পবিত্র বাইবেল ডিকশনারী । Bengali Bible Carey Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন) বাইবেল অভিধান
বক্না বাছুর:- গোবৎসা; হিব্রæ “এগলাহ,”
দ্বি.বি. ২১:৪,৬; যির ৪৬:২০; শিক্ষাপ্রাপ্ত
নয় এমন গরুর কাঁধে যোয়াল দেওয়া,
হোশেয় ১০:১১; দুগ্ধবতী, যিশা ৭:২১;
জমি চাষ, বিচার ১৪:১৮; ফসল মাড়াই
করা, যির ৫০:১১; যোয়ালের কাছে নত না
হওয়া যিহূদার একটি প্রতীক, যিশা ১৫:৫;
যির ৪৮:৩৪। হিব্রæ “পারাহ,” আদি
৪১:২; গণনা ১৯:২; যোয়ালী বহন করা,
হোশেয় ৪:১৬; “বাশনের বাছুর,”
শমরিয়ার ভোগবিলাসী নারীদের রূপক
নাম, আমোষ ৪:১।
নিয়ম-কানুনের ধারায়
বর্ণিত “লাল বক্না বাছুরের” উৎসর্গ,
গণনা ১৯:১-১০; ইব্রীয় ৯:১৩।
বচ:- ল্যাটিন কেইন, হিব্রæ কানেহ্। যাত্রা
৩০:২৩ পদে দেখা যায়, অভিষেক-তেল
তৈরি করার কাজে সুগন্ধি হিসেবে বচ
ব্যবহার করা হত। এটি এক প্রকার সুগন্ধি,
শলো ৪:১৪; সোরের বাজারে তা বিক্রি
করা হত, যিহি ২৭:১৯। বচ হচ্ছে প্রাচ্য বা
এশিয়ার একটি সুগন্ধিযুক্ত উদ্ভিদ, যার
বৈজ্ঞানিক নাম একোরাস ক্যালামাস অফ
লিনিয়াস। এটিকে বলা হত সুগন্ধি বচ,
যিশা ৪৩:২৪; যির ৬:২০; এতে সুগন্ধ
আছে এবং যখন এর ডাটাগুলো কেটে
শুকিয়ে গুড়া করা হত এবং তখন এই
বচের গুড়ো মূল্যবান সুগন্ধিতে পরিণত
হত। এটি প্যালেষ্টাইনে ছিল না, কিন্তু
আরবীয়া ফিলি· কিম্বা ভারত থেকে
আমদানি করতো। সম্ভবত এটি বর্তমান
ভারতে লেমন গ্রাস বা জিনজার গ্রাস
হিসেবে পরিচিত এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম
এণ্ড্রোপগোন স্কিনানথাস। দেখুন: সুগন্ধি
বচ।
বচসা:- বক্বক্ করা, অসন্তোষ বা বিরক্তি
প্রকাশ। প্রান্তরে ইব্রীয়রা এই বিরক্তি
অসন্তোষের কারণ হয় এবং একমাত্র
মোশির একান্ত বিনীত প্রার্থনার মাধ্যমে
তাঁর রাগ প্রতিবার প্রশমিত হয়, গণনা
১১:৩৩,৩৪; ১২:১; ১৪:২৭-৩১; ১৬:৩;
২১:৪-৬; গীত ১০৬:২৫। কোনরূপ
বিরক্তি প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য
পৌল আহŸান জানান, ১ করি ১০:১০।
বৎসর:- হিব্রæ শব্দ শ্নাহ, যার অর্থ
পুনরুক্তি করা বা পুনরাবৃত্তি ঘটানো, আদি
১:১৪; ৫:৩। প্রাচীন ইব্রীয়দের মধ্যে বছর
১২ মাসে হত যার প্রত্যেকটা মাস ৩০ দিন
ধরা ছিল, আর সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর
প্রদক্ষিণ বুঝাবার জন্য সাথে ৫ দিন যোগ
করা হয়েছিল। যিহূদীরা বছরকে দুইভাবে
হিসাব করতো (একটি হচ্ছে পবিত্র
পঞ্জিকা, যেখানে বছর শুরু হত
