Bengali Bible Carey Version । পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন)
শকট:- গাড়ি; হিব্রæ আঘালাহ্, আদি ৪৫:১৯-২৭; ৪৬:৫; গণনা ৭:৩,৭,৮; গরুর গাড়ি, ১ শমূ ৬:৭। এই গাড়ি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হত। যিহি ২৩:২৪ পদে রথের কথা বলা হয়েছে, যা যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করা হত।
শকুন:- গৃধ্র, সচরাচর দেখা যায় এমন শকুন। একমাত্র দ্বি.বি. ১৪:১৩ পদে এই পাখি সম্পর্কে জানা যায়। লেবীয় পুস্তকে একই ধরনের যে শকুনের কথা বলতে গিয়ে হিব্র শব্দ ডা’হা ব্যবহার করা হয়েছে, যার অর্থ শকুনি। এটি একটি অশুচি পাখি। এর হিব্র নামের মূল অর্থ দেখা বা তাকানো, অর্থাৎ এটি এমন একটি পাখি
যার দৃষ্টি শক্তি খুব প্রখর। এই শকুনসাধারণত শিকারী হয়ে থাকে, এদেরকে বাজ পাখিও বলা হয়ে থাকে। প্যালেষ্টাইন দেশে এই শকুনের কমপক্ষে চারটি প্রজাতি দেখা যায়। হিব্রæ দা’য়াহ্, লেবীয় ১১:১৪ এবং অনুরূপ দ্বি.বি. ১৪:১৩; হিব্র শব্দরা’য়াহ্, দাঁড়কাক তুল্য এক প্রকার দ্রুতগামী পাখি। কালো চিল, দলবদ্ধভাবে বাসকারী চিল, যিশা ৩৪:১৫; এদেরকে শীতকালে প্যালেষ্টাইনে ব্যাপকভাবে দেখা যায়। ইয়োব ২৮:৭ পদে শকুনী ব্যবহার করা হয়েছে। এই শব্দটি দিয়ে তীক্ষ দৃষ্টিসম্পন্ন শিকারী পাখিকে বুঝানো হয়েছে। লেবীয় ১১:১৪ এবং দ্বি.বি. ১৪:১৩ পদে চিলের কথা বলা হয়েছে।দেখুন: বাজ।
শকুনী:- হিব্র রাহাম অর্থাৎ “পিতৃস্নেহ,” লেবীয় ১১:১৮; দ্বি.বি. ১৪:১৭; এটি অনেকটা শিকারী শকুনের মত দেখতে; দেহ প্রায় ত্রিভ‚জ আকৃতির, এর রয়েছে লোমহীন টাক মাথা, খুব শক্ত বাঁকানো একটি ঠোঁট এবং বেশ বড় বড় চোখ ও কান, মাথার চামড়া বেশ কুঁচকানো, মুখের সামনের দিকটি কালো, শরীরের শেষ অংশে লোমবিহীন লম্বা দু’টি পা রয়েছে। এদেরকে মিশরের সবখানে দেখা যায়, এ কারণে এদের খুব পরিচিত একটি নাম হচ্ছে “ফরৌণের মুরগি”। প্যালেষ্টাইনে এই পাখি শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালে দেখা যায়। কথিত আছে এই প্রজাতির পুরুষ এবং মেয়ে পাখি কখনও জোড় ভাঙ্গে না। শক্তি:- ক্ষমতা। বাইবেলে অনেক ধরনের শক্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে: ঈশ্বরের, মানুষের, শয়তানের, সৈন্যবাহিনীর, কর্মকর্তার, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের, ইত্যাদি। শক্তি মূলত ২ ধরনের: প্রথমত কাজ করার শক্তি, লূক ১:৩৫; ৫:১৭; এবং দ্বিতীয়ত কাজ করার অধিকার বা কর্তৃত্ব, প্রেরিত ৫:৪; রোমীয় ৯:২১।
