তির অন্তরস্থ গভীর
আত্মিক জ্ঞান আছে। গ্রীক ভাষায় শভেচ্ছা
জানানোর উত্তর দেয়া হয় “আনন্দ” বলে,
যা তাদের জাতির একটি বৈশিষ্ট্য এবং তা
সার্বিক অনুগ্রহ প্রকাশ করে, আদি ৪৩:২৭;
যাত্রা ১৮:৭। “শান্তি” শব্দটি ব্যবহার করা
হত উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে, আদি
৪৩:২৩। আশীর্বাদ করার ক্ষেত্রে এটি বলা
হত, আদি ২৪:৬০। পরবর্তী সময়ে, ১ শমূ
১:১৭; “শান্তিতে চলে যাও” বলা হয়েছে।
প্রভু যীশু খ্রীষ্টের এই কথা উদ্দেশ্যহীনভাবে
বলেন নি, মার্ক ৫:৩৪; লূক ৭:৫০;
১০:৫; ২৪:৩৬, প্রেরিত ১৬:৩৬। হিতো
২৭:১৪ পদ অনুসারে, “যে ভোরে উঠে
উচ্চঃ¯^রে নিজের বন্ধুকে আশীর্বাদ করে,”
সে ব্যক্তি বিশ্বস্তভাবে নয়, লোককে
দেখানো বা শুনানো আশীর্বাদ করে। বলা
হয়েছে, “চলার পথে কোন লোককে
শুভেচ্ছা বা মঙ্গলবাদ করো না,” কারণ এই
কথাবার্তার দরুন আপনার যাত্রায় দেরী
হতে পারে, ২ রাজা ৪:২৯; লূক ১০:৪।
“হে মহারাজ, আপনি চিরকাল বেঁচে
থাকুন,” এভাবে বাবিলীয় ও পারস্য
রাজাদের শুভেচ্ছা জানানো হত, দানি
২:৪; ৬:৬। পৌল মণ্ডলীর কাছে লেখা
চিঠিগুলোর শুরুতেই মঙ্গলবাদ জানানোর
ভাষা হিসেবে “অনুগ্রহ এবং শান্তি”
ব্যবহার করেছেন, কিন্তু তাঁর তিনটি
পালকীয় চিঠিতে, তীমথিয় ১, ২ ও তীতএ “অনুগ্রহ, শান্তি ও দয়া” ব্যবহার
ম
করেছেন; লোকদের সেবা-কাজ করার
জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার “দয়া,” ২
করি ৪:১; ১ করি ৭:২৫; ১ তীম ১:১৬।
পৌল তাঁর চিঠিতে যুক্ত করেছেন, “আমি
পৌল আমার নিজের হাতে এই
মঙ্গলবাদের কথা লিখলাম। প্রভু যীশু
খ্রীষ্টের অনুগ্রহ তোমাদের সহবর্তী হোক,”
১ করি ১৬:২১,২৩; কল ৪:১৮; ২ থিষ
৩:১৭,১৮। ভণ্ড ও মিথ্যা শিক্ষকদেরকে
মঙ্গলবাদ না করার জন্য বলা হয়েছে, ২
যোহন ১:১০। বিশ্বাসী ভাইদের মঙ্গলবাদ
জানাতে বলা হয়েছে, এটি খ্রীষ্টান ভাইদের
মধ্যে ভালবাসা আরও বাড়িয়ে দেয় এবং
এর ভিতর কুটিলতা থাকে না।
মজুর:- নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভাড়ায় নিয়োগ
করা শ্রমিক, ইয়োব ৭:১; ১৪:৬; মার্ক
১:২০। কাজ শেষ হওয়া মাত্র তার মজুরী
পরিশোধ করতে হয়, লেবীয় ১৯:১৩। প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের সময়কালে একজন মজুরের
একদিনের মজুরী ছিল তৎকালীন এক
রোমীয় দিনার বা বর্তমান সময়ের প্রায় ১০
টাকা, মথি ২০:১-১৪।
মজুরী:- যা নিয়মিত পরিশোধ করা উচিত,
মথি ২০:২; লেবীয় ১৯:১৩; দ্বি.বি.
