Bangla Bible Dictionary
Ads
A B C D E F G H I J K L M N O P Q R S T U V W X Y Z

Recently Updated

ক্ষুদ্র কুঠরি:- ছোট কামরা, ছাদের উপর নির্মিত ছোট কক্ষ; শূনেমীয়া ভাববাদী ইলিশায়র জন্য এই ধরনের ঘর তৈরি করে, ২ রাজা ৪:১০। এটি ছিল ছাদের উপর রাস্তার সামনের দিকে বারান্দাযুক্ত কামরা বিশেষ। এটি ছিল অতিথিদের ঘর, যেখানে অতিথিদের জন্য ভোজ প্রস্তুত করে আপ্যায়ন করা হত, মার্ক ১৪:১৪। এই কামরার ভেতরে আরও কামরা থাকতো, ১ রাজা ২২:২৫; ২ রাজা ৯:২। ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার জন্য প্রার্থনার ক্ষেত্রে রূপক অর্থে “একটি কামরায় প্রবেশ করা” কথাটি ব্যবহার করা হয়, যিশা ২৬:২০। ইয়োব ৯:৯ পদের “দক্ষিণস্থ কক্ষ” বা “দক্ষিণের তারাগুলো” সম্ভবত দক্ষিণ গোলার্ধের নক্ষত্রপুঞ্জ। “মূর্তির ঘর” অর্থাৎ যে ঘরের দেয়ালে মূর্তি আঁকা হয়েছে, তার বর্ণনা ভাববাদী যিহিষ্কেল দিয়েছেন, যিহি ৮:১২। ভাববাদীর বর্ণনায় বোঝা যায় যে, যিরূশালেমের যিহূদীরা ঘৃণ্য মূর্তিপূজা করতো। 

অক্বোর:- অর্থ, যন্ত্রণাদায়ী, ইদুঁর। (১) একজন ইদোমীয় রাজার পিতা, রাজা শৌলের মৃত্যুর পরে তাঁর জায়গায় অক্বোরের পুত্র বাল-হানন রাজা হন, আদি ৩৬:৩৮; ১ বংশা ১:৪৯। (২) নিয়ম -কানুনের পুস্তক খুঁজে পাওয়ার পর তার অর্থ জানবার জন্য রাজা যোশিয় অক্বোরকে মহিলা-ভাববাদী হুল্দার কাছে পাঠিয়েছিলেন, ২ রাজা ২২:১২, ১৪। তাকে অব্দোনও বলা হয়, ২ বংশা ৩৪:২০।

 টবলিয়:- লেবীয় মরারি-বংশের হোষার  চারজন পুত্রের মধ্যে তৃতীয় পুত্র, রাজা দায়ূদের অধীনস্থ সাক্ষ্য-তাম্বুর রক্ষী দলের  একজন সদস্য, ১ বংশা ২৬:১১। এই  নামটি এসেছে হিব্রæ শব্দ ‘টেভালিয়ান’
থেকে।

টব্বত:- বৈৎ-শিট্টার দক্ষিণে, যর্দনের কাছে অবস্থিত ইফ্রয়িম বংশের একটি অতি  সুপরিচিত শহর, বিচার ৭:২২। মাদীয়দের  পরাজিত করে ৩০০ জনকে হত্যা করার  পর গিদিয়োনের লোকেরা এই স্থানের নাম  রাখে ‘টব্বথ,’ বিচার ৭:২২।
টব্বায়োত:- অর্থ, আংটি। বাবিলের রাজা  নবূখদ্নিৎসরের অধীনে বন্দীদশা থেকে যে  সব ইস্রায়েলীয়রা তাদের নিজের নিজের  শহর ও গ্রাম (যিহূদা ও যিরূশালেমে) ফিরে  এসেছিল তাদের মধ্যে টব্বায়োতের  বংশধরেরাও ছিল। এই টব্বায়োতের  বংশের লোকেরা সদাপ্রভুর মন্দিরের  সেবাকারী হিসেবে কাজ করতো, ইষ্রা  ২:৪৩; নহি ৭:৪৬।

 টব্রিম্মোণ:- হিষিয়োণের নাতি সিরিয়ার  রাজা বিন্হদদের পিতার নাম ছিল  টব্রিম্মোণ, ১ রাজা ১৫:১৮।

টলমোন:- অর্থ, অত্যাচারিত। (১) যিরূশালেমের মন্দিরের বায়তুল ভাণ্ডারঘরগুলোর একজন রক্ষী, নহি ১১:১৯; ১২:২৫; ১ বংশা ৯:১৭। (২) টলমোনের  বংশধরেরাও সরুব্বাবিলের সঙ্গে  যিরূশালেমে ফিরে এসেছিল, ইষ্রা ২:৪২;  নহি ৭:৪৫; এই পদে উল্লিখিত টলমোন  ছিল সম্ভবত উপরোল্লিখিত লেবীয় রক্ষী  টলমোন।

টলায়ীম:- অর্থ, যুব মেষশাবক। এই স্থানে  রাজা শৌল অমালেকীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ  করার জন্য তাঁর সৈন্যদের সমাগম
করেছিলেন, ১ শমূ ১৫: ৪। সম্ভবত  টলায়ীম এবং টেলম একই স্থান। টাইগ্রীস:- দেখুন: দজলা।

টাকু:- টেকুয়া, হাত দিয়ে সুতা কাটার সময় পেজা তুলা বা পশম যে কাঠি হতে  টানা হয়; হিব্রæ শব্দ “পেলেক,” অর্থাৎ
“বৃত্ত,” হিতো ৩১:১৯। টাকা:- দেখুন: সিকি, মুদ্রা। টাকার থলি:- (১) হিব্রæ “হারিত,” ছোট  থলি, মূল্যবান পাথর রাখার ছোট বা· বা  মহিলাদের টাকা রাখার বিশেষ থলি,  গেঁজিয়া, যিশা ৩:২২ পদে উল্লিখিত টাকার  থলিটি সম্ভবত বর্তমান কালে প্রচলিত  জালের তৈরি থলি। ২ রাজা ৫:২৩ পদে  এটিকে থলি হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে।  (২) গ্রীক “ব্লাশন,” লূক ১০:৪;  ২২:৩৫,৩৬। (৩) গ্রীক “জোন,” বা  কোমর-বন্ধনী, মথি ১০:৯; মার্ক ৬:৮;  টাকা রাখার কোমর-বন্ধনী। দৃষ্টান্ত সৃষ্টির  জন্য প্রভু যীশু খ্রীষ্ট তাঁর শিষ্যদের প্রচার  করার জন্য বিভিন্ন স্থানে টাকার থলি  ছাড়াই পাঠিয়েছিলেন, কারণ টাকা ছাড়া  যাতায়াতের কোন নজির নেই।  টাঙ্গানো:- ঝোলানো; একটি শাস্তি, কোন
অপরাধীর মৃতদেহ তার কলঙ্কজনক শাস্তির  চিহ্ন¯^রূপ গাছে টাঙ্গিয়ে রাখা হত বা  ঝুলিয়ে রাখা হত, দ্বি.বি. ২১:২৩; এটি
আজকের দিনের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড  দেওয়া থেকে আলাদা। পুরাতন নিয়মের  সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোন অপরাধীকে
শ্বাসরোধ করে মারা হত, তারপর তাকে  রশি দিয়ে গাছে টাঙ্গিয়ে রাখা হত, দ্বি.বি.  ২১:২২; ২ শমূ ২১:৬; গিবিয়োনীয়রা
শাস্তিদানের এই পদ্ধতি অনুসরণ করতো।  
টাফৎ:- রাজা শলোমনের কন্যা টাফৎ,  বিন্-অবীনাদবের পুত্রবধূ, ১ রাজা ৪:১১।  টাবিথা:- অর্থ, সুন্দর ও দ্রুতগামী হরিণ। জাফা শহরের একজন মহিলা বিশ্বাসী, গ্রীক  ভাষায় যাকে দর্কা নামে ডাকা হত। দানশীলতা, অন্যদের উপকার এবং উত্তম  সেবামূলক কাজের জন্য তিনি খুব  সুপরিচিতা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর  পিতরকে লূদিয়া থেকে ডেকে আনা
হয়েছিল। তিনি তাঁর মৃত দেহের উপর  হাত রেখে প্রার্থনা করে বলেছিলেন, “টাবিথা, উঠো।” আর তাতে টাবিথা চোখ
খুললেন এবং উঠে বসলেন; পিতর হাত  বাড়িয়ে তাকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য  করলেন। এরপর তিনি লোকদের ও  বিধবাদের ডেকে তাদের দেখালেন যে,  দর্কা বেঁচে আছেন, প্রেরিত ৯:৩৬-৪৩। 

টাবেল:- শমরীয় প্রদেশের একজন পারস্য  গভর্নর বা রাজ্যপাল, যিনি যিরূশালেমের  পুনর্নির্মাণ কাজে অন্যান্যদের সঙ্গে বাধা  দিয়েছিলেন, ইষ্রা ৪:৭।

টাবেয়েল:- অর্থ, ঈশ্বর সদাপ্রভুর সদগুণ।দম্মেশকের রাজা রৎসীন ও ইস্রায়েলের রাজা পেকহ টাবেয়েলের পুত্রকে রাজা আহসের স্থলে সিরিয়া ও শমরীয় প্রদেশের রাজা নিযুক্ত করার পরিকল্পনা করেন, যাতে  তিনি তাদের পক্ষে একজন পুতুল রাজা  হয়ে থাকেন, যিশা ৭:৬।

টালিথা কুম:- সিরীয় বা অরামীয় ভাষার  একটি শব্দ সমষ্টি: “খুকী, ওঠো,” মার্ক ৫:৪১। এই বাক্যটি বলার মাধ্যমে একটি  মৃত বালিকাকে প্রভু যীশু জীবিত করে  তোলেন। সে সময় পিতরও উপস্থিত ছিলেন, এই শব্দটিকে এবং চিহ্নটিকে মনে রাখার জন্য তাদের বলা হয়েছিল।

টায়রা:- জালিবস্ত্র, জালি পর্দা, মাথা ঢাকার  জন্য ব্যবহৃত জাল বিশেষ, যিশা ৩:১৮; হিব্র শব্দ “সিবিসিম,” জালের মত হাতে  বোনা টুপি যা চুল ঢেকে রাখতো, মেয়েরা  এরকম টুপি পরতো। অনেকে বলেন, এক  প্রকার পেঁচানো টুপি বিশেষ যা কানের এক  পাশ থেকে অন্য পাশ পর্যন্ত কপালের  চারপাশ ঢেকে রাখতো। টায়ারোপিয়ান উপত্যকা: ঐতিহাসিক
যোসেফাসের দেওয়া একটি সঙ্কীর্ণ  গিরিপথের নাম, যা মোরিয়া পর্বতকে  সিয়োন পর্বত থেকে পৃথক করেছে। এই উপত্যকাটি বর্তমানে নানান জঞ্জাল দিয়ে  পূর্ণ হয়ে সমতল ভ‚মির মত হয়ে গেছে, এবং সেতুও স্থাপিত হয়েছে, যার মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হল সিয়োন সেতু, যে সেতুটি  রাজপ্রাসাদ এবং মন্দিরের মধ্যে সাধারণ  সংযোগ সেতু। এই সেতুর খণ্ডিত তোরণ  (যাকে রবিনসনস্ তোরণ বলা হয়) যা  ১৮৪৯ খ্রীষ্টাব্দে রবিনসনের দ্বারা আবিষ্কৃত  হয়, এটি মূল মন্দির হতে স্থাপিত  হয়েছিল। যখন রোমীয়রা যিরূশালেম দখল  করে তখন এই তোরণটি ধ্বংস করা  হয়েছিল। এই মন্দিরের পশ্চিম অংশটি ৮৪  ফুট উঁচুতে উপত্যকার পাদদেশ থেকে  র্নিমিত হয়েছিল, সেই যুগে এটিই ছিল  সর্বোচ্চ দেয়াল, তারপর রাজা শলোমনের  সময়ে যে মন্দির নির্মিত হয় তার দেয়াল  ছিল ৫০ ফুট উঁচু, আর এটিই ছিল সে সময় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রাচীর, যা সচরাচর দেখা যায় না।

টিকটিকি:- এক ধরনের ছোট সাদা রংয়ের  অশুচি প্রাণী, লেবীয় ১১:৩০; এ রকম প্রাণীকে হিব্রæ ভাষায় বলে ‘আনাকা,’ যার  অর্থ, কান্না করা বা শোক করা। যেসব  ছোট প্রাণী ঘর ঘর শব্দ করে ডাকে ও  এদের পা এত শক্ত ও আঠালো যেগুলো  ঘরের ভেতরের ছাদের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে পারে। এগুলোকে বিভিন্নভাবে প্রকাশ করা হয়েছে, যেমন, ছড়ানো পাওয়ালা  টিকটিকি, এই প্রাণীরা ঘর ঘর বা শোকাবহ  শব্দ করে ডাকে। সেপ্টুয়াজিন্ট অনুবাদে  এই শব্দটিকে অনুবাদ করা হয়েছে, ‘ছোট  বা নেংটি ইঁদুর’ নামে। প্যালেষ্টাইন দেশে  এদের তিন রকম প্রজাতি দেখা যেত।  যিহূদী ধর্মগুরুদের লেখায় একে অশুচি  হিসেবে দেখিয়েছেন। শুধুমাত্র লেবীয় ১১:৩০ পদে এর উল্লেখ পাওয়া যায়, যেটিকে হিব্রæ ‘লেটাহ্’ শব্দ থেকে অনুবাদ  করা হয়েছে, নিজেদের গুটিয়ে রাখা বা  নিজেকে আড়াল করার ¯^ভাব জনিত  কারণে এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।  কেউ কেউ মনে করে, সম্ভবত এটি  টিকটিকির ন্যায় একটি সরীসৃপ প্রাণী, যারা মূলত তাদের পায়ের আঙ্গুলের বিষ  ঝরানোর মাধ্যমে কারো শরীরে ক্ষত সৃষ্টি  করতে পারে।

টিটকারি:- দেখুন: তামাশা।

টিট্টিভ:- এক ধরনের নোংরা অপরিচ্ছন্ন  পাখি, লেবীয় ১১:১৯; দ্বি.বি. ১৪:১৮। হিব্র ভাষায় এই পাখির নাম হচ্ছে, ‘ডুকিফাথ,’ যে পাখি হুপহুপ করে ডাকে।  এই পাখিটি সাধারণত প্যালেষ্টাইনে  সচরাচর দেখা যায়। 
টিন:- হিব্র বেদিল; গণনা ৩১:২২; যিহি  ২২:১৮,২০; প্রাচীনকালের অতি পরিচিত একটি ধাতু। জনশ্রæতি রয়েছে যে, সোর  এবং সীদোনের ফৈণীকীয়ার অধিবাসীরা  ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ থেকে টিন আমদানী  করতো। যিহিষ্কেল ২৭:১২ পদে বলা
হয়েছে যে, এই টিন তর্শীশ থেকে আনা  হত। এটি ছিল সম্ভবত একটি বাণিজ্যিক  কেন্দ্র, যেখানে এসে অন্যান্য দেশের  লোকেরা জিনিসপত্র লেনদেন করতো। 
টিভৎ:- হদদেষরের দু’টো শহরের একটি। রাজা দায়ূদ এই শহরগুলো যুদ্ধে জয় করেন এবং তাদের সোনার ঢালগুলো ও
প্রচুর পরিমাণে ব্রোঞ্জ যিরূশালেমে নিয়ে আসলেন, ১ বংশা ১৮:৭-৯। ২ শমূয়েল ৮:৮ পদে এই টিভৎকে আবার বেটহ বলা হয়েছে।

টুকরা:- (১) ¯^ল্প পরিমাণ রূপার টুকরা, রৌপ্যের থান, গীত ৬৮:৩০; হিব্র “এগোরা,” ১ শমূ ২:৩৬; হিব্র “কেসিতাহ,” যিহো ২৪:৩২; আদি  ৩৩:১৯। (২) অধিক পরিমাণ রূপার  টুকরা, রৌপ্যের থান, রৌপ্যমুদ্রা, আদি ২০:১৬; ৩৭:২৮; সখ ১১:১২,১৩; মথি ২৬:১৫।
টুকরি:- দেখুন: ঝুড়ি।

টুপি:- শিরোভ‚ষণ, যাত্রা ২৮:৪০; এটি  গহনা হিসেবে ব্যবহৃত হত, ইয়োব  ২৯:১৪; যিশা ৩:২৩; ৬২:৩; পাগড়ি, মাথার চারদিক পেঁচিয়ে রাখা মসীনা  কাপড়। হিব্র “পিয়ার,” মুকুট, যিশা  ৬১:৩। মাথায় জড়ানোর কাপড়, যিহি ১৬:১০; যোনা ২:৫। হিব্র শব্দ “শিবিষিম,” মাথার টায়রা, যিশা ৩:১৮। হিব্র “কিরণ,” টুপি, ১ শমূ ২:১। সাধারণত ইব্রীয়দের মধ্যে এর ব্যবহার দেখা যায়  না। হিব্র “কব’য়া,” মাথা ঢাকার টুপি, ১ শমূ ১৭:৫,৩৮; ইফি ৬:১৭; ১ থিষ ৫:৮। দেখুন: অস্ত্র।
টেবেৎ:- ইষ্টের ২:১৬; সম্ভবত এটি একটি  পারস্য শব্দ, যা দিয়ে মূলত বছরের শীতের  সময়কে বোঝানো হয়ে থাকে; পরবর্তীতে  পবিত্র বছরের দশম মাসকে বোঝানোর  ক্ষেত্রে যিহূদীদেরকে এর ব্যবহার করতে  দেখা যায়। যিহূদীদের বাৎসরিক  ক্যালেন্ডারের এই দশম মাসটি ছিল  বর্তমান ইংরেজী জানুয়ারী-ফেব্রয়ারী  মাসের মধ্যে। আশেরীয় ভাষায় টেবিটাভ  অর্থ “বৃষ্টি”।

টেলম:- অর্থ, অত্যাচার বা উৎপীড়ন। (১) ইষ্রার সময়কার একজন মন্দিরের রক্ষক সৈন্য, ইষ্রা ১০:২৪। (২) যিহূদার দক্ষিণ  সীমান্তে অবস্থিত একটি শহর, যিহো ১৫:২৪। সম্ভবত টলেম এবং টলায়ীম  একই ব্যক্তি।  
টোব:- সিরিয়ার একটি উর্বর জেলা, যর্দনের পূর্বে এবং গালীল সাগর থেকে প্রায় ১৩ মাইল দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত, যেখানে যিপ্তহ তার ভাইদের কাছ থেকে  পালিয়ে যান, বিচার ১১:৩,৫। এটি সিরীয়  ও অমোনের মাঝখানে পীরয়ার উত্তর সীমানা, ২ শমূ ১০:৬,৮। এটি গিলিয়দ  শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে বিস্তৃতি লাভ  করেছিল। এখানে গিলিয়দীয় যিপ্তহ
একজন খুব শক্তিশালী যোদ্ধা ছিলেন। তার  পিতার নাম ছিল গিলিয়দ। যিপ্তহ ‘টোব’  দেশে বাস করতে লাগলেন, বিচার ১১:১-  ৩। এর বর্তমান নাম টাইয়িবী।
টোব্-অদোনীয়:- অর্থ, আমার প্রভু যিহোবা  উত্তম। একজন লেবীয়, যাকে যিহোশাফট  যিহূদার লোকদের ঈশ্বরের নিয়ম-কানুন  শিক্ষা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন, ২  বংশা ১৭:৮।
টোবিয়:- একজন অম্মোনীয়, নির্বাসনের  পর উপাসনা-স্থান পুনর্নির্মাণের কাজে যারা  বিরোধিতা করেছিল তাদের সাথে তিনি  যুক্ত হয়েছিলেন, নহি ২:১০; ৬:১৭-১৯; ১৩:৭,৮। তিনি তৎকালীন সময়ের অত্যন্ত  প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি ছিলেন

ঠাট্টা:- ইলিশায়কে ঠাট্টা করবার ফলে বন  থেকে ভল্লুকী বেরিয়ে এসে বিয়াল্লিশজন ছেলেকে ছিঁড়ে ফেলে, ২ রাজা ২:২৩; যিহি  ২২:৫; হাবা ১:১০। পিতর সতর্ক করে  দিয়ে বলেছেন, খ্রীষ্ট-বিশ্বাসীদের ভাল  বিষয় নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা যাদের ¯¦ভাব, তারা শেষকালে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ফিরে  আসবার সময়ে এসেও ঠাট্টা-বিদ্রƒপই  করবে, কারণ তারা নিজেদের কামনাবাসনা অনুসারেই চলে, ২ পিতর ৩:৩; যিহূদা ১৮ অধ্যায়।

ঠাণ্ডা-ঘর:- দেখুন: শীতল কামরা।
ঠেক্না:- দেখুন: পায়া।
ঠোঁট:- দেখুন ওষ্ঠ।




 