শখনিয়:- (১) ১ বংশা ২৪:১১। রাজা হিষ্কিয়ের অধীনে একজন পুরোহিত, তিনি পুরোহিতদের দল অনুসারে দৈনিক কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার জন্য বিশ্বস্তভাবে কাজ করতেন, ২ বংশা ৩১:১৫-১৯। (২) ১ বংশা ৩:২১,২২; ইষ্রা ৮:৩,৫; ১০:২; নহি ৩:২৯; ৬:১৮; ১২:৩। শখিয়:- ১ বংশা ৮:১০; শবিয়। শণের সুতা:- বিচার ১৬:৯। দেখুন: শণ। শতপতি:- সেনাপতি; রোমীয় সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা যিনি একশত সৈন্যের সেনাপতি ছিলেন, মার্ক ১৫:৩৯,৪৪-৪৫। প্রথম অযিহূদী খ্রীষ্টান কর্ণীলিয় একজন শতপতি ছিলেন, প্রেরিত ১০:১,২২; অন্যান্য আরও শতপতিদের কথা পবিত্র শাস্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মথি ৮:৫, ৮,১৩; লূক ৭:২,৬; প্রেরিত ২১:৩২; ২২:২৫-২৬; ২৩:১৭,২৩; ২৪:২৩; ২৭: ১,৬,১১,৩১,৪৩; ২৮:১৬। কফরনাহূমের
একজন শতপতির প্রিয় দাসকে প্রভু যীশু দূর থেকে সুস্থ করেন, মথি ৮:৫-১৩; লূক ৭:১-১০। একজন শতপতি আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ক্রুশীয় মৃত্যু লক্ষ্য করেন, মথি ২৭:৫৪; লূক ২৩:৪৭; এবং এই সকল
আশ্চর্য ঘটনা প্রত্যক্ষ করে তিনি বিস্ময়ে চিৎকার করে বলেন, “সত্যিই উনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন”। একজন শতপতি পৌলসহ জাহাজের অন্যান্য যাত্রীদের জীবন রক্ষা করেন, প্রেরিত ২৭:১,১১,৩১,৪৩। সুসমাচার এবং প্রেরিত পুস্তকে শতপতিদের প্রশংসা করা হয়েছে। শতপতিদের মেধা অনুসারে বাছাই করা হত এবং তাই তারা লোকদের কাছে তাদের সাহসিকতার চেয়ে সুচিন্তিত কাজ, স্থিরতা এবং দৃঢ় সঙ্কল্পের জন্য জনপ্রিয়
ছিলেন।
শক্রতা:- অন্যতম একটি মাংসিক ¯^ভাব, গালা ৫:২০। শব্দটি বিভিন্ন অর্থে বিভিন্ন পদে ব্যবহার করা হয়েছে, দ্বি.বি. ২১:১৫; মথি ৬:২৪; লূক ১৪:২৬; রোমীয় ৯:১৩; এসব পদের অনেক স্থানে এই শব্দটি দিয়ে
ভালবাসার সর্বনিম্ন পর্যায়কে বোঝানো হয়েছে। এটি গভীর ঘৃণা থেকে সৃষ্ট। পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “আমি তোমাতে ও নারীতে এবং তোমার বংশে ও তার বংশে পরস্পর শত্রæতা জন্মাব,” আদি ৩:১৫। পৃথিবীর বন্ধু হওয়া মানে ঈশ্বরের শত্রæ হওয়া, যাকোব ৪:৪; ১ যোহন ২:১৫,১৬। পাপের মন ঈশ্বরের বিরুদ্ধের
শত্রæতা করে, রোমীয় ৮:৭। মোশির নিয়ম-কানুন লুপ্ত হওয়াতে যিহূদী ও অযিহূদীদের মধ্যে শত্রæতা দূর হয় এবং তারা পুনর্মিলিত হয়, ইফি ২:১৫,১৬।
শথর:- অহশ্বেরসের তৃতীয় বছর, ইষ্টের ১:৩,৪; ইষ্রা ৭:১৪।