২৪:১৪,১৫ মজুরী ধরে রাখার বিষয়ে
বিচারের কথা বলা আছে, যির ২২:১৩;
মালাখি ৩:৫; যাকোব ৫:৪ টাকায়
পরিশোধ করা, মথি ২০:১-১৪; আদি
২৯:১৫,২০, ৩০:২৮,৩১:৭,৮,৪১। ঘৃণ্য
সে, যে লোক কোন কিছু না দিয়ে তার
দেশের লোকদের খাটায় এবং তাদের
পরিশ্রমের মজুরী দেয় না, যির ২২:১৩;
মালাখি ৩:৫; যাকোব ৫:৪। যাকোব ও
তার মামা লাবনের সঙ্গে যে, পারিশ্রমিকের
জন্য চুক্তি হয় লাবন তার চেয়ে বেশি
পরিমাণ পরিশ্রম তাকে দিয়ে করিয়ে নেয়,
আদি ২৯ ও ৩০ অধ্যায়। ফরৌণ রাজার
কন্যা মোশির মার সঙ্গে চুক্তি করেন
মোশিকে বুকের দুধ খাইয়ে লালন-পালন
করার জন্য, যাত্রা ২:৫-৯। মোশির নিয়মকানুন অনুসারে, কাজের জন্য ভাড়া করে
নেওয়া লোককে দিনের শেষে অবশ্যই তার
পারিশ্রমিক দিতে হবে, লেবীয় ১৯:১৩;
দ্বি.বি. ২৪:১৪,১৫। শুধু শ্রমঘণ্টা
অনুসারেই নয়, মানবিক প্রয়োজন ও
দারিদ্রতা অনুসারেও পারিশ্রমিক নির্ধারিত
হতে পারে, মথি ২০:১-১৬। বাপ্তিস্মদাতা
যোহন রোমীয় সৈন্যদের বলতেন যে, “যা
বেতন পাও তাতেই সন্তুষ্ট থাক,” লূক
৩:১৪। আত্মিক অর্থে “পাপের বেতন
মৃত্যু,” রোমীয় ৬:২৩। পৌল ফিলিপী
মণ্ডলী থেকে যেসব উপহার পেয়েছিলেন
তাকে “বেতন” বলেছেন, ২ করি ১১:৮;
ফিলি ৪:১৫-১৮।
মজ্জা:- হাড়ের ভেতরের মজ্জা, অস্থির
মজ্জা, ইয়োব ২১:২৪; হিতো ৩:৮; ইব্রীয়
৪:১২; গীত ৬৩:৫; যিশা ২৫:৬।
মট্রীয়:- অর্থ, বর্ষা। বিন্যামীন বংশের
একজন সদস্য, নিজ বংশের প্রধান।
ইস্রায়েলের প্রথম রাজা হিসেবে কীশের পুত্র
শৌলকে তার বংশ থেকেই বেছে নেওয়া
হয়, ১ শমূ ১০:২১।
মট্রেদ:- ইদোমের রাজা হদরের শাশুড়ি,
মহেটবেলের মাতা, আদি ৩৬:৩৯; ১ বংশা
১:৫০।
মত্তত:- অর্থ, ঈশ্বরের দান। (১) লেবির
পুত্র, এলির পিতা, লূক ৩:২৪। (২)
লেবির পুত্র, যোরীমের পিতা, লূক ৩:২৯।
ম
মত্তথিয়:- অর্থ, যিহোবার উপহার। (১)
যীশু খ্রীষ্টের বংশতালিকা অনুসারে
আমোষের পুত্র, যোষেফের পিতা, লূক
৩:২৫। (২) শিমিয়ির পুত্র, মাটের পিতা,
লূক ৩:২৬।
মত্তন:- অর্থ, দান। (১) বাল দেবতার
একজন পুরোহিত, যিহোয়াদার অধীনে
নতুন চুক্তির পর তাকে দেবতার বেদীর
সামনে হত্যা করা হয়, ২ রাজা ১১:১৮।
(২) ইলীয়াসরের পুত্র, যাকোবের পিতা;
এই যাকোব ছিলেন মরিয়মের ¯^ামী
যোষেফের পিতা, মথি ১:১৫। (৩)
সফটিয়ের পিতা, যির ৩৮:১; ভাববাদী