 ডাক:- দেখুন: আহবান।

ডাকাত:- দেখুন: ডাকাতি।
ডাকাতি:- লুটপাট; ইশ্মায়েলীয়রা ডাকাতি  করাকে সম্মানজনক কাজ বলে মনে করতো, আদি ১৬:১২। কল্দীয়রা ও সাবায়ীয়রা প্রায়ই লুটপাট করতো, ইয়োব ১:১৫,১৭। শিখিমের লোকেরা লুটপাট করতো, বিচার ৯:২৫। রাজা দায়ূদ অমালেকীয়দের আক্রমণ করে সব লুটপাট  করতেন, ১ শমূ ২৭:৬-১০; ফলে  অমালেকীয়রা এর সমুচিত জবাব দেয়, ১ শমূ ৩০ অধ্যায়। ইস্রায়েলীয়দের বিশৃক্সখল  উত্তর রাজ্যে ডাকাতি খুব প্রচলিত ছিল, হোশেয় ৪:২; ৬:৯; মীখা ২:৮। রোম
সম্রাটের দুঃশাসনের সময় প্যালেষ্টাইনের  পর্বতের গুহায় ডাকাতদের আস্তানা গাড়ার  সুযোগ থাকার ফলে ডাকাতরা যিহূদায়  প্রভাব বিস্তার করে, লূক ১০:৩০; যোহন  ১৮:৪০; প্রেরিত ৫:৩৬,৩৭; ২১:৩৮; ২  করি ১১:২৬। ডাকাতদের শাস্তির কথা  উল্লেখ করা হয়েছে যাত্রা ২২ অধ্যায়ে। মথি ২৭:৩৮ পদে “চোর” অনুবাদ করা  হয়েছে “ডাকাত” বা “দস্যু” হিসেবে। দেখুন: লুটপাট।

ডাক্তার:- দেখুন: বৈদ্য।
ডানা:- পাখির ডানা, লেবীয় ১:১৭; করূবের ডানা, ১ রাজা ৬:২৪; অথবা অন্য কোন প্রাণীর ডানা, যিহি ১৬ অধ্যায়;
১০:৫; প্রকা ৪:৮; বাজপাখি ও ঈগল পাখি ডানা মেলে দিয়ে উঁচুতে ওড়ে, ইয়োব ৩৯:২৬। অনেক ক্ষেত্রে বাইবেলে প্রতীকী
অর্থে ‘ডানা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, গীত ১৮:১০; ৫৫:৬; ১৭:৮; ৯১:৪; আবার ফিরে পাওয়া শক্তি বা ক্ষমতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, যিশা ৪০:৩১; সহানুভ‚তি প্রকাশের জন্য, মথি ২৩:৩৭; দুইজন প্রতীকী মহিলার সম্পর্কে, সখ ১২:৪।

ডাল:- (১) হিব্রæ ‘আদাসিম,’ শিমজাতীয়  কৃষিজ উদ্ভিদ, বিশেষ করে কলাই বা  মসুরের ডাল, যেগুলো সিরিয়াতে আদাস্না  মে পরিচিত এবং সচরাচর পাওয়া যায়,  আদি ২৫:৩৪; ২ শমূ ২৩:১১। লাল রঙের  স্যুপ জাতীয় যে জিনিস যাকোব রান্না  করেছিলেন তা ছিল মূলত ডাল, আদি  ২৫:২৯-৩৪। অবশালোমের কাছ থেকে   দায়ূদ পালিয়ে মহনয়িমে গেলে পর অন্যান্য   খাদ্যের সঙ্গে দায়ূদ ও তাঁর সঙ্গীদের ডাল   খেতে দেওয়া হয়েছিল, ২ শমূ ১৭:২৮।  এটি হচ্ছে মটরশুঁটি বা শিমগোত্রীয় গাছ  বিশেষ, যে গাছে সাধারণত শিমের মতই  ফল ধরে থাকে। (২) হিব্রæ “নাজিদ,”  অর্থাৎ “সিদ্ধ করা খাবার”। সিদ্ধ করা   মুসুড়ির ডালের মত খাবার, আদি ২৫:২৯;   ২ রাজা ৪:৩৮।
ডালা:- দেখুন: ঝুড়ি।
ডালিম:- হিব্র“রিম্মম”। মিশর ও  প্যালেষ্টাইনের একটি সাধারণ ফল, গণনা  ২০:৫; শমূ ১৩:২৩; দ্বি.বি. ৮:৮; এই ফল অত্যন্ত সুগন্ধি যুক্ত মিষ্টি ফল। যোয়েল  ১:১২ পদে ঈশ্বরের বিচারে শুকিয়ে যাওয়া   ডালিম গাছের উল্লেখ আছে। রাজা  শলোমনের গজলে অনেকবার এই ফলের  কথা উল্লেখ করা হয়েছে, শলো ৪:৩,১৩। মহাপুরোহিতের এফোদের প্রান্ত ডালিম
এবং সোনালী ঘণ্টা দিয়ে অলঙ্করণ করা  ছিল, যাত্রা ২৮:৩৩,৩৪। মন্দিরের  বারান্দায় স্থাপিত থাম দু’টির মাথার  চারপাশে শিকলের সঙ্গে সারি বেঁধে  ব্রোঞ্জের তৈরি ২০০ ডালিম ফল লাগানো  ছিল, ১ রাজা ৭:২০।

ডিম:- হিব্রæ শব্দ “বিতসা,” অর্থ,  “শুভ্রতা”। একটি খাবার, যা উটপাখি বা  কাকাতুয়া থেকে শুরু করে যেকোন পাখি
থেকে পাওয়া যায়, দ্বি.বি. ২২:৬; ইয়োব  ৩৯:১৪; যিশা ১০:১৪; ৫৯:৫। বিছা  থেকে ডিম পাওয়া যায়, যা ডিমের সাদা
অংশের মত ¯^াদহীন, ইয়োব ৬:৬; লূক  ১১:১২। ডিমের ক্ষেত্রে “হাল্লামুথ” শব্দের  উল্লেখ আছে যার অর্থ বি¯^াদ বা ¯^াদহীন।  তাই ইয়োব তাঁর বক্তব্যে ইলীফসকে  বি¯^াদ অর্থাৎ মূর্খ বলেছেন।  

ডুমুর:- (১) ডুমুর গাছ: লূক ১৯:৪। প্রায়ই  রাস্তার ধারে ছায়া পাওয়ার জন্য ডুমুর গাছ  লাগানো হত। বর্তমান ইস্রায়েল দেশের  যিরীহোতে হেরোদের জল যাবার পাকা  নালার মধ্যে একটি পুরানো ডুমুর গাছ  খুঁজে পাওয়া গেছে। আমোস ৭:১৪। দেখুন: তুঁত। এই গাছের পাতা আখরোট  গাছের পাতার মত হৃৎপিণ্ড আকৃতির, নিচের দিকে ঝুলে থাকে এবং এর সুগন্ধি আছে। ডালের প্রত্যেকটি শাখার গোড়ায়  থোকায় থোকায় ফল ধরে। ভাববাদী  আমোস ডুমুর গাছের দেখাশুনা করতেন;  কিন্তু সেপ্টুয়াজিন্টে বলা হয়েছে তিনি  একজন ডুমুর ফল সংগ্রাহক (গ্রীক  “নিসন”) ছিলেন। যারা ডুমুর ফল সংগ্রহ  করতো, তারা ডুমুর ফল পুষ্ট হলে তা  খোঁচা দিয়ে ফুটো করতো এবং চার দিন  পর তা পেকে যেত। যদি পাকা ফল  কুড়ানো না হত তবে সেগুলো এক রকম  ডাঁশ মাছি নষ্ট করে দিত। ডুমুর ফলগুলোতখন খাবারের অযোগ্য হয়ে যেত। ডুমুর  গাছ সব সময় সবুজ থাকে এবং প্রায় সারা  বছর ধরে ফল দেয়, এই জন্য এই  ফলগুলো গরিবদের জন্য খুবই দামী।  কাঠগুলো ফুটো-ফাটা হলেও টেকসই এবং  আদ্রতায় কিম্বা গরমে তা নষ্ট হয় না।  মিশরীয়দের মমি এই কাঠের বা·ে রাখা  হত যা হাজার হাজার বছরেও এখন পর্যন্ত  নষ্ট হয়নি। জমে যাওয়া শিশির এবং শিলা  বৃষ্টিতে ডুমুর গাছ ধ্বংস হয়ে মিশরীয়দের  অনেক ক্ষতি হয়, গীত ৭৮:৪৭। রাজা  দায়ূদ একজন তদারককারীকে তাঁর ডুমুর  গাছ দেখাশুনা করার ভার দেন, ১ বংশা  ২৬:২৮; এই পদের সঙ্গে তুলনা করুন ১  রাজা ১০:২৭। (২) ডুমুর ফল: প্রথম  উল্লেখ করা হয়েছে আদি ৩:৭ পদে। দ্বি.বি. ৮:৮ পদে উল্লিখিত ডুমুর ফলকে  প্যালেষ্টাইন দেশের সব থেকে মূল্যবান  ফসল বলা হয়েছে। এটি শান্তি ও সমৃদ্ধির  প্রতীক, ১ রাজা ৪:২৫; মীখা ৪:৪; সখ ৩:১০। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ওষুধ তৈরির জন্য  ডুমুর প্রয়োজন হয়, ২ রাজা ২০:৭; অনেক  ডুমুর একসাথে নিয়ে ভর্তা করে পিঠা বানানো হত, যা ছিল সু¯^াদু খাবার, ১ শমূ  ৩০:১২; যির ২৪:২। আমাদের প্রভু যীশু  খ্রীষ্ট এই ডুমুর গাছকে বৈথেনিয়া দিয়ে  যাবার সময় তার কাছে ফল চেয়ে না পেয়ে  অভিশাপ দিয়েছিলেন, মার্ক ১১:১৩; সেই  ঘটনা ও পরিস্থিতি উপস্থিত সকলকে  হতবাক করেছিল, কারণ নতুন নিয়মের  লেখকরা বলছেন, তখন ডুমুর ফল পাকবার  সময় ছিল না। নতুন নিয়মের সময়ে ডুমুর  গাছে সাধারণত আগেই ফল ধরে, কিন্তু  ডুমুর গাছটিতে যেহেতু পাতা ছিল এজন্য  তার ফলও থাকা উচিত ছিল Ñ নির্দিষ্ট সময়ের আগে ডুমুর গাছটি যেহেতু তার  পাতা প্রকাশ করেছে সে জন্য সঙ্গে সঙ্গে  তার কাজ অর্থাৎ তার ফলও প্রকাশ করা  উচিত ছিল। এই ডুমুর গাছটি যেন অন্যসব  গাছদের চেয়ে একটু বেশি অগ্রগামী হয়ে  দম্ভের সঙ্গে বলছে ও পাতাগুলোকে প্রদর্শন  করেছে এজন্য যে, প্রভু যীশু খ্রীষ্ট যেন এই  রাস্তা দিয়ে যাবার সময় তার কাছে আগে  আসেন ও তার ফল দিয়ে তিনি তাঁর ক্ষুধা  মিটিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু প্রভু যীশু খ্রীষ্ট  তার এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে যখন তার  কাছে গেলেন তখন দেখলেন অন্যসব  পাতাওয়ালা গাছদের মত সেও শুধু  নিজেকে সাজিয়ে রেখেছে। কিন্তু এখনও  ফলের সময় হয়নি বলে অন্যদের মতই  এমন অজুহাত তুলে সেও ফল দিতে পারে নি। ঠিক এমনিভাবেই প্রকৃতির মত  মানুষও অনেক কথা ও অনেক কিছু দিয়ে  নিজেকে সাজায় ও সুন্দর করে উপস্থাপন  করে, কিন্তু বাস্তব কাজের ফল নানা  অজুহাত দেখিয়ে প্রকাশ করতে পারে না। প্যালেষ্টাইন দেশের ডুমুর গাছ (ফি-কাস ক্যারিকা) বছরের নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর  দুই থেকে তিনবার ফল দিয়ে থাকে। (১) বিক্কুরাহ বা “প্রথমে পাকা আঙ্গুর” মিখা  ৭:১; যিশা ২৮:৪; হোশেয় ৯:১০; যেটি  জুনের শেষ দিকে পাকে, এবং পাকার  পরপরই এগুলো মাটিতে ঝড়ে পড়তে  থাকে, গণনা ৩:১২। (২) কেরামাস বা
“গ্রীষ্মের ডুমুর,” গ্রীষ্মের সময়েই ফল  ধরতে শুরু করে ও আগষ্ট মাসের দিকে পাকতে শুরু করে। (৩) প্যাগ, সবুজ বা
কাঁচা ডুমুর,” শলো ২:১৩; গ্রীক শব্দ  অলিন্থস, প্রকা ৬:১৩; অসময়ের ডুমুর  অথবা শীতের ডুমুর, যা শরৎকালের ছায়াতে পাকে। ভ‚মধ্যসাগরীয় অঞ্চলে  প্রচুর ফলন হয় ও সাধারণ লোকেরা এটি  ব্যাপকভাবে খায় বলে ঐসব দেশে এটিকে বলে ‘গরিব মানুষের খাবার’। একে শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়, ১ রাজা ৪:২৫; মীখা ৪:৪; সখ ৩:১০।

ডলোরোসার পথ:- অর্থ, গভীর মর্মবেদনার পথ। আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট পিলাতের বিচার স্থান থেকে কালভেরী পাহাড়ের উপরে ক্রুশারোপণের স্থান পর্যন্ত পথে ক্রুশ বহন করে নিয়ে যান, এই ঐতিহাসিক পথকেই নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডলোরোসার  পথ,’ মথি ২৭:২৬,৩১,৩৩; মার্ক  ১৫:২০,২২; লূক ২২:২৫,৩৩; যোহন  ১৯:১৬,১৮। ডলোরোসা একটি ল্যাটিন  শব্দ।

ডোরাকাটা:- পশুর গায়ের ছোট ও বড়  দাগ; ছাগলের ডোরাকাটা দাগ, আদি  ৩১:১০,১২; ঘোড়ার ডোরাকাটা দাগ, সখ  ৬:৩,৬।
ড্রাগন:- (১) হিব্রæ শব্দ “তান্নিম,” এর  বহুবচন “তান”। একটি অজ্ঞাত প্রাণী যা  মরুভ‚মি ও ধ্বংসস্থানে বাস করে, ইয়োব  ৩০:২৯; গীত ৪৪:১৯; যিশা ১৩:২২;  ৩৪:১৩; ৪৩:২০; যির ১০:২২; মীখা  ১:৮; মালাখি ১:৩; সম্ভবত অন্যান্য
অনুবাদে ব্যবহার করা হয়েছে “শিয়াল”।  (২) হিব্রæ শব্দ “তান্নিন,” সমুদ্রের মহা  দানব, যির ৫১:৩৪। যিশা ৫১:৯ পদে
এটিকে বলা হয়েছে “কুমীর”। আদিপুস্তক  ১:২১; (হিব্রæ বহুবচন “তান্নিনিম”) কোন  কোন অনুবাদে আছে “তিমি” এবং
“সমুদ্রের দানব” ব্যবহার করা হয়েছে। যাত্রা ৭:৯ পদে “সাপ” উল্লেখ করা  হয়েছে। প্রতীকী চিহ্ন হিসেবে, গীত  ৭৪:১৩ ও যিহি ২৯:৩ পদে “জল-দানব”  ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন নিয়মে “এক  প্রকাণ্ড লোহিতবর্ণ নাগ” শব্দটি পাওয়া যায়
শুধুমাত্র, প্রকা ১২:৩,৪,৭,৯,১৬,১৭  ইত্যাদি পদে এবং এখানে রূপক অর্থে  শয়তান বা দিয়াবল বোঝানো হয়েছে।
দেখুন: তিমি। 

যক্দিয়াম:- যিহূদা পর্বতে হিব্রোণ শহরের  দক্ষিণ পাশে অবস্থিত একটি শহর, যিহো  ১৫:৫৬।

যক্মিয়াম:- অর্থ, জনগণের সমাবেশ। ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকা থেকে এই আশ্রয় শহর ও তার চারপাশের পশু চরাবার
মাঠ লেবীয়দের দেওয়া হয়, ১ বংশা। এটি যর্দন উপত্যকার কোন এক স্থানে অবস্থিত, ১ রাজা ৪:১২। যক্ষণ:- অর্থ, শিকারী। অব্রাহাম এবং  কটুরার দ্বিতীয় পুত্র, আদি ২৫:২,৩; ১ বংশা ১:৩২। যকৃত/চিত্ত/কলিজা:- মানুষের প্রাণ ও  অনুভ‚তির কেন্দ্রস্থল, হিতো ৭:২৩; এই কলিজা বিশেষভাবে মোশির নিয়ম-কানুনের  নিয়ম অনুসারে হোমবলি উৎসর্গ করা হত,  যাত্রা ২৯:১৩; যিহি ২১:২১। কলিজার  উপরকার অংশকে বেদীর উপর পুড়িয়ে  ফেলা হত এবং একে উৎসর্গের খাদ্য  হিসেবে ব্যবহার করা হত না, যাত্রা  ২৯:১৩,২২; লেবীয় ৩:৪,১,১০,১৫। যিহি  ২১:২১ পদে এরূপ বর্ণনামূলক বিবৃতি  রয়েছে যে, “কারণ বাবিলের রাজা গোণাপড়া করবার জন্য সেখানে থামবে, যেখানে  রাস্তা ভাগ হয়ে গেছে, অর্থাৎ দুই রাস্তা  যেখানে মিলেছে। সে তীর ছুঁড়বে, তার  দেবতাদের সঙ্গে পরামর্শ করবে এবং কোন  পশুর কলিজা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখবে।”  যাদুমন্ত্রের মাধ্যমে গণনা করা, অনুমান  করা ও ভবিষ্যত সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার  সর্বপ্রথম উল্লেখকৃত উদাহরণ হচ্ছে  লাবনের টেরাফিম বা দেবমূর্তি। সেপ্টুয়াজিন্ট এবং যোসেফাসের মতে, টেরাফিম হচ্ছে “ছাগলের কলিজা”। “কলিজার উপরের অংশ” আগুনের পুড়িয়ে উৎসর্গ করার কথা বলা হয়েছে, লেবীয় ৪:৯; ৭:৪ ইত্যাদি।

যকৃতের/কলিজার উপরের অংশ:- হিব্র শব্দ “ইয়োথ’রেথ্” অর্থাৎ “বাড়তি কিছু”। কলিজার উপরের অন্ত্রাপ্লাবক ঝিল্লি বা অতি  পাতলা পর্দা, যা দিয়ে যকৃতের উপরের  অংশ জড়ানো থাকে, যাত্রা ২৯:১৩,২২;  লেবীয় ৩:৪,১০,১৫; ৪:৯; ৭:৪।

যক্তেল:- অর্থ, ঈশ্বরের বশীভ‚ত। (১)  লাখীশের নিকটবর্তী যিহূদার একটি শহর, যিহো ১৫:৩৮। সম্ভবত এটি গেষরের
দক্ষিণে ধ্বংসপ্রাপ্ত কুটলান অঞ্চল। (২)  যিহূদার রাজা অমৎসিয় ইদোমের বিরুদ্ধে একটি বড় এবং সফল অভিযান চালান, ২  বংশা ২৫:৫-১০। তিনি ইদোমীয়দের  বিতাড়িত করেন এবং তাদের অনেককে  হত্যা করেন। এই বিষয় তার কাছে এতই  বিষ্ময়কর ছিল যে, তিনি বুঝতে পারেন  এটি কেবলমাত্র ঈশ্বরের বিশেষ সহায়তার  মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে এবং সে কারণেই  তিনি ইদোমীয়দের সেলা নামের যে দুর্গ  শহর ছিল তার নাম পরিবর্তন করে যক্তেল  রাখেন, ২ রাজা ১৪:৭।

 

য´িয়াম:- অর্থ, জনগণের দ্বারা পরিপূর্ণ। যিহো ১৯:১১; ২১:৩৪; কর্মিলের একটি  শহর, যিহো ১২:২২; কর্মিলে অবস্থিত  চারণ-ভ‚মিসহ এই স্থানটি মারারীয়  লেবীয়দেরকে দেওয়া হয়। এটি বর্তমানে  টেল কিয়ামন, যা কীশোন নদীর দক্ষিণে নাসরত থেকে প্রায় ১২ মাইল দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত। 

যট্বা:- অর্থ, সন্তুষ্টিজনক। যিহূদার একটি  গ্রাম, রাজা আমোনের মা মশুল্লেমতের  জন্মস্থান, ২ রাজা ২১:১৯।  যট্বাথা:- পারণ মরুভ‚মিতে অবস্থিত  একটি গ্রাম, সীন মরুভ‚মি থেকে এসে ইস্রায়েলীয়রা এখানে ছাউনি ফেলে, গণনা ৩৩:৩৩,৩৪; দ্বি:বি: ১০:৭।

যত্তীর:- অর্থ, সর্বপ্রধান। যিহূদা পর্বতমালায় অবস্থিত একটি শহর, যিহো  ১৫:৪৮; ২১:১৪।