শথরবোষণয়:- অর্থ, জাঁকজমকপূর্ণ তারা। একজন পারসীয় শাসনকর্তা; তিনি দারিয়াবস হিস্টাসপাসের রাজত্বের সময় তত্তনয়ের অধীনে নদী তীরবর্তী অঞ্চলের পুরানো পারস্য প্রদেশের শাসনকর্তা ছিলেন, ইষ্রা ৫:৩,৬; ৬:৬,১৩। শথরবোষণয়ের সাথে তত্তনয় এবং সেখানকার উঁচু পদের কর্মচারীরা সরুব্বাবিলের অধীনে নির্মাণাধীন মন্দিরের নির্মাণ কাজে বাঁধা দিতে চেষ্টা করে। তিনি দারিয়াবসের কাছে চিঠি লেখেন (ইষ্রা ৫ অধ্যায়) এটি খোঁজ করে জানার জন্য যে, রাজা কোরস ঈশ্বরের ঘরটা পুনরায় নির্মাণ করার আদেশ জারি করেছিলেন কিনা, যা যিহূদীরা দাবী করে থাকে; বাবিলের রাজপরিবারের গুঁটিয়ে রাখা পুস্তকে তাপাওয়া যেতে পারে। একমেথা বা একবাটানা পুস্তকে এই কথা পাওয়া যায়, এরপর দারিয়াবস কাজটি করার জন্য আদেশ দেন, এবং রাজ-ভাণ্ডার থেকে সব খরচপত্র এবং উৎসর্গের জন্য পশু এবং গম, লবণ, আঙ্গুর-রস ও তেল সরবরাহ করার কাজে শথরবোষণয় সাহায্য করবে। শথরবোষণয় এবং অন্যরা কাজগুলো খুব তাড়াতাড়ি শেষ করেন।
শদেয়ূর:- গণনা ১:৫; ২:১০। এটি “শাদ্দাই” শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ হল “সর্বশক্তিমান”।
শদ্রক:- “হনানিয়কে” কল্দীয় ভাষায় শদ্রক বলা হয়; দেখুন: মৈশক, অবেদ্নগো; দানি ১:৭।
শনীর:- দ্বি.বি. ৩:৯; শলো ৪:৮; হিব্র সেনীর। হর্মোণ পাহাড়ের ইমোরীয় নাম, ১ বংশা ৫:২৩; যিহি ২৭:৫।
শপথ:- দেখুন: কসম। শপথ করার জন্য বলা:- কোন প্রতিজ্ঞার অধীনে কোন দায়িত্ব পালন করার জন্য
কোন ব্যক্তির প্রতি আবেদন বা আদেশ, ১ শমূ ১৪:২৪; যিহো ৬:২৬; ১ রাজা ২২:১৬। নতুন নিয়মে আমরা এ রকম শপথের উদাহরণ দেখতে পাই, মথি ২৬:৬৩; মার্ক ৫:৭ পদে। মহাপুরোহিত এখানে প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে জীবন্ত ঈশ্বরের নামে শপথ করতে আদেশ করেছিলেন, কিšুÍ প্রভু যীশু খ্রীষ্ট কোন উত্তর দেননি।
সম্ভবত এক্ষেত্রে যে লোককে শপথ করতে বলা হয় সে উত্তর দিতে অ¯^ীকৃতি জানাতে পারে না। প্রেরিত ১৯:১৩ পদে ভ‚তাড়ানোর জন্য “শপথ করা” করার বিষয়টি ব্যবহার করা হয়েছে।
শফটিয়:- হিব্র “শফাটিয়,” এর অর্থ হল “যাকে যিহোবা রক্ষা করেন” (১) ১ বংশা ৯:৮। (২) অবীটলের গর্ভে রাজা দায়ূদের পঞ্চম পুত্রের নাম শফটিয়, ২ শমূ ৩:৪। (৩) শফটিয়ের তিনশো বাহাত্তর জন পুরুষ
সরুব্বাবিলের সাথে বন্দীদশা থেকে ফিরে এসেছিল, ইষ্রা ২:৪; নহি ৭:৯; দ্বিতীয় দলে সবদিয় ও তার সঙ্গী আশি জন পুরুষ ইষ্রার সাথে ফিরে এসেছিল, ইষ্রা ৮:৮। (৪) রাজা শলোমনের দাসদের একজন সন্তান, ইষ্রা ২:৫৭। (৫) নহি ১১:৪। (৬) মত্তনের পুত্র, সে রাজা সিদিকিয়ের কাছে অনুনয় করেছিল যেন ভাববাদী যিরমিয়কে হত্যা করা হয়, কারণ তিনি যোদ্ধাদের হাত দুর্বল করে দিয়েছিলেন এই ভবিষ্যদ্বাণী বলে: “যারা এই শহরে থাকবে তারা হয় যুদ্ধে না হয় দুর্ভিক্ষে কিংবা মহামারীতে মারা যাবে, কিন্তু যারা বাবিলীয়দের কাছে যাবে তারা মরবে না,” যির ৩৮:১। (৭) ১বংশা ১২:৫। (৮) ১ বংশা ২৭:১৬। (৯)
