পবিত্র বাইবেল ডিকশনারী । Bengali Bible Carey Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
লক্কুম:- নপ্তালি বংশকে বসবাসের জন্য
দেওয়া একটি শহর, যিহো ১৯:৩৩।
লগোস:- একটি বিশেষ গ্রীক দার্শনিক ও
ধর্মতাত্তি¡ক ধারণা; যুক্তির নীতিগত
প্রগতিশীল চিন্তাধারা, এবং মানুষ ও
ঈশ্বরের মধ্যে যোগাযোগ-সম্বন্ধের ধারণা
গঠনকারী শব্দ। নতুন নিয়মে বিশেষ
তিনটি স্থানে এই শব্দটি ব্যবহার করা
হয়েছে, যোহন ১:১; ১ যোহন ১:১ ও প্রকা
১৯:১৩।
লক্কুম:- নপ্তালি বংশকে বসবাসের জন্য
দেওয়া একটি শহর, যিহো ১৯:৩৩।
লগোস:- একটি বিশেষ গ্রীক দার্শনিক ও
ধর্মতাত্তি¡ক ধারণা; যুক্তির নীতিগত
প্রগতিশীল চিন্তাধারা, এবং মানুষ ও
ঈশ্বরের মধ্যে যোগাযোগ-সম্বন্ধের ধারণা
গঠনকারী শব্দ। নতুন নিয়মে বিশেষ
তিনটি স্থানে এই শব্দটি ব্যবহার করা
হয়েছে, যোহন ১:১; ১ যোহন ১:১ ও প্রকা
১৯:১৩।
পৌলও এই গ্রীক শব্দটিকে
বিশেষ করে তাঁর যিহূদা-হেলেনীয় বংশের
লোকদের কাছে যীশু খ্রীষ্টকে তুলে ধরবার
জন্য ব্যবহার করেছেন।
লঘু পদসঞ্চার:- হালকা পায়ে কায়দা করে
হাঁটা, ছোট ছোট পদক্ষেপে দ্রুত হাঁটা,
হেলে-দুলে ঢং করে হাঁটা, যিশা ৩:১৬;
হিব্রæ শব্দ টফোহ্।
লজিয়া:- সুসমাচারে উল্লেখ নেই যীশুর
এমন কথার উদ্ধৃতি দেওয়াকে সংক্ষেপে
লজিয়া বলা হয়, যেমন পৌল বলেছেন,
খ্রীষ্টের এই কথা আমাদের মনে রাখা উচিত
যে, ‘পাওয়ার চেয়ে দেওয়াতে আরও বেশি
আশীর্বাদ রয়েছে,’ প্রেরিত ২০:৩৫। সাধু
থোমার লেখা সুসমাচার বলে খ্যাত
পুস্তকটি ১৯৪৫ খ্রীষ্টাব্দে আবিষ্কৃত হবার
পর এবং ১৯৫৯ খ্রীষ্টাব্দে এটি জনসাধারণের মাঝে চলে আসার পর অনেক
মণ্ডলী এমন লজিয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে
ওঠে।
লপ্পীদোত:- অর্থ, মশাল। মহিলা ভাববাদী
দবোরা ছিলেন লপ্পীদোতের স্ত্রী, বিচার
৪:৪। কেউ কেউ বর্ণনাটিকে “অগ্নিমূর্তি
ধারণকারী মহিলা” হিসেবে অনুবাদ
করেছেন, কেউ কেউ আবার মনে করেছেন
যে, লপ্পীদোত আসলে প্রকৃত কোন নাম
নয়, অগ্নিমূর্তি ধারণকারী কোন মহিলার
রূপকে বোঝাতে এটিকে একটি কাল্পনিক
নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
লবণ:- মানুষ ও পশুর খাবারের ¯^াদ বা
রুচিবর্ধক খাদ্যউপাদান। পূর্ব দেশে
বিশেষত নিরামিষ খাবারে লবণের প্রয়োজন
হয়, ইয়োব ৬:৬; যিশা ৩০:২৪। প্রাণীর
খাবারের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
বিভিন্ন প্রকার উৎসর্গ, তা শস্য উৎসর্গ
হোক আর পোড়ানো উৎসর্গ হোক, সব
উৎসর্গের মধ্যে লবণ দিতে হত। লেবীয়
২:১৩ অনুসারে, “ঈশ্বর তাদের জন্য যে
ব্যবস্থা স্থাপন করেছেন তার দরুন শস্য
উৎসর্গ থেকে লবণ বাদ দেওয়া চলবে না,”
যিহি ৪৩:২৪; মার্ক ৯:৪৯,৫০। এতে
দেখা যায় ঈশ্বর সদাপ্রভুর ভালবাসা