যিরমিয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের
একজন, যির ৩৮:১-২৮।
মত্তনিয়:- অর্থ, যিহোবার দান। (১)
একজন লেবীয়, হেমনের পুত্র, মন্দিরের
নবম সঙ্গীত দলের প্রধান, ১ বংশা
২৫:৪,১৬। (২) একজন লেবীয়, রাজা
হিষ্কিয়ের অধীনে মন্দির শুচি করার কাজে
নিয়োগকৃত একজন কর্মী, ২ বংশা
২৯:১৩। (৩) যিহূদার সর্বশেষ রাজা
সিদিকিয়ের প্রকৃত নাম, ২ রাজা ২৪:১৭;
তিনি ছিলেন যোশিয়ের তৃতীয় পুত্র, এই
যোশিয়কে মগিদ্দোতে হত্যা করা হয়।
তিনি তাঁর ভাতুষ্পুত্র যিহোয়াখীনের স্থলে
সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। (৪) মীখার পুত্র,
মন্দিরের উপাসনা কার্যক্রমের একজন
প্রধান এবং দরজার কাছে ভাণ্ডার-ঘরের
রক্ষী, নহি ১১:১৭; ১২:৮,২৫। (৫)
বন্দীদশা থেকে ফিরে আসার পর পুরোহিত
ইষ্রার আমলে বিদেশী স্ত্রী ত্যাগকারী
একজন ব্যক্তি, ইষ্রা ১০:২৬। (৬) সত্ত‚র
বংশধর, তিনি পুরোহিত ইষ্রার আমলে তাঁর
বিদেশী স্ত্রীকে ত্যাগ করেন, ইষ্রা ১০:২৭।
(৭) বানির বংশধর, তিনি পুরোহিত ইষ্রার
আমলে তাঁর বিদেশী স্ত্রীকে ত্যাগ করেন,
ইষ্রা ১০:৩৭। (৮) একজন লেবীয়,
হাননের পিতামহ; এই হাননকে মন্দিরের
ভাণ্ডার-ঘরের দায়িত্ব দেওয়া হয়, নহি
১৩:১৩। (৯) মন্দিরের একজন গানের
পরিচালক, ১ বংশা ২৫:৪,৫,৭,১৬।
মত্তানা:- অর্থ, দান। ওয়াদি ওয়ালি
মরুভ‚মি এবং মোয়াবের সীমানার মাঝে
অবস্থিত ইস্রায়েলীয়দের একটি বিশ্রাম
স্থান, গণনা ২১:১৮,১৯।
মত্তথিয়:- অর্থ, সদাপ্রভুর দান। প্রভু যীশুর
একজন শিষ্য; খ্রীষ্টের মৃত্যুর পর যিহূদা
ইষ্কারিয়োতের জায়গায় মত্তথিয়কে ভাগ্য
পরীক্ষা ও প্রার্থনার মাধ্যমে যীশুর ১২তম
শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়, প্রেরিত ১:
১৫-২৬।
মত্তিথিয়:- অর্থ, যিহোবার দান। (১)
যিদূথূনের পুত্র, ১ বংশা ২৫:৩,২১। (২)
কোরহীয় শল্লুমের জ্যেষ্ঠ পুত্র, ১ বংশা
৯:৩১। (৩) পবিত্র শাস্ত্র পাঠের সময়
ইষ্রার ডানপাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের মধ্যে
একজন, নহি ৮:৪। (৪) আমোষের পুত্র
এবং যোষেফের পিতা, লূক ৩:২৫।
মথি:- অর্থ, ঈশ্বর সদাপ্রভুর দান।
আল্ফেয়ের পুত্র, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অন্যতম
একজন শিষ্য এবং নতুন নিয়মে যাঁর বই