যদ্দূয়:- অর্থ, পরিচিত বা অবগত। (১) প্রধান ব্যক্তিদের মধ্যে একজন, যিনি চুক্তিপত্রে সই করতে রাজি হন, নহি ১০:২১। (২) পুরাতন নিয়মে উল্লিখিত  পিতৃকুলপতি পুরোহিতদের মধ্যে সর্বশেষ পুরোহিত, নহি ১২:১১,২২; যোনাথনের
সন্তান।

যর্দন:- হিব্রæ শব্দ ইয়ার্দন, অর্থাৎ
অবরোহণকারী; আরবী শব্দ নাহ্-এশ্-
শেরিয়া, অর্থাৎ জল দেওয়ার স্থান। এটি
প্যালেষ্টাইনের প্রধান নদী। এটি উত্তর
থেকে দক্ষিণ দিকে একটি গভীর
উপত্যকার মাধ্যমে দেশের মাঝখান দিয়ে
প্রবাহিত হয়েছে। অবরোহণকারী নামটি
অর্থপূর্ণ, কারণ নদীটি তার সম্পূর্ণ গতিপথ
অতিক্রম করে নিচে মরু-সাগরে গিয়ে
পড়েছে। নদীটি হর্মোণের বরফ গলা জল
থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এর দু’টি উৎপত্তি
স্থল সম্পর্কে জানা যায়: (১) পশ্চিম পার্বত্য 
অঞ্চলে কোন এক সময় প্যালেষ্টাইনের
উত্তর সীমার দান শহরটি অবস্থিত ছিল,
সেখানে লীদান নামে একটি বড় ঝর্ণার সৃষ্টি
হয়, যা সিরিয়ার সবচেয়ে বড় ঝর্ণা এবং
যর্দনের প্রধান উৎপত্তিস্থল। (২)
বানিয়াসের ধ্বংসাবশেষের পেছনে প্রাচীন
কৈসরিয়া ফিলিপী এবং পানিয়ামে একটি
চমৎকার চুনাপাথরের শৃঙ্গ বিদ্যমান, যেটি
মূলত একটি ঝর্ণার উৎসমুখ। এটি হচ্ছে
যর্দনের আরেকটি উৎপত্তিস্থল এবং
যিহূদীদের মতে এটিই যর্দনের প্রকৃত
উৎপত্তিস্থল। এটি দ্রুতবেগে সমভ‚মি দিয়ে
ফেনিল স্রোত সহকারে ধেয়ে আসে এবং
দানের ৫ মাইল দক্ষিণে লীদানে বা টেলএল-কেডিতে সংযুক্ত হয়। (৩) এই দুই
ঐতিহাসিক ঝর্ণা ছাড়াও তৃতীয় একটি ঝর্ণা
বিদ্যমান, যা হাসবানী নামে পরিচিত। এটি
টেল-এল-কারী থেকে ১২ মাইল উত্তরে ও
পশ্চিম হর্মোণের একটি উপত্যকার
মাঝখান থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এটি মূল
স্রোতের সাথে লীদান ও বানিয়াসের
সংযোগস্থলের ১ মাইল নিচে এসে
মিশেছে। নদীটি এখানে এসে ৪৫ ফুট
চওড়া হয়েছে এবং একটি খালের মধ্য
দিয়ে সমভ‚মির ১২ থেকে ২০ ফুট নিচ
দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর আঁকা-বাঁকা
গতিপথ ধরে একটি জলাভ‚মির মধ্য দিয়ে
৬ মাইল পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে ঝর্ণাটি হূল্লা
হ্রদে পতিত হয়েছে। এই স্থানে যর্দন নদীর
গতিপথ ১,১০০ ফুট নিচে নেমে গেছে।
বানিয়াসে এটি সমুদ্র সমতল হতে ১,০৮০
ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। হূল্লা হ্রদের
দক্ষিণ প্রান্ত থেকে এটি প্রায় সমুদ্র
সমতলের সমান স্তরে প্রবাহিত হয়; এটি
প্যাপাইরাস বনের ভেতর দিয়ে ২ মাইলের
মত প্রবাহিত হয়ে ৯ মাইল পর্যন্ত একটি
সরু গিরিসঙ্কটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে
গালীল সাগরে মিশেছে। যর্দন নদীর
তীরবর্তী বিস্তীর্ণ উপত্যকায় কোন
জনবসতি নেই। সম্পূর্ণ নদীটির শুধুমাত্র
পূর্ব উপক‚লে হর্মোণ পর্বতের পাদদেশ
থেকে হিরোমা·ের সঙ্কীর্ণ উপত্যকার
অন্তর্গত ৩০ মাইল দীর্ঘ এবং ৮ মাইল
প্রশস্ত বিশাল উর্বর এলাকায় তিনটি
জনবসতিপূর্ণ গ্রাম রয়েছে। নদীর পশ্চিম
ক‚ল প্রায় জনমানবশূন্য, সেখানে অসংখ্য
ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। প্রতি ২ মাইল পর
পর যেখানে শহর বা গ্রাম দেখা যেত,
বর্তমানে কাঁটাগাছ ও ঝোপের ঘন জঙ্গলের
নিচে তা ঢাকা পড়ে আছে। বাইবেলের
ভবিষ্যদ্বাণী এখানে অদ্ভুতভাবে পূর্ণতা লাভ
করেছে: “আর আমি তোমাদের সমস্ত নগর
উৎসন্ন করবো, তোমাদের সকল মন্দির
ধ্বংস করবো, ও তোমাদের সৌরভের
আঘ্রাণ নেব না। আর আমি দেশ ধ্বংস
করবো ও সেখানে বাসকারী তোমাদের
দুশমনেরা তা দেখে বিস্মিত হবে। আর
আমি তোমাদেরকে নানা জাতির মধ্যে
ছিন্নভিন্ন করবো, ও তোমাদের পশ্চাতে
তলোয়ার উম্মুক্ত করবো, তাতে তোমাদের
সমস্ত দেশ ধ্বংসস্থান ও তোমাদের সমস্ত
নগর উৎসন্ন হবে। তখন যত দিন দেশ
ধ্বংসস্থান থাকবে, ও তোমরা শত্রæদের
দেশে বাস করবে, ততদিন ভ‚মি স¦ীয়
বিশ্রামকাল ভোগ করবে; তৎকালে ভ‚মি
বিশ্রাম পাবে ও স¦ীয় বিশ্রামকাল ভোগ
করবে,” লেবীয় ২৬:৩১-৩৪।
নদীটি গালীল সাগর এবং মরুসাগর থেকে
৬৮২ ফুট নিচ দিয়ে সমান্তরালভাবে
প্রবাহিত হয়েছে, যাকে “যর্দনের এলাকা”
বলা হয়, মথি ৩:৫; আধুনিক কালে
আরবীয়রা একে “ঘোর” বা “ডুবন্ত
সমভ‚মি” বলে থাকে। এ অঞ্চলটিই
বাইবেলে উল্লিখিত যর্দন। যর্দন নদী এখান 
থেকে গভীর সঙ্কীর্ণ উপত্যকার মধ্য দিয়ে
দিক পরিবর্তন করে ২০০ ফুট থেকে আধ
মাইল পর্যন্ত প্রশস্ত হয়েছে এবং এর
গভীরতা ৪০ থেকে ১৫০ ফুট বৃদ্ধি
পেয়েছে। এখান দিয়ে যর্দন তীব্র বেগে
আঁকা-বাঁকা পথ ধরে মরু সাগরে পড়েছে।
গালীল সাগরের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে মরু
সাগর পর্যন্ত সরাসরি দূরত্ব ৬৫ মাইল,
কিন্তু নদীর দিক পরিবর্তনের জন্য এই
দূরত্ব ২০০ মাইলে গিয়ে দাঁড়িয়েছে এবং
এর গভীরতাও ৬১৮ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
বানিয়াস থেকে যর্দনের সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য ১০৪
মাইল এবং গভীরতা ২৩৮০ ফুট। এর ২টি
উপনদী রয়েছে যা পূর্বদিক থেকে গালীল
সাগর ও মরু সাগরের মধ্য দিয়ে এই
নদীতে প্রবেশ করেছে: (১) ওয়াদি মান্ধুর,
যিহূদীদের মধ্যে ইয়ারমাক নামে এবং
গ্রীকদের মধ্যে হিরোমা· নামে পরিচিত।
এটি বাশন এবং গিলিয়দের মধ্যবর্তী
সীমানা নির্দেশ করে। হারোনের মালভ‚মি
দিয়ে এটি প্রবাহিত হয়েছে। (২) যব্বোক
অথবা ওয়াদি যারকা, এটি অম্মোনের উত্তর
সীমারেখা নির্দেশ করে। নদীটি যিরীহো
নগরের ২০ মাইল উত্তর দিক হতে যর্দনে
প্রবেশ করেছে।
যর্দনের সাথে সম্পর্কিত প্রথম ঐতিহাসিক
ঘটনা হল অব্রাহাম ও লোটের মধ্যে
বিভেদ, আদি ১৩:১০। লোটের দৃষ্টিতে
সোয়র পর্যন্ত যর্দনের সমস্ত অঞ্চল ছিল
এদোন উদ্যানের মত উর্বর। যাকোব ২
বার এই যর্দন নদী অতিক্রম করেন, আদি
৩২:১০। ইস্রায়েলীয়রা এই নদীটি শুকনো
অবস্থায় পার হয়, যিহো ৩:১৭; গীত
১১৪:৩। এরপর ভাববাদী ইলিশায় ও
ভাববাদী এলিয়ের দ্বারা আরো ২ বার এর
জল আশ্চর্যভাবে একই জায়গায় ২ ভাগ
হয়ে যায়, ২ রাজা ২:৮-১৪। যর্দনের কথা
বাইবেলের পুরাতন নিয়মে ১৮০ বার এবং
নতুন নিয়মে ১৫ বার উল্লিখিত হয়েছে।
বাইবেলের সুসমাচারগুলো এ নদীর সাথে
জড়িত প্রধান ঘটনা হল, বাপ্তিস্মদাতা
যোহনের প্রচারকার্যে সমস্ত অঞ্চলের লোক
তাঁর কাছে গিয়ে নিজেদের পাপ ¯^ীকার
করে যর্দন নদীতে তাঁর দ্বারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ
করে, মথি ৩:৬। এমন কি প্রভু যীশু খ্রীষ্টও
বাপ্তিস্মদাতা যোহনের দ্বারা যর্দনে বাপ্তিস্ম
নেন, মার্ক ১:৯।
যর্দন নদীর ওপার:- দেখুন: পেরিয়া।
যন্ত্র:- (১) হিব্রæ শব্দ ‘হিশালন’ অর্থাৎ
“আবিষ্কার”। মানুষের বিভিন্ন কৌশল,
জটিল জীবন, উপ ৭:২৯। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি
দিয়ে তীর ও বড় বড় পাথর ছুড়ে মারা
হত, ২ বংশা ২৬:১৫; রোমীয়রা
এগুলোকে বালিস্তা, ক্যাটাপাল্ট বা গুলতি
বলে। (২) হিব্রæ শব্দ “মেখী কোবল্লো,”
অর্থাৎ আঘাত করার জন্য ব্যবহৃত দুরমুশ,
যা সচরাচর মিশরীয় ও আশেরীয়রা
ব্যবহার করতো, যিহি ২৬:৯। এই ধরনের
যন্ত্র রাজা দায়ূদের শাসনামলে ব্যবহৃত
হত, ২ শমূ ২০:১৫।
যফ্লেটীয়:- যোষেফ বংশের সীমারেখা
ছিল পশ্চিমে বৈৎ-হোরোণ থেকে
যফ্লেটীয়দের এলাকা পর্যন্ত, যিহো ১৬:১-
৩।
যব:- যাত্রা ৯:৩১ পদে সর্বপ্রথম উল্লেখ
করা হয়েছে, এটি গমের আগে উৎপন্ন হত
এবং মিশর দেশের থেকে একমাস আগে
পলেষ্টীয় দেশে পাকত। এটি মিশর এবং
পলেষ্টীয় দেশে প্রচুর চাষ করা হত, লেবীয় 
২৭:১৬; দ্বি.বি. ৮:৮। কনান দেশটি ছিল
যেন এই যবের ভাণ্ডার, দ্বি.বি. ৮:৮। এটি
ছিল মূলত ঘোড়ার খাবার, ১ রাজা ৪:২৮;
মানুষও এটি খেত। এই শস্যের রুটি ছিল
সাধারণত গরিবদের খাবার, বিচার ৭:১৩;
২ রাজা ৪:৪২। এপ্রিলের মাঝামাঝিতে
নিস্তার-পর্ব পালনের সময় যবের প্রথম
শস্য সংগ্রহ করা হত, রূত ১:২২; ২ শমূ
২১:৯। এই সময়ে যবের ময়দা দিয়ে
খাবার তৈরি হত, গণনা ৫:১৫। প্রভু যীশু
খ্রীষ্ট “পাঁচটি যবের রুটি এবং দু’টি ছোট
মাছ দিয়ে” পাঁচ হাজার লোককে
খাইয়েছিলেন, যোহন ৬:৯।
যবন:- (১) যেফতের চতুর্থ পুত্র, আদি
১০:২। তার বংশধরেরা গ্রীসে স্থায়ীভাবে
বাস করছে; অন্য অর্থে লোনীয়া, যা
যবনের হিব্রæ নাম। আলেকজান্ডার দি গ্রেট-
কে “যবনের রাজা” বলা হত। গ্রীস, দানি
৮:২১; ১০:২০; ১১:১২; সখ ৯:১৩। পূর্ব
দেশীয় লোকেরা যবন শব্দটি সামগ্রিকভাবে
গ্রীক জাতির জন্য প্রয়োগ করে। খ্রীষ্টপূর্ব
৭০০ থেকে ৬৩০ পর্যন্ত যবন বা
আইওনিয়রা ইব্রীয় জাতির সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য চালায় এবং নিকট প্রাচ্যের
দেশগুলোতে এই ব্যবসার প্রসার ঘটায়;
সেই সময় থেকে যিহূদীরা তাদেরকে ‘যবন’
বলে ডাকত। (২) আরবীয় ফেলি·-এর
একটি শহর বা জেলা, যেখান থেকে
সিরীয়রা লোহা, গন্ধরস ও দারুচিনি
আহরণ করতো, যিহি ২৭:১৯।
যব্নি:- অর্থ, ইমারত। ২ বংশাবলী ২৬:৬;
যব্নিয়েল অনুরূপ, যিহো ১৫:১১।
যব্নিয়েল:- অর্থ, ঈশ্বরের দ্বারা নির্মিত।
(১) যিহূদার উত্তর সীমানায় অবস্থিত
একটি নগর, যিহো ১৫:১১। পরবর্তীতে
গ্রীকরা এই নগরটি যামনীয়া নামে নামকরণ করে; বর্তমানে এটি ইয়াবনাহ্ নামে
পরিচিত, এটি যাফা থেকে ১১ মাইল
দক্ষিণে অবস্থিত। যিরূশালেমের পতনের
পর (৭০ খ্রীষ্টাব্দ) এটিই যিহূদার সবচেয়ে
জনবসতিপূর্ণ শহরে পরিণত হয় এবং এটি
ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কেন্দ্রবিন্দু
ছিল। (২) নপ্তালির সীমানায় অবস্থিত
একটি শহর বা নগর, যিহো ১৯:৩৩। এর
আধুনিক নাম কেফার ইয়ামাহ্, যার অর্থ
“সাগর ক‚লের গ্রাম,” এটি মেরোম হ্রদের
দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। (৩) হাৎসোর-এর
আর একজন রাজা যাকে বারক পরাজিত
ও হত্যা করেন, বিচার ৪ অধ্যায়; ১ শমূ
১২:৯; গীত ৮৩:৯।
যব্বোক:- অর্থ, প্রবাহিত হওয়া বা
মল্লযুদ্ধ। যর্দনের পূর্বে প্রবাহিত একটি
জলধারা, যা গালীল সাগর ও মরু সাগরের
মাঝখান দিয়ে অথবা গালীল সাগর থেকে
৪৫ মাইল নিচ দিয়ে প্রবাহিত। এটি
গিলিয়দ পর্বতমালার পূর্বদিক থেকে উৎপন্ন
হয়ে ৬৫ মাইল দীর্ঘ গভীর ও সঙ্কীর্ণ এক
উপত্যকা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই
প্রবাহটি, অম্মোন সন্তানদের ও বাশনের
রাজা ওগের মধ্যবর্তী সীমানা স্থাপন
করেছে, যিহো ১২:১-৫; গণনা ২১:২৪।
তাদের দেশ দিয়ে যাবার জন্য
ইস্রায়েলীয়রা এই নদী অতিক্রম করতে
চাইলে রাজা সীহোন বাধা দেন, ফলে
ইস্রায়েলীয়রা এটি দখল করে নেয়, গণনা
২১:২১-২৫। এটি রূবেণের বংশ ও মনঃশি
বংশের মধ্যবর্তী সীমানাও নির্ধারণ করে,
গণনা ২১:২৪; দ্বি.বি. ৩:১৬। এটি
সমভ‚মির উপর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত
হওয়ার সময় একাধিকবার মাটির নিচ দিয়ে
প্রবাহিত হয়েছে। এ নদীর তীরবর্তী
দৃশ্যগুলো পলেষ্টীয়দের মধ্যে সবচেয়ে
সুন্দর এবং পাহাড়ের চারপাশে ছড়িয়ে
থাকা গ্রাম, শহর এবং দুর্গের ধ্বংসাবশেষ
এই দেশটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
এই নদীটি বর্তমানে জারকা অথবা নীলনদ
নামে পরিচিত। এই যব্বোক নদীর তীরেই
যাকোব ¯¦র্গদূতের সাথে লড়াই করেন,
ফলে তিনি নতুন নাম ‘ইস্রায়েল’ গ্রহণ
করেন, আদি ৩২:২২-৩০।
যমজ:- খ্রীষ্টের ১২ জন শিষ্যদের মধ্যে
একজনের নাম, মথি ১০:৩; মার্ক ৩:১৮।
তাকে ‘দিদুম’ বা ‘যমজ’ বলেও ডাকা হত,
যোহন ১১:১৬; ২০:২৪; ২১:২। চারটি
সুসমাচারেই আমরা তাঁর বিষয় দেখতে
পাই, যোহন ১১:১৫,১৬; ১৪:৪৫;
২০:২৪,২৫,২৬-২৯। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতার শুরু থেকেই শিষ্যদের নামের
তালিকার মধ্যে তাঁকে সব সময়
আলফেয়ের পুত্র মথির সঙ্গে বা তাঁর নামের
পাশে উল্লেখ করতে দেখা যায়, মার্ক
৩:১৮; আর তাদের নামের (মথি ও
থোমার) পর পরই যাকোবের নাম উল্লেখ
করতে দেখা যায়, এই যাকোবও ছিলেন
আলফেয়ের পুত্র। মনে করা হয়ে থাকে যে
মথি, থোমা এবং যাকোব এই তিন জন
ছিলেন সহোদর ভাই। উত্তেজিত যিহূদীদের
ভয়ে যখন অন্য শিষ্যগণ প্রভু যীশুর সঙ্গে
বৈথেনিয়া থেকে বৈৎলেহমে যেতে
চাইছিলেন না তখন থোমা বললেন, “চল,
আমরাও যাই, যেন তাঁর সঙ্গে মরতে
পারি,” যোহন ১১:১৬। ঈশ্বরের পথের
বিষয়ে থোমার মন্তব্যের কারণেই প্রভু যীশু
খ্রীষ্ট তাঁকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন,
“আমিই পথ, সত্য আর জীবন। আমার
মধ্য দিয়ে না গেলে কেউই পিতার কাছে
যেতে পারে না,” যোহন ১৪:১-৬। প্রভু
যীশু খ্রীষ্ট পুনরুত্থানের পর শিষ্যদের দেখা
দেন। থোমা এই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ
করেছিলেন, যোহন ২০:২৪,২৫। কিন্তু এর
৮ দিন পরে যখন প্রভু যীশু তাঁদের দেখা
দিয়ে তাঁর হাত ও কুক্ষিদেশ দেখান, তখন
তিনি আশ্চর্য ও আনন্দিত হয়ে বলেছিলেন,
“প্রভু আমার, ঈশ্বর আমার,” যোহন
২০:২৬,২৭। গালীল সাগরের তীরে যে,
ছয় জনের সামনে প্রভু যীশু দেখা দেন,
সেখানেও থোমা ছিলেন, যোহন ২১:১-৮।
প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে যখন ¯¦র্গে তুলে নেওয়া
হল তখন থোমা সেখানে উপস্থিত ছিলেন,
প্রেরিত ১:১৩।
যমজ দেবের মূর্তি:- যমজ দেবতার মূর্তি;
“ডিওস্কুরি,” গ্রীক ও রোমান পৌরাণিক
কাহিনীর দুই শক্তিধর দেবতা। লূক উল্লেখ
করেছেন যে, সম্ভবত তাদের মূর্তি
জাহাজের অগ্রভাগে অঙ্কন করে বা খোদাই
করে রাখা হত, প্রেরিত ২৮:১১।
তাদেরকে নাবিকদের রক্ষাকারী দেবতা
হিসেবে মনে করা হত। তাদের মায়ের নাম
লিডা, তিনি দেবতা জিউসের অন্যতম
একজন স্ত্রী। গ্রীক পুরাণ অনুসারে
“ক্যাস্টর” ছিলেন একজন অশ্বারোহী ও
“পোলা·” ছিলেন মুষ্টিযোদ্ধা। পরবর্তীতে
তাদেরকে নক্ষত্র হিসেবে আকাশে স্থাপন
করা হয় এবং এরপর থেকে তারা
“জেমিনি” বা “টুইনস্” নক্ষত্রপুঞ্জ নামে
পরিচিত।
যম্লেক:- অর্থ, যাকে ঈশ্বর তৈরি করেন।
শিমিয়োন বংশের একজন নেতা, ১ বংশা
৪:৩৪।
যর্মূৎ:- অর্থ, শীর্ষ। (১) যিহূদার সমভ‚মিতে
অবস্থিত একটি শহর, যিহো ১৫:৩৫।
কনানীয় একজন রাজার বাসস্থান, যিহো
১০:৩-৫,২৩। এটি বর্তমানে ইয়ারমূক, যা
বেইৎ-যিবরিনের ৭ মাইল দক্ষিণ পূর্বে
অবস্থিত। (২) ইষাখর বংশের অধীনস্থ
একটি লেবীয় শহর, যিহো ২১:২৯; কারও
কারও মতে এটি শমূয়েলের রামা শহর, ১
শমূ ১৯:২২।
যহদো:- গাদ বংশের বূষ-এর পুত্র,
যিশীশয়ের পিতা, ১ বংশা ৫:১৪।
যহময়:- ইষাখরের নাতি, তোলয়ের পুত্র;
তিনি নিজ বংশের নেতা ছিলেন, ১ বংশা
৭:১,২।
যহলেল:- সবূলূনের বংশের লোক,
যহলেলীয় বংশের প্রতিষ্ঠাতা, গণনা
২৬:২৬; আদি ৪৬:১৪।
যহস:- অর্থ, পর্বদলিত। যাহসা নামেও
পরিচিত, যিহো ১৩:১৮; যহস, যিহো
২১:৩৬; যাহসা, ১ বংশা ৬:৭৮; এই
শহরে সীহোন পরাজিত হন। শহরটি যর্দন
পার হয়ে মোয়াবের সীমানার পাশে
ইমোরীয়দের এলাকায় এবং অর্ণোন নদীর
উত্তর-পূর্ব পাশে অবস্থিত, গণনা ২১:২৩;
দ্বি.বি. ২:৩২; এই শহর রূবেণ বংশের
অধিকারে ছিল এবং তা মরারি বংশকে
বরাদ্দ দেওয়া হয়, যিহো ১৩:১৮; ২১:৩৬;
এখানকার যুদ্ধে সীহোন সম্পূর্ণরূপে
পরাজিত হন, এবং তাঁর রাজ্য (বর্তমান
বেলবা) ইস্রায়েলের অধীনে আসে।
মোয়াবের বিরুদ্ধে ভাববাদীদের
অভিযোগের সূত্র ধরে এই শহরের নাম
উল্লেখ করা হয়, যিশা ১৫:৪; যির
৪৮:৩৪।
যহসিয়:- অর্থ, ঈশ্বর দেখেন। ভিন্ন জাতির
মেয়েদের বিবাহ করার পাপ নিয়ে
আলোচনার সময় এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত
নেবার বিরুদ্ধে অন্যদের সাথে দাঁড়ায়
অসাহেলের পুত্র যোনাথন ও তিক্বের পুত্র
“যহসিয়,” ইষ্রা ১০:১৫।
যহসিয়েল:- অর্থ, ঈশ্বর কর্তৃক বণ্টনকৃত।
নপ্তালির জ্যেষ্ঠ পুত্র, আদি ৪৬:২৪; ১
বংশা ৭:১৩।
যহসীয়েল:- অর্থ, ঈশ্বর দেখেন। (১)
হিব্রোণের তৃতীয় পুত্র, ১ বংশা ২৩:১৯।
(২) একজন বিন্যামীনীয় বংশ-প্রধান, তিনি
সিক্লগে দায়ূদের সাথে যোগ দেন, ১ বংশা
১২:৪। (৩) একজন পুরোহিত, তিনি
যিরূশালেমে সাক্ষ্য-সিন্দুক আনার সময়
সাথে ছিলেন, ১ বংশা ১:৪; ১৬:৬। (৪)
সখরিয়ের পুত্র, আসফের বংশজাত একজন
লেবীয়, ২ বংশা ২০:১৪-১৭। তিনি
যিহোশাফটকে মোয়াব এবং অম্মোন
সন্তানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহস
যোগান।
যহসেরা:- অর্থ, প্রবর্তনকারী। মশুল্লমের
পুত্র, অদীয়েলের পিতা, ১ বংশা ৯:১২।
যহৎ:- অর্থ, একতা বা ঐক্য। (১)
শিমিয়ির পুত্র, গের্শোনের নাতি, ১ বংশা
২৩:১০। (২) শলোমীতের পুত্র, কহাতের
বংশভুক্ত এবং লেবীয় বংশের লোক, ১
বংশা ২৪:২২। (৩) মরারি বংশের একজন
লেবীয়, যোশিয়ের অধীনে মন্দির
মেরামতের জন্য নিযুক্ত তত্ত¡াবধায়ক, ২
বংশা ৩৪:১২। (৪) যিহূদার একজন
নাতি, ১ বংশা ৪:১,২। (৫) লেবীর
একজন নাতি, ১ বংশা ৬:১৬-২০। 
আরো আছে
826