২ বংশা ২১:২।
শফাম:- সদাপ্রভুর প্রতিজ্ঞা করা দেশের পূর্ব দিকের সীমানা; এর অবস্থান হৎসরঐননের মাঝখানে, যেখানে উত্তর দিকের সীমানা শেষ হয়েছে। এখানে আছে রিব্লা বা হার-বাল-হর্মোণ অর্থাৎ মার্বেল পাথর;
বিচার ৩:৩; গণনা ৩৪:১০,১১।
শফী:- ১ বংশা ১:৪০; আদি ৩৬:২৩ পদে আছে শফো। আকাবার উত্তরে শফী নামে একটি পাহাড় ছিল। শফ‚ফন:- বিন্যামীনের প্রথম সন্তান বেলার পুত্র শফূফন, ১ বংশা ৮:৫। গণনা ২৬:৩৯ পদে আছে শফূম; ১ বংশা ৭:১২,১৫ পদে শুপ্পীম; আদি ৪৬:২১ পদে মুপ্পীম। যিনি পাণ্ডুলিপি থেকে নকল করে লিখেছেন সম্ভবত তারই ভুলে শুপ্পীম ও শূফম লেখা হয়েছে।
শব স্পর্শ করা:- মৃতদেহের স্পর্শ করা; মোশির আইন অনুসারে মৃতদেহের ছোঁয়া লেগে অশুচি হয়েছে এমন কোন লোক যদি কছু ছোঁয় তবে সেই জিনিস অশুচি হয়ে
যায়, হগয় ২:১৩; গণনা ১৯:১৬,২২;
লেবীয় ১১:৩৯।
শবক্তানী:- ক্রুশের উপরে প্রচণ্ড দৈহিক ও
মানসিক যন্ত্রণায় প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দুপুর বেলা
তিনটার সময় জোরে চিৎকার করে বলেন,
“এলী, এলী, লামা শবক্তানী,” অর্থাৎ
“ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, কেন তুমি
আমাকে ত্যাগ করেছ?” মথি ২৭:৪৬; মার্ক
১৫:৩৪; ২২:১।
শবনিয়:- নহি ৯:৪,৫; ১০:১০। নহি
১০:৪; ১২:১৪; ১২:৩ পদে “শখনিয়”।
নহি ১০:১২; ১ বংশা ১৫:২৪।
শব্শ:- রাজা দায়ূদের লেখক অথবা রাষ্ট্রের
সচিব, ১ বংশা ১৮:১৬। ২ শমূ ৮:১৭; ১
রাজা ৪:৩; ২ শমূ ২০:২৫।
শবা:- (১) রাজা দায়ূদের লেখক, ২ শমূ
২০:২৫। ২ শমূ ৮:১৭ পদে আছে সরায়;
১ রাজা ৪:৩ পদে শীশা; ১ বংশা ১৮:১৬
পদে শব্শ। (২) মক্বেনা ও গিবিয়ার
প্রতিষ্ঠাতা বা পিতা, ১ বংশা ২:৪৯।
শবারীম:- যিহো ৭:৫। নামটি হিব্রæ
“শেবার” শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ
“ভাঙন”। শহরের (কেইল) পূর্ব দিকে ঢালু
জায়গার একটি পাথুরে খাদ। এখানে কোন
একটি জায়গায় মাটিতে ছোট ফাটল ছিল;
আস্তে আস্তে এখানে একটি গভীর গর্ত
খুঁড়ে পাহাড়ের খাড়া গা বেয়ে একটি খাদ
তৈরি করা হয়, যার ভিতর দিয়ে
ইস্রায়েলীয়রা গিল্গল থেকে আসত। হিব্রæ
ভাষায় “হা-মোরাদ,” অর্থাৎ “নিচে
যাওয়া”।
শ
শবূয়েল:- ১ বংশা ২৩:১৬; ২৬:২৪; ১
বংশা ২৪:২০ পদে আছে শূবয়েল। ১
বংশা ২৫:৪; ১ বংশা ২৫:২০ পদে আছে
শূবয়েল মন্দিরের গান বাজনার তেরোতম
দল।
শব্বথয়:- ইষ্রা ১০:১৫; নহি ১১:১৬।
শমরিয়:- ১ বংশা ১২:৫; ২ বংশা ১১:১৯;
ইষ্রা ১০:৩২,৪১।
শমহূৎ:- ১ বংশা ২৭:৮। “যিষ্রাহীয়” বা
“সেরহীয়,” ১ বংশা ২৭:১৩; সেরহের
পরিবারের একজন, যিহূদার পুত্র, ১ বংশা