প্রথমে স্থান পেয়েছে। আগে তিনি ছিলেন
কফরনাহুমের একজন খাজনা আদায়কারী।
কোন এক কাজে যীশু গালীল সাগরের পার
থেকে খাজনা আদায় করবার ঘরের সামনে
দিয়ে যাওয়ার সময় মথিকে সেখানে বসে
ম
থাকতে দেখেন এবং বলেন, “এসো,
আমার শিষ্য হও”। মথি তৎক্ষণাৎ তাঁর
বিশ্বাসী হন, মথি ৯:৯। পূর্বে তিনি মথি
নামের পরিবর্তে লেবি নামে পরিচিত
ছিলেন, মার্ক ২:১৪; লূক ৫:২৭। সম্ভবত
বিশ্বাসী হওয়ার জন্য খ্রীষ্টের আহŸানের
বিষয়টিকে চির স্মরণীয় করে রাখার জন্য
লেবি নামের পরিবর্তে তিনি মথি নামটি
গ্রহণ করেন। যীশু যেদিন তাঁকে আহŸান
করেন সেই একই দিনে তিনি যীশুর জন্য
একটি মহা ভোজের আয়োজন করেন, লূক
৫:২৯; সেই ভোজে যীশু ও তাঁর শিষ্যগণ
এবং অনেক খাজনা-আদায়কারী সহ আরও
অন্যান্য লোক উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে
তাঁকে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ১২জন শিষ্যের
একজন শিষ্য হিসেবে মনোনীত করা হয়,
লূক ৬:১৫। বারোজন শিষ্যদের এই
নামের তালিকা ছাড়া তাঁর নামের উল্লেখ
দ্বিতীয়বারের মত সুসমাচারের ইতিহাসে
আর কোথাও লক্ষ্য করা যায় না। প্রেরিত
১:১৩ পদে তাঁর নামের সর্বশেষ উল্লেখ
পাওয়া যায়। তাঁর মৃত্যুর সময় এবং
কার্যের ধারা সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না।
মথি লিখিত সুসমাচার:- নতুন নিয়মের
প্রথম পুস্তক এবং সুসমাচার। প্রভু যীশু
খ্রীষ্টের অন্যতম একজন শিষ্য মথি এর
রচয়িতা। তিনি প্রভু যীশুর এই সুসমাচারটি
রচনা করেন তার নিজ¯^ পরিকল্পনা এবং
দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, যেভাবে অন্যান্য
প্রচারকগণ করেছিলেন। স্পষ্টত এটি
যিরূশালেম ধ্বংসের আগে ৬০ এবং ৬৫
খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে রচনা করা হয়, মথি
২৪:১। সুসমাচারটি পলেষ্টীয়দের যিহূদী
শিষ্যদের জন্য লেখা হয়। এই সুসমাচারের
সারকথা হল: নাসরতীয় যীশুই প্রতিজ্ঞাত
খ্রীষ্ট এবং তাঁর মধ্যেই প্রাচীন ভাববাদীদের
ভাববাণী পরিপূর্ণতা লাভ করে।
সুসমাচারটিতে পুরাতন নিয়মের এমন
অনেক বিষয় উল্লেখ রয়েছে যা প্রমাণ করে
যে, যীশুই হচ্ছেন সেই খ্রীষ্ট যার বিষয়
মোশি এবং ভাববাদীগণ ব্যবস্থা গ্রন্থে
লিখেছিলেন। এই সুসমাচারে পুরাতন
নিয়ম থেকে কমপক্ষে ৬৫টি উদ্ধৃতি নেওয়া