বসন্তকালীন দিন রাত সমান থাকার দিন
থেকে, এর শুরু ছিল আবিব মাস (প্রথম
মাস) দিয়ে, (২) দ্বিতীয়টি, নাগরিক
পঞ্জিকার মাধ্যমে নিশান মাস দিয়ে, যখন
শরৎকালে দিন রাত সমান থাকে সেই দিন
থেকে। বর্তমানে তিশরি মাসটি হচ্ছে
যিহূদীদের বছরের প্রথম মাস।
বজ্রধ্বনি:- দেখুন: মেঘগর্জন।
বজ্রধ্বনির পুত্রেরা:- সিবদিয়ের দুই পুত্র
যাকোব ও যোহন। প্রভু যীশু এঁদের নাম
দিয়েছিলেন বোয়ানের্গিস, অর্থাৎ বজ্রধ্বনির
পুত্রেরা, মার্ক ৩:১৭; লূক ৯:৪৫; মথি
২০:২০-২৩।
বজ্রপাত:- দেখুন: বিদ্যুৎ।
বণিক:- অর্থ, ভ্রমণকারী, ব্যবসায়ী।
প্রাচীনকালে বণিকেরা তাদের পণ্যদ্রব্য এক
স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে গিয়ে বিক্রয়
করে বা বিনিময় করে ব্যবসা-বাণিজ্য
করতো, আদি ৩৭:২৫,২৮; ৩৯:১: ইয়োব
স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করার পর
বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে শুরু
করে, যার পরিব্যাপ্তি রাজা শলোমনের
রাজত্বের সময় পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়, আদি
৪৯:১৩; দ্বি.বি. ৩৩:১৮; বিচার ৫:১৭।
ধীরে ধীরে প্যালেষ্টাইন পৃথিবীর একটি
প্রধান বাণিজ্যিক স্থান হিসেবে পরিগণিত
হয়, ১ রাজা ৯:২৬; ১০:১১,২৬,২৮;
২২:৪৮; ২ বংশা ১:১৬; ৯:১০,২১। রাজা
ব
শলোমনের আমলের পর থেকে বিশ্বের
অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক
সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। কিন্তু
বন্দীদশার পর যিহূদীরা বিশ্বের বিভিন্ন
দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করতে শুরু
করে, যার ফলে তাদের বাণিজ্যের প্রসার
আরো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।
বথূয়েল:- অর্থ, মহান ঈশ্বরের লোক/
কুমারী কন্যা/ ঈশ্বরের গৃহ বা ঘর। (১)
অব্রাহামের ভাই নাহুরের স্ত্রী মিল্কার পুত্র
যিনি রিবিকা ও লাবনের পিতা, আদি
২২:২৩,২৪; ২৪:১৫,২৪,৪৭। বথূয়েলের
মেয়ে রিবিকার বিয়ের ঘটনাবলীতে তার
ভূমিকা স্পষ্ট নয়। কারণ অব্রাহামের দাস
যখন রিবিকার কাছে জানতে চাইল তার
‘পিতার’ বাড়িতে থাকবার একটু জায়গা
হবে কিনা তখন রিবিকা দৌড়ে তার মায়ের
বাড়িতে গেল এই সংবাদ দেবার জন্য,
আদি ২৪:২৮। পরে বথূয়েল নয়, তার পুত্র
লাবন লোকজন নিয়ে এসে অব্রাহামের
দাসকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেল।
অব্রাহামের দাস অনেক দামী দামী উপহার
