পবিত্র বাইবেল ডিকশনারী । Bengali Bible Carey Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন) বাইবেল অভিধান
ভক্তি:- ল্যাটিন “পাইটাস”। পিতামাতার প্রতি প্রদর্শিত যথাযোগ্য মর্যাদা, ১ তীম ৫:৪; প্রেরিত ১৭:২৩; ঈশ্বরের প্রতি নিবেদিত প্রশংসা ও উপাসনা করা; শ্রদ্ধা ও আনুগত্য প্রদর্শন করা। যিহূদীদের রীতি ছিল এরকমÑ তারা খালি পায়ে নৈবেদ্য উৎসর্গ করতো ও পবিত্র জায়গায় খালি পায়ে থাকতো, যাত্রা ৩:৫; যিহো ৫:১৫, এবং ভক্তিসহকারে হাঁটু পেতে প্রণাম করে সদাপ্রভুর সেবা ও উপাসনা করতো, আদি ১৭:৩; গীত ৯৫:৬; যিশা ৪৪:১৫,১৭,১৯, ৪৬:৬। “পুত্রকে সম্মান দেখিয়ে চুম্বন করা,” গীত ২:১২, এর মধ্য দিয়ে তাঁর সেবা করা, দানি ৩:৫,৬। অবশ্য এই শব্দটি পবিত্র শাস্ত্রে উল্লেখ করা হয় নি। “তাদের চু¤¦ন করবার উদ্দেশ্যে যদি আমার হাতে চু¤¦ন করে থাকি....” ইয়োবের সময়ে এভাবে অন্যের হাত নিয়ে মুখ দিয়ে চুমু দেবার মাধ্যমে গভীর সম্মান ও ভক্তি দেখানো হত, ইয়োব ৩১:২৬,২৭; ৪০:৪। নতুন নিয়মে শুধুমাত্র ঈশ্বরকেই উপাসনা করার মাধ্যমে সম্মান দেখাতে বলা হয়েছে, কোন ¯¦র্গদূত ও সাধু ব্যক্তিকে এমন উচ্চ সম্মান দেখাতে নিষেধ করা হয়েছে, লূক ৪:৮; প্রেরিত ১০:২৫,২৬; প্রকা ১৯:১০; ২২:৮,৯।
ভক্তি:- ল্যাটিন “পাইটাস”। পিতামাতার প্রতি প্রদর্শিত যথাযোগ্য মর্যাদা, ১ তীম ৫:৪; প্রেরিত ১৭:২৩; ঈশ্বরের প্রতি নিবেদিত প্রশংসা ও উপাসনা করা; শ্রদ্ধা ও আনুগত্য প্রদর্শন করা। যিহূদীদের রীতি ছিল এরকমÑ তারা খালি পায়ে নৈবেদ্য উৎসর্গ করতো ও পবিত্র জায়গায় খালি পায়ে থাকতো, যাত্রা ৩:৫; যিহো ৫:১৫, এবং ভক্তিসহকারে হাঁটু পেতে প্রণাম করে সদাপ্রভুর সেবা ও উপাসনা করতো, আদি ১৭:৩; গীত ৯৫:৬; যিশা ৪৪:১৫,১৭,১৯, ৪৬:৬। “পুত্রকে সম্মান দেখিয়ে চুম্বন করা,” গীত ২:১২, এর মধ্য দিয়ে তাঁর সেবা করা, দানি ৩:৫,৬। অবশ্য এই শব্দটি পবিত্র শাস্ত্রে উল্লেখ করা হয় নি। “তাদের চু¤¦ন করবার উদ্দেশ্যে যদি আমার হাতে চু¤¦ন করে থাকি....” ইয়োবের সময়ে এভাবে অন্যের হাত নিয়ে মুখ দিয়ে চুমু দেবার মাধ্যমে গভীর সম্মান ও ভক্তি দেখানো হত, ইয়োব ৩১:২৬,২৭; ৪০:৪। নতুন নিয়মে শুধুমাত্র ঈশ্বরকেই উপাসনা করার মাধ্যমে সম্মান দেখাতে বলা হয়েছে, কোন ¯¦র্গদূত ও সাধু ব্যক্তিকে এমন উচ্চ সম্মান দেখাতে নিষেধ করা হয়েছে, লূক ৪:৮; প্রেরিত ১০:২৫,২৬; প্রকা ১৯:১০; ২২:৮,৯।