হয়েছে, যার মধ্যে ৪৩টি মৌখিক উদ্ধৃত
বাক্য, যা অন্যান্য সুসমাচার থেকে অনেক
বেশি। গ্রীক ভাষায় লেখা এই সুসমাচারটি
প্রথম থেকেই মণ্ডলীর বিধানরূপে ¯^ীকৃত।
যদিও মথি এটিকে যিহূদীদের জন্য
লিখেছিলেন, তবুও এটি গ্রীকদের কাছেও
সমাদৃত। এই সুসমাচারের প্রধান বৈশিষ্ট্য
হচ্ছে, এখানে প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে রাজার
গৌরব দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে দায়ূদের
সিংহাসনের অধিকারী হিসেবে দেখানো
হয়েছে। এটি সদাপ্রভুর ¯¦র্গীয় রাজ্যের
সুসমাচার, যে শব্দটি মথি এই সুসমাচারে
৩২ বার উল্লেখ করেছেন। এই সুসমাচারে
কিছুটা ল্যাটিন প্রভাবও দেখা যায়, কারণ
মথি যখন রোমীয় সরকারের জন্য কর
আদায় করতেন সে সময় কথোপকথন
করার জন্য ল্যাটিন ভাষা ব্যবহার করতেন।
এই পুস্তকের ১০৭১টি পদের মধ্যে ৩৮৭টি
পদের সঙ্গে মার্ক এবং লূকের সুসমাচারের
মিল রয়েছে, এর মধ্যে ১৩০টি মার্কের
সাথে এবং ১৮৪টির মিল আছে লূকের
সাথে। এই পুস্তকটি চারটি ভাগে বিভক্ত:
(১) প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বংশ-তালিকা, জন্ম
এবং শৈশব (অধ্যায় ১,২)। (২)
বাপ্তিস্মদাতা যোহনের কার্যক্রম (৩:১-
৪:১১)। (৩) গালীলে প্রভু যীশুর কার্যক্রম
(৪:১২-২০:১৬)। (৪) খ্রীষ্টের দুঃখভোগ,
মৃত্যু ও পুনরুত্থান (২০:১৭-২৮)।
মথূশায়েল:- অর্থ, এলের বিজয়ী, ঈশ্বরের
ম
প্রজা। কয়িনের একজন বংশধর, আদি
৪:১৮।
মদ:- হিব্রæ ভাষায় মদের সাধারণ নাম হল
ইয়াইন যার মূল অর্থ হল সিদ্ধ করা বা
হওয়া/উত্তপ্ত হওয়া। অন্য মূল অর্থ হল
দলিত করা, অর্থাৎ আঙ্গুর ফলকে দলন
করা, নিংড়ানো। মদের গ্রীক শব্দ হল
ওইনোস, আর এর ল্যাটিন শব্দ হল ভিনুন
কিন্তু এইসব হিব্রæ শব্দ ছাড়াও অন্যান্য শব্দ
আছে সেগুলো হল (১) আশিস্সা অর্থাৎ
কিশ্মিশ, ২ শমূ ৬:১৯; ১ বংশা ১৬:৩;
শলো ২:৫; হোশেয় ৩:১, যেগুলো
আঙ্গুরের তৈরি পিঠাকে বুঝানো হয়ে
থাকে। (২) মিষ্টি মদ, নতুন মদ যা একই
বছরে তৈরি হয়ে থাকে, শলো ৮:২; যিশা
৪৯:২৬; যোয়েল ১:৫; ৩:১৮; এবং
আমোষ ৯:১৩; এই সব পদের মাধ্যমে
এই অর্থই প্রকাশ করে যে, পিষিয়ে
নিংড়িয়ে যে, রস বের করা হয়ে থাকে।
এর মধ্য দিয়ে উন্মত্ততার শক্তিকে বুঝানো
হয়। (৩) সিরকা। (৪) আঙ্গুর-রস, দ্বি.বি.