দিলন রিবিকা, তার মা মিল্কা ও লাবনকে,
কিন্তু পবিত্র শাস্ত্রে বথূয়েলকে কিছু দেবার
কথা উল্লেখ নেই। অব্রাহামের দাসের সাথে
রিবিকার বিদায়ের সময় বথূয়েল নয়, কিন্তু
ভাই লাবন তাঁকে আশীর্বাদ করেন, আদি
২৪:৫৫-৬০। এই সমস্ত উদাহরণগুলো
দেখায় যে, বথূয়েল অনেক দিক থেকে
তার পারিবারিক বিষয় পরিচালনা দেবার
ক্ষেত্রে অক্ষম ছিলেন। (২) শিমিয়োনের
দক্ষিণে অবস্থিত একটি শহর, যেটি কসীল
নামেও পরিচিত ছিল, যিহো ১৫:৩০।
যিহূদার দক্ষিণ নগর, ১ বংশা ৪:৩০। এটি
বথূল নামেও পরিচিত, যিহো ১৯:৪ এবং
বৈথেল, যিহো ১২:১৬; ১ শমূ ৩০:২৭।
বদান:- অর্থ, বিচারের সন্তান।
ইস্রায়েলীয়দের বিচারকগণের মধ্যে
একজন, ১ শমূ ১২:১১। তবে প্রকৃতপক্ষে
তিনি কে ছিলেন তার পরিচয় পাওয়া যায়
না। কেউ কেউ মনে করে তিনি বারক
অথবা শিম্শোন, কিন্তু বেশিরভাগ লোক
মনে করে তিনি ছিলেন অব্দোন, বিচার
১২:১৩।
বন:- হিব্রæ শব্দ (১) ইয়া’র, যার অর্থ,
‘বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন ঘন গভীর গাছপালা’।
যেমন, সিরিয়ার প্রাচীন কালের ঘন বন,
উপ ২:৬; যিশা ৪৪:১৪; যির ৫:৬; মীখা
৫:৮। বাইবেলের পুরাতন নিয়মে মোট
পঁয়ত্রিশ বার এই ‘ইয়া’র শব্দটি ব্যবহৃত
হয়েছে। এই সময়ে অধিকাংশ পাহাড়ী
এলাকা ঘন বনে ঢাকা ছিল, যেমন,
লেবাননের বন, ১ রাজা ৭:২। (২) হিব্রæ
শব্দ, ‘পারডেস’, এর অর্থ পারস্য দেশের
লোকদের সাজানো বন বা বাগান, যেখানে
প্রচুর গাছ ছিল, এটি অনেকটা আধুনিক
যুগের গাছের উদ্যানের মত জায়গা, নহি
২:৮; ফলের গাছসহ যে বাগান বা বন,
হিতো ২:৫। (৩) হিব্রæ শব্দ, ‘হোরেস’্,
‘থিকেট, যার অর্থ, কাঠ, উঁচু উঁচু গাছ,
বেশ কতকগুলো জায়গায় এই শব্দটি
ব্যবহার করা হয়েছে, যিহি ৩১:৩; ২ বংশা
২৭:৪। সবচেয়ে ঘন বা নিবিড় বনটি হচ্ছে
যর্দনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ইফ্রয়িম বন,
২ শমূ ১৮:৬,৮; যিহো ১৭:১৫,১৮; সেটি
খুব সম্ভবত ইফ্রাথার বনের মত, গীত
১৩২:৬; সেটি গিলিয়াদ বনের অংশ। এই
বনের মধ্যেই যোয়াবের হাতে অবশালোম
নিহত হন। রাজা শৌলের রাগের হাত
থেকে রক্ষা পাবার জন্য দায়ূদ যিহূদার
পর্বতের পাশে অবস্থিত হেরৎ বন ছেড়ে
চলে যান, ১ শমূ ২২:৫। আমরা বৈথেলব
এর বন সম্পর্কেও জানতে পারি, ২ রাজা
২:২৩,২৪; এবং এই বনের মধ্যেই
ইস্রায়েলীয়রা পলেষ্টীয়দের পিছু ধাওয়া
করে, ১ শমূ ১৪:২৫; এবং লেবাননের
চিরহরিৎ গাছের বনের কথাও উল্লেখ
আছে, ১ রাজা ৪:৩৩; ২ রাজা ১৯:২৩;