  পবিত্র বাইবেল ডিকশনারী । Bengali Bible Carey  Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন) বাইবেল অভিধান
তক্ছেদ:- ত্বকছেদ, পুরুষাঙ্গের সামনের
চামড়া কেটে ফেলা। অনেকে মনে করেন
যে, পূর্বে এই ব্যবস্থা কতিপয় বংশের
লোকেরা পালন করতো, যা ছিল ঈশ্বরের
মনোনীত জাতির বিশেষ চিহ্ন¯^রূপ,
ঈশ্বরের আদেশমত তাঁদের পবিত্র হওয়ার
চিহ্ন। মোশির আইন অনুসারে প্রভু যীশু
খ্রীষ্টের তক্ছেদ করানো হয় জন্মের আট





দিন পর। এটি ঈশ্বরের সঙ্গে অব্রাহাম ও
তাঁর বংশের লোকদের সঙ্গে করা ব্যবস্থার
চিহ্ন¯^রূপ করা হত, আদি ১৭:১০।
ইস্রায়েলীয়দের মত অন্যান্য জাতির
লোকেরা, বিশেষত মিশরীয় ও আরবীয়রা
তক্ছেদ করাত। ¯¦র্গীয় আদেশ পালনের
নিমিত্তে অব্রাহামকে নিরানব্বই বছর বয়সে
তক্ছেদ করানো হয় এবং একই দিনে
ইশ্মায়েলের তক্ছেদ করানো হয় যখন তাঁর
বয়স ছিল তের বছর, আদি ১৭:২৪-২৭।
কেনা দাস কিংবা ঘরে জন্মেছে এমন সব
দাসের অর্থাৎ বাড়ির প্রত্যেকটি পুরুষকে
তক্ছেদ করানো হত এবং যিহূদী নাগরিক
হিসেবে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার
আগে অন্য জাতির সমস্ত লোকদের
তক্ছেদ করতে হত, যাত্রা ১২:৪৮।
প্রান্তরে যাত্রার সময় ইস্রায়েলীয়রা এই
ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে পালন করেনি, কিন্তু
প্রতিজ্ঞা করা দেশে ঢোকার পূর্বে সদাপ্রভু
ইস্রায়েলীয়দের তক্ছেদ করাতে যিহোশূয়কে
আদেশ দেন, যিহো ৫:২-৯। পরবর্তীতে
এই নিয়ম ইস্রায়েল বংশের মধ্যে কেনানে
বসবাসের সময় থেকে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের
জন্মের সময় পর্যন্ত প্রায় ১৪৫০ বছর ধরে
পালন করতে দেখা গেছে। তক্ছেদ
করানো যিহূদীরা নিজেদেরকে আলাদা
ভেবে গর্ব অনুভব করতো, বিচার ১৪:৩;
১৫:১৮; ১ শমূ ১৪:৬; ১৭:২৬; ২ শমূ
১:২০; যিহি ৩১:১৮। খ্রীষ্ট-বিশ্বাসীদের ও
পরজাতীয়দের মোশির রীতি-নীতি মেনে
চলার ব্যাপারে মণ্ডলীতে যে বিতর্ক ছিল,
সে বিষয়ে শেষ পর্যন্ত যিরূশালেম
মহাসভায় খ্রীষ্ট-বিশ্বাসীদের তক্ছেদ না
করানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, প্রেরিত
১৫:৫; গালা ৬:১৫; কল ৩:১১। আমাদের
প্রভু যীশু খ্রীষ্ট খ্রীষ্টকে মোশির নিয়ম-কানুন
পূর্ণ করার জন্য তক্ছেদ করানো হয়,
কারণ তিনি অব্রাহামের বংশধর। যিহূদী
এলাকায় প্রচারে যাবার জন্য পৌল
তীমথিকে তক্ছেদ করান, যাতে যিহূদীরা
তাদের দোষ ধরতে না পারে, প্রেরিত
১৬:৩। কিন্তু পৌল তীতকে তক্ছেদ
করাতে বাধ্য করেন নি, গালা ২:৩-৫।
তক্ছেদ করানোর উদ্দেশ্য হল, অযিহূদীরা
যেন অনায়াসে মণ্ডলীতে প্রবেশ করতে
পারে এবং যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস স্থাপন
করতে পারে, তাই তক্ছেদের মূল বিষয়
হল প্রভু যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস স্থাপন
করে তাঁর বিশ্বাসী হওয়া। পঞ্চপুস্তকে
তক্ছেদের সঙ্গে আত্মিকতার বিষয়টি
সম্পৃক্ত, এটি পবিত্রতার চিহ্ন¯^রূপ, যিশা
৫২:১। রূপকার্থে বলা হয়েছে:
তক্ছেদবিহীন ওষ্ঠ, যাত্রা ৬:১২,৩০; কান,
যির ৬:১০; অন্তর, লেবীয় ২৬:৪১। এটি
অব্রাহামের কাছে ঈশ্বরের সীলমোহরকৃত
প্রতিজ্ঞা, যা আমাদের উপর বর্ষিত হয়,
গালা ৩:১৪। এটি অন্তরের তক্ছেদ¯^রূপ,
পবিত্র আত্মা অন্তরের তক্ছেদ করেন,
দ্বি.বি. ১০:১৬; ৩০:৬; যিহি ৪৪:৭;
প্রেরিত ৭:৫১; রোমীয় ২:২৮; কল ২:১১।
তক্ছেদ হচ্ছে একটি প্রতিফলিত শুচি
করণের প্রতীক যা বর্তমানে পবিত্র আত্মার 
মাধ্যমে বাপ্তিস্ম নেওয়ার প্রতীকের অনুরূপ। তক্ছেদপ্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তি ঈশ্বর
কর্তৃক বাছাইকৃত, ঈশ্বরের মণ্ডলীর একজন
সদস্য এবং সাথে সাথে যিহূদী জনগোষ্ঠীর
সদস্য হিসেবে বিবেচিত হত।
তক্ছেদ-বিহীন:- তিনটি অর্থে এটি
ব্যবহৃত: (১) এমন একজন যে যিহূদী
ধর্মীয় নিয়ম অনুসারে তার দেহে তক্ছেদ
করে নি। (২) যিহূদী নয় এমন অন্য
জাতির লোক বা পরজাতীয়, আদি
৩৪:১৪; বিচার ১৪:৩; রোমীয় ৪:৯। (৩)
এমন একজন যার হৃদয় ঈশ্বরের কাছ
থেকে দূরে বা বিরোধী, যির ৪:৪; ৬:১০;
প্রেরিত ৭:৫১।
তকেল:- ওজন করা হয়েছে এমন, দানি
৫:২৭। ভাববাদী দানিয়েল রাজা
বেল্শৎসরের ¯^প্নের অর্থ বলার জন্য এই
‘তকেল’ শব্দটি ব্যবহার করে বলেন,
“তকেল, অর্থাৎ ওজন করাÑ দাঁড়িপাল্লায়
আপনাকে ওজন করা হয়েছে এবং আপনি
কম পড়েছেন”।
তকোয়:- অর্থ, তা¤¦ু বা ছাউনি স্থাপন করা;
দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করা বা স্থাপন করা।
যিরূশালেমের ১২ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত
যিহূদার একটি শহর, এই শহরটিকে
যিরূশালেম থেকে দেখা যায়। এই স্থান বা
শহর থেকে যোয়াব একজন চালাক
বুদ্ধিমতী স্ত্রীলোককে আনিয়েছিলেন এবং
চরম দুর্দশাগ্রস্ত এমন একজন স্ত্রীলোকের
ভান করার জন্য তাকে প্ররোচিত
করেছিলেন। স্ত্রীলোকটি তাই করেছিল
এবং অতি দক্ষতার সঙ্গে তার ঘটনা
দায়ূদকে জানিয়েছিলেন। যে নীতিকাহিনী
নাথন বলেছিলেন, অনুরূপ নীতিকাহিনী
তিনি রাজা দায়ূদকে বলেছিলেন, ২ শমূ
১২:১-৬। যোয়াবের উদ্দেশ্য ছিল এই
স্ত্রীলোকের মাধ্যমে অবশালোমকে
যিরূশালেমে ফিরিয়ে আনার জন্য প্ররোচিত
করা, ২ শমূ ১৪:২,৪,৯। এই স্থানটি ছিল
ভাববাদী আমোষেরও জন্মস্থান, আমোষ
১:১। এক সময় রহবিয়াম যিহূদা
দেশটাকে রক্ষা করার জন্য তকোয়সহ
অনেকগুলো নগর সুরক্ষিত করলেন, ২
বংশা ১১:৬। এটি এখন বৈৎলেহমের ৫
মাইল দক্ষিণ দিকে বেৎ-হাক্কেরম এর খুব
কাছে (হেরোদের পাহাড়) পাহাড়ের উপর
ধ্বংসাবশেষগুলোর মধ্যে একটি, যেটি
এখন তেকুয়ার একটি গ্রামে পরিণত
হয়েছে।
তখমোনীয়:- দায়ূদের নাম করা তিন জন
বীরের প্রধান যোশেব-বশেবতকে এই নাম
দেওয়া হয়েছিল, ২ শমূ ২৩:৮। সেও
হক্মোনীয় যাশবিয়াম-এর মত নগরের দ্বার
রক্ষার দায়িত্বে ছিল, ১ বংশা ১১:১১।
তত্তনয়:- অর্থ, দান। পারস্য দেশের
একজন রাজ্যপাল; হিব্রæ পেহহ্, অর্থাৎ
“সেট্র্যাপ” বা পারসিক শাসনকর্তা;
“পাশা” অর্থাৎ বর্তমান তুরস্ক দেশের
শাসনকর্তার উপাধি। তিনি ইউফ্রেটিস
নদীর পশ্চিম দিকের সমস্ত অংশ বা অঞ্চল
শাসন করতেন। হিব্রæ পেহহ্ উপাধিটি
সাধারণত এলাকা বা প্রদেশগুলোর
রাজ্যপালদের দেওয়া হয়ে থাকে। নহিমিয়
এবং সরুব্বাবিলকে এই উপাধি দেওয়া
হয়েছিল অর্থাৎ তাদেরকে শাসনকর্তা নিযুক্ত
করা হয়েছিল, নহি ৫:১৪; হগয় ১:১।
অনেক সময় এটিকে “ক্যাপ্টেন বা
সেনাপতি” হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে, ১
রাজা ২০:২৪; দানি ৩:২,৩; আবার 
অনেক সময় এটিকে “প্রতিনিধি বা
শাসনকর্তা” হিসেবেও অনুবাদ করা
হয়েছে। অন্যান্যদের সঙ্গে তত্তনয় মন্দিরের
পুনর্নির্মাণ কাজের বিরোধিতা করেছিলেন,
ইষ্রা ৫:৬; কিন্তু দারিয়াবসের আদেশ
অনুসারে তিনি যিহূদীদের সহায়তা
করেছিলেন, ইষ্রা ৬:১-১৩।
াবধায়ক
তথাকথিত জ্ঞান:- হিব্রæ “নাশিশ্;” মিথ্যাজ্ঞান, ১ তীম ৬:২০। অনেকেই সত্য জ্ঞান
বা আত্মিক দানের অপব্যবহার করেছে, ১
করি ৮:১; ১২:৮; ১৩:২; ১৪:৬। ভণ্ড
শিক্ষকরা ভণ্ডামিপূর্ণ শিক্ষা দিত, তারা
নিজেদেরকে অপরের চেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং
বিশেষ শ্রেণীর লোক হিসেবে দেখাত, কল
২:৮,১৮,২৩। এ থেকে তৈরি হয়েছে
প্রতীক বা সিম্বোল (সুমবোলা), এই রকম
লোকেরা গোড়া বিশ্বাসীদের কাছ থেকে
নিজেদের পৃথক করে রাখতো; এই জাতীয়
ধারণা ১ তীম ৩:১৬; ২ তীম ১:১৩,১৪
পদগুলোতে পাওয়া যায়। দ্বিতীয় শতকের
আগ পর্যন্ত জ্ঞানবাদ সম্পূর্ণভাবে বিকাশ
লাভ করেনি। পৌল সত্য জ্ঞান (এপিনসিস্
বা সম্পূর্ণ সঠিক জ্ঞান) মূল্যায়ন করেছেন,
ফিলি ১:৯; কল ২:৩; ৩:১০। পৌল এটি
অবজ্ঞা বা ঘৃণা করেননি, বরং প্রয়োগ
করেছেন ধর্মনিরপেক্ষ বা পৃথিবীর জ্ঞান
হিসেবে, ফিলি ৪:৮; প্রেরিত ১৭:২৮।
বিজ্ঞানের সাথে সাথে কলাবিদ্যার উন্নতি
হয়েছে, যার সুস্পষ্ট প্রমাণ কারুকাজ করা
পাত্রে প্রকাশ পেয়েছে এবং বর্ণনার অন্য
সব কাজগুলো এতে দেখতে পাওয়া যায়,
প্রকৃতভাবে এগুলো খুবই বিখ্যাত ছিল।
তদ্মোর:- অর্থ, তাল বা খেজুর জাতীয়
বৃক্ষ। মরুভ‚মি বা প্রান্তরের মধ্যে রাজা
শলোমনের তৈরি করা একটি শহর, ২
বংশা ৮:৪। ১ রাজা ৯:১৮ পদে শব্দটিকে
“তামর” হিসেবে ব্যবহার করতে দেখা
যায়। এটি মূলত পলেষ্টীয়দের দক্ষিণ
সীমানা এবং মরুভ‚মির সম্মুখ ভাগে
অবস্থিত একটি শহর, যিহি ৪৭:১৯;
৪৮:২৮। ২ বংশাবলী ৮:৪ পদে হমাৎ-
সোবার বর্ণনা প্রসঙ্গে তদ্মোর শহরের কথা
উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রীক এবং রোমীয়দের
কাছে এটি তালগাছ হিসেবে পরিচিত ছিল
বা তারা এটিকে তালগাছ (পালমির‌্যা) বলে
ডাকত। এটি দামেস্ক শহর থেকে ১৭৬
মাইল এবং ভ‚মধ্যসাগর হতে ১৩০ মাইল
দূরে বিখ্যাত সিরিয়ার মরুভ‚মিতে
অবস্থিত। এক সময়ে এই শহর থেকে
দম্মেশকের উত্তরে অবস্থিত হারোন পর্যন্ত
রাস্তায় ব্যাপক মানুষ যাতায়াত করতো
এবং এটি ছিল পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত
প্রচণ্ড ব্যস্ততম বৃহৎ একটি কেন্দ্রীয়
বাণিজ্যিক এলাকা। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ
সামরিক ঘাঁটিও ছিল। রাজা শলোমন হমাৎ
-সোবাতে গিয়ে সেটা দখল করে নেন।
তিনি মরুভ‚মিতে তদ্মোর শহর এবং হামা
এলাকার সমস্ত ভাণ্ডার-শহর আবার তৈরি
করান, ২ বংশা ৮:৪। এই শহরের প্রাচীন
মন্দির এবং রাজপ্রাসাদসমূহ, চারপাশ
জুড়ে সাদা মার্বেল পাথরে খোঁচিত
গৌরবময় চমৎকার স্তম্ভ, যেগুলোর
অনেকটাই আজও বিদ্যমান, এবং বিশাল
এলাকা জুড়ে এদিক ওদিক ছড়ানো হাজার
হাজার পিলার বা খুঁটির ধ্বংসাবশেষ, আর
এর সঙ্গে শহরের প্রাচীন চমৎকার খেজুর
গাছের সমš^য়ে গ্রীস এবং রোমের বিখ্যাত
শহরগুলোর মধ্যে এটি ছিল একটি অনুপম
সৌন্দর্যের একটি শহর। 
তন্হূমত:- অর্থ, সান্ত্বনা। একজন
নটোফাতীয় সেনাপতি, যিনি গদলিয়কে
সমর্থন ও সাহায্য করেছিলেন, ২ রাজা
২৫:২৩; যির ৪০:৮।
তন্দুর:- চুলা; হিব্রæ “টেনুর,” হোশেয়
৭:৪। শহরের অধিবাসীরা চুলা ব্যবহার
করতো, যির ৩৭:২১; তন্দুর-দুর্গ, নহি
৩:১১; ১২:৩৮; হিব্রæ “টাননুরিম”। এর
সাথে আমাদের ব্যবহৃত চুলার মিল আছে।
কিছু চুলা বড় পাত্রে তার পেঁচিয়ে তৈরি
করা হত, যার ভিতর কাঠ বা ঘাস-পাতা
জ্বালিয়ে উত্তপ্ত করা হত, ১ রাজা ১৭:১২;
যিশা ৪৪:১৫; যির ৭:১৮; মথি ৬:৩০।
এই রকম চুলায় আগুন জ্বালিয়ে ভিতরে
ময়দার মিশ্রণ দিয়ে রুটি তৈরি করা হত।
মাটিতে গর্ত করে সিমেন্ট দিয়ে লেপন
করেও চুলা তৈরি করে একইভাবে ব্যবহার
করা যায়। কাঠ, বালি বা পাথর জ্বালিয়ে
তার উপরে লোহার পাত্রে রুটি বা অন্য
কিছু রান্না করা যায়, আদি ১৮:৬; ১ রাজা
১৯:৬। দেখুন: চুলা।
তন্দুর রুটি:- এক প্রকার রুটি; এই রুটি
তৈরি করার জন্য আটা বা ময়দা ভালমত
মিশিয়ে পাত্রে রেখে দেওয়া হয়, যেন তা
ফুলে ফেঁপে ওঠে, যাত্রা ৮:৩; ১২:৩৪;
দ্বি.বি. ২৮:৫,৭। ইস্রায়েলীয়দের
মরুভ‚মিতে যাত্রার সময় পাত্রে ময়দা
তাড়িশূন্য অবস্থায় রাখা হয়েছিল, কারণ
ইস্রায়েলীয়দেরকে খুব তাড়াতাড়ি চলে
যেতে হয়েছিল।
যিরূশালেমের উত্তর-পশ্চিম কোণের দ্বিতীয়
দেয়াল। সম্ভবত রুটিওয়ালাদের নামাঙ্কিত
একটি রাস্তার সংস্পর্শে থাকার কারণে
দুর্গটির এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল, যির
৩৭:২১।
তন্দ্রা:- বিশেষ কোন বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ
কারণে মনের ভাবলেশহীন বা হতবিহŸল
অবস্থা। এমন ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছে, যে
নিজে আর নিজের মধ্যে নেই। পিতর এবং
পৌলের এমনি অবস্থা ছিল, প্রেরিত
১০:১০; ১১:৫; ২২:১৭। এটি মনের
এমন অ¯^াভাবিক অবস্থা যা দর্শন লাভের
জন্য প্রস্তুতি¯^রূপ, ২ করি ১২:১-৪। মার্ক
৫:৪২ এবং লূক ৫:২৬ পদে এর অর্থ
হতবাক বা বিমূঢ় ভাব; এর সঙ্গে তুলনা
করুন মার্ক ১৬:৮; প্রেরিত ৩:১০; গণনা
২৪:৪,১৬; যিশা ৬:১-১৩; নহি ৮-১১ ও
৪০-৪৮; প্রকা ৪-২২ অধ্যায়।
তপূহ:- অর্থ, আপেল-অঞ্চল। (১) যিহূদার
উপত্যকা কিংবা নিচু পাহাড়ী এলাকায়
অবস্থিত একটি শহর, আগে এটি
কনানীয়দের একটি গৌরবময় রাজকীয়
শহর ছিল, যিহো ১২:১৭; ১৫:৩৪।
বর্তমানে এটিকে টাফ্ফুহ্ বলা হয়, যা
যিরূশালেমের পশ্চিম দিকে প্রায় ১২ মাইল
দূরে অবস্থিত। (২) ইফ্রয়িম বংশের
সীমানায় অবস্থিত একটি শহর, যিহো
১৬:৮। তপূহের আশপাশের জায়গাগুলো
মনঃশি বংশের সীমানার মধ্যে পড়েছিল,
কিন্তু “তপূহ শহরটি” ইফ্রয়িম বংশের
সীমানার মধ্যে পড়েছিল, যিহো ১৭:৮।
(৩) ঐন্-তপূহ, অর্থ, আপেলের ক‚প;
সম্ভবত এটি যোষেফের জায়গার কাছাকাছি
ঝর্ণাগুলোর মধ্যে একটি, যিহো ১৭:৭।
তফন্হেষ:- (গ্রীক দেশের অধিবাসীরা
একে “ডাফনি” বলে ডাকত, যাকে এখন
ডিফেন্নাহ্ বলা হয়), পেলুসিয়াম হতে প্রায় 