ভণ্ড:- ছদ্মবেশধারী, যে মুখোশ পরে থাকে, যা নয় তার ভান করে যে ব্যক্তি। ভণ্ডামির জন্য অধ্যাপক ও ফরীশীদেরকে আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট কড়া ভাষায় ধমক দিয়েছেন, মথি ৬:২,৫,১৬; ভণ্ডদের আশা ধ্বংস হয়ে যাবে, ইয়োব ৮:১৩। অধার্মিক, ঈশ্বরঅবজ্ঞাকারী, পাপ দ্বারা দূষিত, যির ২৩:১১।
ভণ্ড খ্রীষ্ট:- প্রভু যীশু খ্রীষ্ট তাঁর শিষ্যদেরকে সর্তক করে বলেন যে, অনেক ভণ্ড খ্রীষ্ট ও ভণ্ড ভাববাদী আসবে, মথি ২৪:২৪। বিভিন্ন সময়ে কম হলেও চব্বিশ জন খ্রীষ্টরূপী ভণ্ড ভাববাদীর আগমন হয়। ভবঘুরে:- এই শব্দটি ল্যাটিন শব্দ
ভ্যাগাব্যাণ্ডা থেকে এসেছে, “ভ্রমণকারী” “পলাতক,” আদি ৪:১২, “ভ্রমণকারী,” গীত ১০৯:১০; প্রেরিত ১৯:১৩। ভবিষ্যদ্বাণী:- ভবিষ্যতে কি হবে সে বিষয়ে আগাম বলা, ভাববাদীগণের বাণী; একটি অলৌকিক জ্ঞান, মানুষের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোন ঘোষণা, ভবিষ্যৎ ঘটনার বর্ণনা। সমগ্র পুরাতন নিয়ম জুড়ে অনেক ¯^র্ণালীভবিষ্যদ্বাণী মালার মত গাঁথা রয়েছে, যেখানে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট সম্পর্কিত অনেক বিষয় চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
এই সব ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী খ্রীষ্টের
আগমন সম্পর্কে মানুষের মনের মধ্যে
বিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে এবং তাঁর আগমনের
জন্য এই পৃথিবীকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
কিন্তু এই সব ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্যে আরও
অনেক সাহায্যকারী, মধ্যবর্তীকালীন ও
অন্তবর্তী কালীন ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে,
যেগুলো মহান ঈশ্বরের সার্বভৌম ক্ষমতাকে
প্রকাশ করে এবং তিনি যে সব গুরুত্বপূর্ণ
কাজ করতে যাচ্ছেন তা আমাদের সামনে
তুলে ধরে। বাইবেলে আমরা দেখি: যিহূদী
জাতির বিষয়ে ও এর প্রতিষ্ঠাতা অব্রাহামের
বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী, আদি ১২:১-৩;
১৩:১৬; ১৫:৫; ১৭:২,৪-৬; তাঁর বংশধর
ইসহাক ও যাকোব এবং তাঁদের
বংশধরদের সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী, আদি
১২:৭; ১৩:১৪,১৫,১৭; ১৫:১৮-২১; যাত্রা
৩:৮,১৭; এই সকল ভবিষ্যদ্বাণীর সফল
বাস্তবায়ন ঘটেছে। স্মরণীয় কয়েকটি
ভবিষ্যদ্বাণীর বক্তা হলেন: ভাববাদী
যিশাইয়, যিশা ২:১৮-২১; ভাববাদী
যিরমিয়, যির ২৭:৩-৭; ২৯:১১-১৪;
ভাববাদী যিহিষ্কেল, যিহি ৫:১২; ৮
অধ্যায়; ভাববাদী দানিয়েল, দানি ৮:১;