কখনও নষ্ট হয় না, অমর হয়ে থাকে তাঁর
লোকদের মাঝে; যেমন পচন-নিবারক
লবণের অর্থ হচ্ছে স্থায়ীত্ব বাড়িয়ে দেওয়া,
পবিত্রতা এবং বিশ্বস্ততা। এর বিপরীত শব্দ
হল “খামি,” যার প্রতীক হচ্ছে দূষণ।
“লবণ ব্যবস্থা হচ্ছে সদাপ্রভুর চিরকালের
অটল ব্যবস্থা,” যা কখনও শেষ হবে না,
গণনা ১৮:১৯; ২ বংশা ১৩:৫; ইষ্রা
৪:১৪। একজন আরবীয়, যে তোমার
কাছে ডাকাতি করতে এসেছে বা খুন
করতে সামনে এসেছে, যদি কোনদিন তুমি
তার নুনের ¯^াদ গ্রহণ কর তাহলে সে
x
তোমাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাবে;
“নুনের বিশ্বস্ততা” একটি পারস্য রীতি, নুন
খেলে নিমকহারামী করা যায় না। তাই প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের কথা অনুসারে আমাদের
অন্তরের মধ্যে লবণ রাখতে হবে এবং
একে অন্যের সাথে শান্তিতে থাকতে হবে।
ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে উৎসর্গের জন্য ও
মানুষের খাদ্যের জন্য লবণ অত্যন্ত
প্রয়োজন, এটি ছাড়া কোন কিছুই
গ্রহণযোগ্য হয় না, সুতরাং অন্তরের শান্তি
ছাড়া উৎসর্গও অর্থহীন। পৌল বলেছেন,
“তোমাদের কথাবার্তা সর্বদা অনুগ্রহ
সহযুক্ত হোক্, লবণে আস¦াদযুক্ত হোক্,
কাকে কেমন উত্তর দিতে হয়, তা যেন
তোমরা জানতে পার,” কল ৪:৬। অর্থাৎ
পরিত্রাণ প্রার্থীর অন্য কিছু থাকুক আর না
থাকুক, আত্মিক বিজ্ঞতা থাকতে হবে।
¯^াদহীন সব কিছু অর্থহীন, মথি ৫:১৩;
ইফি ৪:২৯।
কলসী শহরের কাছে একটি লবণ হ্রদ ছিল,
তাই এর প্রভাব সবার জানা ছিল। মার্ক
৯:৪৯ পদের ধারণা এখান থেকে এসেছে,
“লবণ দেওয়ার মত প্রত্যেকের উপর
আগুন দেওয়া হবে।” সদাপ্রভুর শত্রæদের
জন্য বলা হয়েছে, অন্তরে যদি লবণ থাকে
তবে সে ধ্বংস হবে না (লবণ কোন কিছু
সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা ক্ষয়
রোধ করে), কিন্তু শেষ বিচারের দিনে যার
যার কাজ আগুনের মধ্য দিয়ে যাচাই করে
প্রকাশ করা হবে, ১ করি ৩:১৩; ১ পিতর
১:৭; ৪:১২। প্রত্যেকের দোষ অবশ্যই
ক্ষমা করতে হবে, আমাদেরকে আগুনের
মধ্য দিয়ে ধার্মিকতা যাচাই করতে হবে
এবং সদাপ্রভুর সামনে সম্মান ও মর্যাদার
সাথে দাঁড়াতে হবে।
লবণ-সাগরের দক্ষিণ তীর অধিক লবণ
যোগান দেয়, তুলনা করা হয়েছে “লবণ
উপত্যকার” সাথে, ২ শমূ ৮:১৩; যা
লবণের পাহাড়ের কাছে অবস্থিত। এটি
ল
দৈর্ঘ্যে পাঁচ মাইল এবং সমুদ্রটির লবণের
প্রধান উৎস। মরু-সাগরের দক্ষিণ অংশে
লবণের গভীর গর্ত ছিল; এখানে লবণের
¯ূÍপ হত এবং বসন্তকালে জল বেড়ে গেলে
আস্তে আস্তে গলে যেত এবং গরমকালে
বাতাসে মিশে যেত। এখানে লবণের স্তম্ভ
আছে, যা ঐতিহ্যগতভাবে বলা হয় লোটের
স্ত্রীর লবণ স্তম্ভ। দেখুন: লোট।
¯^াদহীন লবণ পায়ে মাড়াবার জন্য ব্যবহার
হয়, মথি ৫:১৩; লূক ১৪:৩৫। অতিরিক্ত
লবণের জন্য কোন ফসল হয় না, দ্বি.বি.