৩২:১৪ আঙ্গুরের নির্যাস, অর্থাৎ রস, যিশা
২৭:২ লাল মদ, ইষ্রা ৬:৯, ৭:২২; দানি
৫:১,২,৪। এই শব্দের মাধ্যমে ফেনিয়ে
উঠা প্রকাশ করে, উত্তেজনাকর বা যখন
ঢালা হয় তখন ফেনিয়ে উঠা বা উত্তপ্ত
হওয়া। এই শব্দটির মূল শব্দ হল হামার
অর্থ সিদ্ধ হওয়ায় রক্তিম বা লাল হওয়া।
(৫) এনাভ্, দ্বি.বি. ৩২:১৪, আঙ্গুরের
নির্যাস, তুমি সুরা পান করো। আদিপুস্তক
৪৯:১১, গণনা ৬:৩, দ্বি.বি. ২৩:২৪ পদে
এর অর্থ আঙ্গুরগুলো। (৬) মেশেখ্,
সঠিকভাবে সুরা, জল এবং মশলাদির
মিশ্রণ, যার দ্বারা উত্তেজনাকর পানীয় তৈরি
হয়, যিশা ৫:২২; গীত ৭৫:৮। লাল
ইয়াইন সুরা, এটি মেশেখ্Ñএর পূর্ণ
সংমিশ্রণ, হিতো ২৩:৩০; মিশ্রিত সুরা,
যিশা ৬৫:১১ সুরা উৎসর্গকরণ। (৭)
তিরশ্, যার প্রকৃত অর্থ সুরা/মদ, দ্বি.বি.
২৮:৫১, নতুন সুরা/মদ, হিতো ৩:১০ মিষ্ট
সুরা/মদ, মীখা ৬:১৫, হিব্রæ শব্দ ভিনটেজ্,
যার মূল অর্থ তিরশ্, উত্তেজক মদ/সুরা।
এষৌর কাছে প্রতিজ্ঞার মধ্যে ছিল শস্য
এবং তিরশ্ মদ/সুরা। পলেষ্টিয় দেশকে
ভ‚ট্টা এবং তিরশ্ মদের দেশ বলা হত,
দ্বি.বি. ৩৩:২৮; যিশা ৩৬:১৭ এবং দ্বি.বি.
২৮:৫১; ২ রাজা ৩২:২৮; যোয়েল ২:১৯;
হোশেয় ৪:১১ এই পদগুলোকেও দেখুন।
(৮) সোভি (এর অর্থ হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত
পান করা, চুমু দিয়ে পান করে শেষ করা)
যিশাইয় ১:২২ এবং হোশেয় ৪:১৮ পদে
উল্লেখ আছে, এবং নহূম ১:১০ পদ
মাতাল/মদ্য পানে মত্ত)। (৯) শেকার
“তেজী মদ বা পানীয়” যে, কোন মাদক
পানীয় যাতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, অর্থ হচ্ছে
ভীষণভাবে মদে আসক্ত, মাতাল হওয়া,
নানা রকম উত্তেজনাকর তরল মদ। গণনা
পুস্তক ২৮:৭, তীব্র মদ। তবে কোন কোন
সময় একে সাধারণ মদ থেকে ভিন্ন করা
হয়। লেবীয় ১০:৯। কোন ইয়াইন বা
কোন শেকার পান করবে না, গণনা ৬:৩;
বিচার ১৩:৪,৭; যিশা ২৮:৭ এই সব
পদেই তেজী মদের কথ বলা হয়েছে।
তেজী মদের কথা উল্লেখ আছে, যিশা
৫:১১; ২৪:৯,২৯:৯; ৫৬:১২; হিতো
২০:১; ৩১:৬; মীখা ২:১১ পদে। (১০)
ইয়েকেভ, দ্বি.বি. ১৬:১৩, মদ মাড়াই কল
যেখান থেকে নতুন মদ তৈরি হয় বা বের
হয়, যোয়েল ২:২৪; ৩:১৩। হিতোপদেশ
৩:১০ তোমার সুরাখানায় নতুন সুরা
(তিরশ্) বাহির হবে, হগয় ২:১৬; যির
৪৮:৩৩, মদ পেষণ যন্ত্র, ২ রাজা ৬:২৭;
ইয়োব ২৪:১১। (১১) শেমারিম, কম বা
ম