কাজ চলছে
380
 ঢাল:- ১) বড় ঢাল: কাঠের তৈরি এবং
চামড়া দিয়ে মোড়ানো আত্মরক্ষামূলক অস্ত্র,
সম্ভবত এটি ধাতু পুড়িয়ে তৈরি করা হত,
যিহি ৩৯:৯। নহূম ২:৩ পদে “লাল রঙের
ঢালের” উল্লেখ করা হয়েছে, যা লাল রঙের
ষাঁড়ের চামড়ার তৈরি, যা শত্রæকে আঘাত
করতে ভয় দেখায়; অথবা লাল ব্রোঞ্জের বা
তামার ঢাল, যা থেকে সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত
হয়, এ জাতীয় ঢাল আশেরীয়দের
ধ্বংসাবশেষে খুঁজে পাওয়া গেছে। ঢালের
চারপাশে চকচকে রাখার জন্য তেল
মাখানো হত, যা চামড়া ও ধাতু দু’টোকেই
সংরক্ষিত রাখতো, যিশা ২১:৫। ভাববাদী
যিশাইয় বাবিলের আমোদ-প্রমোদকারীদেরকে
সব সময় আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে
বলেছেন। 



তাদেরকে আক্রমণ করা হবে
কোন অস্ত্র দিয়ে, তা উল্লেখ করা হয়নি, ২
শমূ ১:২১। ঢাল যখন ব্যবহার করা হত না
তখন ঢেকে রাখা হত, যিশা ২২:৬।
“কীরের লোকেরা ঢাল নিয়ে প্রস্তুত হত,”
অর্থাৎ চামড়ার ঢাকনি খুলে ফেলত যা
ঢালে খোদাই করা মূর্তিকে ধূলা বালি বা
অন্য কোন ক্ষতি থেকে রক্ষা করতো এবং
এভাবে তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হত, গীত
৪৮:৯; “পৃথিবীর ঢাল সব ঈশ্বরের,” ঢাল
হচ্ছে শাসনকর্তাদের, তাদের লোকদের
রক্ষা করার জন্য, হোশেয় ৪:১৮। সবার
উপরে বিশ্বাস হল আমাদের ঢাল, ইফি
৬:১৬। তাই দিয়াবলের সব আগুনের
বর্শার সামনে রুখে দাঁড়াতে হবে,” ১
পিতর ৫:৯; ১ যোহন ৫:৪,১৮। ২) ছোট
ঢাল: (১) বহনযোগ্য ঢাল বা বর্ম, ২ শমূ
২২:৩১; ১ বংশা ৫:১৮। (২) গোলাকৃতির
ঢাল, যা দিয়ে একজন মানুষকে চারদিক
থেকে রক্ষা করা যায়, গীত ৯১:৪। (৩)
একটি বিরাট আকারের বর্ম, যা দিয়ে সমস্ত
দেহকে ঢাকা যায়, গীত ৩৫:২; যিহি
২৩:২৪; ২৬:৮। (৪) চামড়ার ঢাল যে
ঢালের চামড়ায় তৈল মাখাতে হয়, ১ বংশা
১২:৮; ২ শমূ ১:২১; যিশা ২১:৫; যাতে
আর্দ্রতায় এটি নষ্ট না হয়। বোঞ্জের তৈরি
ঢালও ব্যবহার করা হত, ১ শমূ ১৭:৬; ১
রাজা ১৪:২৭; ১ রাজা ১০:১৬। ১ রাজা
১৪:২৬ পদে যে বর্মের কথা উল্লেখ করা
হয়েছে তা ছিল খুব ভারী ধাতুর তৈরি।
দায়ূদের সময় যে ঢাল তার শত্রæদের কাছ
থেকে নেওয়া হয়েছিল সেগুলো মন্দিরে
স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে রাখা হয়েছিল, ২ রাজা
১১:১০। দেখুন: অস্ত্র, বর্ম।
ঢিবি:- আত্মরক্ষার্থে নির্মিত মাটির ঢালু
পাহাড় বা কেল্লা, ২ শমূ ২০:১৫; ১ শমূ
২৬:৫,৭; ১৭:২০।
 পবিত্র বাইবেল ডিকশনারী । Bengali Bible Carey  Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন) বাইবেল অভিধান
থদ্দেয়:- অর্থ, বক্ষ, হৃদয়, অনুভ‚তি। প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের শিষ্যদের একজনের নাম, মার্ক
৩:১৮; যাঁকে মথি ১০:৩ পদে আলফেয়ের
পুত্র থদ্দেয় এবং লূক ৬:১৬ পদে
“যাকোবের ভাই যিহূদা” বলা হয়েছে।
এছাড়া যোহন তাঁর সুসমাচারের ১৪:২২
পদে যে যিহূদার কথা উল্লেখ করেছেন
তিনি সম্ভবত সেই একই ব্যক্তি, কিন্তু এটি
অবশ্যই সেই যিহূদা ইষ্কারিয়োৎ নয়।
যিহূদা ছিলেন মূলত একজন পত্র লেখক।
পুস্তকের বিভিন্ন জায়গায় এই একই
ব্যক্তিকে মূলত ভিন্ন ভিন্ন নামে অভিহিত
করা হয়েছে। নতুন নিয়মে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের
শিষ্যদের চারটি তালিকা রয়েছে, যার দু’টি
তালিকায় থদ্দেয়ের নাম আছে, মথি ১০:৩;
মার্ক ৩:১৮ এবং অন্য দু’টি তালিকায় তার
নাম নেই, লূক ৬:১৪-১৬ ও প্রেরিত
১:১৩।




থলি:- ব্যাগ; বাইবেলে অনেক ধরনের
থলির কথা বলা হয়েছেÑ (১) হিব্রæ ‘কেলি’
ও গ্রীক ‘পেরা,’ যার দ্বারা বোঝানো হয়েছে
বিশেষ এক ধরনের চামড়ার থলে যার
মধ্যে লোকেরা দৈনন্দিন সাধারণ
জিনিসপত্র বহন করতো, মথি ১০:১০।
(২) মোচাকৃতির একটি থলি যেখানে
নামান দুই তালন্ত (আটাত্তর কেজি) রৌপ্য
বেঁধে গেহসিকে দিয়েছিলেন, ২ রাজা
৫:২৩। যিশাইয় ৩:২২ পদে এটিকে
টাকার থলি হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে,
ইব্রীয় স্ত্রীলোকেরা এ ধরনের ছোট জালের
থলি বহন করতো বলে উল্লেখ পাওয়া
যায়। (৩) হিব্রæ শব্দ ‘কিস্’-এর অর্থ হচ্ছে,
ভারী কিছু বহনের থলি বিশেষ বা ওজন
মাপার জন্য ব্যবহৃত থলি, দ্বি.বি. ২৫:১৩;
হিতো ১৬:১১; মীখা ৬:১১। হিতোপদেশ
১:১৪ পদে এটিকে পার্স বা টাকা রাখার
ছোট ব্যাগ বিশেষ এবং হিতোপদেশ
২৩:৩১ পদে বর্ণিত কাপ বা পেয়ালাকে
থলি হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। (৪) ১
শমূয়েল ১৭:৪০ পদে ব্যাগ বা থলিকে
চামড়ার থলে হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে,
যেটি সাধারণত রাখালেরা ব্যবহার করে
থাকে। আদিপুস্তক ৪২:২৫ এবং ১
শমূয়েল ৯:৭ পদে খাবার বহনের বস্তা বা
থলি বা জল রাখার বিশেষ পাত্র হিসেবে
অনুবাদ করা হয়েছে। (৫) টাকার থলি,
মন্দির পুনর্নির্মাণের জন্য যে সমস্ত টাকা
দেওয়া হত, সেগুলো পুরোহিতেরা সেখানে
রাখতো, ২ রাজা ১২:১০। এছাড়াও একে
বাণ্ডিল বা পুঁটলি হিসেবে অনুবাদ করা
হয়েছে, আদি ৪২:৩৫; ১ শমূ ২৫:২৯।
ভ্রমণকারীরা তাদের যাত্রার সময় টাকাপয়সা রাখার জন্য থলি ব্যবহার করতো,
হিতো ৭:২০; হগয় ১:৬। (৬) যিহূদার
“টাকার ব্যাগ বা থলি” ছিল ছোট একটি
বা·, যোহন ১২:৬; ১৩:২৯। (৭) গ্রীক
‘বল্লানটিওন’ শব্দ দ্বারা অপেক্ষাকৃত মসৃণ
চামড়ার ব্যাগ বোঝানো হয়েছে, যাকে
টাকার থলি বা মানিব্যাগ বলা যায়, লূক
১০:৪।
থাম:- হিব্রæ শব্দ মাৎস্তাসম, স্মরণার্থক স্তম্ভ,
যিহি ২৬:১১।
থালা:- যে পাত্রে খাওয়া হয়, ২ রাজা
২১:১৩। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট যে থালায় রুটি
খেয়েছিলেন বা যে পানপাত্রে আঙ্গুর-রস
খেয়েছিলেন, যিহূদাও একই পাত্র থেকে
শেষ নিস্তার-পর্বের ভোজ গ্রহণ করেন, 
এতে বোঝা যায় প্রভু যীশু তাকে বন্ধু
হিসেবে সনাক্ত করেছিলেন, মথি ২৬:২৩।
বিচারকর্তৃকগণ ৫:২৫ পদে “রাজকীয়
থালা” উল্লেখ করা হয়েছে, সম্ভবত এটি
ছিল পিতলের তৈরি পানপাত্র। বিচারকর্তৃকগণ ৬:৩৮ পদে একই হিব্রæ শব্দের
অনুবাদ করা হয়েছে “বাটি”। সাক্ষ্য-তাম্বুর
টেবিলের উপরস্থ সমস্ত থালা খাঁটি সোনা
দিয়ে তৈরি ছিল, যাত্রা ২৫:২৯; ৩৭:১৬।
দেখুন: বাটি।
থিব্স্:- থিব্স্ শহরটি ছিল ১৮তম
রাজতন্ত্রের সময় মিশর দেশের রাজধানী।
এই শহরটি নীল নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত
ছিল। ইস্রায়েলের সদাপ্রভু ঈশ্বর থিব্স্
শহরের দেবতা আমোনকে, ফরৌণ ও
মিশরকে, তার দেব-দেবী ও রাজাদের আর
যারা ফরৌণের উপর ভরসা করে তাদের
সবাইকে শাস্তি দেবার কথা বলেছেন, যির
৪৬:২৫। ভাববাদী যিহিষ্কেলও এই শহরের
উপর ঈশ্বরের ভয়ংকর শাস্তি নেমে আসার
কথা বলেছেন, যিহি ৩০:১৪-১৬।
থিষলনীকি:- থারমিক বে-এর উপর
অবস্থিত অত্যন্ত বড় এবং অতি জনবহুল
একটি শহর। এটি ছিল প্রাচীন রোমান
শাসক কর্তৃক শাসিত, ম্যাসিডোনিয়া চারটি
রোমান বিভাগীয় শহরের মধ্যে একটির
রাজধানী। মহান আলেকজান্ডারের একজন
কর্মকর্তা ক্যাসেন্ডার ৩৩২ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে এই
শহর প্রতিষ্ঠা করেন। এই শহরের
প্রতিষ্ঠাতা তার স্ত্রীর নামানুসারে এই
শহরের নাম থিষলনীকি রেখেছিলেন। তার
পিতা ফিলিপ তাকে এই নামে ডাকতেন,
কারণ থিষলনীকীয়দের উপর একটি যুদ্ধে
জয়লাভের পর তিনি তার এই কন্যার
জন্মের সংবাদ পান। পৌল তাঁর দ্বিতীয়
প্রচার যাত্রায় এই শহরের একটি সমাজ
গৃহে প্রচার করেন, এই সমাজ-ঘরটি ছিল
ম্যাসিডোনিমিয়া অঙ্গরাজ্যের অধীন
যিহূদীদের প্রধান সমাজ-ঘর। এখানে
পৌল একটি মণ্ডলীর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
করেন, প্রেরিত ১৭:১-৪; ১ থিষ ১:৯।
যিহূদীদের প্রচণ্ড ক্ষোভ তাঁকে সেখান থেকে
বিতাড়িত করে, এবং এরপর তিনি সেখান
থেকে বিরয়াতে পালিয়ে যান, প্রেরিত
১৭:৫-১০। পৌল ও সীল যার বাড়িতে
থাকতেন, সেই যাসোনকে লোকেরা যাদের
সামনে টেনে নিয়ে এসেছিল, সেই নগর
প্রশাসকদের মূলত প্রদেশপাল বলা হত।
পৌল তাঁর অনুসারীদেরকে উৎসাহ
দেওয়ার জন্য ফিলিপী শহরের পর এখানে
আসেন ও এখানকার মণ্ডলী পরিদর্শন
করেন, প্রেরিত ২০:১-৩। একটি গুরুত্বপূর্ণ
শহর হিসেবে এই শহরটিকে লোকেরা দীর্ঘ 
দিন ধরে মনে রেখেছিল। সালোনিকির
শাসনামলে এটি ছিল ইউরোপীয় তুর্কীদের
একটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর, যার মধ্যে
বিভিন্ন জাতি বংশ মিলেমিশে প্রায়
৮৫,০০০ হাজার লোক বসবাস করতো।
তবে এখানকার বেশিরভাগ মানুষই ছিল
গ্রীক ও যিহূদী।
থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রথম পত্রটিই ছিল
মূলত পৌলের পত্রগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম
পত্র। সম্ভবত এই পত্রটি তিনি প্রায় ৫২
খ্রীষ্টপূর্বাব্দে করিন্থ শহরে বসে লিখেছিলেন,
সেখানে দীর্ঘ সময় বসবাসের প্রথম দিকে
তিনি এটি লিখেছিলেন, প্রেরিত
১৮:১১,১৮। এই পত্রটি তিনি
ম্যাসিডোনিয়া থেকে ফিরে এসে তীমথি
থিলষনীকীয় মণ্ডলী সম্পর্কে যে সংবাদ
নিয়ে এসেছিলেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে
লিখেছিলেন, প্রেরিত ১৮:১-৫; ১ থিষ
৩:৬। তীমথির প্রতিবেদন থেকে কিছু
উৎসাহব্যঞ্জক কথার পাশাপাশি কিছু লোক
কর্তৃক পৌলের শিক্ষাকে ভিন্নভাবে তুলে
ধরা এবং ভুল শিক্ষার দরুন তাদের মধ্যে
ভুল বোঝাবুঝির কথা শুনতে পেলেন। এই
পত্রটি তিনি তাদের সেই সমস্ত ভুল
সংশোধন এবং বিশেষ করে পরিশুদ্ধ জীবন
যাপনের জন্য তাদের উৎসাহ ও অনুপ্রাণিত
করেন এবং তাদের বিষয়ে সদাপ্রভুর
পরিকল্পনা বা ইচ্ছা অনুসারে পবিত্রীকৃতর
বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেবার উদ্দেশ্যে
লিখেছিলেন। পত্রটি সম্পর্কে বলে থাকে যে
এটি এথেন্স শহরে লেখা হয়েছে।
থিষলনীকীয়দের প্রতি দ্বিতীয় পত্রটি সম্ভবত
করিন্থ শহরেই তিনি লিখেছিলেন, এবং খুব
সম্ভব এই পত্রটি তিনি তাঁর প্রথম পত্রের
পর পরই মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে
লিখেছিলেন। প্রথম পত্রে উল্লিখিত বিষয়,
বিশেষ করে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দ্বিতীয়
আগমনের উদ্ধৃতি টেনে থিষলনীকির
লোকদের মধ্যে যে ভ্রান্ত ধারণা, যে ভুল
বোঝাবুঝির বিষয় তিনি শুনেছেন সেগুলো
শোধরানোর উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর এই
দ্বিতীয় পত্রটি লিখেছিলেন। থিষলনীকীয়রা
পৌলের শিক্ষায় মনে করেছিল যে, যীশু
খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের দিন উপস্থিত,
যীশু খ্রীষ্টের আগমন এখনই ঘটবে। তাদের
এই ধারণাকে তিনি সংশোধন করেছিলেন,
১ থিষ ২:১-১২; এবং প্রথমত কি বিষয়
ঘটবে সেই সম্পর্কে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী¯^রূপ
কিছু বলেছিলেন।
থিয়ফিল:- ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম করেন
এমন একজন খ্রীষ্টান ভক্ত, যিনি ছিলেন
সম্ভবত একজন রোমীয়, যাকে লূক তাঁর
সুসমাচারটি এবং প্রেরিত পুস্তকটি উৎসর্গ
করেছেন, লূক ১:৩; প্রেরিত ১:১। এছাড়া
তাঁর সম্পর্কে আর কিছুই জানা যায় না।
ঘটনার বিবরণীতে দেখা যায় যে, লূক
তাকে “মহান বা মাননীয়” হিসেবে
সম্বোধন করেছেন, যে সম্বোধনটি পৌল
ফীলি· এবং ফীষ্টের ক্ষেত্রে ব্যবহার
করেছেন, প্রেরিত ২৩:২৬; ২৪:৩;
২৬:২৫; মূলত তিনি ছিলেন অতি উঁচু
পদের একজন কর্মকর্তা।
থুদা:- অর্থ, ধন্যবাদ জ্ঞাপন। ফরীশী দলের
গমলীয়েল নামে একজন ধর্ম-শিক্ষক
মহাসভার সামনে তার বক্তব্যে থুদার
উদ্ধৃতি বা প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলেন, প্রেরিত
৫:৩৬। তিনি রোমান শাসনের বিরুদ্ধে
বিদ্রোহ করেছিলেন। এই বিষয় ছাড়া তার
সম্পর্কে আর বিশেষ কিছু জানা যায় না। 