২৯:২৩; সফ ২:৯। “লবণ ছড়ানো”
বলতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহরের লোকদের
উৎখাত করা বোঝানো হয়, বিচার ৯:৪৫;
গীত ১০৭:৩৪। লবণ পবিত্র করার জন্য
ব্যবহৃত হয়ে থাকে, যা ভাববাদী ইলিশায়
জল বিশুদ্ধ করার বাহ্যিক চিহ্ন হিসেবে
ব্যবহার করেছিলেন, ২ রাজা ২:২০-২১।
ইস্রায়েলীয়রা শিশুদের জন্মের পর গায়ে
লবণ মাখিয়ে ত্বক জীবানুমুক্ত করতো,
এবং পবিত্র করে সদাপ্রভু ঈশ্বরের কাছে
উৎসর্গ করতো, যিহি ১৬:৪।
লবণ-উপত্যকা:- হিব্রæ শব্দ, “গি,” আরও
সঠিকভাবে বলা যায়, “সঙ্কীর্ণ গিরিসঙ্কট,”
মেলাক। যিহূদা ও ইদোমের মাঝখানে
যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে রাজা দায়ূদ এবং রাজা
অমৎসিয় জয়লাভ করেছিলেন (দেখুন:
অবীশয়, যোয়াব), ২ শমূ ৮:১৩; ১ বংশা
১৮:১২; গীত ৬০ অধ্যায়ের শিরোনাম; ১
রাজা ১১:১৫,১৬; ২ রাজা ১৪:৭; ২ বংশা
২৫:১১। লবণ পাহাড়ের কাছে (উসদুম)
আরবাহ্র উপরের অংশ অথবা লবণসমুদ্রের দক্ষিণের সমভ‚মি; যিহূদা এবং
ইদোমের মধ্যবর্তী সীমানা। অমৎসিয় দশ
হাজার কারাবন্দী নিয়ে ইদোমের শক্তিশালী
এলাকা সেলাতে (পেট্রা) এসেছিলেন
এবং তাদের উৎখাত করে মরু-সাগরের
নিকটবর্তী এলাকা থেকে তিনি অনেক বন্দী
নিয়ে এসেছিলেন। দেশটি পঞ্চাশ
মাইলব্যাপী শত্রæ ও বিবাদমান লোকে পূর্ণ
ছিল। সম্ভবত লবণ উপত্যকা পেট্রার
কাছে অবস্থিত ছিল।
লবণ-নগর:- মরুভ‚মিতে ঐন্-গদী ও মরুসাগরের নিকটবর্তী একটি নগর, যিহো
১৫:৬২। ভ্যান-ডি-ভেলড্ িবলেছেন,
চারটি গিরিসঙ্কটের ভিতর একটি হল নহরমালেহ্ (লবণ নগর), যা একত্রিত হয়ে
এল-বেদিম উপত্যকা তৈরি করেছে; অন্য
উপত্যকাটি হল “অমরাহ্” (ঘমোরা?)।
লবণ-সাগর:- বর্তমান মরু-সাগর। হর্মোণ
পাহাড় থেকে একাবাহ্ উপসাগর পর্যন্ত
বিস্তৃত বড় উপত্যকার মাঝখানে অবস্থিত,
আদি ১৪:৩; গণনা ৩৪:৩,১২। “সমভ‚মির
সাগর” (আরবার) দ্বি.বি. ৩:১৭, ৪:৪৯;
যিহো ৩:১৬। “পূর্ব সাগর,” যিহি
৪৭:৮,১০,১১; যোয়েল ২:২০। “সাবেক
সাগর”-এর বিপরীতে আছে “গতিরোধকারী
সাগর,” অর্থাৎ ভ‚মধ্যসাগর; কারণ
সমুদ্রটির দিকে মুখ করে দাঁড়ালে দর্শকের
সামনের দিক হচ্ছে পূর্ব এবং পিছনের দিক
হচ্ছে পশ্চিম, সখ ১৪:৮। এটি তিপ্পান্ন
মাইল লম্বা এবং গড়ে দশ মাইল চওড়া।
ভ‚মধ্যসাগরের উপরিভাগের স্তর সাধারণ
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,২৯২ ফুট নিচে অবস্থিত,
বিভিন্ন ঋতুতে এর পরিমাপ কম বেশি
হয়। এর উত্তর দিকের গভীরতা সবচেয়ে
বেশি, ১৩০৮ ফুট। এর লবণাক্ততা,
সুনির্দিষ্ট পরিমাণ মধ্যাকর্ষণ শক্তি এবং
ভাসিয়ে রাখার ক্ষমতা সকলেরই জানা।
সমুদ্রটির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে পাহাড়ের
মাটিতে লবণের ¯ূÍপ থাকার দরুন এই
ল
সমুদ্র এত বেশি লবণাক্ত এবং এখান থেকে
খুব তাড়াতাড়ি বিশুদ্ধ জল বাষ্পে পরিণত
হয়ে যায়। কোন প্রাণী অথবা উদ্ভিদ
এখানে বাঁচতে পারে না। এর উপক‚ল
কঠিন লবণের আবরণে ঢাকা। ১৮৩৪ ও
১৮৩৭ খ্রীষ্টাব্দের ভ‚মিকম্পে ভ‚মধ্যসাগরের
তলদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ আলকাতরা
উত্তোলিত হয়ে দক্ষিণ তীরে জমা হয়েছে।
উত্তরদিকের গভীর তলদেশ দক্ষিণ দিকে
বিস্তৃতি লাভ করেনি। মি: টায়ারহুইট
ড্রেকের পর্যবেক্ষণ অনুসারে দেখা যায় যে,
এর তলদেশ এখন পর্যন্ত নিচে বসে
যাচ্ছে। দক্ষিণ তীরের লিসান ও পশ্চিম