মদের তলানি, শেষ ভাগ। যিশাইয় ২৫:৬
পদে এর অর্থ হল মদের তলানি, অল্প
পরিমাণে রাখা মদ যাতে পুরানো মদ হয়।
(১২) মেশেক্, জল মিশানো সুরা নয়, কিন্তু
তেজ বাড়ানোর জন্য কোন মাদক বা
মশলা জাতীয় কোন কিছুর সাথে মেশানো
মদ, তেজী করতে পুরনো মদের সাথে
মিশ্রিত মদ, গীত ৭৫:৮; হিতো ২৩:৩০।
প্রেরিত ২:১৩ পদে যা বলা হয়েছে তাতে
এর শব্দ হল গ্লিউকস, যার অর্থ নতুন সুরা
বা মদ, বিশেষভাবে মিষ্ট নতুন মদ/সুরা।
এটি অবশ্যই মাদক বা উত্তেজক হতে
হবে। মদ ছাড়াও ইব্রীয়রা অন্য একটি
মাদক পানীয় ব্যবহার করতো যাকে হিব্রæ
ভাষায় বলা হত দেবেশ, যা মূল মদ জ্বাল
দিয়ে অর্ধেক বা এক তৃতীয়াংশ পরিমাণ
মদ বের করা হত। আদিপুস্তক ৪৩:১১
পদে এটিকে বলা হত মধু। এটি ছিল এক
রকম সিরাপ আর আরবীয়রা বর্তমানে
দিব্স বলে থাকে। একে “দুগ্ধ মধু
প্রবাহিত দেশ” (দেবেশ) হিসেবে বর্ণনা
করা হয়ে থাকে, যাত্রা ৩:৮,১৭; ১৩:৫;
৩৩:৩; লেবীয় ২০:২৪; গণনা ১৩:২৭।
প্রভু যীশু খ্রীষ্ট গালীলের কান্না নগরে বিবাহ
বাড়িতে অলৌকিকভাবে আঙ্গুররসের
ব্যবস্থা করেছিলেন, যোহন ২:১-১১।
রেখবীয় বংশীয় লোকদের মদ ব্যবহার
নিষিদ্ধ ছিল, যির ৩৫:১। নাসরীয়দের
মাঝেও তাদের প্রতিজ্ঞার সময় মদ্য পান
নিষিদ্ধ ছিল, গণনা ৬:১-৪, এবং যারা
নাসরীয়দের মধ্যে যারা উৎসর্গীকৃত,
তাদের জন্য জন্ম থেকে মদ পান নিষিদ্ধ
ছিল, বিচার ১৩:৪,৫; লূক ১:১৫; ৭:৩৩।
পবিত্র অনুষ্ঠান পরিচালনার সময়
পুরোহিতরাও কোন ধরনের তেজী পানীয়
এবং মদ পান করতে পারতেন না, লেবীয়
১০:১,৯-১০। বর্তমানে মদ পূর্বাঞ্চলে/
প্রাচ্যে কিছুটা ব্যবহার হচ্ছে। যখন মদ
পান করা হত তখন এর সঙ্গে সাধারণত
জল মিশানো হত এবং এটি ছিল প্রভু যীশু
খ্রীষ্টের সময়কার একটি প্রথা। উষ্ণ
এলাকার লোকেরা এই বিষয়ে খুবই
সচেতন, তাই মাতাল লোক খুব একটি
দেখা যায় না। মদ পানে আসক্তির দোষে
দোষী এমন ব্যক্তি প্রাচীনকালে দেখা যেত
না, কারণ বাইবেলে এর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা
পরোক্ষভাবে ৭০ বার নিষেধ করা হয়েছে।
প্রতিদিনকার উৎসর্গ বা উৎসর্গের সঙ্গে মদ
বা আঙ্গুর-রসকেও উৎসর্গ করা হত, যাত্রা
২৯:৪০,৪১; অগ্রিমাংশ উপহারের সাথেও
উৎসর্গ করা হত, লেবীয় ২৩:১৩, আর
অন্যান্য উপহারে সাথেও মদ উৎসর্গ করা
হত, গণনা ১৫:৫,৭,১০। নিস্তার-পর্বের
সময় সুরা ব্যবহার করতো, এবং যখন প্রভু