হোশেয় ১৪:৫,৬। রাজা শলোমনের রাজ
বাড়িতে লেবানন বন কুটির নামের ঘর, ১
রাজা ৭:২; ১০:১৭; ২ বংশা ৯:১৬; এটি
সম্ভবত রাজা শলোমনের অস্ত্রাগার ছিল
এবং তার এই নাম দেওয়া হয়েছিল এই
কারণে যে, লেবাননের বন থেকে এর
মোটা থামের কাঠগুলো আনা হয়েছিল।
সেখানকার পরিবেশটাও ছিল অনেকটা
বনের মত। বন শব্দটি বিশেষভাবে উল্লেখ
করা হয়েছে ২ বংশাবলী ২৭:৪ পদে।
এটিকে আবার ‘পাহাড়ী’ অঞ্চলও বলা
হয়েছে, যেটি সীফ মরু এলাকায় অবস্থিত।
হিব্রæ শব্দ, ‘পারডেস’, এই শব্দটির অর্থ
বাগান বা চাষাবাদ। নহিমিয় ২:৮ পদে
আসফ একে বলেছেন, রাজা র বন রক্ষক।
একই হিব্রæ শব্দ, উপ ২:৫ পদে ব্যবহৃত
হয়েছে যেখানে একে বহুবচনে অনেক
বাগান এবং শলোমন ৪:১৩ পদে একে
একবচনে ডালিমের বাগান বলা হয়েছে,
সখ ১:২; ‘আঙ্গুর ফলের বাগান’ বা
‘প্রবেশাধিকার বিহীন বাগান’ এটি খুব
সম্ভবত যিরূশালেম নগরীকে পরোক্ষভাবে
রূপক হিসেবে দেখানো হয়েছে। অথবা
এটি দ্বারা সাধারণ ভাবে ঐ অঞ্চলের
উচ্ছেদ বা ধ্বংস সম্পর্কে বলা হয়েছে। বন
বা জঙ্গল শব্দটি আবার ফসলি জমির
বিপরীতে ফল বা ফসলবিহীন জমিকে
বোঝানোর জন্য ব্যবহার হয়েছে, যিশা
২৯:১৭; ৩২:১৫; যির ২৬:১৮; হোশেয়
২:১২; যিশা ১০:১৯,৩৩,৩৪; একইভাবে
আশেরীয়দের মালিকানাধীন সমস্ত বড় বড়
গাছের বন হঠাৎ কোন এক অদৃশ্য শক্তির
আঘাতে সব কেটে ফেলা হবে।
বনায়:- বানির বংশধরদের একজন, যে
তার পরজাতীয় স্ত্রীকে পরিত্যাগ করেছিল,
ইষ্রা ১০:৩৬।
বনে-যাকন:- যাকনের সন্তানগণ, গণনা
৩৩:৩১,৩২।
বন্দী:- যুদ্ধক্ষেত্র থেকে যাদের বন্দী করে
নিয়ে যাওয়া হয়। বন্দীদের সাথে প্রায়ই
নিষ্ঠুর আচরণ করা হত এবং কোন মর্যাদা
দেওয়া হত না, ১ রাজা ২০:৩২; যিহো
১০:২৪; বিচার ১:৭ ২ শমূ ৪:১২; বিচার
৮:৭ ২ শমূ ১২:৩১; ১ বংশা ২০:৩। যখন
কোন দেশ জয় করা হত তখন
পুরুষদেরকে হত্যা করা হত এবং নারী ও
শিশুদেরকে বন্দী করে নিয়ে গিয়ে
তাদেরকে দাসী হিসেবে বিক্রি করা হত,
যিশা ২০:১; ৪৭:৩; ২ বংশা ২৮:৯-১৫;
গীত ৪৪:১২; যোয়েল ৩:৩। বন্দীদের
সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করা হত, নহূম
৩:১০; সখ ১৪:২; ইষ্টের ৩:১৩; ২ রাজা
৮:১২; যিশা ১৩:১৬। বন্দীদের মাঝে
মধ্যে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হত,
যেমনটা যিহূদীদের বেলায় ঘটেছিল, যির
২০:৫; ৩৯:৯-১০; ৪০:৭। বন্দী শব্দটি
ইস্রায়েল জাতির মধ্যে ৭২২ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে
তিরবেস ও ৫৮৬ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে তিগ্লৎপিলেষরের মাধ্যমে যিহূদা জাতির বন্দী
অবস্থায় সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন
সময়ে ইস্রায়েল জাতি বন্দীত্ব বরণ করে;
তাদের আক্রমণ করে বন্দী করে আশেরীয়
রাজা তিগ্লৎ-পিলেষর, ২ রাজা ১৫:২৯; ১
বংশা ৫:২৩; শালমানেসর, ২ রাজা
১৭:৩,৫; ২য় সর্গোন, ২ রাজা ১৭:৬,৭;
প্রমুখ। অশূর-বানি-পাল ও এসর-হদ্দন
ব
পূর্বাঞ্চল থেকে বন্দী করে নিয়ে আসা অন্য
জাতির লোকদের শমরীয় প্রদেশে নিয়ে
এসে বসতি স্থাপন করান, ইষ্রা ৪:২,৭।
৬০৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে ইস্রায়েলের দক্ষিণ
রাজ্যের ভাববাদী দানিয়েলসহ সব
সম্মানিত লোকদের বাবিলের রাজা
নবূখদ্নিৎসর বন্দী করে বাবিলে নিয়ে যান,
২ বংশা ৩৬:২-৭; যির ৪৫:১; দানি ১:১-
৩; এবং ৫৭৯
ইস্রায়েলের রাজা
যিহোয়াকিম ও ভাববাদী যিহিষ্কেলসহ সব
লোকদের বন্দী করে নিয়ে যান, ২ বংশা
২৪:১৪-১৬। ৫৮৬ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে তিনি
যিরূশালেম নগরী সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে
ফেলেন ও একবারে হতদরিদ্র ছাড়া
অবশিষ্ট সকলকে বন্দী করে নিয়ে যান।
এর পাঁচ বছর পর তিনি আবার একটি
দলকে এখান থেকে বন্দী করে নিয়ে যান,
২ রাজা ২৫:২-২১। ইষ্রা ও নহিমিয় বন্দী
অবস্থা থেকে ফিরে আসার যে বর্ণনা
দিয়েছেন সেটি ঘটেছিল ৫৩৮ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে,
কারণ এই সময়ে পারস্যের কাছে
বাবিলীয়রা পরাজিত হয় এবং পারস্যের
রাজা সাইরাস ইস্রায়েলীয়দের দেশে ফিরে
আসার জন্য অনুমতি-পত্র দেন, ইষ্রা ১:১-
৪। ফলে ৪৫৮ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে সরুব্বাবিলের
সঙ্গে ফিরে আসেন ৪৫ হাজার জন ও
ইষ্রার সঙ্গে ফিরে আসেন ১৮০০ জন।
বন্দী আত্মা:- ১ পিতর ৩:১৮,১৯। যুক্তি
হল, “ভীত এবং উদ্বিগ্ন হয়ো না,” ১ পিতর
৩:১৪,১৭; “ঈশ্বরের ইচ্ছামত চলতে গিয়ে
যদি তোমাদের কষ্টভোগও করতে হয়,
তবে ধন্য তোমরা। যারা তোমাদের দুঃখকষ্ট দেয় তাদের তোমরা ভয় কোরো না বা
দুঃখ-কষ্টের সময়ে অস্থির হয়ো না।”
শরীরের মৃত্যু হলেও আত্মা জীবিত
থাকবে; প্রভু যীশু খ্রীষ্ট আবার তোমাদের
জীবিত করবেন। খ্রীষ্ট শারীরিকভাবে মারা
গিয়েছিলেন, কিন্তু আত্মায় তাঁকে জীবিত
করা হয়েছিল; অর্থাৎ তিনি ¯¦র্গীয় ¯^ভাবের
বলে সদাপ্রভু আবার তাঁকে জীবিত
করেছেন; তাঁর আত্মা নিষ্পাপ, রোমীয়