থুয়াতীরা:- লুদিয়া এবং মুশিয়া সীমান্তবর্তী
এলাকার উপর অবস্থিত এশিয়া মাইনরের
একটি শহর। এর বর্তমান নাম হচ্ছে আক্-
হিসার, অর্থাৎ “সাদা দুর্গ”। সাতটি মণ্ডলীর
মধ্যে একটি মণ্ডলী এই শহরে অবস্থিত
ছিল, প্রকা ১:১১; ২:১৮-২৮। লুদিয়া
নামে একজন স্ত্রীলোক এই শহরে বাস
করতেন। তিনি যিহূদী না হলেও ঈশ্বরের
উপাসনা করতেন। তাঁর অন্তর সদাপ্রভু
এমনভাবে খুলে দিয়েছিলেন, যেন পৌলের
কথা শুনে তিনি যীশুর উপর বিশ্বাস করেন।
তিনি কাপড়ে বেগুনী রং দিতেন বা বেগুনী
রঙের কাপড় বিক্রি করতেন, প্রেরিত
১৬:১৪। বস্ত্র রং করার জন্য শহরটি
বিখ্যাত ছিল এবং আজও তা এর জন্য
বিখ্যাত। এর ধ্বংসাবশেষগুলোর মধ্যে
প্রাপ্ত পুরাতন পাণ্ডুলিপিতে প্রাচীনকালের ঐ
শহরের রঞ্জক (বস্ত্রে যারা রং করে)
পেশাজীবি স¤প্রদায়ের বিষয় উল্লেখ
পাওয়া যায়। যোহনের দর্শনে থুয়াতীরা
শহরের মণ্ডলীর কথা বলা হয়েছিল, প্রকা
২:২০-২১।
থোপনা:- দেখুন: ঝালর।
দই:- দুধ থেকে প্রস্তুতকৃত একটি খাদ্য,
দ্বি.বি. ৩২:১৪; যিশা ৭:১৫,২১। হিব্রæ
হেমা শব্দের অর্থ দুধের ছানা, আদি ১৮:৮;
বিচার ৫:২৫; ২ শমূ ১৭:২৯; অথবা এর
অর্থ সিদ্ধ দুধের সর, যেটি আরবীয়রা
কাইমাক বলে থাকে, ইয়োব ২০:১৭;
২৯:৬; দ্বি.বি. ৩২:১৪। মন্থনকৃত দুগ্ধ,
হিতো ৩০:৩৩। বাইবেলের পুরাতন
নিয়মে মোট ১১ বার এই শব্দটি আছে,
যার ৮ বার এটি আক্ষরিক অর্থে, আদি
১৮:৮ এবং তিন বার রূপক অর্থে ব্যবহার
করা হয়েছে, ইয়োব ২০:১৭; ২৯:৬; গীত
৫৫:২১।




দজলা:- মেসোপটেমিয়ার বড় দু’টি নদীর
মধ্যে একটি, হিদ্দেকল বা টাইগ্রীস নদী।
তাওরাস পর্বতে এর উৎপত্তি এবং প্রায়
১,১৫০ মাইল দীর্ঘ। পুরাতন নিয়মের
এদন বাগান থেকে যে চারটি নদী প্রবাহিত
হয়েছিল তার একটি এই দজলা, আদি
২:১৪। ভাববাদী দানিয়েল এই দজলা
নদীর তীরে বসেই দর্শন দেখেছিলেন, দানি
১০:৪।
দণ্ড:- দেখুন: সময়।
দত্তক:- জন্মসূত্রে সন্তান নয় এমন
একজনকে নাম, ঠিকানা ও সন্তানের
অধিকার দেওয়া। (১) প্রাকৃতিক:
ফরৌণের কন্যার দত্তক পুত্র ছিলেন মোশি,
যাত্রা ২:১০। মর্দখয় হদসাকে অর্থাৎ
ইষ্টেরকে লালন পালন করতেন, ইষ্টের
২:৭। (২) জাতীয়: ঈশ্বর ইস্রায়েলকে
প্রথম পুত্র হিসেবে ¯^ীকার করেছেন, যাত্রা
৪:২২; এবং এই জাতিকে লালন-পালন
করেছেন, দ্বি.বি. ৭:৬; হোশেয় ১১:১;
রোমীয় ৯:৪। (৩) আত্মিক বা ধর্মীয় নিয়ম
অনুযায়ী: ঈশ্বরের দয়ার একটি কাজ, যার
মধ্য দিয়ে তাঁর মনোনীত পরিত্রাণপ্রাপ্ত
পরিবার বা ব্যক্তিকে তাঁর সমস্ত দয়া ও
আশীর্বাদের উত্তরাধিকার দেওয়া হয়।
দত্তকতা একটি নতুন সম্পর্কের পরিচয়
বহন করে, যার মাধ্যমে একজন পাপী
লোককে তার বিশ্বাসের কারণে একজন
পরিত্রাণপ্রাপ্ত লোক হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে
থাকে। এর ফলে সে ঈশ্বরের চিরকালীন
ভালবাসা লাভ করে, যোহন ১৭:২৩;
রোমীয় ৫:৫-৮। এর মধ্যে রয়েছে ঈশ্বরীয়
¯^ভাব বা ঈশ্বর থেকে জন্মলাভ, ২ পিতর
১:৪; যোহন ১:১৩; ঈশ্বরের আত্মা দিয়ে
পরিচালিত হওয়া ও ঈশ্বরের পুত্র হওয়া, ১
পিতর ১:১৪; ২ যোহন ১:৪; রোমীয়
৮:১৫-২১; গালা ৫:১; ইব্রীয় ২:১৫;
ঈশ্বরকে রক্ষাকর্তা বা পালনকর্তা (সহায়),
সান্ত্বনাদাতা (দুঃখে, কষ্টে, মৃত্যুতে)
হিসেবে পাওয়া এবং তিনি অনাথ হিসেবে
রেখে যাবেন না, কিন্তু সহায় হিসেবে পবিত্র
আত্মা পাঠাবেন। তিনি আবার তাঁর
সন্তানদের নিতে আসবেন। তিনি আমাদের
সমস্ত কিছু যুগিয়ে দেবার প্রতিজ্ঞা
করেছেন, লূক ১২:২৭Ñ৩২; যোহন
১৪:১৮; ১ করি ৩:২১-২৩; ২ করি ১:৪।
পিতা হিসেবে তিনি তাঁর সন্তানদের শাসন
করেন, ইব্রীয় ১২:৫-১১; ভবিষ্যতে
গৌরবের অধিকারী, ঈশ্বরের উত্তরাধিকারী,
প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সহাধিকারী এবং ঈশ্বরের
রাজ্যে গৌরবের উত্তরাধিকারী করবেন,
রোমীয় ৮:১৭,২৩; যাকোব ২:৫; ফিলি
৩:২১।
দদান:- অর্থ, নিচু জমি। (১) রয়মার পুত্র,
আদি ১০:৭; তার বংশধরদের কথা উল্লেখ
করা হয়েছে, যিশা ২১:১৩ এবং যিহি
২৭:১৫ পদে। তারা সম্ভবত ক‚শের
পুত্রদের সঙ্গে পারস্য উপসাগরের উত্তর
পশ্চিম উপক‚লে বসবাস করতো। (২)
যক্ষণের পুত্র, অব্রাহামের উপস্ত্রী কটুরার
পুত্র, ১ বংশা ১:৩২। তার বংশধররা সম্ভবত
সিরীয় সীমান্ত এলাকার ইদোম রাজ্যে
বসবাস করতো।
দদানীয়:- দদানের বংশধর, রয়মার সন্তান,
যিশা ২১:১৩; যিহি ২৭:২০। এদের মধ্যে
অনেক ব্যবসায়ী ছিল যারা টায়ারে মূল্যবান
জিনিস সরবরাহ করতো।
দন্না:- অর্থ, কলকল শব্দ। একটি শহরের
নাম, যিহো ১৫:৪৯; হিব্রোণের ৮ মাইল
দক্ষিণ-পশ্চিমে যিহূদার পাহাড়ী এলাকায়
অবস্থিত।
দপ্কা:- অর্থ, দরজায় খট্খট্ শব্দ করা।
ইস্রায়েলীয়রা মরুভ‚মির এই স্থানে ছাউনি
ফেলে, গণনা ৩৩:১২। এর অবস্থান ছিল
লোহিত সাগরের পূর্ব তীরে সিন
মরুভ‚মিতে ওয়াদি ফেইরানের কোন এক
স্থানে।
দবীর:- অর্থ, ঈশ্বরের শহর; পবিত্র স্থান।
(১) যিহূদা বংশের ১১টি শহরের মধ্যে
একটি শহর, পশ্চিম হিব্রোণের উঁচু পাহাড়ী
এলাকার মধ্যে অবস্থিত, যিহো ১৫:৪৯;
বিচার ১:১১-১৫। প্রকৃতপক্ষে এটি
অনাকীয়দের একটি শহর ছিল, যিহো
১৫:১৫; এটিকে বলা হত কিরিয়ৎ সেফার
এবং কিরিয়ৎ সন্না, যিহো ১৫:৪৯। কালেব
হিব্রোণ ও তার আশেপাশের এলাকা জয়
করেন, যিহো ১৪:৬-১৫; তিনি ঘোষণা
দেন, যে লোক দবীর শহর জয় করে দিতে
পারবে তার সঙ্গে তিনি তাঁর কন্যার বিয়ে
দেবেন। কালেবের ছোট ভাই অৎনীয়েল
তা জয় করে এবং অক্ষাকে স্ত্রী হিসেবে
পায়, বিচার ১:১৩; ৩:৯। অক্ষাকে তার
পিতা যে জমি দেয় তাতে সে সন্তুষ্ট হয়নি,
তাই সে পিতার কাছ থেকে একটি জমি
নেওয়ার জন্য গাধার পিঠে করে তার কাছে
যায় এবং বলে, “আমাকে আশীর্বাদ
করুন” অর্থাৎ “আমাকে মোহরানা দিন,”
বা “আমাকে দক্ষিণ দিকের জমিগুলো
দিন,” অথবা কোন কোন অনুবাদে আছে,
“তিনি আমাকে দক্ষিণাঞ্চলস্থ ভ‚মি
দিয়েছেন,” যিহো ১৫:১৯; অর্থাৎ
হিব্রোণের উপত্যকার বাইরে নেগেভের
উঁচু, শুষ্ক ও অনুর্বর জমি। অক্ষা জলের
ঝর্ণাগুলোও চান এবং কালেব তাকে
সেখানকার উচুঁ ও নিচু জায়গার ঝর্ণাগুলো
দেন। এর বর্তমান নাম “এদ-দরীয়াহ্,”
অর্থাৎ “উচুঁ জমির ক‚য়া,” এটি দক্ষিণ
হিব্রোণের একটি স্থান। (২) “আখোর
উপত্যকার” নিকটবর্তী একটি স্থান, যিহো
১৫:৭; যিরূশালেম এবং যিরীহোর
মাঝখানে যিহূদার উত্তর সীমানায়
অবস্থিত। (৩) ইগ্লোনের রাজা দবীর,
পাঁচজন কনানীয় রাজাদের মধ্যে একজন,
যাদেরকে যিহোশূয় গিবিয়োনের যুদ্ধ জয়ের
পর হত্যা করে গাছে টাঙ্গান, যিহো
১০:৩,২৩। এই রাজারা পালিয়ে যান এবং
সবাই মক্কেদার গুহার মধ্যে আশ্রয় নেন।
এখানে তাদেরকে গুহার মধ্যে আটকিয়ে
রাখা হয়, যতক্ষণ না যিহোশূয় শত্রæপক্ষের
অন্য সব সৈন্যদের হত্যা করে ফিরে
আসেন। এরপর এই রাজাদের যিহোশূয়ের
সামনে আনা হয় এবং তিনি সেই ৫
রাজাকে হত্যা করে ৫টি গাছে টাঙ্গিয়ে 
দেন, যিহো ১০:২৬।
দবোরা:- অর্থ, মৌমাছি। (১) রিবিকার
দাসী। রিবিকা যখন তাঁর পিতার বাড়ি
পদ্দন-অরাম ছেড়ে ইসহাকের স্ত্রী হওয়ার
জন্য আসেন তখন এই দবোরা তাঁর সঙ্গী
হয়, আদি ২৪:৫৯। অনেক বছর পর সে
বৈথেলে মারা যায় এবং তাকে এলোনবাখুৎ নামক স্থানে “কান্না গাছের” নিচে
কবর দেওয়া হয়, আদি ৩৫:৮। (২)
লপ্পীদোতের স্ত্রী, তিনি একজন মহিলা
ভাববাদী ছিলেন। হাৎসরের রাজা যাবীন
বিশ বছর ইস্রায়েলীয়দের অত্যাচার
করেন। সে সময় ইস্রায়েল জাতির
দেশপ্রেম ও মনোবল ধ্বংস হয়ে যায়।
সেই ধ্বংস ও শিথিলতার সময় দবোরা
তাদেরকে আবার নৈতিকভাবে জাগিয়ে
তোলেন। তার সুনাম অনেক দূরে ছড়িয়ে
পড়ে। তিনি “ইস্রায়েলের মা” নামে
জনপ্রিয় হন, বিচার ৪:৬,১৪; ৫:৭।
ইস্রায়েলীয়রা তার কাছে ঝগড়া-বিবাদ
মীমাংসা করার জন্য আসত, তিনি রামা ও
বৈথেলের মাঝামাঝি একটি খেজুর গাছের
তলায় বসতেন এবং সেখানে বসে ন্যায়
বিচার করতেন। তার নির্দেশনায় বন্দীত্বের
জোয়ালি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি
গ্রহণ করা হয়। তিনি বারককে কাদেশ
থেকে ডেকে পাঠান এবং নপ্তালি ও সবূলূন
বংশ থেকে ১০ হাজার লোক সাথে নিয়ে
তাবোর পাহাড়ের দিকের সমতলভ‚মি
এসদ্রালোনে যেতে আদেশ দেন, যা
পাহাড়ের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত
ছিল। বারকের সাহায্যে তিনি এই
সেনাবাহিনী সংগঠিত করেন। শত্রæপক্ষের
নেতৃত্বে ছিলেন যাবীনের সেনাপতি সীষরা।
এই যুদ্ধে দবোরা ও বারকের দলের জয়
হয়। অধিকাংশ কনানীয় সৈন্য নিহত হয়।
এটি ছিল ইস্রায়েলীয়দের সবচেয়ে স্মরণীয়
দিন। বিচারকর্তৃকগণ ৫:১ পদে “দবোরার
গীত” পাওয়া যায়, যা তিনি নিজে শত্রæর
হাত থেকে ইস্রায়েলীয়দের মুক্ত হওয়ার
স্মরণার্থে লেখেন। দেখুন: লপ্পীদোত,
যাবীন।
দম্মেশক:- অর্থ, সক্রিয়, কর্মশীল। পূর্ব
দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শহর, সিরিয়ার
রাজধানী, যিশা ৭:৮; ১৭:৩; এটি
যিরূশালেম থেকে প্রায় ১৩৩ মাইল উত্তরে
অবস্থিত। বর্তমান এর নাম “এশ্-শাম”
অর্থাৎ “পূর্ব”। পশ্চিম এশিয়ার সমস্ত
দেশগুলোর মধ্যে এই শহরটি সবচেয়ে
সুন্দর অবস্থানে ছিল। মিশরীয় রাজা
টটিমেস-৩ এর বিজয় কাহিনীতে (১৫০০
খ্রীষ্টপূর্ব) এবং অমর্ণা শিলালিপিতে (১৪০০
খ্রীষ্টপূর্ব) আদিপুস্তকে অব্রাহামের শত্রæদের
উপর জয় করার প্রসঙ্গে এই শহরের উল্লেখ
আছে, আদি ১৪:১৫। এখানে অব্রাহামের
সম্পত্তির তদারককারী দাসের বাড়ি ছিল,
আদি ১৫:২। দম্মেশকের সিরীয়রা সোবার
রাজা হদদেষরকে সাহায্য করতে আসার
পর থেকে রাজা দায়ূদের সময় পর্যন্ত এই
শহরের কোন উল্লেখ পাওয়া যায় না, ২
শমূ ৮:৫; ১ বংশা ১৮:৫। শলোমনের
শাসনামলে রষোণ একটি বিদ্রোহী দলের
নেতা হয়ে হদদেষরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ
করে তার কাছে থেকে পালিয়ে যায়, ১
রাজা ১১:২৩ এবং হদদেষরের লোকেরা
দামেস্ক দখল করে সেখানে বাস করে এবং
তাদের নেতাকে রাজা বানায়। ইস্রায়েলের
সাথে সিরীয়দের দীর্ঘ যুদ্ধ হয় এবং অনেক
জয়-পরাজয় ঘটে, এরপর সিরিয়া
ইস্রায়েলের বন্ধু হয়ে যিহূদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করে, ২ রাজা ১৫:৩৭। এক সময় সিরিয়া
আশেরিয়ার রাজার অধীনে ছিল। 
আশেরিয়ার রাজা দামেস্ক হামলা করে তা
দখল করে এবং সেখানকার লোকদের
হত্যা করে এবং বাকিদের বন্দী করে
আশেরিয়ায় নিয়ে যায়, ২ রাজা ১৬:৭-৯।
এর ফলে ভাববাদী যিশাইয়ের ও
যিরমিয়ের ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়, যিশা ৭:৮;
১৭:১; আমোষ ১:৪; যির ৪৯:২৪।
নীনবীতে মাদীয়দের দ্বারা দখল হওয়া
পর্যন্ত (৬২৫ খ্রী:পূ) সিরিয়া আশেরিয়ার
একটি প্রদেশ হিসেবে থেকে যায় এবং
এরপর তারা তা জয় করে নেয়। অনেক
উত্থান-পতনের পর রোমীয়রা সিরিয়াকে
আত্রæমণ করে (৬৪ খ্রী:পূ) এবং দামেস্ক
প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে ¯^ীকৃত হয়
(৩৭ খ্রী:পূ)। আরবের রাজা অ্যারিটাস
হেরোদ আন্তিপাসকে বিতাড়িত করে
দম্মেশকের শাসনকর্তা হন। এই শহর
শৌলের মন পরিবর্তনের জন্য স্মরণীয় হয়ে
আছে, কারণ দম্মেশকের পথে শৌল প্রভু
যীশু খ্রীষ্টতে বিশ্বাস স্থাপন করেন এবং
পৌল নাম ধারণ করেন, প্রেরিত ৯:১-২৫।
“সোজা” নামের রাস্তাটির পাশে যিহূদার
বাড়ি ছিল এবং সেখানেই অননিয় শৌলকে
খুঁজে পান, এখন রাস্তাটি “সুলতানী” বা
“রাণীর রাস্তা” হিসেবে পরিচিত। শহরের
এই রাজপথ দিয়ে পৌল আরব দেশ থেকে
ফেরার পথে আবার দামেস্কে যান, গালা
১:১৬-১৭। এটি ছিল যীশুর শিষ্যদের
কেন্দ্রস্থল এবং এখান থেকেই খ্রীষ্টের
সুসমাচার আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে
পড়ে, প্রেরিত ৯:২০। ৬৩৪ খ্রীষ্টাব্দে
মুসলমানরা দামেস্ক অধিকার করে নেয়।
১৫১৬ খ্রীষ্টাব্দে এটি তুরস্কের অধীনস্থ হয়,
বর্তমানে তারাই এই শহর শাসন করছে।
বর্তমানে এটি এশিয়াস্থ তুরস্কের বৃহৎ
একটি শহর।
দরজা:- দ্বার, ঘরে প্রবেশ করার পথ,
পৃস্টা