২:৪,৬। ১ বংশা ১১:২৭ পদে বলা হয়েছে
শম্মোৎ। তিনি হরোদ এলাকার লোক, ২
শমূ ২৩:২৫।
শমরিয়া:- (‘পাহারা দেবার পাহাড়’)। এটি
উঁচু সমতল একটি স্থানে অবস্থিত
আয়তাকার পাহাড়, যার মাঝখানে আছে
গোলাকৃতির উপত্যকা, যা শিটীম
উপত্যকার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি
শিখিমের ছয় মাইল উত্তর পশ্চিমে
অবস্থিত। এর মালিক ছিলেন শেমর, তিনি
আটাত্তর কেজি রূপার বিনিময়ে ইস্রায়েলের
রাজা অম্রির কাছে জায়গাটি বিক্রি
করেছিলেন (৯২৫ খ্রী:পূ)। রাজা এটির
উপর শহর তৈরি করেন এবং তারপর একে
আগের মালিক শেমরের নাম অনুসারে
জায়গাটির নাম শমরীয় নাম রাখা হয়, ১
রাজা ১৬:২৩,২৪। শিখিম আগে রাজধানী
শহর ছিল, গরমকালে আইন-কানুন জারি
করার জন্য রাজার বাসস্থান ছিল তির্সায়, ১
রাজা ১৫:২১,৩৩; ১৬:১-১৮। শহরটা
সুন্দর, উর্বর ও এর লোকেরা শক্তিশালী
ছিল। শহরটি ছয়শো ফুট উঁচু ছিল,
চারদিকে সমতল পাহাড়ী জমি ছিল, ডুমুর
ও জলপাই গাছে জায়গাটা ভর্তি ছিল।
উপত্যকায় প্রচুর জল ছিল, কিন্তু
যিরূশালেমের মত এই শহরও বৃষ্টির জলের
উপর নির্ভর করতো। জায়গাটি ছিল
দেখতে খুবই সুন্দর ও মনোরম; উত্তর ও
পূর্ব দিকে উপত্যকায় ভরা ছিল; পশ্চিম
দিকে উর্বরা শারোণ এবং নীল ভ‚মধ্যসাগর
ছিল। ইফ্রয়িমের (শমরিয়া) সৌন্দর্য
গৌরবময়, যিশা ২৮:১। এই দেশের
লোকদের শক্তির কাছে সিরিয়া দেশের
রাজা পরাজিত হয়, ১ রাজা ২০ অধ্যায়, ২
রাজা ৬,৭ অধ্যায়। শমরীয় দেশ তিন বছর
ঘেরাও করে রাখার পর ৭২১ খ্রী:পূর্বে
চূড়ান্তভাবে রাজা শালমানেসার এবং
সর্গোনের হাতে চলে আসে, ২ রাজা ১৮:
৯-১২। একে বলা হত বালদেবতার পূজার
শহর, যা পরবর্তীতে রাজা আহাবের
শ
কারণে পরিচিত হয় “আহাবের বংশের
শহর” নামে, ১ রাজা ১৬:৩২,৩৩; ২ রাজা
১০:২৫। মহান আলেকজাণ্ডার এখানকার
বাসিন্দাদের সাইরো মাকিদনিয়ায় নিয়ে
গিয়েছিলেন। বারো মাস ঘেরাও করে
রাখার পর ১০৯ খ্রী:পূর্বে জন হিরকানাস
শহরটা ধ্বংস করেন। মহান হেরোদ
পুনরায় শহরটা তৈরি করে সুন্দর করে
সাজান এবং সেবাষ্টোস থেকে এর নাম
বদলিয়ে রাখেন সেবাষ্টি। গ্রীক ভাষায় বলা
হয় অগাষ্টাস, তাঁর পৃষ্ঠপোষক।
শমরিয়ার স্ত্রীলোকটি এবং তার শহরের
অনেক লোক যারা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের কথা
শুনে প্রথমে বিশ্বাস করেছিল, তারা প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের কাছে এসেছিল, যোহন ৪
অধ্যায়। ফিলিপ যাদের কাছে প্রভু যীশু
খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করছিলেন
তাদেরকে সম্পূর্ণ পাকা ফসল হিসেবে
তুলনা করা হয়েছে, প্রেরিত ৮ অধ্যায়;
যোহন ৪:৩৫। সেপ্টিমিয়াস সেভিরাস