তীরের মধ্যবর্তী হেঁটে পার হওয়ার স্থানটি
দিয়ে এখন আর পার হওয়া যায় না, যদিও
কয়েক বছর আগে এখানকার গভীরতা
মাত্র তিন ফুট ছিল। রিজম এল বার এবং
মূল ভ‚খণ্ডের মধ্যবর্তী পাথর বাঁধানো উঁচু
রাস্তাটি গত বারো বছর যাবৎ জলে ডুবে
আছে, যদিও আগে প্রায়ই এই জায়গা
শুকনা থাকতো। ড: ট্রিস্ট্রামের মতবাদ
অনুসারে মনে করা হয় যে, ইংরেজদের চক
উত্তোলন যুগের পরে সমতল এলাকার
অনেকগুলো হ্রদ একত্রে মিশে ভ‚মধ্যসাগর
তৈরি করেছে। সমতল ভ‚মি হতে নিম্নভ‚মির
মাটির স্তর অবিরত ক্ষয় হচ্ছে, তাপ এবং
বাষ্প দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে
মেরোম, গালীল এবং মরু-সাগর হ্রদ
তিনটি অবশিষ্ট আছে, যা শুধুমাত্র জলীয়
বাষ্পের উপর নির্ভর করে এর স্তর রক্ষা
করে চলেছে। কণ্ডার পুরানো বড় হ্রদটির
পূর্বতন তীরের সীমানা খুঁজে পেয়েছেন।
দক্ষিণ উপসাগর ¯^ল্প গভীর এবং এর তীর
জলাভ‚মিবিশিষ্ট। সম্ভবত এটি মূল যর্দনের
সমভ‚মিতে সিদ্দীম উপত্যকায় অবস্থিত।
সম্ভবত যর্দন নদী প্রকৃতপক্ষে প্রবাহিত
হয়েছে আরবার থেকে একেবারে উপসাগর
পর্যন্ত। সাগরের দক্ষিণ দিকটা প্রচুর
পরিমাণে লবণ, আলকাতরা, সালফার এবং
নাইট্রেট অব পটাশে পূর্ণ। সিদ্দীম
উপত্যকার বর্ণনায় বলা হয়েছে,
“আলকাতরায় ভরা অনেক গর্ত;”
আদিপুস্তক ১৪ অধ্যায় অনুসারে সদোমের
ধ্বংস হয় আগুনের বৃষ্টি ও গন্ধকের দ্বারা,
এবং লোটের স্ত্রী শহর ছেড়ে পালানোর
সময় পিছনে ফিরে তাকানোর ফলে লবণের
একটি থাম হয়ে যান। এই স্থানটি যে
সদোম না, তা পবিত্র শাস্ত্রের কোথায়ও
বলা হয়নি, দ্বি.বি. ২৯:২৩; যির ৪৯:১৮;
৫০:৪০; সফ ২:৯; ২ পিতর ২:৬।
যোসেফাস বলেন যে, সদোমীয়রা পুড়ে
গেছে এবং তারা সকলে আলকাতরার
হ্রদের সাথে মিশে গেছে। পুরানো সাক্ষ্য
অনুসারে বর্তমানে সাগরের গঠন প্রণালী,
এর আলকাতরা, নোনা জল, আগ্নেয়গিরির
মুখ, ঐতিহ্যগতভাবে এর নাম (উসদুম)
এবং ঐতিহ্যগত সোরের স্থান (যোসেফাস
একে “আরবের সোর” বলেছেন), লবণের
পাহাড় (যা ঐতিহ্যগত লোটের স্ত্রীর নাম
অনুসারে হয়েছে), সব কিছুই দক্ষিণ দিকে
যা সদোমের অনুকূলে। লোট বৈথেল এবং
আইসরের মাঝামাঝি স্থান থেকে
এসেছিলেন এবং তিনি যর্দনের চারদিকে
ভ্রমণরত অবস্থায় বাস করতেন। পুরো
উপত্যকাটির উত্তর এবং দক্ষিণ অঞ্চল
উর্বর ছিল এবং বেশ জল ছিল। তখনও
সদোম ও ঘমোরা ধ্বংস করা হয়নি, আদি
১৩:১০। এর আগে হ্রদটি তুলনামূলকভাবে
ছোট ছিল এবং সদোম ধ্বংস হবার পর
এটি আস্তে আস্তে বেড়ে গিয়ে নিচু
উপত্যকাটি ছেয়ে ফেলে। এটি পূর্বদিকের
একটি উপদ্বীপের কারণে ডিম্বাকার আকৃতিতে
দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেছে, যা দক্ষিণের
উপহ্রদের বাইরে। এর দশ মাইল (পুরো
ল
দৈর্ঘ্যরে চার ভাগের এক ভাগ) হচ্ছে
অগভীর, মাঝখানে বারো ফুট থেকে
কিনারার তিন ফুট পর্যন্ত বিভিন্ন মাপের
গভীরতা রয়েছে। এর উত্তরের তলদেশ
জাফা উপকূল স্তরের চেয়ে আধ মাইল
এবং যিরূশালেমের ভ‚পৃষ্ঠের স্তরের চেয়ে
এক মাইলের দুই-তৃতীয়াংশ পরিমাণ
গভীর। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর
নিম্নভ‚মি। চারপাশের অঞ্চলের অনেক
স্থানই উর্বর এবং জীবজন্তু ও উদ্ভিদে
পরিপূর্ণ হয়ে ছাপিয়ে উঠেছে। কিন্তু
প্রত্যেকটি জীবন্ত বস্তু যর্দন বহন করে জলে
মধ্যে নিয়ে যায় এবং তা সেখানে গিয়ে
মারা যায়। অন্য যে কোন জলে চেয়ে এর