414
 পবিত্র বাইবেল ডিকশনারী । Bengali Bible Carey  Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন) বাইবেল অভিধান
ধন-সম্পদ:- বস্তুগত, সামাজিক,
সম্পর্কগত কিংবা আত্মিক ধন-সম্পদ।
প্রাচীন যিহূদীদের ধন-স¤পদ বলতে
বোঝানো হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের পশুর বড়
বড় পাল, সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ, লোহা ও
অনেক কাপড়-চোপড়। ইয়োবের সময়
ধন-সম্পদ বলতে বোঝানো হত ভেড়া,
উট, ষাঁড়, গাধী, কেনা দাস-দাসী ইত্যাদি।
এসব ধন-সম্পদের কারণে তাকে
“পূর্বদেশের সমস্ত লোকদের মধ্যে
সবচেয়ে ধনী” বলা হয়েছে, ইয়োব ১:৩।




ঈশ্বর সদাপ্রভুই ইস্রায়েলকে সকল ধনসম্পদ দান করেন, দ্বি.বি. ৮:১৬; এবং
তিনি উদার হস্তে দান করেন, হিতো
১১:২৪। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট ধন-সম্পদ বাতিল
করেন নি, তবে বোঝাতে চেয়েছেন,
বিশ্বাসীদের জীবনে ধন-সম্পদের স্থান
ঈশ্বরের চেয়ে বড় হলে তার পক্ষে ¯¦র্গ-
রাজ্যে প্রবেশ করা অসম্ভব, মথি ১৯:২৪;
লূক ১৬:১৯-৩১।
ধনুক:- এক সময় ধনুক যুদ্ধে এবং
শিকারের কাজে ব্যবহার করা হত, আদি
২১:২০; ২৭:৩; ৪৮:২২। বিন্যামীন
বংশের লোকেরা ধনুক ব্যবহারে পারদর্শী
ছিল, ১ বংশা ৮:৪০; ১২:২; ২ বংশা
১৪:৮; ১৭:১৭। ইলামীয়রা, এমন কি
লূদীয়রাও তেমনি করে এর ব্যবহারে
পারদর্শী ছিল, যিশা ২২:৬; যির ৪৬:৯।
ইব্রীয়রা যুদ্ধে ধনুক ব্যবহার করতো, ১
বংশা ৫:১৮; ৮:৪০। কোন কোন সময়ে
লোহা বা তামা দিয়ে এই ধনুক তৈরি করা
হত, ২ শমূ ২২:৩৫; গীত ১৮:৩৪।
তীরগুলো ত‚ণের মধ্যে নেওয়া হত, আদি
২৭:৩; যিশা ২২:৬; ৪৯:২; গীত
১২৭:৫। কোন কোন সময় তীরের
অগ্রভাগে কোন জ্বলন্ত পদার্থ যুক্ত করে
তীর ছোঁড়া হত, গীত ১২০:৪। ধনুক ছিল
বিজয়ের প্রতীক, গীত ৭:১২। ধনুক কোন
কোন সময় মিথ্যা বা প্রবঞ্চনার প্রতীক
হিসেবেও ব্যবহার করা হত, গীত
৬৪:৩,৪; হোশেয় ৭:১৬; যির ৯:৩। ২
শমূ ১:১৮ পদটি ধনুক-সঙ্গীত নামে
পরিচিত।
ধনুকধারী:- তীরন্দাজ, ১ বংশা ১০:৩।
এই তীর ও ধনুক ব্যবহারে প্রাচীন কালের
লোকেরা অত্যন্ত পাকা ছিল, আদি ২১:২০;
২৭:৩। একদা শৌল পলেষ্টীয় তীরন্দাজের
দ্বারা আহত হয়েছিলেন, ১ শমূ ৩১:৩।
“ধনুক ভাঙ্গা” একটি বাগধারা, হোশেয়
১:৫; যির ৪৯:৩৫; ধনুক ভাঙ্গা বলতে
কোন ব্যক্তির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া
বোঝায়, আবার “ধনুক শক্তিশালী করা”
হল ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রতীক, আদি
৪৯:২৪। প্রাচীনকালে পারস্যের
তীরন্দাজরা বিখ্যাত ছিলেন, যিশা ১৩:১৮;
যির ৪৯:৩৫; ৫০:৯,১৪,২৯,৪২। অনেক
জায়গায় তীর-ধনুক রূপক অর্থে ব্যবহার
করা হয়েছে, ইয়োব ৬:৪; যির ৯:৮; গীত
৭:১২; ৬৪:৩। দেখুন: ধনুক।
ধনে:- ধনিয়া; হিব্রæ শব্দ “গাদ,” যাত্রা
১৬:৩১; গণনা ১১:৭; মান্নার আকার এবং
রং ছিল ধনে বীজের মত, এর বৈজ্ঞানিক
নাম “কোরিয়ানড্রাম সাটিভাম”। ধনে
গাছের উচ্চতা সাধারণত ২ ফুট হয়ে
থাকে। পূর্ব দেশে এবং দক্ষিণ ইউরোপে
ব্যাপকভাবে এর চাষাবাদ করা হয়, এটি
দেখতে ছোট গোল মরিচের মত। ধনে 
ওষুধ এবং মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ধনে গাছের গ্রীক নাম “কোরিয়ন” বা
“কোরিয়ান্নন”।
ধর্ম-বিরুদ্ধ:- প্রচলিত ধর্মের বিরুদ্ধবাদী
দল বা ব্যক্তি, ভিন্ন মতপোষণকারী
স¤প্রদায়, প্রেরিত ৫:১৭; ১৫:৫;
২৪:৫,১৪; ২৬:৫। পৌলকে সন্ত্রাস ও
রাজদ্রোহিতার জন্য “ধর্মবিরোধী” আখ্যা
দেওয়া হয়, গালা ৫:২০। মণ্ডলীতে বিভক্তি
বা মতভেদের ক্ষেত্রেও এই শব্দটি ব্যবহৃত
হয়, ১ করি ১১:১৯। তীত ৩:১০ পদে
“দলভেদী” ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলতে বলা
হয়েছে। ঈশ্বরের থেকে আগত নয়, বরং
নিজমতে চালিত ধর্মে বিশ্বাসী ব্যক্তি, ২
পিতর ২:১।
ধাইমা:- দেখুন: ধাত্রী।
ধাত্রী:- প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসবের
তত্ত¡াবধানকারী, ধাইমা, সেবিকা, আদি
৩৮:২৮,২৯; যাত্রা ১:১৫-২১।
ধাপ:- সময় পরিমাপের একক; রাজা
হিষ্কিয়ের সুস্থতার চিহ্ন¯^রূপ ছায়া দশ ধাপ
পিছিয়ে যায়, ২ রাজা ২০:১১; যিশা
৩৮:৮, হিব্রæ শব্দ “মালোথ” অর্থ ধাপ।
যাত্রা ২০:২৬; ১ রাজা ১০:১৯ পদে
“সিঁড়ি” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে এবং
“ধাপ” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ২ রাজা
২০:৯-১১ পদে। প্রকৃতপক্ষে “মালোথ”
শব্দটির অর্থ সম্ভবত সিঁড়ির সোপান, যার
উপর চতুষ্কোণ স্তম্ভের ছায়া পড়ে। সূর্য
উপরে বা নিচে থাকার দরুন সেই
অনুপাতে ছায়া বড় বা ছোট হতে থাকে।
সম্ভবত সূর্যঘড়ি বাবিলের আবিষ্কার। দানি
৩:৬ পদে প্রথম “ঘণ্টা” বা “ঘটিকার”
কথা উল্লেখ করা হয়।
ধার:- ঋণ; মোশির নিয়ম-কানুনে ধার
দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে,
দ্বি.বি. ১৫:৭; গীত ৩৭:২৬; মথি ৫:৪২;
বিদেশী ব্যতীত অন্যদের কাছ থেকে সুদ
গ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুদ নিয়ে ধনী
হওয়া সদাপ্রভু কঠিনভাবে ঘৃণা করেন,
হিতো ২৮:৮; যিহি ১৮:৮,১৩,১৭;
২২:১২; গীত ১৫:৫। প্রতি সপ্তম বছরের
শেষে অন্যদের কাছ থেকে পাওনা ক্ষমা
করে দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে, দ্বি.বি.
১৫:১-১১। দেনার বোঝা কমানোর জন্য
এই নিয়ম চালু করা হয়। মোশির নিয়মকানুনে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে
যে, কেউ ধার করলে কিংবা কারো কাছে
কেউ কোন জিনিস রাখলে, কিংবা কেউ
কারো সম্পত্তি নিয়ে নিলে কি করতে হবে,
যাত্রা ২২:১-১৫। মোশি ইস্রায়েল জাতিকে
ধার না করার, কিন্তু ধার দেবার উৎসাহ ও
নির্দেশনা দিয়ে বলেন, “তোমরা অনেক
জাতিকে ঋণ দিতে পারবে, কিন্তু কারও
কাছ থেকে তোমাদের ঋণ নিতে হবে না”
দ্বি.বি. ২৮:১২। দেখুন: ঋণ।
ধার্মিক:- গ্রীক শব্দ থ্রিসকোস বা থ্রিসকিয়া।
পঞ্চপুস্তক অনুযায়ী ধর্মশীল ব্যক্তি, ঈশ্বরভীরু ব্যক্তি, যাকোব ১:২৬-২৭; লূক
২:২৫। গ্রীক শব্দ থিওসিবিস অর্থ স¦র্গীয়,
হিব্রæ শব্দ ইউসিবিস অর্থ ঈশ্বর-ভক্ত ব্যক্তি।
কাজের মাধ্যমে ধার্মিক হওয়া যায় না, প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁর
কাছে পাপ ¯^ীকার করলে ধার্মিক হওয়া
যায়। পঞ্চপুস্তকের ধর্ম বিশ্বাস ছিল পর্ব
পালন নির্ভর এবং নিয়ম-কানুন পালন
নির্ভর, অপরদিকে নতুন নিয়মের ধার্মিকতা
নির্ভর করে ঈশ্বরের অনুগ্রহ, ভালবাসা এবং 
পবিত্রতার উপর। ধার্মিকতার উৎপত্তি হয়
হৃদয়ের উপাসনা থেকে এবং আত্মিক
শক্তিতে অন্তরে ঈশ্বরের ভক্তি প্রকাশ পায়।
ধার্মিক বিশ্বাসী:- (১) ঈশ্বরের বেছে নেওয়া
ইস্রায়েল জাতির একজন ধার্মিক ব্যক্তি,
যিনি বিশ্বাসে খুব শক্তিশালী ও ঈশ্বরের
সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ-সম্বন্ধ রক্ষা করেন,
২ বংশা ৬:৪১; গীত ১৬:৩; অথবা
একজন পুরোহিত যিনি ঈশ্বরের কাজের
উদ্দেশ্যে পবিত্র জীবন যাপনের মাধ্যমে
আলাদা হয়েছেন, গীত ১০৬:১৬; ১ পিতর
২:৫। (২) নতুন নিয়মের একজন বিশ্বাসী,
যিনি ঈশ্বরের সঙ্গে বিশ্বস্ত জীবন-যাপন
করেন, প্রেরিত ৯:১৩; ১ করি ১৬:১; ২
করি ১:১। মণ্ডলীর ধার্মিক বিশ্বাসীগণের
ক্ষেত্রেও একই অর্থ প্রকাশ করা হয়েছে, ১
করি ১:২। বেছে নেওয়া লোকদেরকে
ঈশ্বর তাঁর নিজের লোক বলেছেন।
যাদেরকে বেছে নেওয়া হয়েছে তাদের সেই
ধার্মিক জীবন যাপনের উচ্চমান ধরে
রাখতে বলা হয়েছে, ইফি ৪:১; কল
১:১০।
ধার্মিকতা:- ন্যায্যতা, ন্যায়পরায়ণতা,
ঈশ্বরের দেওয়া পবিত্র আইনের মানদণ্ড।
ব্যাপক অর্থে, মাত্রা অনুযায়ী সঠিক মান
অর্জন করা, যে মান ¯^য়ং ঈশ্বরের গুণবৈশিষ্ট্য থেকে আসে, যেগুলো মোশির
কাছে আইন হিসেবে দেওয়া হয়েছিল, যাত্রা
২০:১-১৭। সামগ্রিক ব্যবহারিক ধার্মিকতা,
১ তীম ৪:৮। “জ্ঞানের সঙ্গে নিজেকে দমন
এবং নিজেকে দমনের সঙ্গে ধৈর্য, ধৈর্যের
সঙ্গে ঈশ্বরের প্রতি ভয়, ভয়ের সঙ্গে
ভাইদের প্রতি ভালবাসা এবং সেই
ভালবাসার সঙ্গে গভীর ভালসার মনোভাব
যোগ কর,” ২ পিতর ১:৬। ১ তীম ৩:১৬
পদে খ্রীষ্টান ধর্মের মূল বিশ্বাসের বিষয়বস্তু
তুলে ধরা হয়েছে। মানুষ কখনই ঈশ্বরের
নির্ধারিত মান অর্জন করতে পারে না।
কারণ একটি মানুষের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে
পাপ এসেছে, সেই পাপের জন্যই মানুষ
ধার্মিকতা হারিয়েছে এবং সব মানুষের
কাছে মৃত্যু উপস্থিত হয়েছে, রোমীয়
৩:২৩; ৫:১২-২১। মানুষ সব সময়
ঈশ্বরের ধার্মিকতার মান রক্ষা করতে ব্যর্থ
হয়েছে, রোমীয় ৩:১৯,২০। একমাত্র প্রভু
যীশু খ্রীষ্ট সম্পূর্ণ খাঁটি ধার্মিকতার জীবন ও
সকল মানুষের অধার্মিকতা¯^রূপ ক্রুশে
জীবন দানের মাধ্যমে যে পরিত্রাণের পথ
তৈরি করেছেন, তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপন
করেই মানুষ আবার তার ধার্মিকতা ফিরে
পেতে পারে, যিশা ৫৪:১৭; ২ করি
৫:২১।
ধূপদানি:- আগুনের পাত্র, ধূপাধার;
ঈশ্বরের ঘরে সদাপ্রভুর সামনে সোনার
তৈরি একটি পাত্র বা ধূপদানিতে ধূপ রাখা
হত, যাত্রা ৩০:১-৯। সদাপ্রভুর সামনে যে
বেদী রয়েছে তিনি সেখান থেকে পুরোহিত
আগুনের পাত্রে জ্বলন্ত কয়লা ভরে নিয়ে
তার উপর সুগন্ধি ধূপ ছিটিয়ে দিতেন,
লেবীয় ১৬:১২,১৩; ধূপের ধোয়া মেঘ
আকারে উপরে উঠে যেত ও সারা ঘর
সুগন্ধে ভরে যেত। প্রত্যেক দিন ব্যবহারের
জন্য ব্রোঞ্জের ধূপদানি ছিল, গণনা ১৬:৩৯;
এবং ধূপদানির বিভিন্ন হিব্রæ নাম ছিল,
যেমন হিব্রæ ভাষায় “ত্রিকটিরেথ,” ২ বংশা
২৬:১৯; নহি ৮:১১। উৎসর্গ করার সময়
¯^র্ণের ধূপদানি ব্যবহার করা হত, যাকে
হিব্রæ ভাষায় বলা হয় “মহাতাহ্,” এর অর্থ
হচ্ছে, আগুন নিয়ে যাওয়া যায় এমন পাত্র।
পুরাতন নিয়মে এর গ্রীক অনুবাদ হল
পবিত্রকরণ পাত্র অর্থাৎ আগুন রাখার পাত্র।
রাজা শলোমন ঈশ্বরের গৃহের জন্য সোনার
ধূপদানি তৈরি করেন, ১ রাজা ৭:৫০; ২
বংশা ৪:২২। প্রকাশিত বাক্যে ¯^র্গের
দূতদের সোনার ধূপদানি ব্যবহারের কথা
বর্ণনা করা হয়েছে, প্রকা ৮:৩,৫। পৌল
উপাসনা-তা¤¦ুতে রাখা সোনার ধূপবেদীর
কথা উল্লেখ করেছেন, ইব্রীয় ৯:৪। এখানে
গ্রীক শব্দ “থুমিয়াটেরিয়ন” অনুবাদ করা
হয়েছে “ধূপদানি,” বা “বেদীর ধূপ”।
পৌল বলেন নি ধূপদানিটি পবিত্র ছিল কি
না, কিন্তু পবিত্র ব্যক্তি মহাপবিত্র স্থানে ঐ
পাত্রটি ব্যবহার করতেন, সুতরাং ধূপদানিটি
অবশ্যই পবিত্র ছিল, ১ রাজা ৬:২২;
ধূপদানিটি মহাপুরোহিতের পবিত্র কাজের
সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিল। কিভাবে
ধূপদানিটি ব্যবহার করা হত তার বর্ণনা
আমরা গণনা ৪:১৪; লেবীয় ১৬:১২ পদে
দেখতে পাই।
ধূপধূনা:- (হিব্রæ শব্দ, ‘লিবোনাহ’ ও গ্রীক
শব্দ, ‘লেবানোস,’ অর্থাৎ সাদা) ভারতীয়
উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে অজ্ঞাত একটি
গাছ, যার বৈজ্ঞানিক নাম ‘বসওয়েলীয়া
সেরেটা’ অথবা ‘থুরিফেরা,’ যে গাছ থেকে
তৈরি সুগন্ধির সুগন্ধ প্রায় চল্লিশ ফুট উঁচু
পর্যন্ত ওঠে। প্রাচীন ভারতবর্ষ ও আরবীয়
দেশগুলোতে এক ধরনের গাছ থেকে এই
সুগন্ধি দ্রব্য তৈরি করা হত। বাইবেলের
শিবা বা আরব দেশ থেকে এই সুগন্ধি ও
সোনা যিরূশালেমে আমদানি করা হত,
যিশা ৬০:৬; যির ৬:২০; মথি ২:১১,১৫;
যার কিছু কিছু প্যালেষ্টাইন দেশেও পাওয়া 
পৃস্টা
458
 পবিত্র বাইবেল ডিকশনারী । Bengali Bible Carey  Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন) বাইবেল অভিধান
নকশা:- শিল্পকর্ম, হাতের কাজ। যিহূদীরা
এই নকশা করার কাজ ও শিল্পকর্ম জানত,
যাত্রা ২৬:৩৬; ৩৫:৩৫; ৩৮:২৩; বিচার
৫:৩০; গীত ৪৫:১৪। মহিলাদের তৈরি
করা মহাপুরোহিতের কোমরের পবিত্র
বন্ধনির নকশার কাজে নিপুনতা লক্ষ্য করা
যায়, যাত্রা ২৮:১। কাজগুলো দেখে বোঝা
যায় এই শিল্প কিছু নির্দিষ্ট পরিবার
উত্তরাধিকারসূত্রে দক্ষতার সাথে করে
চলেছে, ১ বংশা ৪:২১। আশেরীয়রা
বিভিন্ন রঙের দড়ি তৈরিতে পারদর্শী ছিল,
যিহি ২৭:২৪।
নকোদ:- নেথিনিম বা নফূষীম বংশের
প্রধান। এই নকোদের বংশের ৬৪২ জন
বাবিলের বন্দীদশা থেকে ফিরে এসে