১:৩,৪; ১ করি ১৫:৪৫; ২ করি ১৩:৪।
ঈশ্বর নোহকে রক্ষা করেন, এই ঘটনার
সঙ্গে তুলনা করুন, ১ পিতর ১:১১। খ্রীষ্ট
“ঈশ্বরের ভয় সম্বন্ধে প্রচারক,” ২ পিতর
২:৫; তিনি শুধু তাঁর এলাকায় প্রচার
করেননি, বরং ইফি ২:১৭ পদ অনুসারে
সকলের কাছেই তিনি তাঁর সেবার মাধ্যমে
শান্তির সুসমাচার প্রচার করেন। তিনি তাঁর
আত্মার মাধ্যমে মহাবন্যার পূর্ববর্তী
অবিশ্বাসীদের বন্দী আত্মার কাছে সুসমাচার
প্রচার করেন। তারা সম্ভবত শারীরিকভাবে
¯^াধীন ছিল, কিন্তু তাদের আত্মা বন্দী ছিল,
গীত ১৪১:৯। ¯^র্গদূতেরা যখন পাপ
করেছিল ঈশ্বর তাদের ছেড়ে দেননি বরং
অন্ধকার গর্তে ফেলে দিয়ে বিচারের জন্য
রেখে দেন, ২ পিতর ২:৪; যিশা
২৪:১৮,২২,২৩; ৬১:১; আদি ৭:১১।
“ঈশ্বরের আত্মা” কষ্ট সহ্য করে তাদের
দিলে থাকতে চেষ্টা করেন, কিন্তু তাদের
খারাপ কাজের জন্য অন্তর থেকে পবিত্র
আত্মা চলে যায় এবং এমন কি ঈশ্বরের
নির্বাচিত শেশের বংশধররাও তাদের
কাজের মাধ্যমে মাংসিকতা প্রমাণ করে
এবং ঈশ্বরের আত্মা তাদের ত্যাগ করেন,
আদি ৬:৩।
বন্দীদশা:- (১) ইস্রায়েলীয়দের বন্দীদশা।
আশেরীয়ার রাজা দশ বংশের বিভিন্ন রাজ্য
আক্রমণ করেন, আশেরীয়ার রাজা পূল
জোর করে ইস্রায়েলের রাজা মনহেমের
কাছে থেকে ঊনচল্লিশ টন রূপা আদায়
ব
করেন (খ্রীষ্টপূর্ব ৭৬২), ২ রাজা ১৫:১৯-
২০; ১ বংশা ৫:২৬; এবং তিগ্লৎ-পিলেষর
ইস্রায়েলের রাজা পেকহের সময় (খ্রীষ্টপূর্ব
৭৩৮) যর্দন নদীর পার্শ্ববর্তী সকল বংশের
অর্ধেককে বন্দী করে এবং গালীলের
লোকদের আশেরিয়ায় বন্দী করে নিয়ে
যান, ২ রাজা ১৫:২৯; যিশা ৯:১।
পর্যায়ক্রমে রাজা শালমানেসার ইস্রায়েল
আক্রমণ করে অবরোধ করে তাদের
শমরিয়াতে নিয়ে যান এবং রাজ্যের
রাজধানী তৈরি করেন। অবরোধকালে
তিনি মারা যান এবং সর্গোন তাঁর
উত্তরাধিকারী হন। তিনি নগর দখল করে
লোকদেরকে আশেরীয়ায় পাঠিয়ে দেন
(খ্রীষ্টপূর্ব৭২১)। আশেরীয়ার রাজা শমরীয়
দখল করে ইস্রায়েলীয়দের বন্দী করে
হলহে, হাবোর নদীর ধারে গোষণ এলাকায়
এবং মাদীয়দের শহরগুলোতে বাস করান,
২ রাজা ১৭:৩-৫। আশেরীয়ার রাজা
ইস্রায়েলের লোকদের বসবাসের জন্য
বাবিল, ক‚থা ইত্যাদি জায়গায় কলোনী
করে বসিয়ে দেন, ২ রাজা ১৭:২৪। ২৫৫
বছর দশ বংশ পৃথকভাবে বসবাস করে
(খ্রীষ্টপূর্ব ৯৭৫-৭২১)। এই দশ বংশ
অনেক মূল্যের বিনিময়ে তাদের অধিকার
লাভ করে। আমরা বিশ্বাস করি পারস্পরিক
আত্মরক্ষার নিমিত্তে সক্সঘবদ্ধ লোকেরা রক্ষা