নির্দিষ্ট মধ্যাকর্ষণ শক্তি বেশি। এক গ্যালন
বিশুদ্ধ জলে ওজন দশ পাউন্ড, কিন্তু এখানে
এক গ্যালন জলে ওজন ১২.৫ পাউন্ডের
বেশি। যিনি এখানে এর আগে কোনদিন
সাঁতার কাটে নি, তিনি এখানে বসতে
পারেন, দাঁড়াতে পারেন, শুতে পারেন,
এমন কি সাঁতারও কাটতে পারেন।
সাধারণ লোনা জলে যে সব উপাদান আছে
এখানে তার ছয়গুণ বেশি আছে: তিন
ভাগের এক ভাগ সাধারণ লবণ বা
সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং তিন ভাগের দুই
ভাগ ম্যাগনেশিয়াম ক্লোরাইড। বাকি
অংশের মধ্যে আছে মূল উপাদান
ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, এবং এর পাশাপাশি
অল্প পরিমাণে সিলিকা, বিটুমিন এবং
ব্রোমাইন। এর জল দেখতে মসৃণ
তেলতেলে, কিন্তু আসলে এটি ¯^চ্ছ,
চকচকে এবং সাধারণত পরিষ্কার। চুন ও
প্রাকৃতিক লবণ চামড়ায় ঘাম তৈরি করে
এবং এ কারণে জল খুবই মসৃণ বা তৈলাক্ত
মনে হয়। চারদিকে দ্রুত প্রচুর পরিমাণে
সালফার বের হয় এবং তা সমতল স্তরের
উপর ছড়িয়ে পড়ে। শুধুমাত্র কাছের শহর
বিশেষ করে তাঁর যিহূদা-হেলেনীয় বংশের
লোকদের কাছে যীশু খ্রীষ্টকে তুলে ধরবার
জন্য ব্যবহার করেছেন।
লঘু পদসঞ্চার:- হালকা পায়ে কায়দা করে
হাঁটা, ছোট ছোট পদক্ষেপে দ্রুত হাঁটা,
হেলে-দুলে ঢং করে হাঁটা, যিশা ৩:১৬;
হিব্রæ শব্দ টফোহ্।
লজিয়া:- সুসমাচারে উল্লেখ নেই যীশুর
এমন কথার উদ্ধৃতি দেওয়াকে সংক্ষেপে
লজিয়া বলা হয়, যেমন পৌল বলেছেন,
খ্রীষ্টের এই কথা আমাদের মনে রাখা উচিত
যে, ‘পাওয়ার চেয়ে দেওয়াতে আরও বেশি
আশীর্বাদ রয়েছে,’ প্রেরিত ২০:৩৫। সাধু
থোমার লেখা সুসমাচার বলে খ্যাত
পুস্তকটি ১৯৪৫ খ্রীষ্টাব্দে আবিষ্কৃত হবার
পর এবং ১৯৫৯ খ্রীষ্টাব্দে এটি জনসাধারণের মাঝে চলে আসার পর অনেক
মণ্ডলী এমন লজিয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে
ওঠে।
লপ্পীদোত:- অর্থ, মশাল। মহিলা ভাববাদী
দবোরা ছিলেন লপ্পীদোতের স্ত্রী, বিচার
৪:৪। কেউ কেউ বর্ণনাটিকে “অগ্নিমূর্তি
ধারণকারী মহিলা” হিসেবে অনুবাদ
করেছেন, কেউ কেউ আবার মনে করেছেন
যে, লপ্পীদোত আসলে প্রকৃত কোন নাম
নয়, অগ্নিমূর্তি ধারণকারী কোন মহিলার
রূপকে বোঝাতে এটিকে একটি কাল্পনিক
নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
লবণ:- মানুষ ও পশুর খাবারের ¯^াদ বা
রুচিবর্ধক খাদ্যউপাদান। পূর্ব দেশে
বিশেষত নিরামিষ খাবারে লবণের প্রয়োজন
হয়, ইয়োব ৬:৬; যিশা ৩০:২৪। প্রাণীর
খাবারের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
বিভিন্ন প্রকার উৎসর্গ, তা শস্য উৎসর্গ
হোক আর পোড়ানো উৎসর্গ হোক, সব
উৎসর্গের মধ্যে লবণ দিতে হত। লেবীয়
২:১৩ অনুসারে, “ঈশ্বর তাদের জন্য যে
ব্যবস্থা স্থাপন করেছেন তার দরুন শস্য
উৎসর্গ থেকে লবণ বাদ দেওয়া চলবে না,”
যিহি ৪৩:২৪; মার্ক ৯:৪৯,৫০। এতে
দেখা যায় ঈশ্বর সদাপ্রভুর ভালবাসা
কখনও নষ্ট হয় না, অমর হয়ে থাকে তাঁর
লোকদের মাঝে; যেমন পচন-নিবারক
লবণের অর্থ হচ্ছে স্থায়ীত্ব বাড়িয়ে দেওয়া,
পবিত্রতা এবং বিশ্বস্ততা। এর বিপরীত শব্দ
হল “খামি,” যার প্রতীক হচ্ছে দূষণ।
“লবণ ব্যবস্থা হচ্ছে সদাপ্রভুর চিরকালের
অটল ব্যবস্থা,” যা কখনও শেষ হবে না,
গণনা ১৮:১৯; ২ বংশা ১৩:৫; ইষ্রা
৪:১৪। একজন আরবীয়, যে তোমার
কাছে ডাকাতি করতে এসেছে বা খুন
করতে সামনে এসেছে, যদি কোনদিন তুমি