৯:২৬,২৭; ভাববাদী হোশেয়, হোশেয়
৯:১৭। নিয়ম-কানুনের বহু ভবিষ্যদ্বাণী
মানুষের জীবনে পূর্ণতা লাভ করেছে।
বিভিন্ন জাতি সম্পর্কে পবিত্র শাস্ত্রে অনেক
ভবিষ্যদ্বাণী আছে, যেমন: সোর, যিহি
২৬:৩-৫; ১৪:২১; মিশর; যিহি
২৯:১০,১৫; ৩০:৬,১২,১৩; ইথিওপিয়া,
নহূম ৩:৮-১০; নীনবী, নহূম ১:১০; ২:৮-
১৩; ৩:১৭-১৯; বাবিল, যিশা ১৩:৪; যির
৫১:৭; যিশা ৪৪:২৭; যির ৫০:৩৮;
৫১:৩৬,৩৯,৫৭; প্যালেষ্টাইন, যির ৪৭:৪-
৭; যিহি ২৫:১৫-১৭; আমোষ ১:৬-৮;
সফ ২:৪-৭; সখ ৯:৫-৮; চারটি বিশাল
সাম্রাজ্য, দানি ২:৩৯,৪০; ৭:১৭-২৪;
৮:৯। পুরাতন নিয়মের অধিকাংশ
ভবিষ্যদ্বাণী সরাসরি খ্রীষ্টের আগমনকে
নিয়ে, যার সূচনা আদিপুস্তক ৩:১৫ পদে।
সৃষ্টির প্রথম থেকে পুরাতন নিয়মের শেষ
পুস্তক পর্যন্ত সমস্ত ইতিহাস জুড়ে নানাভাবে
খ্রীষ্টের নানা রকম কাজের ভবিষ্যদ্বাণী
রয়েছে। খ্রীষ্ট সম্পর্কে সকল ভাববাদী
ভবিষ্যদ্বাণী বলেছেন, মীখা ৫:২; হগয়
২:৬-৯; যিশা ৭:১৪; ৯:৬,৭; ১১:১,২;
৫৩:১; যিশা ৬০:১০,১৩; গীত ১৬:১১;
৬৮:১৮। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট এবং তাঁর
সুসমাচার সম্পর্কে অসংখ্য ভবিষ্যদ্বাণী
নিম্নোক্ত পদে পূর্ণতা লাভ করেছে, মথি
১০:২৩-২৪; ১১:২৩; ১৯:২৮;
২১:৪৩,৪৪; ২৪:১; মথি ২৫:৩১-৪৬;
ভ
২৬:১৭-৩৫,৪৬,৬৪; মার্ক ৯:১; ১০:৩০;
১৩:১; মার্ক ১১:১-৬,১৪; ১৪:১২-
৩১,৪২,৬২; ১৬:১৭। দেখুন: নবী।
ভল্লুক:- পশ্চিম এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের
বাসিন্দা, পবিত্র শাস্ত্রে যাদের নাম বার বার
উল্লেখ করতে দেখা যায়। এরা
বেশিরভাগই পলেষ্টীয়দের জঙ্গলে বসবাস
করতো এবং এদের অনেকগুলো
তৃণভোজী। দায়ূদ ভল্লুকের আক্রমণ থেকে
তাঁর ভেড়ার পালকে রক্ষা করেছিলেন, এটি
ছিল সিরীয় লাল রঙের ভল্লুক, ১ শমূ
১৭:৩৪-৩৭। গোটা পুরাতন নিয়মে এই
সিরীয় ভল্লুকের কথা উল্লেখ করা হয়েছ,
যার বৈজ্ঞানিক নাম ‘উরসাস
সাইরিয়াকাস’। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে
ভল্লুকেরা সেই ছেলেদের মেরে ফেলেছিল,
যারা ইলিশায়কে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ বা হাসিতামাশা করেছিল, ২ রাজা ২:২৪। তাদের
¯^ভাব সম্পর্কে যিশা ৫৯:১১; হিতো
২৮:১৫ ও বিলাপ ৩:১০ পদে বর্ণনা
করতে দেখা যায়। ভল্লুকীর কাছ থেকে
তার বাচ্চা কেড়ে নিলে তার মধ্যে হিংস্রতা
দেখা যায়, ২ শমূ ১৭:৮; হিতো ১৭:১২
এবং হোশেয় ১৩:৮ পদে বর্ণনা করা
আছে। চারটি মহান রাজত্বের বিষয়ে
দানিয়েলের দর্শনকে (পারসিয়ান রাজত্ব)