পায় এবং তারা যিহূদিয়ায় বাস করতে
থাকে। পরবর্তীতে তারা সাইরাসের
অধীনস্থ হয়, কিন্তু তারা হারিয়ে যায়।
“পর্বতের উপরে শিশির বিন্দু, নদীর ফেনা
ও ঝর্ণার বুদবুদের মত তারা চিরতরে
হারিয়ে যায়”।
(২) যিহূদার বন্দীদশা। যিহোয়াকীমের
রাজত্বের তিন বছরের সময় যখন তিনি
যিহূদার আঠারোতম রাজা (খ্রীষ্টপূর্ব ৬০৫)
ছিলেন। সেই সময়ে বাবিলের রাজা
নবূখদ্নিৎসর কার্খেমিশে মিশর জয় করে
বিরাট সৈন্যবাহিনী নিয়ে যিরূশালেমের
দিকে অগ্রসর হন। তিনি কিছুদিন নগরটি
অবরোধ করে দখল করে রাখেন এবং
তিনি সদাপ্রভুর ঘরের পত্রাদি বাবিলে নিয়ে
যান এবং সেসব পত্রাদি তাঁর বেলাস
মন্দিরের ধনভাণ্ডারে রেখে দেন, ২ রাজা
২৪:১; ২ বংশা ৩৬:৬-৭; দানি ১:১,২।
তিনি রাজার সকল ধন-সম্পদ নিয়ে যান।
এই সময় থেকে পবিত্র শাস্ত্রের যিরূশালেম
বিষয়ক সেই ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে সত্তর
বছরের বন্দীদশা কার্যকর হতে থাকে, যির
২৫:১; দানি ৯:১-২। দানিয়েল ও তাঁর
সঙ্গীদের বন্দী করে বাবিলে নিয়ে যাওয়া
হয় এবং রাজদরবারে তাদের খাবার,
বাবিলীয়দের ভাষা ও সাহিত্য, দর্শন
সম্পর্কে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। রাজা
যিহোয়াকীমের রাজত্বের পঞ্চম বছরে
যিরূশালেমের সমস্ত লোকদেরও যিহূদার
শহর থেকে আসা লোকদের জন্য সদাপ্রভুর
সামনে রোজা রাখবার কথা ঘোষণা করা
হয়, যির ৩৬:৯। রাজা পুস্তক থেকে
ব
যিরমিয়ের কথাগুলো শোনেন এবং শীত
দূর করার জন্য ঘরে যে আগুন জ্বলছিল
সেই আগুনে যিরমিয়ের ভবিষ্যদ্বাণী পুস্তক
থেকে কেটে আগুনে পুড়িয়ে দেন।
একইভাবে তিনি নবূখদ্নিৎসরের বিরুদ্ধে
বিদ্রোহ ঘোষণা করেন, ২ রাজা ২৪:১।
নবূখদ্নিৎসর দ্বিতীয় বার (খ্রীষ্টপূর্ব ৫৯৮)
যিরূশালেমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং
যিহোয়াকীমকে মৃত্যুদণ্ড দেন এবং তার
পরিবর্তে তার ছেলে যিহোয়াখীনকে
যিরূশালেমের রাজা করেন। কিন্তু
যিহোয়াখীনের রাজ-কর্মচারীরা রাজা
নবূখদ্নিৎসরের অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে
দাঁড়ানোর ফলে তিনি তৃতীয়বার
যিরূশালেম দখল করেন এবং দ্বিতীয়বার
যিহূদার উপযুক্ত ও শক্তিশালী লোকদের
বন্দী করে বাবিলে নিয়ে যান, যাদের সংখ্যা
ছিল মোট ১০ হাজার, ২ রাজা ২৪:১৩;
যির ২৪:১; ২ বংশা ৩৬:১০। বন্দী
হিসেবে তিনি নেন রাজা, তার মা, স্ত্রীগণ,
রাজপুত্রগণ, তাঁর রাজকর্মচারী এবং আরও
নেন ভাববাদী যিহিষ্কেলকে, যিনি তার
x