ইস্রায়েলীয় বলে নিজেদের প্রমাণ করতে
পারে নি, নহি ৭:৬০-৬২; ইষ্রা ২:৬০।
নখী:- নখ, পশুর নখ, ঘোড়ার খুর; হিব্রæ
“শিহেলেথ,” যাত্রা ৩০:৩৪; এক প্রকার
সামুদ্রিক প্রাণী বা কচ্ছপের খোলস, যা
সচরাচর লোহিত সাগরে দেখা যায়। এই
ধরনের ঝিনুক বা শামুকের খোলস
পোড়ালে তেলের মত একপ্রকার তরল
পদার্থ পাওয়া যায়, যা তীব্র গন্ধযুক্ত। এটি
পবিত্র ধূপের মত একটি উপাদান হিসেবে
ব্যবহৃত হত।
নগি:- অর্থ, দীপমালা। যীশু খ্রীষ্টের মাতুল
বংশের একজন পূর্বপুরুষ, লূক ৩:২৫।
নটোফা:- অর্থ, জলে ফোটা বা
বিশুদ্ধকরণ। এটি খুব সম্ভব বৈৎলেহমের
কাছে যিহূদার একটি শহর, নহি ৭:২৬; ১
বংশা ২:৫৪। দায়ূদের দুইজন রক্ষী ছিল
নটোফার, ১ বংশা ২৭:১৩,১৫। সম্ভবত
বর্তমানে শহরটি বৈৎলেহমের উত্তর-পূর্বে
অবস্থিত ক্ষতিগ্রস্থ মেতোবা বা উম-তোবা।
নতুন চাঁদের ভোজ:- প্রতি মাসের একটি
বিশেষ দিন হিসেবে উৎযাপিত হত, গণনা
২৮:১১-১৫; ১০:১০।
নতুন জন্ম:- একজন খ্রীষ্ট-বিশ্বাসীর প্রভু
যীশুর সঙ্গে নতুনভাবে জীবন-যাপনের
সূচনা, যার মাধ্যমে তার আত্মিক জীবনের
শুরু হয়, যোহন ৩:৩, ৫, ৬; ২ করি
৫:১৭; ১ পিতর ১:২৩। নতুন নিয়মে
শব্দটি মাত্র দু’বার ব্যবহার করা হলেও
বিভিন্নভাবে এটি প্রকাশিত হয়েছে; যেমন,
নতুন (আত্মায়) করে জন্ম, যোহন
৩:৩,৫,৭; ঈশ্বর থেকে জন্ম, যোহন
১:১৩; ১ যোহন ৩:৯; প্রভু যীশু খ্রীষ্টের
সঙ্গে জন্ম, ইফি ২:১,৫; নতুন হয়ে ওঠা,
রোমীয় ১২:২; তীত ৩:৫। নতুন জন্মের
চিহ্নসমূহ ১ যোহন ৩:৯,১৪; ৫:১,৪ পদে
উল্লেখ করা হয়েছে। ঈশ্বরের আত্মা যদি
আমাদের অন্তরে বাস করেন, তবে তিনি
তাঁর আত্মার দ্বারা আমাদের মৃত্যুর অধীন
শরীরকে নতুন জীবন দান করবেন, রোমীয়
৮:১১; ফিলি ৩:২১।
নতুন নিয়ম:- অর্থ, নতুন চুক্তি, লূক
২২:২০ অর্থাৎ পুরাতন চুক্তির স্থলে নতুন
চুক্তি। অনুগ্রহের চুক্তিকে নতুন চুক্তি বলা
হয়েছে, যা পুরাতন কাজের চুক্তি ভেঙ্গে
নতুনভাবে করা হয়েছে। এই চুক্তি সবসময়
সতেজ, সমৃদ্ধ এবং চমৎকার। সুসমাচারে
এই বিষয়গুলো পুরাতন নিয়মের বিষয়ের
চেয়ে অনেক বেশি ¯^চ্ছ, আত্মিক, বিশাল 

এবং জোরালভাবে উল্লিখিত। সেই থেকে
পুস্তকের শেষ অংশের নাম নতুন নিয়ম বা
নতুন নিয়ম।
নথন-মেলক:- যিহূদার রাজার একজন
কর্মচারী। যিহূদার রাজারা যে সব রথ ও
ঘোড়াগুলো সূর্যের পূজার উদ্দেশে
দিয়েছিলেন যোশিয় সেই ঘোড়াগুলো দূর
করে দিয়ে রথগুলো পুড়িয়ে ফেলেন।
সদাপ্রভুর ঘরে ঢুকবার পথের পাশে,
উঠানের মধ্যে, নথন-মেলক নামক একজন
কর্মচারীর কামরার কাছে ঘোড়াগুলো রাখা
হত, ২ রাজা ২৩:১১।
নথনিয়:- অর্থ, যিহোবার দান। (১) তিনি
আসেফের পুত্র যাকে দায়ূদ ঈশ্বরের গৃহের
কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, ১ বংশা
২৫:২,১২। (২) যে লেবীয়কে রাজা
যিহোশাফট লোকদের নিয়ম-কানুন শিক্ষা
দেওয়ার জন্য মনোনীত করেছিলেন, ২
বংশা ১৭:৮। (৩) যেহুদীর পিতা, যাকে
যিহূদার রাজা যিহোয়াকীমের রাজত্বের
পঞ্চম বছরের নবম মাসে যিরূশালেমের
রাজকর্মচারীরা বারূককে মোশির পুস্তক
নিয়ে আসার জন্য বলে পাঠান, যির
৩৬:১৪। (৪) ২ রাজা ২৫:২৩,২৫।
নথনেল:- অর্থ, ঈশ্বর যাকে দিয়েছেন। (১)
যাত্রার সময়কালে ইষাখর বংশের নেতা
সূয়ারের পুত্র, গণনা ১:৮; ২:৫। (২) রাজা
দায়ূদের একজন ভাই, ১ বংশা ২:১৪।
(৩) একজন পুরোহিত, যখন সাক্ষ্য-সিন্দুক
যিরূশালেম থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল
তখন তার সামনে উবুর হয়ে তিনি সম্মান
করেছিলেন, ১ বংশা ১৫:২৪। (৪)
একজন লেবীয়, ১ বংশা ২৪:৬। (৫)
কোরহীয়দের পরিবারের একজন, যিনি দ্বার
রক্ষী ছিলেন, ১ বংশা ২৬:৪। (৬) একজন
রাজকর্মচারী, যাকে যিহোশাফট যিহূদা
নগরের লোকদের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে
শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিয়োগ করেছিলেন, ২
বংশা ১৭:৭। (৭) রাজা যোশিয়ের সময়ের
একজন প্রধান লেবীয়, ২ বংশা ৩৫:৯।
(৮) ইষ্রা ১০:২২। (৯) নহি ১২:২১।
(১০) একজন পুরোহিতের পুত্র, যিনি
যিরূশালেমের প্রাচীর উৎসর্গের অনুষ্ঠানের
দায়িত্বে ছিলেন, নহি ১২:৩৬। (১১) প্রভু
যীশুর একজন শিষ্য, গালীলের কান্না
নগরের অধিবাসী, যোহন ২১:২। শিষ্য
ফিলীপ তাঁকে যীশু খ্রীষ্টের সাথে পরিচয়
করিয়ে দেন, যোহন ১:৪৫; ২:২। তিনি
ছিলেন একজন সত্যিকারের ইস্রায়েলীয়,
যার মনে কোন ছলনা ছিল না, যোহন
১:৪৭,৪৮। তার নাম নতুন নিয়মে শুধুমাত্র
যোহনের পুস্তকেই পাওয়া যায়, তিনি শিষ্য
বর্থলময় হিসেবে পরিচিত হলেও পুস্তকে
নথনেল নাম দেখা যায়। তাকে প্রভু যীশু
খ্রীষ্ট পুনরুত্থানের পর টিবেরিয়াস সাগরের
তীরে দেখা দেন।
নদবিয়:- অর্থ, যিনি যিহোবার কাছে
গিয়েছিলেন। যিকনিয়ের পুত্র এবং রাজা
দায়ূদের একজন বংশধর, ১ বংশা ৩:১৮।
নদী:- প্যালেষ্টাইনের বিভিন্ন ধরনের নদী:
(১) নহর: অবিরত এবং পূর্ণ গতিতে
বহমান নদী, যেমনÑ যর্দন এবং ইউফ্রেটিস
নদী। এ ধরনের নদী গ্রীষ্মকালে সম্পূর্ণ
শুকিয়ে যায় অথবা লতাগুল্ম দিয়ে ঢাকা
পড়ে যায়। (২) নহল: শীতকালীন
খরস্রোতা নদী, বর্ষাকালের প্রবল
বৃষ্টিপাতের ফলে সঞ্চিত জল থেকে এর
উৎপত্তি, কিন্তু গ্রীষ্মকালে এটি সম্পূর্ণ
শুকিয়ে যায়। এটি এক প্রকার ছোট নদী 
বা নদীখাত, গণনা ৩২:৯; যেমনÑ ঐনন,
যব্বোক, কীশন ইত্যাদি। (৩) অফেক:
খাল বা শিলা বেষ্টিত গভীর গিরি-খাদ যা
জল ধরে রাখে, ২ শমূ ২২:১৬; এই শব্দের
অর্থ “ধারণ করা বা ধরে রাখা”। যিহিষ্কেল
৩২:৬ পদে বলা হয়েছে “স্রোতের জল”।
(৪) ই’য়র: নীল নদ, আদি ৪১:১,২; যাত্রা
১:২২; ২:৩,৫। ইয়োব ৪৬:৭,৮; আমোষ
৮:৮; ৯:৫ পদে বলা হয়েছে “ফুলে ওঠা
অশান্ত নদী”। শব্দটির মিশরীয় অর্থ “বড়
নদী” বা “খাল”। (৫) পিলেগ: এর
জলধারা ভ‚মিতে প্রবাহিত হয়ে বিভক্ত হয়ে
যায়, গীত ১:৩। ক‚পের জল বা সংরক্ষিত
জলাধার থেকে যে নালা দিয়ে সরাসরি
গাছের গোড়ায় জল সরবরাহ করা হয়।
(৬) ইউয়োবল: পূর্ণ স্রোতধারা, যির
১৭:৮। (৭) জলে নালা বা খাত, ২ রাজা
১৮:১৭; টি’অলাহ।
মিশরের বিভিন্ন নদী: (১) নহর মিতস্রয়িম:
নীল নদ, আদি ১৫:১৮; উপরে “নহর”
দেখুন। (২) নহল মিতসয়িম: গণনা
৩৪:৫; যিহো ১৫:৩,৪,৪৭; ১ রাজা
৮:৬৫; ২ রাজা ২৪:৭; উপরে “নহল”
দেখুন। সমুদ্র উপক‚লের নদীখাত এবং
নীল নদীর শাখা প্রশাখা দিয়ে ২-৩ দিন
ধরে বৃষ্টির জল সমুদ্রে যায়। নীল নদের
আদি নাম সীহো, ১ বংশা ১৩:৫; বা
“কালো নদী”। পরবর্তীতে এই নদীই
“নীল নদ” নাম ধারণ করে, দ্বি.বি. ২৩:৩;
যির ২:১৮ পদ।
নদীর মোহনা:- দেখুন: উপসাগর।
নপুংসক/খোজা:- ঘর-রক্ষক বা রাজ-মহল
তদারককারী; সব ক্ষেত্রেই যে সত্যিকার
অর্থে পুরুষাঙ্গবিহীন কর্মচারী নিযুক্ত করা
হত তা নয়, তবে বেশিরভাগ সময় রাজ
মহলে এ ধরনের খোজাদেরকেই নিয়োগ
দেওয়া হত, ২ রাজা ৯:৩২; উপ ২:৩।
মোশির নিয়ম-কানুন অনুসারে তাদের
সমাজে যোগ দিতে দেওয়া হত না, দ্বি.বি.
২৩:১। গ্রীস ও রোম দেশে তাদের প্রায়ই
দেখা যেত। বর্তমান সময়েও এ রকম
কয়েক জন খোজা রোমের সিসটিন
চ্যাপেলে গানের দলে বিশেষ গান গেয়ে
থাকে। পবিত্র শাস্ত্রে তিন ধরনের
খোজাদের কথা বলা আছে, মথি ১৯:১২।
নপ্তালি:- অর্থ, মল্লযুদ্ধ। (১) যাকোবের
পঞ্চম পুত্র। তার মায়ের নাম বিল্হা, যিনি
রাহেলের দাসী, আদি ৩০:৮। যখন
যাকোব মিশরে চলে গেলেন তখন নপ্তালি
চার পুত্রের পিতা হন, আদি ৪৬:২৪। তার
সম্পর্কে এর বেশি জানা যায় যায় না। (২)
নপ্তালি বংশ: এই বংশের লোকের সংখ্যা
অপেক্ষাকৃত কম হলেও সিনাই মরুভ‚মিতে
মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে
লোকদের গণনা করেন ইস্রায়েলীয়দের এই
লোকেরা গণনা পুস্তক অনুসারে যারা যুদ্ধে
যাওয়ার মত হয়েছিল তাদের সংখ্যা ছিল,
তিপ্পান্ন হাজার চারশো, গণনা ২৬:৫০।
কনান দেশে যাবার পর গুলিবাঁট অনুসারে
নপ্তালি বংশের জায়গার সীমারেখা ছিল,
হেলফ এবং সানন্নীমের এলোন গাছ থেকে
শুরু হয়ে অদামী-নেকব ও যব্নিয়েল
পেরিয়ে লক্কুম এবং যর্দন নদী পর্যন্ত, যিহো
১৯:৩২-৩৯।
নপ্তালি বংশ:- যাকোব এই বংশকে
আশীর্বাদ করেছিলেন, “নপ্তালি যেন বাঁধনছাড়া হরিণী; তার মুখে আছে সুন্দর সুন্দর
কথা,” আদি ৪৯:২১। বাস্তবে এই বংশ
প্রতিষ্ঠিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল।
যাত্রার সময় এই বংশের পূর্ণ বয়ষ্ক লোকের
সংখ্যা ছিল ৫৩,৪০০, গণনা ১:৪৩, কিন্তু
দীর্ঘ পথ পার হয়ে আসার পর এর সংখ্যা
কমে দাড়ায় মাত্র ৪৫,৪০০, গণনা ২৬:৪৮
-৫০। তারা দান ও আশের বংশের সাথে
এক হয়ে সাধারণভাবে “দানের ছাউনি”
গড়ে তোলে, গণনা ২:২৫-৩১। তারা
সাক্ষ্য-তাম্বুর উত্তর দিকে অবস্থান করতো।
তাদের সীমানা ভাগ করা হয়, যিহো
১৯:৩২-৩৯। তাদের অংশ ছিল দেশের
উত্তর-পূর্ব দিকে যা যর্দন নদী ও মেরোম ও
গালীল হ্রদের পূর্ব সীমানায় ঘেরা ছিল।
উত্তর দিকে এর এলাকা প্রসারিত হয়ে
লেবাননের দুই উপত্যকার মাঝে সিরিয়ার
সিলী পর্যন্ত যায়। এলাকাটির চমৎকার
দৃশ্য, উর্বর ভ‚মি এবং আবহাওয়ার কারণে
অন্যান্য বংশের চেয়ে তাদের অবস্থা উন্নত
হয়। তারা বৃদ্ধি পেয়ে নপ্তালি বংশের ভ‚খণ্ড
প্রায় ৮০০ বর্গমাইল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে যা
ইষাখরের আয়তনের প্রায় দ্বিগুণ। এই
এলাকার একটি শহর কেদশ যাকে মূলত
গালীল বলা হত। পরে এই নামে গোটা
উত্তরাঞ্চলীয় কনান অঞ্চলকে বুঝাত। এর
পর্বত ঘিরে অনেক আশেপাশের জাতির
লোক বাস করতো বিধায় একে
“অযিহূদীদের গালীল” বলা হত, মথি
৪:১৫,১৬। নপ্তালির দক্ষিণ অংশকে বলা
হত “পলেষ্টীয়দের বাগান।” এলাকাটি
ভীষণ উর্বর ছিল। এলাকাটি আমাদের প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের প্রধান কাজের স্থান ছিল। এই
এলাকাতেই তার অধিকাংশ আশ্চর্য কাজ
সংগঠিত হয়। এই বংশের উপর সিরিয়ার
রাজা বিন্হদদ, ইস্রায়েলের রাজা বাশার
রাজত্বের সময় এবং যিহূদার রাজা আসার
উপর প্রথম আক্রমণ করে, ১ রাজা
১৫:২০; ২ বংশা ১৬:৪। ইস্রায়েলের রাজা
পেকহের সময়, তিগ্লত-পিলেষরের
নেতৃত্বে আশেরীয়েরা ইস্রায়েলের গোটা
উত্তর অঞ্চল দখল করে নিয়ে সেখানকার
লোকদের বন্দী করে নিয়ে যায়, ২ রাজা
১৫:২৯। এভাবে ইস্রায়েলের রাজত্বের
শেষ হয় (খ্রীষ্টপূর্ব ৭২২ অব্দ)। এরপর
গোটা নপ্তালির প্রায় সব অংশ মরুভ‚মিতে
পরিণত হয়। এর মধ্যে গালীল হ্রদের
তীরে টিবেরিয়াস শহর অন্যতম। সফাদ
শহরটিও এর গুরুত্ব বহন করে।
নপ্তালির পাহাড়:- নপ্তালি শহরের পাহাড়-
গুলোকে নপ্তালির পাহাড় বলা হয়, যিহো
২০:৭।
নপ্তুহীয়:- তিনি মিশর বংশীয় হমাতীয়
বংশের একজন, আদি ১০:১৩। অনেকে
এই শব্দকে নাপাতা বলে যা মিশরের
সামনের দক্ষিণাংশের এলাকার একটি
নগরের নাম। এটি মিশরের দক্ষিণ অংশ,
নীল নদীর আধুনিক মেরোরী, এর বাঁক
গিয়ে সুদানে ঠেকেছে। নগরটি রাজাদের
আবাসিক স্থান হিসেবে পরিচিত, যেখানে
রাণী কান্দাকী বাস করতেন, প্রেরিত
৮:২৭। এখানে অনেক বড় বড় দালানের
ধ্বংস¯ূÍপ রয়েছে।
নফ‚ষীম:- নফ‚ষীমের বংশধরেরা, যাদেরকে
বলা হত নেথিনিমের বংশের লোক, তারা
সরুব্বাবিলসহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে
বাবিলের বন্দীদশা থেকে ফিরে এসেছিল,
ইষ্রা ২:৫০।
নবূখদ্নিৎসর:- বাবিলীয় ভাষায় তাঁর নাম
লেখা হয়েছে নাবু-খুদর-উজুর, যার অর্থ
“নবো রাজমুকুট রক্ষা কর!”। এজন্য
কোন কোন অনুবাদে তাঁকে নবূখদ্নিৎসর
বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একটি উৎকীর্ণ
লিপিতে দেখা যায় যে, তিনি তাঁর নামের
অর্থ করেছিলেন “নবোর পছন্দের।” তিনি
নবোপুলেশ্বরের পুত্র ও সিংহাসনের
উত্তরাধিকারী। নবোপুলেশ্বরের আশেরীয়া
থেকে বাবিল ¯^াধীন করেন এবং নীনবী
ধ্বংস করেছিলেন। নবোপুলেশ্বর বাবিলীয়দের
সমস্ত রাজাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও
শক্তিশালী রাজা ছিলেন। তিনি কোরসের
মেয়েকে বিয়ে করলে মাদীয় ও বাবিলীয়
দেশের মধ্যে ঐক্য আসে। মিশরের রাজা
২য় নীকো কার্খের্মিশে আশেরীয়দের
পরাজিত করে। এর ফলে আশেরীয়
প্রদেশের সিরিয়া ও প্যালেষ্টাইন মিশরের
অধীনে স্থির থাকে। কিন্তু আশেরীয়ার অন্য
প্রদেশ বিভক্ত হয়ে বাবিলীয় ও মাদীয়
সাম্রাজ্য গঠিত হয়। কিন্তু তখন
নবোপুলেশ্বর নীকোকে পরাজিত করে
সিরিয়ার পশ্চিম প্রদেশ দখল করার উদ্দেশে
তাঁর পুত্রকে আরও শক্তিশালী সৈন্যসহ
পশ্চিম দিকে পাঠান, দানি ১:১। তাদের
এবং মিশরীয়দের মধ্যে কার্খেমিশে ভীষণ
যুদ্ধ হয়, সে যুদ্ধে মিশরীয়েরা সম্পূর্ণভাবে
পরাজিত হয়ে পিছু হটে, যির ৪৬:২-১২;
তখন সিরিয়া ও ফৈণীকীয়া বাবিলের দখলে
আসে (খ্রীষ্টপূর্ব ৬০৬)। এরপর মিশর
“আর কখনো অন্য দেশ আক্রমণ করতে
পারেনি”, ২ রাজা ২৪:৭। নবূখদ্নিৎসর
গোটা প্যালেষ্টাইন দেশ জয় করে
যিরূশালেম অধিকার করেন এবং বহু
যিহূদীকে বন্দী করে তাঁর দেশে নিয়ে
আসেন, যাদের মধ্যে দানিয়েল ও তাঁর
সঙ্গী-সাথীরাও ছিলেন, দানি ১:১,২; যির
২৭:১৯; ৪০:১। এর তিন বছর পর
যিরূশালেমের শাসক যিহোয়াকীম মিশরের
সাহায্যে বাবিলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন,
২ রাজা ২৪:১। এই সময় নবূখদ্নিৎসর
তাঁর সৈন্যদের নিয়ে আবার যিরূশালেম
জয়ের জন্য এগিয়ে যান, যে দেশটি তিনি
আগে দখল করেছিলেন (খ্রীষ্টপূর্ব ৫৯৮)।
এবার তিনি তৃতীয়বার এই দেশ দখলের
জন্য আসেন এবং যিহোয়াকীমকে
ক্ষমতাচ্যুত করে তাঁকে এবং তাঁর দেশের
কাজ চলছে পৃস্টা

465