ভল্লুকের সাথে তুলনা করা হয়েছে, দানি
৭:৫।
ভ¶্য-নৈবেদ্য / শস্য-উৎসর্গ:- শস্য
উৎসর্গ, আক্ষরিক অর্থে রক্তপাতহীন উৎসর্গ
বা উৎসর্গ, লেবীয় ২:১; লেবীয় ৬:১৪-
২৩; হিব্রæ “মিনহা”। সদাপ্রভু ঈশ্বরের
অপরিসীম সার্বভৌম ক্ষমতা এবং পৃথিবীতে
অনুগ্রহ হিসেবে তিনি যে উদারতার সঙ্গে
সবকিছু অকৃপণভাবে দান করেছেন, তারই
¯^ীকৃতি ¯^রূপ এই উৎসর্গ করা হত, ১
বংশা ২৯:১০-১৪; দ্বি.বি. ২৬:৫-১১।
ঈশ্বর সদাপ্রভুর ¯^ীকৃতির জন্য এই উৎসর্গ
করা হত এবং এই উৎসর্গটি পাপ উৎসর্গের
উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়। পশু
উৎসর্গের অনুকরণে সাধারণত এটি করা
হয়ে থাকে। প্রতিদিনই হোম বলির বা সঙ্গে
এই উৎসর্গ দেওয়া হত, যাত্রা
২৯:৪০,৪১। এই উৎসর্গের উপকরণ
বিশেষ উপায়ে তৈরি করা হত, যেমন:
খামিহীন মিহি ময়দা দিয়ে তৈরি তেলের
ময়ান দেওয়া পিঠা বা তেল লাগানো
চাপাটি। এর সঙ্গে থাকতো লোবান, যার
গন্ধে সদাপ্রভু খুশি হতেন।
ভাই:- (১) ¯^াভাবিক অর্থে ভাই বলা
হয়েছে, মথি ১:২; লূক ৩:১, ১৯ (২)
কাছের বা নিকট আত্মীয় যেমন কাকাতো,
খালাতো, মামাতো ভাই, আদি ১৩:৮;
১৪:১৬; মথি ১২:৪৬; যোহন ৭:৩;
প্রেরিত ১:১৪; গালা ১:১৯। (৩) সাধারণত
দেশের লোক বা জাতি ভাই, মথি ৫:৪৭;
প্রেরিত ৩:২২; ইব্রীয় ৭:৫; (৪) একজন
বিশ্বাসী বা খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাসী, মথি
২৫:৪০; ইব্রীয় ২:১১,১২। (৫) একই
বিশ্বাসে বিশ্বাসী লোক, আমোষ ১:৯;
প্রেরিত ৯:৩০; ১১:২৯; ১ করি ৫:১১।
প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের প্রভু যীশুর
অনুসারীগণ ভ্রাতৃবৃন্দ বা ভাই সকল বলে
পরিচিত ছিল। (৬) কার্যালয়ের সহকর্মী,
ইষ্রা ৩:২; ১ করি ১:১; ২ করি ১:১। (৭)
একই এলাকার লোক, আদি ৯:৫,১৯:৭;
মথি ৫:২২,২৩,২৪; ৭:৫; ইব্রীয় ২:১৭।
(৮) প্রেম-প্রীতি ভালবাসার কারণে একে
অপরের সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, ২ শমূ
১:২৬; প্রেরিত ৬:৩; ১ থিষ ৫:১। প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের নিজের ভ্রাতৃগণ, মথি
ভ
১:২৫,১২:৪৬,৫০; মার্ক ৩:৩১,৩২; গালা
১:১৯; ১ করি ৯:৫; সম্ভবত যোষেফ এবং
মরিয়মের ছোট ছেলেমেয়েরা। তাদের
যোষেফের সন্তান বলে দেখানো হয়েছে।
ভাগ:- শব্দটির মূল গ্রীক অর্থ হচ্ছে “ভাগ
করা” বা “ভাগ হওয়া’। প্রেরিত পৌল এই
বিষয়ে সতর্ক করেছেন যেন আমাদের
মণ্ডলীতে এমন ভাগাভাগি না আসে, ১ করি
১২:২৫।
ভাগ্যদেব:- বাবিলীয়দের ভাগ্যের দেবতা,