তার নুনের ¯^াদ গ্রহণ কর তাহলে সে
x
তোমাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাবে;
“নুনের বিশ্বস্ততা” একটি পারস্য রীতি, নুন
খেলে নিমকহারামী করা যায় না। তাই প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের কথা অনুসারে আমাদের
অন্তরের মধ্যে লবণ রাখতে হবে এবং
একে অন্যের সাথে শান্তিতে থাকতে হবে।
ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে উৎসর্গের জন্য ও
মানুষের খাদ্যের জন্য লবণ অত্যন্ত
প্রয়োজন, এটি ছাড়া কোন কিছুই
গ্রহণযোগ্য হয় না, সুতরাং অন্তরের শান্তি
ছাড়া উৎসর্গও অর্থহীন। পৌল বলেছেন,
“তোমাদের কথাবার্তা সর্বদা অনুগ্রহ
সহযুক্ত হোক্, লবণে আস¦াদযুক্ত হোক্,
কাকে কেমন উত্তর দিতে হয়, তা যেন
তোমরা জানতে পার,” কল ৪:৬। অর্থাৎ
পরিত্রাণ প্রার্থীর অন্য কিছু থাকুক আর না
থাকুক, আত্মিক বিজ্ঞতা থাকতে হবে।
¯^াদহীন সব কিছু অর্থহীন, মথি ৫:১৩;
ইফি ৪:২৯।
কলসী শহরের কাছে একটি লবণ হ্রদ ছিল,
তাই এর প্রভাব সবার জানা ছিল। মার্ক
৯:৪৯ পদের ধারণা এখান থেকে এসেছে,
“লবণ দেওয়ার মত প্রত্যেকের উপর
আগুন দেওয়া হবে।” সদাপ্রভুর শত্রæদের
জন্য বলা হয়েছে, অন্তরে যদি লবণ থাকে
তবে সে ধ্বংস হবে না (লবণ কোন কিছু
সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা ক্ষয়
রোধ করে), কিন্তু শেষ বিচারের দিনে যার
যার কাজ আগুনের মধ্য দিয়ে যাচাই করে
প্রকাশ করা হবে, ১ করি ৩:১৩; ১ পিতর
১:৭; ৪:১২। প্রত্যেকের দোষ অবশ্যই
ক্ষমা করতে হবে, আমাদেরকে আগুনের
মধ্য দিয়ে ধার্মিকতা যাচাই করতে হবে
এবং সদাপ্রভুর সামনে সম্মান ও মর্যাদার
সাথে দাঁড়াতে হবে।
লবণ-সাগরের দক্ষিণ তীর অধিক লবণ
যোগান দেয়, তুলনা করা হয়েছে “লবণ
উপত্যকার” সাথে, ২ শমূ ৮:১৩; যা
লবণের পাহাড়ের কাছে অবস্থিত। এটি
ল
দৈর্ঘ্যে পাঁচ মাইল এবং সমুদ্রটির লবণের
প্রধান উৎস। মরু-সাগরের দক্ষিণ অংশে
লবণের গভীর গর্ত ছিল; এখানে লবণের
¯ূÍপ হত এবং বসন্তকালে জল বেড়ে গেলে
আস্তে আস্তে গলে যেত এবং গরমকালে
বাতাসে মিশে যেত। এখানে লবণের স্তম্ভ
আছে, যা ঐতিহ্যগতভাবে বলা হয় লোটের
স্ত্রীর লবণ স্তম্ভ। দেখুন: লোট।
¯^াদহীন লবণ পায়ে মাড়াবার জন্য ব্যবহার
হয়, মথি ৫:১৩; লূক ১৪:৩৫। অতিরিক্ত
লবণের জন্য কোন ফসল হয় না, দ্বি.বি.
২৯:২৩; সফ ২:৯। “লবণ ছড়ানো”
বলতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহরের লোকদের
উৎখাত করা বোঝানো হয়, বিচার ৯:৪৫;
গীত ১০৭:৩৪। লবণ পবিত্র করার জন্য
ব্যবহৃত হয়ে থাকে, যা ভাববাদী ইলিশায়
জল বিশুদ্ধ করার বাহ্যিক চিহ্ন হিসেবে
ব্যবহার করেছিলেন, ২ রাজা ২:২০-২১।
ইস্রায়েলীয়রা শিশুদের জন্মের পর গায়ে
লবণ মাখিয়ে ত্বক জীবানুমুক্ত করতো,
এবং পবিত্র করে সদাপ্রভু ঈশ্বরের কাছে
উৎসর্গ করতো, যিহি ১৬:৪।
লবণ-উপত্যকা:- হিব্রæ শব্দ, “গি,” আরও
সঠিকভাবে বলা যায়, “সঙ্কীর্ণ গিরিসঙ্কট,”
মেলাক। যিহূদা ও ইদোমের মাঝখানে
যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে রাজা দায়ূদ এবং রাজা
অমৎসিয় জয়লাভ করেছিলেন (দেখুন:
অবীশয়, যোয়াব), ২ শমূ ৮:১৩; ১ বংশা
১৮:১২; গীত ৬০ অধ্যায়ের শিরোনাম; ১
রাজা ১১:১৫,১৬; ২ রাজা ১৪:৭; ২ বংশা
২৫:১১। লবণ পাহাড়ের কাছে (উসদুম)
আরবাহ্র উপরের অংশ অথবা লবণসমুদ্রের দক্ষিণের সমভ‚মি; যিহূদা এবং