তৃতীয় শতকে শমরিয়াতে একটি রোমীয়
উপনিবেশ গড়ে তোলেন, কিন্তু রাজনৈতিক
ভাবে এই স্থানটি কৈসরিয়ার মধ্যস্থ হয়।
মণ্ডলী হিসেবে শহরটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল
এবং সেখানকার পুরোহিত বিশপ মরিয়াস
৩২৫ খ্রীষ্টাব্দে নিজে ¯^াক্ষর করে
লিখেছিলেন, নাইসের কাউন্সিলে উপস্থিত
ছিল “অধিকাংশ সেবাষ্টিনাস”। মহোমিটিন
এটি ৬১৪ খ্রী: অধিকার করে নেন,
ধর্মযোদ্ধারা এখানে একজন ল্যাটিন
বিশপকে বসান। বর্তমানে সেবাষ্টিস নির্মিত
ঘরের পাথরসমূহ পুরাকৃতি হিসেবে তুলে
নেওয়া হয়েছে, কিন্তু এগুলো অসংলগ্নভাবে
স্থাপন করা হয়েছিল; শমরিয়ার অধিবাসীরা
বর্বর হলেও পরিশ্রমী।
বাপ্তিস্মদাতা যোহনের কবর সেখানকার
মণ্ডলীর স্থাপনার পুরানো ধ্বংসাবশেষ দেখে
ঐতিহ্যগতভাবে চিহ্নিত করা যায়, এর
আসল নকশা তৈরি করেছিলেন
কনষ্টান্টাইনের মা হেলেনা, কিন্তু পূর্ব
দিকের গ্রীক সীমানা ছাড়া বর্তমান
সময়কার দালান ও বাকি সব পরে তৈরি
করা হয়; এটি ভিতরে একশো তেপান্ন ফুট
লম্বা, চওড়ায় পঁচাত্তর ফুট এবং বারান্দাটি
দশ ফুট চওড়া। সেখানে তুরস্কের একটি
কবরের নিচে কয়েক ধাপ নেমে গেলে
আপনি একটি সিন্দুক ঘরের মত দেখতে
পাবেন যার মেঝে ছোট ছোট পাথর ফলকে
তৈরি, যেখানে পাঁচটি মৃতদেহ রাখার মত
উপযুক্ত স্থান আছে। এর মধ্যে
মাঝখানেরটা মনে করা হয়ে থাকে
বাপ্তিস্মদাতা যোহনের (?)। পাহাড়ের
উপর পনেরটি চুনাপাথরের স্তম্ভ বা থাম
আছে, আরও দু’টি মাটিতে পড়ে আছে;
এর দু’টি সারি ছিল এবং এক এক পাশের
শ
দূরত্ব বত্রিশ কদম (এক কদম = আড়াই
ফুট)। পাহাড়ের উত্তর দিকে সমান দূরত্বে
আর একটি স্তম্ভের সারি আছে। এরপর
রয়েছে একটি গভীর চারকোণা খাদ, এটি
লম্বায় একশো ছিয়ানব্বই কদম এবং
চওড়ায় চৌষট্টি কদম। পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম পাশে অনেক স্তম্ভ পড়ে আছে বা
খাড়া হয়ে আছে যা এক মাইলের তিন
ভাগের এক ভাগ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে
আছে এবং শেষে ধ্বংসাবশেষ রাশি রাশি
¯ূÍপ হয়ে আছে; প্রত্যেকটি স্তম্ভের উচ্চতা
ষোল ফুট, যার পরিধি ছয় ফুট মাটির দিকে
এবং পাঁচ ফুট উপরে, এটি সম্ভবত রাজা
হেরোদের কাজের ধ্বংসাবশেষ। দেখুন:
হোশেয়।
এর বর্তমান অবস্থার সাথে ভবিষ্যদ্বাণীর
মিল আছে। হোশেয় ১৩:১৬ পদে আছে,
“শমরীয় জনশূন্য হবে”। মীখা ১:৬ পদ
অনুসারে, “আমি শমরিয়াকে মাটির
ধ্বংস¯ূÍপ করবো, আঙ্গুরলতার উদ্যান
করবো; আমি তার প্রস্তর সকল উপত্যকায়
ফেলে দেব, তার ভিত্তিমূল অনাবৃত
করবো।” এর বর্তমান ভৌগোলিক অবস্থা
বলে দেয় যে, পুরানো শহরের সব
দালানগুলো খাড়া পাহাড়ের কিনারা থেকে
পৃষ্টা-
960