ইস্রায়েলীয়রা ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভুলে এই
দেবতার উপাসনা করতে শুরু করে, যিশা
৬৫:১১।
ভাজার কড়াই:- (হিব্রæ শব্দ, ‘মারহেশহেথ’
অর্থ ‘সিদ্ধকারী’) মাংস সিদ্ধ করার
উপযোগী একটি পাত্র, লেবীয় ২:৭; ৭:৯।
ভাণ্ডার:- (১) হিব্রæ শব্দ অটসার, ধনসম্পদের ভাণ্ডার, বিভিন্ন জিনিসপত্র রাখার
স্থান এবং এটি এমন একটি স্থান যেখানে
শস্য জমা করে রাখা হয়, যোয়েল ১:১৭;
২ বংশা ৩২:২৭। (২) হিব্রæ শব্দ মেচেভ,
কোষাগার, মজুদঘর বা গোলাঘর, গীত
১৪৪:১৩; গ্রীক শব্দ এ্যাপোথেকি, মজুদ
রাখার স্থান, গোলাঘর, মথি ৩:১২; লূক
৩:১৭। (৩) মাটির নিচে ধনুকাকৃতির ঘর,
ভাণ্ডার ঘর, ১ বংশা ২৭:২৮। ঈশ্বরের
গৃহের ধন ভাণ্ডার, ১ রাজা ৭:৫১;
রাজবাড়ির ধন ভাণ্ডার, ১ রাজা ১৪:২৬।
হিব্রæ শব্দ “গার্নার” এর অনুবাদ করা
হয়েছে শস্য ভাণ্ডার বা গোলাঘর হিসেবে,
যোয়েল ১:১৭; অস্ত্রশস্ত্রের ঘর, যির
৫০:২৫। মদ বা আঙ্গুর-রস কিংবা তেল
রাখার জন্য মাটির নিচে গুদামঘর তৈরি
করা হত, ১ বংশা ২৭:২৭,২৮; এই
গুদামঘর বলতে বাড়ি বা ঘরের নিচের
কোন গর্ত, বরং যেকোন স্থানেই এই গুদাম
ঘর তৈরি করা হত। (৪) ১ বংশাবলী
২৬:১৫,১৭ পুরোহিতদের ব্যবহার্য
জিনিসপত্রাদি রাখার গুদাম ঘর। (৫)
মন্দিরের তহবিল, মথি ২৭:৬; মার্ক
১২:৪১; যোহন ৮:২০; এর জন্য কোন
পৃথক দালান-কোঠা তৈরি করা হয় নি।
পিতল নির্মিত তেরোটি ভাণ্ড বা সিন্দুকের
জন্য এই নামটি দেওয়া হয়েছিল, যা
মন্দিরে উপাসনাকারীদের জন্য রাখা হত।
এটি মহিলাদের সভাস্থলের বহির্ভাগে রাখা
হয়েছিল। এর নয়টি রাখা হয়েছিল টাকা
সংগ্রহের ও উৎসর্গ করার জন্য, যেমন
উৎসর্গ করার বিনিময়ে দানের টাকা রাখার
জন্য। আর বাকি চারটি ভাণ্ড ছিল ¯ে^চ্ছাকৃত
দান রাখার জন্য যেমন, কাঠ, সুগন্ধি
উপহার বা উপাসনা-স্থান সাজানোর দান
রাখার জন্য বা উৎসর্গ উপহারের অর্থ
রাখার জন্য।
ভাণ্ডারের নগর:- যে নগরটি ইস্রায়েলীয়রা
মিশরীয়দের জন্য তৈরি করেছিল, যাত্রা
১:১১। যে শহরগুলোতে রাজা দায়ূদের
ধনাগারগুলো স্থাপন করা হয়েছিল সেগুলো
বিশেষভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, ১ বংশা
২৭:২৫ পদে।
ভাববাদী:- নবী, ভবিষ্যদ্বক্তা, গীত ৪৫:১;
হিব্রæ “নাবি,” অর্থাৎ “ঝর্ণা ধারার বুদবুদ”
বা “ব্যক্ত করা”। ভাববাদী শমূয়েলকে
সময়ে “রো’ইচ” বা “দর্শক” হিসেবে
অভিহিত করা হয়, ১ শমূ ৯:৯; মোট ৭
বার তাঁকে এই নামে অভিহিত করা
হয়েছে। পরবর্তীতে “হোজ” বা “দর্শক”
শব্দটির প্রচলন শুরু হয়, ২ শমূ ২৪:১১।
ভ
১ বংশাবলী ২৯:২৯ পদে ভাববাদী