ইদোমের মধ্যবর্তী সীমানা। অমৎসিয় দশ
হাজার কারাবন্দী নিয়ে ইদোমের শক্তিশালী
এলাকা সেলাতে (পেট্রা) এসেছিলেন
এবং তাদের উৎখাত করে মরু-সাগরের
নিকটবর্তী এলাকা থেকে তিনি অনেক বন্দী
নিয়ে এসেছিলেন। দেশটি পঞ্চাশ
মাইলব্যাপী শত্রæ ও বিবাদমান লোকে পূর্ণ
ছিল। সম্ভবত লবণ উপত্যকা পেট্রার
কাছে অবস্থিত ছিল।
লবণ-নগর:- মরুভ‚মিতে ঐন্-গদী ও মরুসাগরের নিকটবর্তী একটি নগর, যিহো
১৫:৬২। ভ্যান-ডি-ভেলড্ িবলেছেন,
চারটি গিরিসঙ্কটের ভিতর একটি হল নহরমালেহ্ (লবণ নগর), যা একত্রিত হয়ে
এল-বেদিম উপত্যকা তৈরি করেছে; অন্য
উপত্যকাটি হল “অমরাহ্” (ঘমোরা?)।
লবণ-সাগর:- বর্তমান মরু-সাগর। হর্মোণ
পাহাড় থেকে একাবাহ্ উপসাগর পর্যন্ত
বিস্তৃত বড় উপত্যকার মাঝখানে অবস্থিত,
আদি ১৪:৩; গণনা ৩৪:৩,১২। “সমভ‚মির
সাগর” (আরবার) দ্বি.বি. ৩:১৭, ৪:৪৯;
যিহো ৩:১৬। “পূর্ব সাগর,” যিহি
৪৭:৮,১০,১১; যোয়েল ২:২০। “সাবেক
সাগর”-এর বিপরীতে আছে “গতিরোধকারী
সাগর,” অর্থাৎ ভ‚মধ্যসাগর; কারণ
সমুদ্রটির দিকে মুখ করে দাঁড়ালে দর্শকের
সামনের দিক হচ্ছে পূর্ব এবং পিছনের দিক
হচ্ছে পশ্চিম, সখ ১৪:৮। এটি তিপ্পান্ন
মাইল লম্বা এবং গড়ে দশ মাইল চওড়া।
ভ‚মধ্যসাগরের উপরিভাগের স্তর সাধারণ
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,২৯২ ফুট নিচে অবস্থিত,
বিভিন্ন ঋতুতে এর পরিমাপ কম বেশি
হয়। এর উত্তর দিকের গভীরতা সবচেয়ে
বেশি, ১৩০৮ ফুট। এর লবণাক্ততা,
সুনির্দিষ্ট পরিমাণ মধ্যাকর্ষণ শক্তি এবং
ভাসিয়ে রাখার ক্ষমতা সকলেরই জানা।
সমুদ্রটির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে পাহাড়ের
মাটিতে লবণের ¯ূÍপ থাকার দরুন এই
ল
সমুদ্র এত বেশি লবণাক্ত এবং এখান থেকে
খুব তাড়াতাড়ি বিশুদ্ধ জল বাষ্পে পরিণত
হয়ে যায়। কোন প্রাণী অথবা উদ্ভিদ
এখানে বাঁচতে পারে না। এর উপক‚ল
কঠিন লবণের আবরণে ঢাকা। ১৮৩৪ ও
১৮৩৭ খ্রীষ্টাব্দের ভ‚মিকম্পে ভ‚মধ্যসাগরের
তলদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ আলকাতরা
উত্তোলিত হয়ে দক্ষিণ তীরে জমা হয়েছে।
উত্তরদিকের গভীর তলদেশ দক্ষিণ দিকে
বিস্তৃতি লাভ করেনি। মি: টায়ারহুইট
ড্রেকের পর্যবেক্ষণ অনুসারে দেখা যায় যে,
এর তলদেশ এখন পর্যন্ত নিচে বসে
যাচ্ছে। দক্ষিণ তীরের লিসান ও পশ্চিম
তীরের মধ্যবর্তী হেঁটে পার হওয়ার স্থানটি
দিয়ে এখন আর পার হওয়া যায় না, যদিও
কয়েক বছর আগে এখানকার গভীরতা
মাত্র তিন ফুট ছিল। রিজম এল বার এবং
মূল ভ‚খণ্ডের মধ্যবর্তী পাথর বাঁধানো উঁচু
রাস্তাটি গত বারো বছর যাবৎ জলে ডুবে
আছে, যদিও আগে প্রায়ই এই জায়গা
শুকনা থাকতো। ড: ট্রিস্ট্রামের মতবাদ
অনুসারে মনে করা হয় যে, ইংরেজদের চক
উত্তোলন যুগের পরে সমতল এলাকার
অনেকগুলো হ্রদ একত্রে মিশে ভ‚মধ্যসাগর
তৈরি করেছে। সমতল ভ‚মি হতে নিম্নভ‚মির
মাটির স্তর অবিরত ক্ষয় হচ্ছে, তাপ এবং
বাষ্প দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে
মেরোম, গালীল এবং মরু-সাগর হ্রদ
তিনটি অবশিষ্ট আছে, যা শুধুমাত্র জলীয়
বাষ্পের উপর নির্ভর করে এর স্তর রক্ষা
করে চলেছে। কণ্ডার পুরানো বড় হ্রদটির
পূর্বতন তীরের সীমানা খুঁজে পেয়েছেন।
দক্ষিণ উপসাগর ¯^ল্প গভীর এবং এর তীর
জলাভ‚মিবিশিষ্ট। সম্ভবত এটি মূল যর্দনের
সমভ‚মিতে সিদ্দীম উপত্যকায় অবস্থিত।
সম্ভবত যর্দন নদী প্রকৃতপক্ষে প্রবাহিত