যীশুর শেষ ভোজের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল
তখন তাড়িশূন্য রুটি এবং আঙ্গুর-রস প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের রক্ত ও দেহের বিষয় স্মরণার্থে
রাখা হয়। নতুন নিয়মে অত্যধিক মদ
পানের বিরুদ্ধে সাবধান বাণী করা আছে,
লূক ২১:৩৪; রোমীয় ১৩:১৩; ইফি
৫:১৮; ১ তীম ৩:৮; তীত ১:৭।
মদ্মন্না:- অর্থ, গোবরের স্ত‚প। (১)
বর্তমানে এল-মিনয়ায় নামে পরিচিত একটি
স্থান, যার অবস্থান যিহূদার দক্ষিণ দিকে
এবং ঘসার ১৫ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে
অবস্থিত, যিহো ১৫:৩১; ১ বংশা ২:৪৯;
আবার অনেকে এই স্থানটিকে র্বে-শেবার
১২ মাইল উত্তর-দক্ষিণ দিকে অবস্থিত উম
ডেমিনাহ্ বলে মনে করেন।
মদ্মেন:- মোয়াবীয়দের একটি শহর, যির
৪৮:২।
ম
মদ্মেনা:- অর্থ, গোবরের পাহাড়।
যিরূশালেমের অনতিদূরে এবং এর উত্তর
অভিমুখে অবস্থিত বিন্যামীন বংশের একটি
শহর, যিশা ১০:৩১; ২৫:১০।
মদান:- অর্থ, তর্ক বা কলহ। কটুরার গর্ভে
অব্রাহামের তৃতীয় পুত্র, আদি ২৫:২।
মধু:- (১) হিব্রæ “ইয়ার,” ১ শমূ
১৪:২৫,২৭,২৯; শলো ৫:১; মৌমাছির
মধু। (২) হিব্রæ “নোফেথ,” যে মধু ঝরে
পড়ে, গীত ১৯:১০; হিতো ৫:৩; শলো
৪:১১। (৩) হিব্রæ “দেবাশ,” মৌমাছির
মধু, বিচার ১৪:৮; গাছের মৌচাকের মধু,
আদি ৪৩:১১; যিহি ২৭:১৭। (৪) হিব্রæ
“সুফ,” মৌচাকের মধু ভরা কোষ, হিতো
১৬:২৪; গীত ১৯:১০। (৫) বনমধু, মথি
৩:৪; গাছ থেকে আহরণ করা উদ্ভিদ মধু,
পাথর বা গাছে মৌমাছির জমানো মধু,
দ্বি.বি. ৩২:১৩; গীত ৮১:১৬; ১ শমূ
১৪:২৫-২৯। কনানী ছিল দুধ ও মধু
প্রবাহী দেশ, যাত্রা ৩:৮। প্রাচীনকালে দুধ
ও মধু ছিল প্রধান সু¯^াদু খাবার, যা
বর্তমানে বেদুইনদের মধ্যে দেখা যায়।
মাখন এবং মধুও খাদ্য তালিকার ভেতর
অন্তর্ভুক্ত করা হত, যিশা ৭:১৫। প্রাচীন
কালের মানুষেরা চিনির বদলে মধু ব্যবহার
করতো, গীত ১১৯:১০৩; হিতো ২৪:১৩;
কিন্তু মধু বেশি পরিমাণে খেলে তা বমির
কারণ হতে পারে, হিতো ২৫:১৬,১৭।
মিষ্টি কথার ক্ষেত্রে মধু ও দুধের উদাহরণ
দেওয়া হয়, শলো ৪:১১।
মধ্যস্থ:- একজন মীমাংসাকারী মধ্যস্থ
ব্যক্তি; বাদী ও বিবাদী কর্তৃক মনোনীত
বেসরকারী বিচারক বা বিচারপূর্বক
মীমাংসাকারী, ইয়োব ৯:৩৩; শব্দটি
এসেছে ল্যাটিন “ডায়াম ডিক্রি” শব্দ
কাজ চলছে
পৃষ্টা
727