শমূয়েলকে “রো’ইচ,” ভাববাদী নাথনকে
“নাবি” এবং ভাববাদী গাদকে “হোজ”
বলা হয়েছে। যিহোশূয় ১৩:২২ পদে
বিলিয়মকে হিব্রæ “কোসেম” বা মন্ত্রজ্ঞ বা
গণক নামে সম্বোধন করা হয়েছে, শব্দটি
ভণ্ড ভাববাদীর বেলায় ব্যবহৃত হত।
ভাববাদীগণ তাঁদের কাছে দেওয়া বার্তা বা
ঈশ্বরের দর্শন অনুসারে লোকদের কাছে তা
ঘোষণা করেন, গণনা ১২:৬,৮; তাই তাঁরা
সদাপ্রভুর বাক্যের ঘোষক। তাঁরা সদাপ্রভুর
পক্ষে কথা বলেন, যাত্রা ৭:১; যেন তাঁদের
মুখ দিয়েই সদাপ্রভু লোকদের সাথে কথা
বলেন, যির ১:৯; যিশা ৫১:১৬। সেই
থেকে এই কথা প্রচলিত হয় যে, ভাববাদীর
কথা তাঁর নিজের কথা নয়, বরং সদাপ্রভুর
কথা, ২ পিতর ১:২০,২১; ইব্রীয় ৩:৭;
প্রেরিত ৪:২৫; ২৮:২৫। একজন ভাববাদী
মানুষের প্রতি সদাপ্রভুর ইচ্ছা প্রকাশ
করেন, দ্বি.বি. ১৮:১৮,১৯। ঈশ্বরের সব
কথা ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবে একজন ভাববাদী
লিপিবদ্ধ করে রাখেন।
সদাপ্রভু ভাববাদীদেরকে মানুষের নৈতিক
ও ধর্মীয় রীতিনীতির অপব্যবহার থেকে মন
ফেরানোর মহান দায়িত্ব দিয়েছেন, যারা
তাঁর সত্য ধর্মের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রচার
করবে। সেজন্য ঈশ্বরের বাক্য প্রচারকদের
ভাববাদী বলা যায়, যেমন আদি পিতা
হনোক, অব্রাহাম এবং অন্যান্য ভাববাদীগণ
সদাপ্রভুর বাক্য বয়ে নিয়ে এসেছেন, আদি
২০:৭; যাত্রা ৭:১; গীত ১০৫:১৫।
এমনিভাবে মোশির মহান একজন
ভাববাদী, দ্বি.বি. ১৮:১৫; ৩৪:১০;
হোশেয় ১২:১৩। ইস্রায়েলের প্রাচীনদের
মধ্যে ৭০ জন ভাববাদী ছিলেন, গণনা
১১:১৬-২৯; যখন পবিত্র আত্মা তাদের
উপর নেমে আসত তখন তারা ভবিষ্যদ্বাণী
বলতেন। এছাড়া রাজা দায়ূদের আমলে
আসফ ও যিদূথূন সুরবাহার বাজিয়ে
সদাপ্রভুর বাক্য প্রকাশ করতেন, ১ বংশা
২৫:৩। মরিয়ম ও দবোরা ভবিষ্যদ্বাণী
করেন, যাত্রা ১৫:২০; বিচার ৪:৪। যারা
সদাপ্রভুর বাক্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেন
তাদের সকলকেই ভাববাদী বলা হয়।
ভবিষ্যদ্বাণী বলার দান সেই প্রথম থেকেই
ব্যবহৃত হয়েছে এবং শমূয়েলের সময়
থেকেই ভাববাদীর কাজের ধারা শুরু হয়।
ভাববাদীদের শিক্ষালয় হচ্ছে ভাববাদীদের
প্রশিক্ষণ দানের একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে
শিষ্য-ভাববাদীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত,
সেরকম একটি ধারা ১ শমূয়েল ১৯:১৮-
২৪ এবং ২ রাজা ২:৩,১৫; ৪:৩৮ অধ্যায়
থেকে শুরু হয়ে পুরাতন নিয়মের শেষ
পর্যন্ত দেখা যায়। রামা, বৈথেল, গিল্গল,