হয়েছে আরবার থেকে একেবারে উপসাগর
পর্যন্ত। সাগরের দক্ষিণ দিকটা প্রচুর
পরিমাণে লবণ, আলকাতরা, সালফার এবং
নাইট্রেট অব পটাশে পূর্ণ। সিদ্দীম
উপত্যকার বর্ণনায় বলা হয়েছে,
“আলকাতরায় ভরা অনেক গর্ত;”
আদিপুস্তক ১৪ অধ্যায় অনুসারে সদোমের
ধ্বংস হয় আগুনের বৃষ্টি ও গন্ধকের দ্বারা,
এবং লোটের স্ত্রী শহর ছেড়ে পালানোর
সময় পিছনে ফিরে তাকানোর ফলে লবণের
একটি থাম হয়ে যান। এই স্থানটি যে
সদোম না, তা পবিত্র শাস্ত্রের কোথায়ও
বলা হয়নি, দ্বি.বি. ২৯:২৩; যির ৪৯:১৮;
৫০:৪০; সফ ২:৯; ২ পিতর ২:৬।
যোসেফাস বলেন যে, সদোমীয়রা পুড়ে
গেছে এবং তারা সকলে আলকাতরার
হ্রদের সাথে মিশে গেছে। পুরানো সাক্ষ্য
অনুসারে বর্তমানে সাগরের গঠন প্রণালী,
এর আলকাতরা, নোনা জল, আগ্নেয়গিরির
মুখ, ঐতিহ্যগতভাবে এর নাম (উসদুম)
এবং ঐতিহ্যগত সোরের স্থান (যোসেফাস
একে “আরবের সোর” বলেছেন), লবণের
পাহাড় (যা ঐতিহ্যগত লোটের স্ত্রীর নাম
অনুসারে হয়েছে), সব কিছুই দক্ষিণ দিকে
যা সদোমের অনুকূলে। লোট বৈথেল এবং
আইসরের মাঝামাঝি স্থান থেকে
এসেছিলেন এবং তিনি যর্দনের চারদিকে
ভ্রমণরত অবস্থায় বাস করতেন। পুরো
উপত্যকাটির উত্তর এবং দক্ষিণ অঞ্চল
উর্বর ছিল এবং বেশ জল ছিল। তখনও
সদোম ও ঘমোরা ধ্বংস করা হয়নি, আদি
১৩:১০। এর আগে হ্রদটি তুলনামূলকভাবে
ছোট ছিল এবং সদোম ধ্বংস হবার পর
এটি আস্তে আস্তে বেড়ে গিয়ে নিচু
উপত্যকাটি ছেয়ে ফেলে। এটি পূর্বদিকের
একটি উপদ্বীপের কারণে ডিম্বাকার আকৃতিতে
দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেছে, যা দক্ষিণের
উপহ্রদের বাইরে। এর দশ মাইল (পুরো
ল
দৈর্ঘ্যরে চার ভাগের এক ভাগ) হচ্ছে
অগভীর, মাঝখানে বারো ফুট থেকে
কিনারার তিন ফুট পর্যন্ত বিভিন্ন মাপের
গভীরতা রয়েছে। এর উত্তরের তলদেশ
জাফা উপকূল স্তরের চেয়ে আধ মাইল
এবং যিরূশালেমের ভ‚পৃষ্ঠের স্তরের চেয়ে
এক মাইলের দুই-তৃতীয়াংশ পরিমাণ
গভীর। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর
নিম্নভ‚মি। চারপাশের অঞ্চলের অনেক
স্থানই উর্বর এবং জীবজন্তু ও উদ্ভিদে
পরিপূর্ণ হয়ে ছাপিয়ে উঠেছে। কিন্তু
প্রত্যেকটি জীবন্ত বস্তু যর্দন বহন করে জলে
মধ্যে নিয়ে যায় এবং তা সেখানে গিয়ে
মারা যায়। অন্য যে কোন জলে চেয়ে এর
নির্দিষ্ট মধ্যাকর্ষণ শক্তি বেশি। এক গ্যালন
বিশুদ্ধ জলে ওজন দশ পাউন্ড, কিন্তু এখানে
এক গ্যালন জলে ওজন ১২.৫ পাউন্ডের
বেশি। যিনি এখানে এর আগে কোনদিন
সাঁতার কাটে নি, তিনি এখানে বসতে
পারেন, দাঁড়াতে পারেন, শুতে পারেন,
এমন কি সাঁতারও কাটতে পারেন।
সাধারণ লোনা জলে যে সব উপাদান আছে
এখানে তার ছয়গুণ বেশি আছে: তিন
ভাগের এক ভাগ সাধারণ লবণ বা
সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং তিন ভাগের দুই
ভাগ ম্যাগনেশিয়াম ক্লোরাইড। বাকি
অংশের মধ্যে আছে মূল উপাদান
ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, এবং এর পাশাপাশি
অল্প পরিমাণে সিলিকা, বিটুমিন এবং
ব্রোমাইন। এর জল দেখতে মসৃণ
তেলতেলে, কিন্তু আসলে এটি ¯^চ্ছ,
চকচকে এবং সাধারণত পরিষ্কার। চুন ও
প্রাকৃতিক লবণ চামড়ায় ঘাম তৈরি করে
এবং এ কারণে জল খুবই মসৃণ বা তৈলাক্ত
মনে হয়। চারদিকে দ্রুত প্রচুর পরিমাণে
সালফার বের হয় এবং তা সমতল স্তরের
উপর ছড়িয়ে পড়ে। শুধুমাত্র কাছের শহর