গিব্বাহ্ ও যীরিহো যিরীহোতে এই
বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। সেখানকার ছাত্ররা
সকলে যুবক ছিল, ২ রাজা ৫:২২; ৯:১,৪;
তারা সকলে মিলে এই বিদ্যালয়ে থাকতো,
২ রাজা ৪:৩৮-৪১। তারা এখানে শুধুমাত্র
প্রাথমিক শিক্ষাই গ্রহণ করতেন না, বরং
তারা এখানে ভাববাদী-পদের শিক্ষা লাভ
করতেন এবং কিভাবে যিহোবার কাছে
প্রার্থনা করতে হয়, তাঁর উপাসনা করতে
হয়, নৈতিকভাবে জীবন-যাপন করতে হয়
সেই সব বিষয়ে প্রচার শুনতেন এবং
পুরোহিতদের সাথে এক হয়ে অন্যায়
অত্যাচারের বিরুদ্ধে কাজ করতেন।
প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনেকবার ভাববাদীর মত
ভবিষ্যদ্বাণী বলেছেন, লূক ১৩:৩৩;
২৪:১৯। তিনি মণ্ডলীর জন্য এক মহা
ভাববাদী ছিলেন। ঈশ্বরের মাধ্যমে তিনি
মণ্ডলীর মধ্য দিয়ে সত্য প্রকাশ করেছেন।
পুরাতন নিয়মের ১৬ জন ভাববাদীকে ৪
ভাগে ভাগ করা যায়: (১) ইস্রায়েলের
ভ
উত্তরাঞ্চলীয় ভাববাদীগণ: হোশেয়,
আমোষ, যোয়েল ও যোনা। (২) যিহূদার
ভাববাদীগণ: যিশাইয়, যিরমিয়, ওবদিয়,
মীখা, নাহূম, হবক্ক্কুক ও সফনিয়। (৩)
বন্দীদশার সময়কালীন ভাববাদীগণ:
যিহিষ্কেল ও দানিয়েল। (৪) পুর্নগঠনকারী
ভাববাদীগণ: হগয়, সখরিয় ও মালাখি।
ভারুই:- আরবী শব্দ “কোয়েল”।
ইস্রায়েলীয়দের জন্য দু’বার অলৌকিকভাবে
ভারুই পাখি পাঠানো হয়, যাত্রা ১৬:১৩;
গণনা ১১:৩১,৩২। গীতসংহিতা ১০৫:৪০
পদে ভারুইয়ের সাথে মান্নার উল্লেখ করা
হয়েছে। যাত্রা ১৬:১৩ পদে ঈশ্বরের দান
হিসেবে প্রথমবার ভারুই পাখি পাঠানোর
কথা উল্লেখ করা হয়। গীতসংহিতা
৭৮:২৭,৩১ পদে ইস্রায়েলীয়দের প্রতি
ঈশ্বরের শাস্তি প্রদান হিসেবে দ্বিতীয়বার
ভারুই প্রেরণ করার কথা উল্লেখ করা
হয়েছে, গণনা ১১ অধ্যায়; গীতসংহিতা
১০৬:১৪,১৫। দক্ষিণ-পূর্বমুখী বাতাস
এদের লোহিত সাগরের সাথে সংযুক্ত
আটলান্টিক উপসাগর থেকে উড়িয়ে নিয়ে
আসে। বুক সমান উচ্চতায় এদের দীর্ঘ
বহর উড়ে আসে এবং ইস্রায়েলীয়রা সহজে
ও নিশ্চিন্তে
গতানুগতিকভাবে বাতাসে ভর
করে নিচ দিয়ে উড়ে আসে। ইস্রায়েলীয়রা
প্রত্যেকেই কমপক্ষে ১,৮০০ কেজি করে
মাংস সংগ্রহ করে এবং লবণ দিয়ে ও
শুকিয়ে সংরক্ষণ করার জন্য চারপাশে
ছড়িয়ে রাখে। ঐ মাংস খাওয়ার ফলে
ঈশ্বরের ক্রোধ তাদের উপর নেমে আসে।
প্রচণ্ড ক্ষুধা না মেটা পর্যন্ত সমস্ত মাস ধরে
তারা ঐ মাংস খায়, ফলে অতিভোজন
এবং প্রতিক‚ল উষ্ণ আবহাওয়ায় তারা
অসুস্থ হয়ে পড়ে। অলৌকিকভাবে ঈশ্বর এ
কাজ চলছে
পৃষ্টা
710